শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
করোনা মহামারির কারণে সারাদেশব্যাপী চলছে কঠোর লকডাউন। শরীয়তপুরের প্রশাসন লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছে সবসময়। এর মধ্যেও মুসলিম বিশ্বের অন্যতম বড় উৎসব ঈদুল আযহা পালনের জন্য বিভিন্ন স্থানের মতন গো-হাট বসেছে মনোহর বাজারে।
মহামারির মধ্যে হাটের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাইর পরামর্শে হচ্ছে হাট পরিচালনা। প্রতিবছর যেখানে হাজার হাজার মানুষ ভীড় করে পশু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য সেখানে সিরিয়ালের মাধ্যমে এবছর হাট বসেছে মাত্র ২০০ টি পশু বাজারে নিয়ে। প্রথমে বিক্রির উদ্দেশ্যে আনা পশুগুলো পাশের একটি মাঠে রাখা হয়, সেখান থেকে সিরিয়ালের মাধ্যমে হাটে প্রবেশ করানো হয় পশু। এতে স্বাস্থ্যবিধি সুন্দর ভাবে বজায় থাকছে।
সোমবার(১২ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পশু ক্রয়ের জন্য শারিরীক দূরত্ব বজায় রেখে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে বিক্রেতারাও পাশের একটি মাঠের মধ্যে সিরিয়ালের জন্য করছেন অপেক্ষা।
প্রশাসনের পরিকল্পনায় স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে হাট পরিচালনা করায় নিশ্চিন্ত জেলার স্বাস্থ্য সচেতন মহল।
মনোহর বাজার পশুর হাট ইজারাদার কর্তৃপক্ষের একজন আমিনুল ইসলাম সিকদার বলেন, গত বছর করোনা মহামারির কারণে হাট বন্ধ থাকায়, খামারিসহ ক্রেতা, বিক্রেতা ও বাজার কর্তৃপক্ষের অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে। এবছর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাইর সহযোগিতায় বিজিবি, পুলিশ, আনসার ভাইদের নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে আমরা হাট পরিচালনা করছি। ইএনও স্যার, তার প্রশাসন, ক্রেতা-বিক্রেতা ও মিডিয়াকে আমরা বাজার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট পরিচালনার বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাই বলেন, আপনারা জানেন করোনার কারণে একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা। স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে সিরিয়াল নাম্বারিংয়ের মাধ্যমে বর্তমানে হাটটি পরিচালনা হচ্ছে, গত হাটে ১৫০টি পশু নিয়ে হাট চলছিল, ঈদের সময় কাছাকাছি চলে আসায় আজ ২০০ টি পশু নিয়ে বাজার চলছে।