আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

শরীয়তপুরের রাস্তা সংস্কারের দাবীতে স্মারকলিপি

প্রকাশিত:বুধবার ০২ জুন 2০২1 | হালনাগাদ:বুধবার ০২ জুন 2০২1 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
আমাদের অভিযোগ ছয়শত পরিবারের চলাচলের জন্য বৃক্ষতলা থেকে তেলীবাড়ি পর্যন্ত গ্রামীণ রাস্তাটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার হয়নি। তার উপর রাস্তাটির নেই কোনো শাখা রাস্তা। গ্রামীণ রাস্তাটি ইটের সোলিং দিয়ে তৈরী হলেও বন্যা

শরীয়তপুর থেকে সাইফ রুদাদ

শরীয়তপুর সদর উপজেলার পালং ইউনিয়নের পাটনীগাঁও এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত দাবী করে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি করেছে। গ্রামের একমাত্র রাস্তাটি সংস্কারের দাবীতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

বুধবার(০২জুন) সকাল ১০ টায় শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গনে শতাধিক গ্রামবাসী মানববন্ধন করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে।

এসময় বক্তারা বলেন, আমাদের অভিযোগ ছয়শত পরিবারের চলাচলের জন্য বৃক্ষতলা থেকে তেলীবাড়ি পর্যন্ত গ্রামীণ রাস্তাটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার হয়নি। তার উপর রাস্তাটির নেই কোনো শাখা রাস্তা। গ্রামীণ রাস্তাটি ইটের সোলিং দিয়ে তৈরী হলেও বন্যা, ভারী বর্ষণ ইত্যাদি কারণে বর্তমানে করুণ দশা। এ রাস্তা দিয়ে পাটনীগাঁও, ধামসী, চাঁদসার, সিঙ্গাচুড়া সহ আশেপাশের গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ধামসি-পাটনীগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তে যায়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা রাস্তা ভাঙা হওয়ার কারণে পড়ে গিয়ে আহত হয় বলে অধিকাংশ সময় ঝড়ে পড়ে। কষ্ট করে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়লেও গ্রামে কোনো উচ্চ বিদ্যালয় না থাকায় শিক্ষার্থীরা ষষ্ঠ শ্রেণীতে শহরে পড়তে যেতে চায় না ভাঙা রাস্তাটি পায়ে হেটে। যার কারণে পাটনীগাঁওর শিক্ষার হার ক্রমাগত হ্রাসের দিকে, যা উদ্বেগজনক। তাছাড়া গ্রামটিতে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক থাকলেও তা অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকে বিধায় প্রেগন্যান্টসহ ইমার্জেন্সী রোগীরা হাসপাতালে যেতে পারে না, ফলে ঘটে দুর্ঘটনা।

রাস্তাটির কারণে রাস্তাটির কারণে ধানসহ অন্যান্য ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না কৃষকরা, ফরিয়ারা এসে প্রতিমণে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কম দাম দিয়ে ফসল নিয়ে যায়। এলাকায় কোনো অঘটন ঘটলে থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস আসতে পারে না। এলাকাটির অধিকাংশ পরিবার হিন্দু হওয়ায় এখানে প্রতিবছর নাম কীর্তন হয় কিন্তু দূরের কোনো অতিথি আসতে পারে না। রাস্তাটির কারণে আমরা ছেলে-মেয়ে বিয়ে দিতেও বাধা পাচ্ছি। যাতায়াতে অসুবিধা বলে আমাদের গ্রামে কেউ আত্মীয়তাও করতে চায় না।

রাস্তাটির বিষয়ে জন প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, ভিলেজ রাস্তা রিপেয়ারিং এর অন্তর্ভূক্ত নয় রাস্তাটি, ভিলেজ রিপেয়ারিং এর অন্তর্ভূন্ত না হওয়ায় রাস্তাটি করা সম্ভব হচ্ছে না আমাদের পক্ষে। এমতাবস্থায় আমরা সর্বশেষ আপনার দ্বারস্থ্য হয়েছি, একমাত্র আপনার হস্তক্ষেপই পারে আমাদের রাস্তাটি সংস্কার করে আমাদের গ্রামের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল প্রকার সমস্যা দূর করতে।

নিউজ ট্যাগ: শরীয়তপুর

আরও খবর



ব্লগার নাজিম হত্যা মামলা : আট বছরেও শুরু হয়নি বিচার

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ। আজ থেকে আট বছর আগে ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল ক্লাস শেষে মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা হত্যা করেন তাকে। সেই ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার ৮ বছরেও শুরু হয়নি।

চার বছর তদন্ত শেষে চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। পরবর্তী সময়ে আরো সাড়ে তিন বছর কেটে গেলেও আলোচিত এ হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়নি।

এদিকে আসামিদের আদালতে হাজির না করায় এ মামলার বিচার শুরু করতে পারেননি বলছেন রাষ্ট্রপক্ষ। তবে আশা করছেন, অতি শিগগিরই মামলার বিচার শুরু হবে এবং এ মামলার আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।

নাজিমুদ্দিনকে হত্যার পরদিন সূত্রাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে অভিযোগ গঠন শুনানির পর্যায়ে রয়েছে। সর্বশেষ গত ২৫ মার্চ এ মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে ওইদিন নিরাপত্তা জনিত কারণে কারাগারে আটক থাকা আসামিদের আদালতে না পাঠিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ চিঠি পাঠান। পরে আদালত অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১৬ মে দিন ধার্য করেন।

মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বলেন, ব্লগার নাজিমুদ্দিন হত্যা মামলাটি অভিযোগ গঠন শুনানির পর্যায়ে রয়েছে। আসামিদের আদালতে হাজির করতে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য না পাওয়ায় কয়েক দফায় তাদের আদালতে হাজির করতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ। এজন্য মামলায় অভিযোগ গঠনে শুনানি হচ্ছে না। আশা করছি, আগামী তারিখে আসামিদের আদালতে হাজির করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হবে। পরে দ্রুত সাক্ষ্য নিয়ে মামলাটি নিষ্পত্তি করা হবে। বিচার দ্রুত শেষ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

জানা যায়, ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করেন ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে। এ ঘটনায় পরদিন সূত্রাপুর থানার উপ-পরিদর্শক নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।

২০২০ সালের ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক ও মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের পলাতক রয়েছেন। এছাড়া অপর চার আসামি রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল ওরফে রফিক ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ কারাগারে আটক রয়েছেন।

এরপর ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি মেজর জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। পলাতক পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি পলাতক পাঁচজনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ব্লগে লেখালেখি করার কারণে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা নাজিম উদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের শীর্ষ নেতা ও সামরিক শাখার প্রধান সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর জিয়ার পরিকল্পনায় নাজিম উদ্দিনকে হত্যা করা হয়। আসামি মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মনের নেতৃত্বে একটি টিম নাজিম উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার অবস্থান রেকি করে। মো. শেখ আব্দুল্লাহ এ হত্যার ভিডিও ধারনের জন্য এবং হত্যাকারীদের হত্যাকাণ্ড সংঘটেনর পর পালাতে সহযোগিতার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকেন। হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর জিয়াকে জানানো হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, মামলাটি অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য থাকলেও আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় না। যেকারণে এ মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি আটকে রয়েছে। আদালতের উচিত মামলাটি ত্বরান্বিত করা। অনেক দিন তো হয়ে গেছে। আসামিরাও হয়রানির শিকার হচ্ছে। বাদীপক্ষও বিচার দেখার অপেক্ষায় আছে।


আরও খবর
আজ বিশ্ব পানি দিবস

শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪




ঈদে সালমানের বদলে আমার সিনেমা মুক্তি পেয়েছে: জায়েদ খান

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বছরজুড়ে যেসব বড় আয়োজনের সিনেমা নির্মাণ হয়, সেগুলোর বেশিরভাগই দুই ঈদে মুক্তির টার্গেট থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ঈদুল ফিতরে দেশজুড়ে ২০৮টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ১১টি সিনেমা।

সিনেমাগুলো হলো- রাজকুমার, কাজলরেখা, ওমর, দেয়ালের দেশ, জ্বীন-২, আহারে জীবন, লিপস্টিক, সোনার চর, গ্রিন কার্ড, মায়া দ্য লাভমেঘনা কন্যা

এদিকে ঢালিউডে প্রচুর সিনেমা মুক্তি পেলেও বলিউডে সালমান খানের কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। অথচ প্রতি ঈদেই সালমান খানের নতুন সিনেমা মুক্তি পায়। ঢাকাই চিত্রনায়ক জায়েদ খান সালমান খানকে পছন্দ করেন।

বলিউডে সালমান খানের সিনেমা মুক্তি নেই- এমন প্রসঙ্গে জায়েদ খান বেশ মজা করে বললেন, সালমান খানের সিনেমা প্রতি ঈদেই বলিউডে মুক্তি পায়, তবে এবার পায়নি। ধরতে পারেন সালমান খানের বদলি হিসেবেই আমার সোনার চর মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশে।

সোনার চর দেখার আহবান জানিয়ে জায়েদ খান বলেন, এই সিনেমায় আমি খুব পরিশ্রম করেছি। অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। কুমির আছে জেনেও আমি নদীতে লাফ দিয়েছি। মাছ ধরতে গিয়ে জাল ফেলার মতো কঠিন কাজ করেছি। শীতের সকালে আমাকে কাদাপানিতে নামতে হয়েছে। আমার সিনেমার গানগুলোও চমৎকার হয়েছে। তাই আমি সকলকে আহবান করবো আমার সিনেমাটা যেন সবাই দেখেন।

সোনার চর মুক্তি পেয়েছে রাজধানীর যমুনা ব্লকবাস্টার, লায়ন সিনেমাস, চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনসহ ৯টি হলে। এতে আরো অভিনয় করেছেন ওমর সানী, মৌসুমী আর জায়েদ খানের নায়িকা হিসেবে রয়েছেন নবাগতা স্নিগ্ধা।


আরও খবর



বিদ্যুৎ বিভ্রাটে দেড় ঘণ্টা বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে সাময়িকভাবে প্রায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। রবিবার (৩১ মার্চ) সকাল থেকে এ সমস্যা শুরু হয়। তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে সকাল ৯টার কিছু পর আবার রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এদিকে সকাল থেকে রাজধানীর আবহাওয়ার অবস্থা ভালো নয়। অন্যদিকে মেট্রোরেল বন্ধ হওয়ায় যেসব যাত্রী জরুরি কাজে হাতে কম সময় নিয়ে বের হয়েছিলেন তারা চরম বিপদে পড়েন। অনেকেই মেট্রোস্টেশন থেকে নেমে রিকশায়, বাসে কিংবা পায়ে হেঁটে গন্তব্যে ছুটছেন।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মেট্রোরেল চলাচল গত ২৭ মার্চ থেকে এক ঘণ্টা বেড়েছে। এখন রাত ১০টা ১৪ মিনিট পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করছে। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী প্রতিদিন মেট্রোরেল উত্তরা উত্তর প্রান্ত থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে প্রথম মতিঝিলের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। অন্যদিকে মতিঝিল প্রান্ত থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়ে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে।

নিউজ ট্যাগ: মেট্রোরেল

আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে ৭০ রোহিঙ্গার মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূলে নৌকা ডুবে ৭০ জনের বেশি রোহিঙ্গা নিখোঁজ বা নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে আরও ৭৫ জনকে। শুক্রবার (২২ মার্চ) জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এ তথ্য জানিয়েছে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংগঠন- আইওএমের সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে সংস্থাটি আরও জানায়, মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত হলে এ বছর এটিই হবে সবচেয়ে বড় প্রাণহানির ঘটনা।

এর আগে বুধবার জেলেরা ছয়জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করার সময় সতর্কতার মাত্রা বাড়ানো হয়েছিল। আচেহ প্রদেশের এক জেলে সম্প্রদায় জানিয়েছে, তীব্র স্রোতে নৌকা উল্টে যাওয়ার পর তারা এর তলদেশের ওপর দাঁড়িয়ে ছিলেন।

ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র বারবারা বালুচ বলেন, নৌকাটিতে ১৫১ জন ছিল। তাদের ৭৫ জনকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করেছে। বাকিরা মারা গেছে কিংবা নিখোঁজ হয়েছে।

আচেহ প্রদেশে ইউএনএইচসিআরের প্রটেকশন অ্যাসোসিয়েট ফয়সাল রেহমান বলেন, বেঁচে যাওয়া রোহিঙ্গারা ভালো আছে। তাদের আচেহ পশ্চিমাঞ্চলে রেডক্রসের একটি ভবনে রাখা হয়েছে।

ইউএনএইচসিআরের তথ্যমতে ২ হাজার ৩০০ জনের বেশি রোহিঙ্গা গত বছর ইন্দোনেশিয়া গেছে। এ সংখ্যা দেশটিতে গত চার বছরে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।


আরও খবর



বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম। এতে ঘটছে একের পর এক রেকর্ড। সর্বশেষ কার্যদিবস শুক্রবারও সোনার দামে বড় উত্থান হয়েছে। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে দামি এই ধাতু। প্রথমবারের মতো এক আউন্স সোনার দাম দুই হাজার ২৩০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

শুধু শুক্রবার নয়, মার্চজুড়েই বিশ্ববাজারে সোনার দাম এমন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহেই প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ৫১ দশমিক ৪৬ ডলার বা দুই দশমিক ২৬ শতাংশ। মার্চ মাসে বেড়েছে ১৮৯ দশমিক ২০ ডলার বা নয় দশমিক ২৬ শতাংশ।

গত সপ্তাহজুড়ে বিশ্ববাজারে সোনার দামে বড় উত্থান হলেও এখনো দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকলে এবং স্থানীয় বাজারে সোনার চাহিদা বাড়লে ও তেজাবী সোনার দাম বাড়লে নতুন করে আবার দাম বাড়ানো হতে পারে।

এ বিষয়ে বাজুসের দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, সোনার অস্বাভাবিক দাম হওয়ার কারণে দেশের বাজারে বিক্রি অনেক কমে গেছে। তবে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকলে এবং স্থানীয় বাজারে চাহিদা বাড়লে নতুন করে সোনার দাম বাড়ানো হতে পারে। এ জন্য আগামী কয়েকদিন স্থানীয় বাজারের চিত্র পর্যবেক্ষণ করবে বাজুস।

নতুন করে দাম বাড়ানো হলে বাংলাদেশের বাজারেও সোনার দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে। অবশ্য বর্তমানে রেকর্ড দামেই বিক্রি হচ্ছে দামি এই ধাতু। দেশের বাজারে সোনার দাম সর্বশেষ নির্ধারণ করা হয় গত ২১ মার্চ, যা কার্যকর হয় ২২ মার্চ থেকে।

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বাড়ার কারণ উল্লেখ করে সেদিন সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দুই হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করে হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দুই হাজার ৭৪১ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ আট হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দুই হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৭৭ হাজার ৭৯৯ টাকা নির্ধারণ করে। দেশের বাজারে সোনার এত দাম আগে কখনো হয়নি। বর্তমানে এই দামেই সোনা বিক্রি হচ্ছে।

অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর পাঁচ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম তিন হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে রোববার (৩১ মার্চ) থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এক লাখ ২৩ হাজার ২৭৭ টাকা গুনতে হচ্ছে।

দেশের বাজারে সর্বশেষ যখন সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়, সে সময় বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল দুই হাজার ১৫৫ ডলারের কাছাকাছি। অর্থাৎ দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর পর এরই মধ্যে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৮০ ডলারের মতো বেড়ে গেছে।

বিশ্ববাজারের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল দুই হাজার ১৮০ দশমিক ৯২ ডলার। সেখান থেকে বেড়ে এখন প্রতি আউন্স সোনার দাম দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৩২ দশমিক ৩৮ ডলার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ৫১ দশমিক ৪৬ ডলার বা দুই দশমিক ২৬ শতাংশ।

আর মার্চ মাসেরে শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল দুই হাজার ৪৩ দশমিক ৬৩ ডলার। অর্থাৎ মাসের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ১৮৯ দশমিক ২০ ডলার বা নয় দশমিক ২৬ শতাংশ।

এদিকে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, চলতি বছর প্রতি আউন্স সোনার দাম দুই হাজার ৩০০ ডলার হয়ে যেতে পারে। এ বিষয়ে বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংর চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের যে রেকর্ডটা আমরা দেখেছি প্রতি আউন্স সোনার দাম দুই হাজার ৩০০ ডলার এই বছর হয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, বিশ্বাবাজারে সোনার দাম বাড়ছে, আমাদেরকেও তার সঙ্গে তালমিলিয়ে চলতে হবে। আমরা বেশি দামে কিনলে, বেশি দামে বিক্রি করবো। এর বিকল্প নেই। দাম বেশি হওয়ার কারণে এখন আমাদের সেল কম হচ্ছে। দামটা মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। দামটা কমলে হয় তো তখন মানুষ আবার কেনাকাটা শুরু করবে।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪