আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

শরিয়তপুরে কৃষকের ধান কেটে দিল ছাত্রলীগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আহ্বানে সাড়া দিয়ে শরিয়তপুরে কৃষকের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তারা শরিয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার শিধলকুড়া ইউনিয়নের আদাশন গ্রামে কৃষকের ধান কেটে দেন। এতে নেতৃত্ব দেন ঢাবির মুহসিন হল ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক শোয়াইব আহমেদ সজীব।

কৃষক বলেন, আমার পাকা ধান কাটতে শ্রমিকের মজুরি লাগতো। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার ধান কেটে দিয়েছে বিনামূল্যে। এতে আমার অনেক উপকার হয়েছে। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

এর আগে, গত ২৪ এপ্রিল বোরো মৌসুমে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ, তরুণ প্রজন্ম এবং ছাত্র ও যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

ওই আহ্বানে সাড়া দিয়ে গাজীপুর জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ, বগুড়া, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী, শেরপুর, শরীয়তপুর, নরসিংদী, সিলেট, রাজশাহী, রাজশাহী, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগসহ খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিট ধান কাটায় অংশ নিয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় ও আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সারাদেশে কৃষকের ধান কাটা সহায়তা কার্যক্রম ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে। আমাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তির পর সারাদেশে কৃষকের ২০০ একর জমির ধান কাটতে নেতাকর্মীরা সহযোগিতা করেছে। যতদিন পর্যন্ত ধান কাটার মৌসুম চলবে, ততদিনে পর্যন্ত আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা দুর্যোগে দুর্বিপাকে শুধু নয় কৃষকের উন্নয়নে কৃষি বিপ্লব বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে স্মার্ট এগ্রিকালচারের সন্নিবেশের জন্য কাজ করতে বদ্ধপরিকর। কৃষকের বিশ্বস্ততম বন্ধু শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী বোরো মৌসুমে ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছি। আমরা তরুণদের কৃষি-প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও কৃষি অর্থনীতিতে উদ্বুদ্ধ করতে চাই। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে তরুণেরাই সমৃদ্ধ-কৃষকবান্ধব স্মার্ট-জলবায়ু সহিষ্ণু বাংলাদেশ গড়বে।


আরও খবর



৭১-এ ফখরুল কোথায় যুদ্ধ করেছেন জানতে চাইলেন কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৯৭১ সালে কোথায় ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধ করেছেন, তা জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গণহত্যা দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে এ কথা জানান তিনি।

মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্যে করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭১ সালে আপনি কোথায় ছিলেন? কোথায় ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধ করেছেন? জানতে চাই। ২৫ মার্চ নিয়ে গণহত্যার একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। তাদের মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ভুয়া। এরা দালাল। তাদের জন্য গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জোটেনি।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের কাছ থেকে ন্যায্য পাওনা আমরা পাইনি। কথা দিয়ে তাদের নাগরিক ফেরত নেয়নি। পাকিস্তানের হয়ে যারা দালালি করে তারা মুক্তিযুদ্ধের শত্রু, দেশের শত্রু।

বিএনপি ক্ষমতার দিবাস্বপ্ন দেখছে উল্লেখ কের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদেশে আওয়ামী লীগের বন্ধু আছে প্রভু নাই। বিএনপির প্রভুরা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। তবে আওয়ামী লীগের বন্ধুরা নির্বাচনের পক্ষ নিয়েছে।

এ সময় বিএনপির ভারতীয় পণ্য বয়কট নিয়ে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের রান্নাঘরে গিয়ে খুঁজতে হবে কী কী ভারতীয় পণ্য রয়েছে। সবার ঘরেই ভারতীয় পণ্য মিলবে।

কাদের আরও বলেন, রাজনীতি করার জন্য রিজভী একটা শাল পুড়িয়েছে। আরও কয়টা শাল বাসায় আছে, জানতে হবে। ভারতীয় পণ্য ছাড়া খাবার জোটে না। রিজভীর মতো ফখরুলও মাথা গরম করলে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেবো।

বিএনপির আন্দোলন ভুয়া দাবি করে কাদের বলেন, তাদের সমাবেশও ভুয়া। ফিলিস্তিনের গণহত্যার কথা তারা বলে না।


আরও খবর



রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

ইতিকাফের শাব্দিক অর্থ হলো অবস্থান করা, কোনো বস্তুর ওপর স্থায়ীভাবে থাকা। ইতিকাফের মধ্যে নিজের সত্তাকে আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের মধ্যে আটকিয়ে রাখা হয় এবং নিজেকে মসজিদ থেকে বের হওয়া ও পাপাচারে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত রাখা হয়। শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফের নিয়তে কোনো পুরুষ লোক এমন কোনো মসজিদে অবস্থান করবে যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতের সাথে আদায় করা হয় এবং মহিলারা নিজ ঘরে সালাতের স্থানে কোনো নির্জন কামরায় অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলা হয়।

ইতিকাফের উদ্দেশ্য হলো- দুনিয়ার সবরকম ঝামেলা থেকে নিজেকে মুক্ত করে মহান আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ্য লাভের নিমিত্তে একমাত্র তারই ইবাদতে মশগুল থাকা। যে মসজিদে নিয়মিতভাবে আজান, ইকামতসহকারে পাঁচ ওয়াক্ত জামাতের সাথে সালাত আদায় করা হয় সেই মসজিদেই ইতিকাফ করা অধিকতর সহিহ হবে। ইতিকাফের সর্বোত্তম স্থান হলো মসজিদুল হারাম, অতঃপর ওই সব জুমার মসজিদ যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতের সাথে আদায় করা হয়। এরপর সেই মসজিদ যেখানে মুসল্লির সংখ্যা অধিক হয়ে থাকে। (শামি, দ্বিতীয় খণ্ড ও আলমগিরি, প্রথম খণ্ড)

ইমাম আবু হানিফা রহ: বলেন, ইতিকাফ সহিহ হবে এমন মসজিদে যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতের সাথে আদায় করা হয়। (হিদায়া, প্রথম খণ্ড)

মহিলারা ঘরে সালাতের জন্য নির্ধারিত স্থানে ইতিকাফ করবেন। নামাজের স্থান নির্ধারিত না থাকলেও ইতিকাফে বসার সময় তা নির্ধারণ করে নিলেও সহিহ হবে। মহিলাদের জন্য মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরুহ। (ফাতয়ায়ে শামি, দ্বিতীয় খণ্ড)

মানতের ইতিকাফ করার জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক। সুতরাং মানতের ইতিকাফ কমপক্ষে এক দিন হতে হবে। কেননা, এক দিনের কম সময়ে রোজা শুদ্ধ হয় না। এ ছাড়া রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া। নফল ইতিকাফের জন্য নির্ধারিত কোনো সময় নেই এবং তা পালনের জন্য রোজা রাখাও শর্ত নয়। এ ইতিকাফ অল্প কিছুক্ষণের জন্যও হতে পারে এমনকি মসজিদে না বসেও আদায় করা সহিহ হবে। (তাহতাবি)

ইতিকাফের উপকারিতা : ইতিকাফের ফজিলত ও উপকারিতা অপরিসীম। দুনিয়ার সব রকম ঝামেলা থেকে সম্পূর্ণভাবে নিজেকে মুক্ত করে একান্ত নিরিবিলি নিভৃতে মহান আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করার জন্যই ইতিকাফ করা হয়। ইতিকাফকারী পুরুষ হোক বা মহিলা তারা বহু ধরনের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারেন। ইতিকাফকারী ব্যক্তির পুরো সময়টাই ইবাদতের মধ্যে গণ্য হয়ে থাকে। আতা আল খুরাসানি রহ: বলেছেন যে, ইতিকাফকারী সেই ব্যক্তির মতো, যে নিজেকে মহান আল্লাহ তায়ালার সামনে সোপর্দ করে দিয়েছে এবং বলেছে যে, আমি এ স্থান ত্যাগ করব না, যতক্ষণ না আমাকে ক্ষমা করা হয়। এ জন্যই ইতিকাফের গুরুত্ব অপরিসীম যে, ইতিকাফের মাধ্যমে বান্দা তার নিজেকে মহান মনিবের ঘরে ইবাদতে মশগুল থেকে তার অসহায়ত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে থাকে। (বাদউস সনায়ি, দ্বিতীয় খণ্ড)

হজরত সাঈদ ইবনে জুবাইর হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণনা করেন- রাসূলুল্লাহ সা: ইতিকাফকারী ব্যক্তি সম্পর্কে বলেছেন, সে ইতিকাফ এবং মসজিদে বদ্ধ থাকার করণে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে এবং তার নেকির হিসাব সবধরনের নেককাজ সম্পাদনকারী ব্যক্তির মতো জারি থাকে। (ইবনে মাজাহ)

রমজানে ইতিকাফের গুরুত্ব : আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: রমজান মাসের শেষ দশকে সারা রাত জেগে থাকতেন, নিজের পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে রাখতেন, ইবাদতে কঠোর পরিশ্রম করতেন এবং উম্মুল মুমিনিনদের থেকে দূরে থাকতেন। (সহিহ মুসলিম)

হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: রমজান মাসের তৃতীয় দশকে অধিক পরিশ্রম করতেন, যে রকম কঠোর পরিশ্রম অন্য কোনো মাসে করতেন না। (সহিহ মুসলিম)

হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: প্রত্যেক রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন; কিন্তু যে বছর তিনি ইন্তেকাল করলেন, সে বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফ করেছেন। (সহিহ বুখারি)

আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: সর্বদা রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন; কিন্তু এক বছর তিনি সফর করার কারণে পরের বছর ২০ দিন ইতিকাফ করেছেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ)

হজরত ইবনে উমর রা: রাসূলুল্লাহ সা: থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সা: যখন ইতিকাফ করতেন তখন তাঁর জন্য বিছানা বিছানো হতো (আবু লুবাবা ইবনে মুনজির) রা:-এর তাঁবুর খুঁটির পাশে। (সুনানে ইবনে মাজাহ)

হজরত আবু সাঈদ খুদরি রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: তুর্কি তাঁবুতে রমজানুল মুবারকের প্রথম ১০ দিন ইতকাফ করলেন। এর পর দ্বিতীয় ১০ দিনও এরপর তাঁবু থেকে মাথা বের করে বললেন, আমি এই (কদরের) রাতে অনুসন্ধানে প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করেছি। এর পর দ্বিতীয় ১০ দিনও। তারপর স্বপ্নে একজন ফেরেশতা এসে আমাকে বললেন, এ রাতটি রমজানের শেষ দশকে। কাজেই যে ব্যক্তি আমার সাথে ইতিকাফ করেছে সে যেন শেষ ১০ দিনও ইতিকাফ করে। আমাকে এ রাতটি দেখানো হয়েছিল এবং তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। (আমি স্বপ্নে) দেখেছি, এ রাতের সকালে ফজরের সালাতে আমি পানি ও কাদামাটিতে সিজদা করেছি। তোমরা এ রাতের অনুসন্ধান করবে শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে। বর্ণনাকারী বলেন, ছাদ থেকে ওই বৃষ্টি হয়েছিল, তখন মসজিদের ছাদ খেজুরগাছের ডালা দিয়ে নির্মিত ছাপড়ার মতো ছিল। এতে মসজিদের ছাদ থেকে পানি টপকিয়ে পড়েছিল। বর্ণনাকারী সাহাবি বলেন, রমজানুল মুবারকের ২১ তারিখ সকালে রাসূলুল্লাহ সা:-এর কপাল মুবারকে আমি নিজ চোখে কাদামাটির চিহ্ন দেখেছি। (মিশকাত )

নিউজ ট্যাগ: ইতিকাফ

আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




মস্কোয় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত বেড়ে ৯৩, আটক ১১

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর একটি কনসার্ট হলে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে। শনিবার (২৩ মার্চ) রুশ তদন্ত কমিটি এই জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।

সাংবাদিক ইউলিয়া শাপোভালোভা আলজাজিরাকে বলেছেন, এই ঘটনায় আট শিশুসহ অন্তত ১৮৭ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে মস্কোর কাছে ক্রোকাস সিটি হলে সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায় বলে জানা গেছে। আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে ক্রোকাস সিটি হলে জনপ্রিয় রক ব্যান্ড পিকনিকের পারফরমেন্স দেখতে হাজারো মানুষ জড়ো হন। একপর্যায়ে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রধারী অন্তত পাঁচ ছদ্মবেশী বন্দুকধারী ভিড়ের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন। গুলির পাশাপাশি তারা বিস্ফোরণ ঘটায়। ফলে সেখানে বড় ধরনের আগুনের সূত্রপাত হয়।

এ ঘটনাকে ভয়াবহ ট্র্যাজেডি’ বলে অভিহিত করে মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বলেছেন, ক্রোকাস সিটি সেন্টারে ভয়ানক ট্র্যাজেডি ঘটেছে। নিহতদের স্বজনদের প্রতি আমার সমবেদনা। এ ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের সকলকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।

এদিকে হামলার পরপর রাশিয়ায় বিমানবন্দর ও স্টেশনের পাশাপাশি রাজধানী মস্কোজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখনো জনসমক্ষে এই হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এটি সন্ত্রাসী হামলা।

রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে জানিয়েছে, এই হামলার পর ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন সরাসরি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের বরাতে বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স এসব তথ্য জানিয়েছে।


আরও খবর



ঢাবির কোয়ার্টার থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢামেক প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শাহবাগ থানার ফুলার রোডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক কোয়ার্টারে আদ্রিতা বিনতে মোশারফ (২১) নামে এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি ঢাবির মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

রোববার (৩১ মার্চ) ভোরে দক্ষিণ ফুলার রোডের ১৯ নম্বর ভবনের তৃতীয় তলায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক সকাল সাড়ে ৭টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাজিরুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ভোরে ফুলার রোডের আবাসিক কোয়ার্টারের ওই বাসায় গিয়ে দেখি বিছানায় শায়িত অবস্থায় রয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। তখন তার পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষের চিকিৎসক জানান তিনি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও জানান, কি কারণে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়ে পরিবার তেমন কিছুই জানাতে পারেনি। ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।

তার বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম থানার মজলিশপুর গ্রামে। আদ্রিতার বাবা অধ্যাপক ড. মোশারফ হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক। বাবা মায়ের সঙ্গেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে থাকতেন তিনি।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




২ দিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদযাত্রায় যানজট, যাত্রী হয়রানি ও সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমাতে ৮ ও ৯ এপ্রিল ২ দিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণের কথা তুলে ধরে বলা হয়, এবারের ঈদে ঢাকা থেকে এক কোটি, গাজীপুর থেকে ৪০ লাখ, নারায়ণগঞ্জ থেকে ১২ লাখসহ ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে এক কোটি ৬০ লাখ মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবে। এসব যাত্রীর ঈদের আগের চারদিনে বাস-মিনিবাসে ৩০ লাখ, ট্রেনে ৪ লাখ, প্রাইভেটকার, জিপ ও মাইক্রোবাসে ৩৫ লাখ, মোটরসাইকেলে ১২ লাখ, লঞ্চে ৬০ লাখ, উড়োজাহাজে প্রায় এক লাখ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে।

গণপরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যর কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে এবং খোলা ট্রাক ও পণ্যবাহী পরিবহনে ১৮ লাখ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে। এছাড়াও আন্তঃজেলায় যাতায়াত করবে প্রায় ৪ থেকে ৫ কোটি যাত্রী। এতে আগামী ৫ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদবাজার, গ্রামের বাড়ি যাতায়াতসহ নানা কারণে দেশের বিভিন্ন শ্রেণির পরিবহনে বাড়তি প্রায় ৬০ কোটি ট্রিপ হতে পারে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, গণপরিবহনের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে এবারের ঈদযাত্রায় নারকীয় পরিস্থিতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা এবার রোজা ৩০টি সম্পন্ন হলে ১১ এপ্রিল ঈদ হতে পারে। ঈদের আগে ১০ এপ্রিল মাত্র একদিন সরকারি ছুটি রয়েছে। ঈদের পরে ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পযর্ন্ত ৫ দিনের লম্বা ছুটি রয়েছে। ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ হওয়ায় এবারের ঈদযাত্রায় মুসলমানদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও পহেলা বৈশাখ উদযাপনে লম্বা ছুটির সুবাধে গ্রামের বাড়ি যাবে। তাই যাত্রী সংখ্যা বাড়বে।

আগামী ৯ ও ১০ এপ্রিল প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ লাখ হারে মানুষ রাজধানী ছাড়বে। অথচ আমাদের গণপরিবহনগুলোতে ২২ থেকে ২৫ লাখের মতো মানুষ পাড়ি দেয়ার সক্ষমতা আছে। এমন পরিস্থিতিতে ঈদের আগে ছুটি না বাড়ালে দেশের সব পথে যাতায়াত পরিস্থিতি কোমায় চলে যেতে পারে। তাই ৮ এবং ৯ এপ্রিল দুই দিন ঈদের ছুটি বাড়ানো হলে ৫ এপ্রিল থেকে সবাই স্বচ্ছন্দে, ধাপে ধাপে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পাবে। গণপরিবহন সংকট ও যাত্রী ভোগান্তি থেকেও মুক্তি মিলবে। এই কারণে ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি করছি।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এবারের ঈদে দেশে ৭১৪টি স্পটে যানজট হতে পারে এমন খবর গণমাধ্যমে এসেছে। যার মধ্যে ১৪০টি স্পটে প্রখর নজরদারি দরকার। ১০টি জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের ২১৮টি অতিঝুঁকিপূর্ণ দুর্ঘটনার স্পটের বিষয়ে পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সরকারকে সতর্ক করেছে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এসব স্পটেই ৬০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এবারের ঈদযাত্রায় রাজধানীবাসী যানজটের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বে।

তাই এই মুহূর্ত থেকে রাজধানীর প্রতিটি সড়কের ফুটপাত হকার ও অবৈধ পার্কিং মুক্ত করার দাবি জানাই। রাজধানী থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতের প্রবেশদ্বারগুলোতে যাত্রীদের অসহনীয় যানজটে পড়তে হবে। এসব যানজট নিয়ন্ত্রণে রাস্তার মোড় পরিষ্কার রাখা ও ছোট যানবাহন বিশেষ করে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক প্রধান সড়কে চলাচল বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। তা না হলে আগামী ২৫ রমজান থেকে ঈদের দিন সকাল অবধি রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চল অচল হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, কিছু অসাধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও পরিবহন নেতাদের চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন টোল পয়েন্টের কারণে জাতীয় মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট হয় বলে যানজটমুক্ত করার দাবি জানান। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ ও পরিবহন সংকট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চালাতে কিছু কিছু অসাধু পরিবহন মালিক-চালক মরিয়া হয়ে উঠেছে। কোনো পথে ঈদের ভাড়া দ্বিগুণ-তিনগুণ হয়ে যাওয়ার কারণে নিম্ন আয়ের লোকজন কম ভাড়ায় বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে অথবা পণ্যবাহী পরিবহনের ছাদে যাতায়াতে বাধ্য হয়। এতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অসংখ্যা প্রাণহানী ঘটে থাকে।

এসময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধে অতীতের বিভিন্ন সময়ের মতো কেবল কাগুজে বাঘের মতো হুঁশিয়ারি নয় প্রকৃতপক্ষে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহিদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব এম মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেলসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর