প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত সাধারণ মানুষের
দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মে) তার
কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জরিপে দেখা গেছে, এসব কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত সফলতা অর্জিত হয়েছে এবং এখন গ্রামের মানুষ বিশেষ করে গর্ভবতী নারীসহ অন্যান্য নারীরা সেখান থেকে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: তাইওয়ানকে আরও সামরিক সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা
নিশ্চিতকরার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কমিউনিটি ক্লিনিকের ভূমিকা বিস্তৃত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী
আরও বলেন, ‘এগুলো শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে
এবং নারীরাও তাদের মাতৃত্বকালীন সময়ে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন।’
প্রধানমন্ত্রী
বলেন, ‘জনগণ এখন সেখান থেকে বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ পাচ্ছে এবং এসব সুবিধা
গ্রামীণ নারীসহ প্রান্তিক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য চিকিৎসার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এ
ছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিককে কেন্দ্র করে গ্রামাঞ্চলেও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কর্মসূচি গ্রহণ করে।’
আরও পড়ুন: অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলবে: ভোক্তা অধিকার
শেখ হাসিনা
প্রশ্ন করেন, ‘আমার এটা খুব খারাপ লেগেছে যে, আমরা যেসব ক্লিনিক স্থাপন করেছি, সেখানে
তো শুধু আওয়ামী লীগের লোকেরা চিকিৎসা নেয় না, সাধারণ মানুষও সেখানে সেবা পায়। এসব
এলাকায় অন্যান্য দলের সমর্থকরাও রয়েছেন। তাহলে বিএনপি আমলে সেগুলো বন্ধ করা হলো কেন?’ তিনি বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের পরও কমিউনিটি
ক্লিনিকের কার্যক্রম যাতে কেউ বন্ধ করতে না পারে সেজন্য সরকার একটি ট্রাস্টও গঠন করেছে।’
২০০৯ সাল থেকে
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় থাকার সুযোগ দেওয়ার জন্য দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ
হাসিনা বলেন, ‘জনগণ যদি বারবার আমাদের ভোট না দিত এবং আমাকে সেবার সুযোগ না দিত, তাহলে
আমি এখানে আসতাম না।’