আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

সরকার গঠনের পথে নওয়াজ-বিলাওয়াল

প্রকাশিত:সোমবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে নওয়াজের দল। এমন পরিস্থিতিতে জোট সরকার গঠনে মরিয়া পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ।

জোট সরকার গঠনের লক্ষ্যে রোববার লাহোরে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি)-এর সঙ্গে বৈঠক করেছে নওয়াজ শরিফ।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পর পিএমএল-এনের প্রধান নওয়াজ শরিফ পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট অ্যালায়েন্সের মতো একটি সরকার গঠনের ইঙ্গিত দেন। সেই লক্ষ্যে তিনি তার ভাই শাহবাজ শরিফকে কাজ করতে বলেন। এ নির্দেশনা পাওয়ার পর অন্যান্য দলের সঙ্গে জোট করতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ।

শুক্রবার রাতে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা আসিফ আলি জারদারি এবং তার ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সঙ্গে পাঞ্জাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নাকভির বাসভবনে বৈঠক করেন। একটি সূত্র সাংবাদমাধ্যম ডনকে এ তথ্য জানিয়েছে।

পাকিস্তান পিপলস পার্টির একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই বৈঠকে নির্বাচনপরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা সংক্ষিপ্ত হলেও ফলপ্রসূ ছিল।

গতকাল রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) লাহরে বিলাওয়ালের বাসভবনে পিএমএল-এন এবং পিপিপির মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শাহবাজ শরিফ, বিলাওয়াল ভুট্টো, আসিফ আলি জারদারি, মরিয়ম আওরঙ্গজেভ, আজম নাসের তারারসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

ওই বৈঠকের পর দুই দলই জানায়, বৈঠকে তারা সরকার গঠনে নীতিগত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। তবে পিপিপি জানিয়েছে, বৈঠকে পিএমএল-এন যে প্রস্তাব দিয়েছে সেটি আজ সোমবার দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির কাছে উত্থাপন করবে।

এদিকে গতকাল পিএমএল-এন সঙ্গে বৈঠক করেছে এমকিউএম-পির নেতারা। লাহোরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে এমকিউএম-পির নেতা সিদ্দিকী, ড. ফরুক সত্তার, কারমান তেসোরি ও মুস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আইসিটি বিভাগের ছয় কর্মকর্তাকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখার নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন দফতর, সংস্থা, কোম্পানির ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় এবং অভিযোগ তদন্তাধীন থাকায় তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব মো. জিল্লুর রহমান সই করা এক পত্রে এ তথ্য জানা যায়। মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যে সব কর্মকর্তাকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ডাটা সেন্টার ইনচার্জ ও ম্যানেজার (টেস্টিং) মোহাম্মদ সাইফুল আলম খান, অ্যাডমিনিস্ট্রেটর (ফায়ারওয়াল ও আইপিএস) রাজন দাস, বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (জেনারেশন সিস্টেম) এ কে এম লতিফুল কবির, ব্যবস্থাপক (লজিসটিকস) মো. ইকরামুল হক, ব্যবস্থাপক (ব্র্যান্ডিং ও মার্কেটিং) রনজিত কুমার ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা রুস্তম আলী।

স্বাক্ষরিত পত্রে প্রতিষ্ঠান দুটির উল্লেখিত ছয় কর্মকর্তাকে দাফতরিক দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখার প্ররেয়াজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



গর্ভবতী নারীসহ ৭৭৯ জনকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বন্যাকবলিত এলাকা ও সেখানকার উদ্ধারকাজ পরিদর্শন করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দিনব্যাপী তিনি বন্যাকবলিত ফেনী ও এর আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখেন। তিনি সেখানে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকাজ পর্যবেক্ষণ করেন এবং বিভিন্ন পয়েন্টে বন্যা কবলিতদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। এসময় অধিদপ্তরের পরিচালকসহ (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

২১ আগস্ট থেকে ২৩ আগস্ট বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুর্গত এলাকার বিভিন্ন স্থানে আটকাপড়া ৭৭৯ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তর করেছে ফায়ার সার্ভিস। তাদের মধ্যে ৫ জন গর্ভবতী নারী ও ১৯ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা রয়েছেন।

মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন ও সবশেষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকালীন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্ধার কাজের নির্দেশনা দেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেইনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি টিম বন্যাদুর্গত এলাকায় উদ্ধারকাজ ও ত্রাণসামগ্রী প্রদানের কাজ করছে।

ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ফেনী জেলা থেকে ২৮৭ জন, কুমিল্লা জেলা থেকে ১৬৪ জন, চট্টগ্রাম জেলা থেকে ১১৫ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে ১১২ জন, নোয়াখালী জেলা থেকে ১৩ জন, খাগড়াছড়ি জেলা থেকে ২৩ জন, চাঁদপুর জেলা থেকে ৬ জন, মৌলভীবাজার জেলা থেকে ৫০ জন এবং লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে ৯ জনকে উদ্ধার করেন।

নিউজ ট্যাগ: ফায়ার সার্ভিস

আরও খবর



সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত আটক হয়েছেন। মঙ্গলবার তাকে গুলশান থেকে আটক করা হয় বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। অনেকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই নৌকার প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন তিনি। পরে তিনি শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

আরাফাত দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের একজন থিংক ট্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন। তিনি জুলাই ২০২৩ সালে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে হিরো আলমকে হারিয়ে ২৮ হাজার ৮১৬ ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত একজন শিক্ষাবিদ। তিনি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্ট্র্যাটেজিক ম্যানেজমেন্ট ও নীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান।

তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও চ্যালেঞ্জ, ট্রানজিট এবং কানেক্টিভিটি, বিদ্যুৎ খাতের জন্য উপযুক্ত নীতি, যুদ্ধাপরাধের বিচার, বাংলাদেশে রাজনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্র ইত্যাদির মতো বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে অনেক নিবন্ধ লিখেছেন।

গত কয়েক বছর ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছিলেন মোহাম্মদ আলী আরাফাত। শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভায় তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিষয়ে ব্রিফও করেছিলেন তিনি। সবশেষ হাসিনা সরকারের পতনের আগের দিন ৪ আগষ্ট সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন মোহাম্মদ এ আরাফাত। 


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ছাত্রদের ত্রাণসামগ্রী ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতা, উদ্ধার করল সেনাবাহিনী-পুলিশ

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি

Image

নোয়াখালীর কবিরহাটের সুন্দলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. একরামের বিরুদ্ধে ছাত্রদের ত্রাণসামগ্রীর ৬০০ প্যাকেট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই সময় বিএনপি নেতা একরামের অনুসারীরা এক ছাত্রকে কুপিয়ে ও আরেকজনকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। 

মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সেনাবাহিনী ও কবিরহাট থানার পুলিশ ছিনিয়ে নেওয়া ত্রাণগুলো উদ্ধার করে।

এর আগে একই দিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের কালামুন্সি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। 

আটক মো. সৌরভ (১৮) একই উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দই বাড়ির জাহের হোসেনের ছেলে। 

হামলার শিকার শিক্ষার্থী তাসরিফউর রহমান ওরফে নিহাদ অভিযাগ করে বলেন, উপজেলার কালামুন্সি বাজার এলাকার ছাত্ররা ঢাকা থেকে ৬০০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করে নিজেদের এলাকার বন্যাদুর্গতদের মধ্যে বিতরণ করার জন্য যান। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ত্রাণসামগ্রীর প্যাকেটগুলো কালামুন্সি বাজারে আসে। তখন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি একরাম নানা অজুহাতে ছাত্রদের ত্রাণগুলো ছিনিয়ে নিয়ে সুন্দলপুর ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রাখেন। তখন ছাত্রদল নেতা সোহেলের নেতৃত্বে সৌরভ, রিপাত, নোমান ও বাপ্পী ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়।

হামলাকারীরা মো. মাইন উদ্দিন আকাশ (১৬) নামে এক ছাত্রকে কুপিয়ে ও নিহাদ (১৬) নামে আরেক ছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে ছাত্ররা বিষয়টি পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে এসে ছাত্রদের ত্রাণসামগ্রী উদ্ধার করে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুন্দলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. একরাম অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন ত্রাণগুলো উদ্ধার করেছে। এরপর যাদের ত্রাণ তাদের ফেরত দেওয়া হয়েছে। তারা তাদের লোক দিয়ে ত্রাণসামগ্রীগুলো বিতরণ করেছে।

স্থানীয়রা জানান, সেখানে ১৪০-১৫০ ত্রাণের প্যাকেট ছিল।

কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা হয়েছে। দলীয় বৈঠকে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। 

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, খবর পেয়ে ছাত্রদের ত্রাণসামগ্রীগুলো উদ্ধার করে ফেরত দেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। ছাত্ররা লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএনপি নেতারা অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করার কথাও জানান তিনি।  

নিউজ ট্যাগ: নোয়াখালী

আরও খবর



টিএসসিতে আজও চলছে গণত্রাণ সংগ্রহ

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যার্ত মানুষকে সহায়তা করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) তৃতীয় দিনের মতো আজ শনিবারও চলছে গণত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ গণত্রাণ সংগ্রহ কর্মসূচিতে আজও মানুষের ঢল নেমেছে। শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগে অংশীদার হতে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী নগদ অর্থ কিংবা ত্রাণসহায়তা পৌঁছে দিতে আসেন বিপুলসংখ্যক মানুষ।

টিএসসি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ত্রাণ সংগ্রহ বুথে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন। যার কাছে যা কিছু আছে তাই বন্যার্তদের জন্যে দিচ্ছেন তারা। রিকশা ও পিকআপে করে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে আসছেন। মুড়ি, বিস্কুট, বিশুদ্ধ পানি, নানা জাতীয় শুকনো খাবার, কাপড়-চোপড়, তেল, চাল, লবন, স্যানিটারি ন্যাপকিন, ওষুধ, স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় হতে পারে এমন সব কিছুই ত্রাণ তহবিলে দিচ্ছে মানুষ। পাশাপাশি নগদ টাকাও দিচ্ছেন অনেকে।

গণত্রাণ সংগ্রহ কর্মসূচি ঘিরে বিভিন্ন স্তরে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন শিক্ষার্থীরাই। কেউবা দান করা টাকার হিসাব রাখছেন, আবার কেউ খাবার, কাপড়সহ অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী আলাদা আলাদা করে গুছিয়ে রাখছেন।

এর আগে দেশের বন্যার্ত এলাকার মানুষের সহায়তার জন্য শুক্রবার ১ কোটি ২৬ লাখ ২২ হাজার ১৭২ টাকা সংগ্রহ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার নগদ অর্থের পাশাপাশি সংগ্রহ করা হয়েছে শুকনো খাবার, প্রয়োজনীয় ওষুধ, স্যালাইন ও পোশাক। এছাড়াও সংগ্রহ করা হয়েছে গবাদি পশুর খাবারও।

এ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক বিভাগ, ইনস্টিটিউট, হল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন পৃথকভাবে বন্যার্তদের জন্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।


আরও খবর