আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

সরকারের দেয়া দশটি মুরগী দিয়ে ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে বেবী আক্তারের

প্রকাশিত:শনিবার ০১ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি:

ঢাকার সাভারে অবস্থিত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এর দেয়া দেশীয় জাতের দশটি মুরগি পালন করে, জীবনের মোড় ঘুরে দাঁড়িয়েছে, ধামরাই উপজেলার শরিফবাগ ইউনিয়নের বেবি আক্তারের।

২০১৯ সালে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণায় সৃষ্টি 'মাল্টি কালার টেবিল চিকেন' উন্নত জাতের দেশীয় মুরগি পালন শুরু করে বেবি আক্তার। দেশে মহামারী করোনা দেখা দিলে, এই দশটি মুরগি দিয়েই ভাগ্যের চাকা ঘুরতে থাকে তার।

বেবি আক্তার বলেন ২০১৯ সালে পার্শ্ববর্তী একটি খামার পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর রাজিয়া আপা। এ সময় আমি আপার কাছে আবদার করে বলি, আপনারা অনেককেই অনেক কিছু দিচ্ছেন আমাকেও কিছু দিন।

তার আবদার শুনে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ফার্নিং সিস্টেম রিসার্চ ডিভিশনের বিভাগীয় প্রধান ডঃ রাজিয়া খাতুন তার বাড়ি পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বেবি আক্তারের বাড়ির পরিস্থিতি দেখে, সিলেক্টিভ ব্রিডিং এর মাধ্যমে ইমপ্রুভমেন্ট করা, দেশীয় উন্নত জাতের ১০ টি মুরগি ও কিছু মুরগির খাবার প্রদান করেন তাকে। যত্ন সহকারে আটটি মুরগি ও দুটি মোরগ লালন পালন করতে থাকেন বেবি আক্তার। এই মুরগির ডিম বিক্রি করে সঞ্চয় করেন কিছু টাকা। ২০২০ সালে জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখ ডিম বিক্রি করে জমানো ২৩০০ টাকা দিয়ে, নিজ বাড়ির আঙিনায় শুরু করেন একটি চিপসের দোকান।

দোকান করার চিন্তা ও ইচ্ছে কেন হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে বেবি আক্তার বলেন, বাড়ির পাশেই নতুন একটি বড় মহিলা মাদ্রাসা চালু হয়েছে। মাদ্রাসার ছাত্রীদের কেনাকাটার জন্য অনেক দূরে যেতে হয়, কোন কোন সময় ছোট মেয়েরা কান্না করত চিপস খাওয়ার জন্য, যা দেখে একদিন আমার মাথায় চিপসের দোকান দেয়ার বুদ্ধি আসে। তখন আমার ডিম বিক্রি করে জমানো তেইশ শত টাকা দিয়ে কিছু চিপস এনে বাড়ির বারান্দায় ঝুলিয়ে দেই। এভাবে কিছুদিন যেতে না যেতে ২০২০ সালের করোনা মহামারীতে চলে যায় আমার স্বামীর চাকুরী। চাকুরী হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পরি স্বামী ও ২ সন্তান নিয়ে। বন্ধ হয়ে যায় ইনকামের সব রাস্তা।

তবে বন্ধ হয়নি বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে দেয়া সেই ১০টি মুরগির ডিম পাড়া। মুরগিগুলো বিশেষ উন্নত জাতের হওয়ায় প্রতিদিন নিয়মিত ডিম পেরেই যেত। সেই ডিম বিক্রি করে সাংসারিক খরচের পাশাপাশি অল্প অল্প করে সঞ্চয় করে দোকানের ব্যবসা বৃদ্ধি করতে থাকি। এভাবেই জানাচ্ছিলেন বেবি আক্তার, তার সংগ্রাম করা জীবনের ভাগ্যের চাকা ঘুরতে থাকার গল্পে ।

এখন তার বাড়িতে ছোট্ট একটি চিপস, চকলেটের দোকানের পাশাপাশি রয়েছে মেয়েদের সকল প্রকার কসমেটিকস আইটেমসহ থ্রি পিসের একটি বড় দোকান। বর্তমানে তার এই ব্যবসায় আড়াই লক্ষ টাকার পুজি রয়েছে বলে জানান তিনি।

বেবি আক্তারের এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, আশেপাশের প্রতিবেশিসহ দূর-দূরান্তের নিয়মিত কাস্টমারদের আসা-যাওয়া রয়েছে তার দোকানে।

তার কাছে থ্রি পিস কিনতে আসা প্রতিবেশী আসমা জানান, বাজার মূল্যে আমরা ঘরের পাশ থেকে মেয়েদের যে কোন প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারি, এছাড়াও বেবি আপা টাকার স্বল্পতা থাকলে বাকিতে দিয়ে সহযোগিতাও করেন। বাচ্চাদের টুকিটাকি কেনাকাটার জন্য হাত বাড়ালেই বেবি আপার দোকানে পাওয়া যায় সব। এজন্য নিয়মিত বেবি আপার কাছ থেকেই কেনাকাটা করি।

বেবি আক্তার জানান, বন্ধের দিনগুলোতে একটু কম বেচাকেনা হলেও, অন্যান্য দিনে তিন থেকে চার হাজার এবং প্রতিমাসে সব মিলিয়ে ৮০ হাজার থেকে  ৯০ হাজার টাকার বিক্রি হয় দোকানে। এতে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ থাকে বলে জানান তিনি।

বেবি আক্তার আবেগ ভরা কন্ঠে বলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের দেয়া দশটি মুরগি থেকে আমার শুরু, এখন আমার ৪০ টির বেশি মুরগি আছে, দুইটি দোকান আছে এছাড়াও আমার ইনকাম দিয়ে আমি সংসার চালাতে পারি। আমার বড় ছেলে আল্লাহর রহমতে ১৩ পাড়া কোরআনের হাফেজ, আর ছোট ছেলে একটি কিন্ডারগার্ডেনে পড়ছে। দুই ছেলের পড়াশুনার খরচ আল্লাহর রহমতে আমিই চালাই। স্বামীর সিএনজি চালানো ইনকামের টাকা খরচ না করলেও হয় আমার।

আপনাদের দোয়ায়, আমার স্বামীর টাকা ও আমার ইনকামের টাকা জমিয়ে ১৪ লক্ষ টাকার জায়গা কিনেছি। দোয়া করবেন, ইচ্ছা আছে খুব তাড়াতাড়ি পাকা বাড়ির কাজে হাত দিবো।

বেবি আক্তারের কঠোর পরিশ্রম, ইচ্ছাশক্তি, ও কর্মদক্ষতা থাকায় বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট তাকে বিভিন্ন মেয়াদে পাঁচটি ফ্রী প্রশিক্ষণ করিয়েছে। এ সকল প্রশিক্ষণ করে তিনি এখন মুরগি ছাগলসহ গরুর প্রাথমিক চিকিৎসা নিজেই দিতে পারেন। যে কারণে এলাকার মুরগি ছাগল ও গরু পালনকারী নারীরা বিভিন্ন সময় সহযোগিতা নিতে ছুটে আসে বেবি আক্তারের কাছে। বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় বেবি আক্তার ৪৪ জন নারী সদস্য নিয়ে শরীফবাগ ইউনিয়নে 'শরীফবাগ প্রযুক্তি পল্লী মহিলা সমবায় সমিতি' নামক একটি সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন এবং তিনি বর্তমানে সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের কার্যক্রম নিয়মিত তদারকি করছেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মাঠ সহকারী বোরহানউদ্দিন।

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ফার্নিং সিস্টেম রিসার্চ ডিভিশনের বিভাগীয় প্রধান ডঃ রাজিয়া খাতুন বলেন, ধামরাই উপজেলার শরীফবাগ ইউনিয়নে নিয়মিত পরিদর্শনে গেলে, বেবি আক্তার আমার কাছে কিছু একটা করে দেয়ার জন্য সহযোগিতা চায়। এ সময় আমি তার বাড়িতে গিয়ে দেখতে পাই তার ছোট্ট ছোট্ট দুটি ছেলে আছে এবং তার স্বামী তেমন কিছু করতেন না একজন শ্রমিক ছিলেন, কোনরকম জরাজীর্ণ অবস্থায় একটি ছোট রুমে থাকতেন তারা।

তখন তাকে আমরা ০৮টি মুরগি ও ০২টি মোরগ, সাথে মুরগির প্রোডাকশনে আসার আগ পর্যন্ত ১৬ থেকে ২০ সপ্তাহের জন্য মুরগির খাবার দেই।

আমাদের তিনটি নেটি চিকেন জাম প্লাজম আছে যেগুলোকে আমরা গবেষণা করে, আমাদের আবহাওয়ার সাথে খাপ খাওইয়ে, দেশি মুরগির সাথে সিলেক্টিভ ব্রিডিং এর মাধ্যমে ইমপ্রুভমেন্ট করিয়েছি। যার ফলে এই জাতগুলো সাধারণ দেশি মুরগির তুলনায় বছরে অনেক ডিম দিয়ে থাকে। যেখানে সাধারণ মুরগি বছরে ৩০ থেকে ৪০ টি ডিম দেয়, সেখানে আমাদের ইমপ্রুভমেন্ট করা এই দেশি মুরগিগুলো ১৮০ থেকে ২৫০টি করে ডিম দিয়ে থাকে। এই উন্নত জাতের মুরগিগুলোই বেবি আক্তারকে দেয়া হয়েছিল। আপনারা জানেন সাধারণত দেশীয় মুরগির ডিম ৫৫ থেকে ৬০টাকা হালিতে বিক্রি হয়। সে ক্ষেত্রে খামারির লাভের পরিমাণ বেশি হয়। এভাবে যখন বেবি আক্তারকে দেয়া মুরগিগুলোর প্রোডাকশন শুরু হয়।

বেবি আক্তারের সফলতা দেখে গ্রামের অন্যান্য মেয়েরাও অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেরা স্বাবলম্বী হতে আগ্রহী হয়।  তখন তাদেরকে আমি একটি ৪৩ জনের সমিতি গঠন করে দেই। যেখানে প্রত্যেক সদস্যকে, পশু লালন-পালনে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষা দেয়া হয়েছে। এখন তারা প্রত্যেকেই ভ্যাকসিনেশন থেকে শুরু করে প্রাথমিক সব ধরনের চিকিৎসা নিজেরাই করতে পারেন। এবং গ্রামের অন্যান্য মহিলা খামারীদেরকেও এ কাজে সাহায্য করেন।

ডঃ রাজিয়া আরো বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম মহোদয় কমিউনিটিতে যারা ক্ষুদ্র খামারি আছেন তাদের সহযোগিতায় এলডিডিপি ও এনএডিপি প্রোগ্রাম থেকে সহযোগিতা করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

যার আওতায়, সরকারি সহযোগিতায় বেবি আক্তারদের সমিতিকে একটি ছাগলের খাদ্য (পিলেট-ফিট) তৈরির মেশিন কিনে দেয়া হবে। এতে করে ছাগলের খাদ্য বিক্রি করে সমিতির মেয়েদের একটি রেগুলার ইনকাম এর ব্যবস্থা হবে।

এভাবেই বেবি আক্তারের পরিশ্রম ও আগ্রহে তার নিজের উন্নয়নের পাশাপাশি ওই গ্রামের অন্যান্য মেয়েদেরও উন্নতি হচ্ছে। যে কারণে আমরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি।


আরও খবর



কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন

তিন মাসে বাংলাদেশের দেড় লাখ ভিডিও সরিয়েছে ইউটিউব

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

নিজেদের নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় বাংলাদেশের প্রায় দেড় লাখ ভিডিও মুছে ফেলেছে ইউটিউব। পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবহারকারীদের মতামতও মুছে ফেলেছে ভিডিও স্ট্রিমিং সাইটটি।

গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ে এসব ভিডিও সরিয়ে ফেলে ইউটিউব। এ নিয়ে ২০২৩ সালে এক বছরে বাংলাদেশের ৬ লাখ ৩৮ হাজার ভিডিও অপসারণ করেছেন তারা।

অনলাইন ভেরিফিকেশন ও মিডিয়া গবেষণা প্ল্যাটফর্ম ডিসমিসল্যাবের প্রতিবেদনে জানানো হয়, উগ্রবাদ, নগ্নতা, স্প্যাম ভিডিও প্রচার এবং শিশুবান্ধব না হওয়ার কারণে এসব ভিডিও ও মতামতগুলো মুছে ফেলা হয়েছে।

শুধু বাংলাদেশেই নয়, একই সময়ে বিশ্বের প্রায় ৯০ লাখের বেশি ভিডিও মুছে ফেলা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভিডিও মুছে ফেলা হয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের। ভিডিও সরানোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। এছাড়া এ সময়ে ইউটিউব থেকে ২০ কোটিরও বেশি ইউটিউব চ্যানেলও মুছে ফেলা হয়।

যেসব কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের জন্য ভিডিও সরানো হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল ক্ষতিকর বা বিপজ্জনক কনটেন্ট। যার হার ৩৯ দশমিক ২ শতাংশ। সহিংসতা ছড়ানো বা তাৎক্ষণিক ক্ষতির ঝুঁকি থাকায় কনটেন্টগুলো অপসারণ করা হয়েছে বলে জানানো হয় ডিসমিল্যাবের প্রতিবেদনে।

নিউজ ট্যাগ: ইউটিউব

আরও খবর



পাকিস্তানে জানা গেল ঈদের সম্ভাব্য তারিখ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ (পিএমডি) সোমবার জানিয়েছে, ১০ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের প্রথম দিন এবং ৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় শাওয়ালের নতুন চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খবর জিও নিউজের

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, নতুন চাঁদের জন্ম ৮ এপ্রিল রাত ১১টা ২১ মিনিটে হবে এবং তার বয়স পরের দিন (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ১৯ থেকে ২০ ঘণ্টার মধ্যে হবে। এতে আরও বলা হয়েছে, সূর্যাস্তের পর ৫০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে চাঁদ দেখা যাবে।

পিএমডি জানিয়েছে, ৯ এপ্রিল দেশের বেশিরভাগ অংশের আকাশ পরিষ্কার থাকবে। তবে উত্তরাঞ্চলে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

সাধারণত সৌদি আরবের পরের দিনই বাংলাদেশ ও ভারতে ঈদ উদযাপিত হয়ে থাকে। এই হিসেবে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও এশিয়ার অন্যান্য দেশে ১০ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল-ফিতর উদযাপিত হতে পারে।

এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, পর পর ৩ মাস ২৯ দিনে হয় না। এবার রমজান ৩০ দিন হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এর ফলে ঈদুল ফিতর হতে পারে ১১ এপ্রিল। ১১ এপ্রিলকে ঈদুল ফিতরের দিন ঠিক করে ছুটির তালিকা করেছে সরকার।

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, রমজান মাসের আগের ২ মাস ২৯ দিনে শেষ হয়েছিল। তাই এ মাস ২৯ দিনে হবার সম্ভাবনা খুবই কম, তাই ৯ এপ্রিল ছুটির প্রস্তাব নাকচ করা হয়েছে।

এর আগে ১১ মার্চ পাকিস্তানে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছিল এবং পরের দিন পবিত্র মাসের প্রথম দিন বা প্রথম রোজা পালিত হয়। সুতরাং পাকিস্তানিরা ২৯ দিন রোজা পালন করবে যদি পিএমডির পূর্বাভাস সত্য হয়।

রমজান শেষ হলে এবং শাওয়াল শুরু হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা ঈদুর ফিতর উদযাপন করেন। ধর্মীয় মাস রমজান ধৈর্য এবং আত্ম-নিয়ন্ত্রণ অনুশীলন করতে শেখায়, পাশাপাশি দাতব্য ও কল্যাণমূলক কাজে উৎসাহিত করে।


আরও খবর



চতুর্থ ধাপের উপজেলা ভোটের তফসিল হতে পারে মঙ্গলবার

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চতুর্থ ধাপের তফসিল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) হতে পারে।

এ বিষয়ে ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন কমিশনের ৩২তম সভা শেষে এই ঘোষণা হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিকেল সাড়ে ৩টায় এই কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে।

জানা গেছে, সভার আলোচ্যসূচিতে উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিলের বিষয়টি রাখা হয়েছে। বৈঠকে কমিশন যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে।

এর আগে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে, আর দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলার ভোটগ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলার নির্বাচন আগামী ২৯ মে হবে।

এবারের উপজেলা নির্বাচনে বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিধান রেখে নতুন বিধিমালা করেছে ইসি। সেই অনুযায়ী প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২২ এপ্রিল।


আরও খবর



পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল রেকর্ড পৌনে ৮ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে এবার রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গেছে। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

২২০ জনের একটি দল দীর্ঘ সাড়ে ১৮ ঘণ্টায় এ টাকা গণনা কাজে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।

গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স খুলে পাওয়া রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা মসজিদের দোতলায় এনে গণনার কাজ চলে।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। টাকাগুলো পুলিশি নিরাপত্তায় রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সূত্রে জানা গেছে, ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাঙ্ক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়ে। তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।


আরও খবর



‘শ্রুতিকটু’ শব্দ থাকা ২৪৭ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিভিন্ন রকমের শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক নাম থাকা দেশের ২৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করেছে সরকার। বুধবার (৩ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খুলনার কয়রার খাসিটানা উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে উদয়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা পাটাচোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে ছায়াবিথী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান চোরমর্দ্দন বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম জ্ঞানপ্রদীপ চোরমর্দ্দন বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চোরমর্দ্দন বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম জমিদারবাড়ি চোরমর্দ্দন বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাটোরের লালপুর উপজেলার গোদাগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে সালামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার চোরমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে মাতৃছায়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একই উপজেলার চুলধরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে ফুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ভণ্ডগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে বর্ণমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ এভাবে শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

গত বছরের ১৯ জানুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন নীতিমালা-২০২৩ জারি করেছে মন্ত্রণালয়।

ওই সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেকগুলোর নাম শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক ভাবার্থসংবলিত। যা শিশুর রুচি, মনন, বোধ ও পরিশীলিতভাবে বেড়ে ওঠার অন্তরায়। এজন্য মন্ত্রণালয় এসব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে সুন্দর, রুচিশীল, শ্রুতিমধুর এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী এ রকম নেতিবাচক ভাবার্থসংবলিত নাম পরিবর্তন করা হবে।


আরও খবর