আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সরকারি ঘর দেওয়ার নামে দিনমজুরের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ১০ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জয়পুরহাট প্রতিনিধি:

সরকারি ঘর দেওয়ায় কথা বলে দিনমজুরের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। ঘর এবং টাকা না পেয়ে অসহায় দিনমজুর প্রতিকার চেয়ে সোমবার (৮ আগস্ট) ইউএনও বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিগত ৪ বছর পূর্বে ১৫ দিনের মধ্যে সরকারি ঘর বরাদ্দ দিবে বলে  জেলার পাঁচবিবি উপজেলার আয়মারসুলপুরের ছোট মানিক এলাকার দিনমজুর মাসুদ রানার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন ওই ৪নং ওয়ার্ডের ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও ২নং প্যানেল চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ওরফে জাকের মেম্বার। পরে ওই দিনমজুর সরল বিশ্বাসে মেম্বারকে নগদ ৫০ হাজার টাকা দেন এবং অবশিষ্ট ১০ হাজার টাকা ঘর নির্মাণের সময়ে চান জাকির মেম্বার।

দিনমজুর মাসুদ রানা বলেন, আমি মেসি গাড়িতে শ্রমিক হিসাবে কাজ করে অতিকষ্টে পরিবারের সাতজন সদস্যের খরচ বহন করি। আমার থাকার মতো নিজস্ব কোন জায়গা নেই। একটি সরকারি ঘর পাওয়ার আশায় স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি। এখন ওই টাকা ফেরৎ দেওয়ার কথা বললে মেম্বর এড়িয়ে যায় এবং টাকা ফেরৎ দিবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। আমি নিরুপায় হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।

এ ব্যাপারে আয়মারসুলপুর পরিষদের ইউপি সদস্য ও ২নং প্যানেল চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের সাথে মোবাইলে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আয়মারসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মিলটনের নিকট এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার নিকটও একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জাকির হোসেনকে মৌখিক ভাবে বার বার বলা সত্তেও কোন লাভ হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরমান হোসেন বলেন, মাসুদ রানা নামে একজনের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এব্যাপারে একজন কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অভিযোগের বিষটির সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



এডেন উপসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হুতিদের হামলা, নিহত ৩

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

এডেন উপসাগরে একটি বাণিজ্যিক জাহাজে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত তিনজন নাবিক নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে লোহিত সাগরে চলাচলরত জাহাজগুলোতে হুতিদের হামলা শুরু পর থেকে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা এটি। খবর আল জাজিরার।

বুধবার (০৬ মার্চ) এই হামলার দায় স্বীকার করে এক বিবৃতিতে হুতি গোষ্ঠী বলছে, ইয়েমেনের এডেন বন্দরের উপকূল থেকে প্রায় ৫০ নটিক্যাল মাইল (৯৩ কিলোমিটার) দূরে অবস্থানরত লাইবেরিয়ান মালিকানাধীন ও বার্বাডোসের পতাকাবাহী জাহাজ ট্রু কনফিডেন্স’-এ সফল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় এডেন উপসাগরে কার্গো জাহাজ ট্রু কনফিডেন্সে’ এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় জাহাজটির তিনজন নাবিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত চারজন, যার মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর এবং সেইসাথে জাহাজের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে বলেও জানায়িছে সেন্টকম।

মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রকাশিত ড্রোন ফুটেজে জাহাজে ব্যাপক আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলার পর জাহাজ থেকে ক্রুরা পালিয়ে যান এবং হামলার জেরে সৃষ্ট আগুন নিয়েই জাহাজটি সমুদ্রে ভাসছিল।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের পর থেকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে সমর্থন জানিয়ে দুই মাস ধরে লোহিত সাগরে চলাচলরত বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা। এতে লোহিত সাগরের এ রুটে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ম্যার্স্ক, সিএমএ সিজিএমসহ বড় বড় শিপিং প্রতিষ্ঠানগুলো।

এরপরই হুতিদের আক্রমণ থেকে লোহিত সাগরের এ সমুদ্র পথকে নিরাপদ রাখতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডাসহ ১০টি দেশ নিয়ে সামুদ্রিক জোট গঠন করে যুক্তরাষ্ট্র। গত ১২ জানুয়ারি থেকে হুতিদের অবস্থান লক্ষ্য করে ইয়েমেনে বেশ কয়েক দফায় সরাসরি বিমান হামলা চালায় ব্রিটিশ ও মার্কিন বাহিনী।

তবে ইরান-সমর্থিত হুতি গোষ্ঠী জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ না হলে তাদের এ আক্রমণ অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, এশিয়া থেকে ইউরোপের পথে লোহিত সাগর হলো সবচেয়ে সহজ রাস্তা। লোহিত সাগর থেকে ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে সুয়েজ খাল ধরে যায় এই রাস্তা। এই রাস্তা এড়াতে হলে আফ্রিকায় ঢুকতে হবে। আফ্রিকার সেই ঘুরপথেই আপাতত চলাচল করছে অধিকাংশ পণ্যবাহী জাহাজ।


আরও খবর



পাকিস্তানের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন ইসাক দার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ক্ষমতাসীন জোট সরকারের বৃহত্তম শরিক পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) জ্যেষ্ঠ নেতা ইসাক দার। সোমবার রাজধানী ইসলামাবাদে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে শপথ নিয়েছেন তিনিসহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ১৯ জন সদস্য।

৭৩ বছর বয়সী ইসাক দার এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। পিএমএলএনের সাবেক চেয়ারম্যান নওয়াজ শরীফের নিকট আত্মীয় তিনি। মূলত ইসাকের নেতৃত্বেই দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে যে জরুরি ঋণ পেয়েছিল অর্থনৈতিক সংকটে টালমাটাল পাকিস্তান, যা এখনও কাটেনি।

অর্থসংকট মোকাবিলা করতে গিয়ে ব্যাপক সমালোচনারও জন্ম দিয়েছেন ইসাক দার। নিজের রাজনৈতিক জীবনে মোট চারবার পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রীর পদে থাকা ইসাক দার গত মেয়াদে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, সেগুলো জনগণের ভোগান্তি লাঘবের পরিবর্তে বাড়িয়ে দিয়েছিল।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পার্লামেন্টের বিরোধী সদস্যদের অনাস্থা ভোটে  ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট মোট ১৭ মাস শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন ইসাক। তার আমলেই প্রথমবার পাকিস্তানের ব্যাংক সুদের হার ২২ শতংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৮ শতাংশ করা হয়। এছাড়া এ সময় জ্বালানি তেলের ওপর থেকে ভর্তুকিও প্রত্যাহার করা হয়েছিল। ফলে সাধারণ জনগণের ওপর সে সময় চাপ বেড়েছিল ব্যাপক হারে।

দার অবশ্য তার সাফাইও দিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে। তিনি বলেছেন, আইএমএফের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব পদক্ষেপ নিতে হয়েছিল সরকারকে। যদি না নেওয়া হতো, তাহলে ঋণপ্রবাহও বন্ধ হয়ে যেতো। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নেতৃত্বাধীন সরকারের খামখেয়ালি নীতিকেও দায়ী করেছেন তিনি।

নতুন যে দপ্তরের দায়িত্বে ইসাক দার এসেছেন, পাকিস্তানের বর্তমান বাস্তবতায় সেটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অর্থনৈতিক সংকটে টালমাটাল পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ দুটি ক) অকৃত্রিম বন্ধু চীন এবং মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে মিত্রতা ও অংশীদারিত্ব বজায় রাখা এবং খ) দুই বৈরী প্রতিবেশী ভারত এবং আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করা।


আরও খবর



রোজা শুরুর তারিখ ঘোষণা করল অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশ অস্ট্রেলিয়া পবিত্র মাহে রমজান শুরুর তারিখ ঘোষণা করেছে। দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, কাল সোমবার শাবান মাসের শেষ দিন হবে। আর মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে শুরু হবে পবিত্র রমজান মাস।

ইমামদের ফেডারেল কাউন্সিল, ফতোয়া ও শরীয়াহ বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে অস্ট্রেলিয়ার গ্র্যান্ড মুফতি জানিয়েছেন, সোমবার শাবান মাস শেষ হবে আর মঙ্গলবার শুরু হবে রোজা। ভৌগলিক অবস্থান এবং চাঁদ ওঠার কারণে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে রোজার তারিখ ঘোষণা করে থাকে।

অস্ট্রেলিয়া পূর্ব গোলার্ধে অবস্থিত এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় সময়ের দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে দেশটি। পশ্চিম গোলার্ধে যেসব দেশ রয়েছে সেগুলোর তুলনায় আগে অস্ট্রেলিয়ায় ইসলামিক চন্দ্র মাস শুরু হয়।

এদিকে আজ রোববার ১০ মার্চ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দেশটির রয়্যাল কোর্ট সাধারণ মানুষকে চাঁদ দেখার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া আরব আমিরাতও তাদের জনগণকে একই আহ্বান জানিয়েছে।

তবে ১০ মার্চ রমজানের চাঁদ দেখা যাবে না বলে জানিয়েছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা আন্তর্জাতিক জোতির্বিদ্যা কেন্দ্র। এর বদলে পরের দিন ১১ মার্চ চাঁদ দেখা যাবে এবং ১২ মার্চ থেকে মুসল্লিরা রোজা রাখা শুরু করবেন।

আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র জানিয়েছে, ১০ মার্চ গ্রিনিচ সময় অনুযায়ী, সকাল ৯টায় চাঁদ ও সূর্যের সংযোগ হবে।

কিন্তু এদিন আরব বিশ্বের কোনো অঞ্চল থেকে খালি চোখে অথবা টেলিস্কোপ দিয়ে চাঁদ দেখা সম্ভব নয়। ওইদিন চাঁদটি ইসলামিক বিশ্বের শহরগুলো থেকে সূর্যাস্তের পরপরই অস্ত যাবে।

কেন আজ চাঁদ দেখা যাবে না?

সৌদি আরবের মক্কা শহরে আজ সূর্যাস্তের ১৩ মিনিট পর নতুন অর্ধচন্দ্রটি অস্ত যাবে। তখন চাঁদটির বয়স থাকবে ৬ ঘণ্টা ২২ মিনিট। অপরদিকে মিসরের রাজধানী কায়রোতে সূর্যাস্তের ১৪ মিনিট পর চাঁদ অস্ত যাবে। তখন চাঁদটির বয়স থাকবে ৭ ঘণ্টা ২ মিনিট।

আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্রের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ শওকত ওদেহ বলেছেন, নতুন জন্ম হওয়া চাঁদ দেখতে হলে সূর্যাস্তের পর কমপক্ষে ২৯ মিনিট এটি আকাশে থাকতে হবে, চাঁদটির বয়স হতে হবে ১৫ ঘণ্টা ৩৩ মিনিটের বেশি এবং সূর্য ও চাঁদের মধ্যে দূরত্ব থাকতে হবে ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি। আগামী ১০ মার্চ এর কোনোটিরই সম্ভাবনা নেই।


আরও খবর
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




সুয়েজ খালের চেয়ে বড় খাল খনন করছে আফগানিস্তান

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

হার না মানা এক দেশ আফগানিস্তান। ধ্বংসস্তূপের ছাই থেকে যেন রূপকথার ফিনিক্স পাখির মতো নবজন্ম নিচ্ছে দেশটি। করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতিও যেখানে ধুঁকছে, সেখানে মার্কিন ডলারকেও পেছনে ফেলে আফগান মুদ্রা আফগানি। সেই চমক শেষ হতে না হতেই এবার আরও এক চমক নিয়ে হাজির ইসলামিক আমিরাত। এবার সুয়েজ খালের চেয়েও বড় খাল খনন শুরু করে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে তারা। এরই মধ্যে ২৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে খনন করে ফেলেছে ১০০ কিলোমিটার।

সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বালির ওপর গর্জন করছে একঝাঁক অত্যাধুনিক খননযন্ত্র। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ, তিন হাজারের বেশি যন্ত্রপাতি নিয়ে চলছে কোশ টেপা খালের খননকাজ। এই খাল দিয়েই বয়ে যাবে আমু দরিয়ার পানি।

প্রকল্পটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে উত্তর আফগানিস্তানের শুষ্ক এলাকায় আমু দরিয়া নদীর ২০ শতাংশ পানি প্রবাহিত করা যায়। আফগান সরকারের আশা, প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মধ্য এশিয়ার অন্যতম দীর্ঘতম নদীর পানিতে সবুজ হয়ে উঠবে দেশটির সাড়ে পাঁচ লাখ হেক্টর মরুভূমি।

এই খাল জোজনন প্রদেশের বিভিন্ন গ্রামের জন্য গেমচেঞ্জার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একে নিয়ে নতুনভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কারণ, এতদিন ক্রমবর্ধমান খাদ্য ঘাটতি ও টানা তিন মৌসুমের তীব্র ক্ষরায়ই দেখেছেন তারা।

আফগানিস্তানজুড়ে গড় তাপমাত্রা গেল ৭০ বছরে ১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। খাল খনন শেষ হলে এর মাধ্যমে মরুভূমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হবে। চাষের আওতায় আসবে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ হেক্টর জমি।

এ ছাড়া আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ এক তৃতীয়াংশ বেড়ে যাবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে সংকটের চরম সীমায় থাকা আফগানিস্তান।

২৮৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রকল্পটি বস্তবায়ন করতে আফগানদের গুণতে হবে ৯ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। অবাক করা তথ্য হলো কোনো দেশের কাছে হাত পেতে নয়, নিজেদের অর্থেই বিশাল এই প্রজেক্ট দাঁড় করাচ্ছে কাবুল। এরইমধ্যে ১০ মাসে ১০০ কিলোমিটারের বেশি খাল খনন করে ফেলেছে তারা।

তথ্য বলছেদীর্ঘদিন ধরেই এই খাল খননের স্বপ্ন দেখে আসছিলেন আফগানরা। এতদিন কোনো অগ্রগতি না হলেও দেশটির ইসলামিক সরকারের হাতে এর অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো।


আরও খবর



এক মাসে ১৫৯ কোটি টাকার চোরাচালান জব্দ করেছে বিজিবি

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১৫৯ কোটি ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের চোরাচালান সামগ্রী জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শুক্রবার (৮ মার্চ) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বিজিবির অভিযানে জব্দ করা চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৪ কেজি ৩৩৫ গ্রাম স্বর্ণ, ১০ কেজি রূপা, ২ লাখ ৬২ হাজার ৬৮১টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৪ হাজার ১৮৮টি ইমিটেশন গহনা, ২১ হাজার ৭টি শাড়ি, ১৯ হাজার ২২৬টি থ্রিপিস, ৬ হাজার ৫৩৪ ঘনফুট কাঠ, ২ হাজার ৬১২ কেজি চা পাতা, ৪০ হাজার ৬৩৫ কেজি কয়লা, ২টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৬টি ট্রাক, ২টি কাভার্ড ভ্যান, ১টি বাস, ৪টি পিকআপ, ৩৩টি সিএনজি-ইজিবাইক এবং ৯৪টি মোটরসাইকেল।

এ ছাড়া ৩টি পিস্তল, ১টি রাইফেল, ৫টি এসএমজি, ৪টি রিভলভার, ৯টি বিভিন্ন প্রকার গান, ১৯টি ম্যাগাজিন, ৪ কেজি গান পাউডার, ১৬টি হ্যান্ড গ্রেনেড এবং ১ হাজার ১১ রাউন্ড গুলি জব্দ করেছে বিজিবি। পাশাপাশি ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৩৪৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৫ কেজি ১০৩ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৪০ দশমিক ৭৫১ কেজি হেরোইন, ১৩ হাজার ৩৪৬ বোতল ফেনসিডিল, ১৭ হাজার ৩০১ বোতল বিদেশি মদসহ আরও বেশকিছু নেশা দ্রব্য জব্দ করেছে বিজিবি।

একইসঙ্গে ফেব্রুয়ারি মাসে সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ১২১ জন চোরাকারবারি এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৩২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক, ১০ জন ভারতীয় নাগরিক এবং ৪৩৫ জন মিয়ানমার নাগরিককে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।


আরও খবর