আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সড়কে ব্যর্থ হলে উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে : কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সড়কে কাজের মান ও গতি দুটোই ঠিক রাখতে হবে। এখানে শৃঙ্খলা আনা আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। এখন সংকট শৃঙ্খলা, পরিবহন ও সড়কের। এখানে ব্যর্থ হলে আমাদের উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে।

শুক্রবার (২২ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের আলোচনায় মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে তিনি একথা বলেন।

জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে ‌এবারের প্রতিপাদ্য গতিসীমা মেনে চলি, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করি। সেতুমন্ত্রীর বক্তব্যের আগে হাইওয়ে পুলিশের আইজিপি মল্লিক ফখরুল ইসলাম গত ৯ মাসের জরিমানার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।

এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কতটাকা জরিমানা তুলেছেন, এটার হিসাব দিয়ে কোনো লাভ নেই। এটা কোনো বিষয় নয়। আমার কাছে বিষয় সড়ক নিরাপদ আছে-কী না। গাড়িগুলো নিয়ম অনুযায়ী চলছে কী না, গাড়ির ফিটনেস আছে কী না, চালকের গাড়ি চালানোর যোগ্যতা কী না, ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কী না এগুলো আমার কাছে বিবেচনার বিষয়। আমি এটাই দেখবো। আমার কাছে বিষয় দুর্ঘটনা কমেছে কী না।

দুর্ঘটনা দুর্ভাবনার কারণ হয়ে আছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। পাখির মতো মানুষ মরে, মাছির মতো মানুষ মরে। এ মর্মান্তিক দৃশ্যপট মানুষ হিসেবে সইতে পারি না। অনেক কষ্ট হয়। সুন্দর সুন্দর ব্যানার পোস্টার করলেই আমাদের দায়িত্ব শেষ হয় না। নিরাপদ সড়ক দিবস করতে হবে প্রতিদিন।

সড়কে মৃত্যু কষ্ট দেয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সবার দিন শুরু হয় একভাবে, আর আমার দিনটি শুরু হয় অন্যভাবে। কাগজের পাতায় অপ্রত্যাশিত মর্মান্তিক দুর্ঘটনা খবর পড়ে আমার দিন শুরু হয়। মন্ত্রী হলেও আমি তো মানুষ। আমারও কষ্ট হয়। আমিও দগ্ধ হই অদেখা দহনে। মনে হয় আমিও সেই অসহায় পরিবারের একজন। যে পরিবারের কয়েকজনও একসঙ্গে পথের বলি হয়। কখনও দুই পরিবহনের সংঘর্ষে। কখনও তিন চাকার গাড়ি ইজিবাইকে, নসিমন, করিমনে।

মন্ত্রী বলেন, অবকাঠামোগতভাবে পরিবর্তন দৃশ্যমান। আগামী বছর সড়কে বৈপ্লবিক পরিবর্তন পুরোপুরি দৃশ্যমান হবে। পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে, মেগা প্রকল্পগুলো আগামী বছর উদ্বোধন হবে। সেগুলো হলো- পদ্মা সেতু, এমআরটি লাইন ৬, মেট্রোরেল, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ও চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেল। আগামীতে চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে আরেকটি মেরিনড্রাইভ উদ্বোধন করা হবে বলেও জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ২৪ অক্টোবর পায়রা সেতুর উদ্বোধন হবে। আর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তার মন্ত্রণালয়ে রাজনৈতিক তদবির বন্ধ করেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমার মন্ত্রণালয়ে রাজনৈতিক তদবির বন্ধ করে দিয়েছি। ইঞ্জিনিয়ার ট্রান্সফার, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটির (বিআরটিএ) অফিসার ট্রান্সফার এসব তদবির শুরুতে আমার জন্য ছিল চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু আমি কঠোর হয়েছি, প্রধানমন্ত্রী আমাকে সাপোর্ট দিয়েছেন, সচিবরা আমার সঙ্গে ছিল, যে কারণে আমি এসব প্র্যাকটিস বন্ধ করতে পেরেছি। মন্ত্রীকে কিছু দিয়ে চিফ ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার একটা প্র্যাকটিস মন্ত্রণালয়ে আগে ছিল, কিন্তু আমি আসার পর তা বন্ধ করেছি। সেই প্র্যাকটিস এখন আর নেই। আমাকে টাকা দিয়ে যদি চিফ ইঞ্জিনিয়ার হতে হয় ওই টাকা সে উঠাবে যখন দায়িত্ব পাবে। এটাই তো স্বাভাবিক।

এ সময় উপস্থিত ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অনেক ইঞ্জিনিয়ার ভালো কাজ করেন। কিন্তু কেউ কেউ যে কাজ করেন, এক পশলা বৃষ্টি হলেই সেই রাস্তা ভেসে যায়। এরকম রাস্তা করার কোনো দরকার নেই। কাজের মান ঠিক রাখুন। যারা ভালো কাজ করেন আমি তাদের প্রশংসা করবো।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের ইলিয়াস কাঞ্চন, সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, হাইওয়ে পুলিশের আইজিপি মল্লিক ফখরুল ইসলাম।


আরও খবর



৩.৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া নির্মাণ করছে ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের সাথে উন্মুক্ত সীমান্তের এক হাজার ৬১০ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া নির্মাণে আগামী ১০ বছরে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা করছে ভারত। সীমান্তে চোরাচালান এবং অবৈধ কার্যকলাপ ঠেকাতে ভারত সীমান্ত বেড়া নির্মাণে এই অর্থ ব্যয় করবে বলে বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে নয়াদিল্লি বলেছিল, তারা মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া নির্মাণ করবে। পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জনসংখ্যার কাঠামো বজায় রাখার স্বার্থে সীমান্ত এলাকার নাগরিকদের এক দশকের পুরোনো ভিসা-মুক্ত চলাচল নীতির অবসান ঘটাবে।

সূত্র বলেছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের সরকারি একটি কমিটি বেড়া নির্মাণ ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে সেটি। গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়ে এসব তথ্য দিয়েছে ওই সূত্রটি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, পররাষ্ট্র এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কাছে এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে চেয়ে ই-মেইল করা হলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সীমান্তে ভারতের বেড়া নির্মাণের পরিকল্পনা সম্পর্কে মিয়ানমার এখন পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি।

মিয়ানমারে ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জান্তা ক্ষমতায় আসার পর থেকে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক ও শত শত সৈন্য ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পালিয়ে গেছেন; যেখানে উভয় দেশের লোকজনের জাতিগত ও পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। এই কারণে ভারতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নয়াদিল্লি উদ্বেগে রয়েছে।

ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের কিছু সদস্য উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর রাজ্যের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পেছনে মিয়ানমারের অস্থিতিশীলতা ও উন্মুক্ত সীমান্তকে দায়ী করেছেন। প্রায় এক বছর ধরে মণিপুরের দুটি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আর এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে একটির সাথে মিয়ানমারের চিন উপজাতিদের সম্পর্ক রয়েছে।

ভারতীয় ওই সূত্র বলেছে, ভারতের জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাদের ওই কমিটি সীমান্ত বেড়ার পাশাপাশি সীমান্তের সাথে সামরিক ঘাঁটির সংযোগকারী সড়ক নির্মাণের বিষয়েও সম্মত হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সামরিক ঘাঁটির সাথে সংযোগকারী ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে।

সূত্র বলেছে, মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত বেড়া ও সংলগ্ন সড়কের জন্য প্রতি কিলোমিটারে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি রুপি ব্যয় হবে। যা ২০২০ সালে বাংলাদেশের সাথে সীমান্তে নির্মিত বেড়ার প্রতি কিলোমিটারের সাড়ে ৫ কোটি রুপি ব্যয়ের দ্বিগুণেরও বেশি। মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে হওয়ায় বেড়া ও সড়ক নির্মাণ ব্যয় বেশি হবে।


আরও খবর



টংক আন্দোলনের নেত্রী কুমুদিনী হাজং আর নেই

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নেত্রকোনার পাহাড়ি সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর উপজেলা স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকা শেষ স্বাক্ষী কুমুদিনী হাজং মারা গেছেন। শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সীমান্ত গ্রাম বহেরাতলীতে স্বামীর ভিটায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দুর্গাপুর কালচারাল একাডেমির পরিচালক সুজন হাজং এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন মত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তলদেশে বিজয়পুর সীমান্তের দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বহেরাতলি গ্রাম। যে গ্রাম থেকে খাজনা প্রথা বিলুপ্তিতে আন্দোলনের গণজাগরণ হয়েছিল যার মৃত্যুতে সেই রাশি মণি হাজংয়ের স্মৃতি ধরে রেখেছিলেন কুমুদিনী হাজং।

রাশিমণির সমাপ্তিতে খাজনা বিদ্রোহে প্রজা আন্দোলনের ইতিহাস ঐহিত্যর বীরত্বগাঁথা মনিষীদেরও চারণভূমিও বলা চলে। এ এলাকায় কুমুদিনী হাজংয়ের কাছে মানুষ শুনতে আসতেন টংক প্রথা বিলুপ্তির ইতিকথা। কিন্তু তিনি মৃত্যুর কয়েক বছর আগে থেকে কথা বলতে পারেন না। তবে যাদের চেনেন। তাদের সন্মান করতেন। বসিয়ে রাখতে চাইতেন পাশে। বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শয্যাশায়ী থাকাকালীন মেঝো ছেলে ও ছেলে বউ দেখভাল করেছেন। রাশিমণি স্মৃতিসৌধ দেখতে গিয়েই সকলে কুমুদিনী হাজংয়ের খোঁজ নেন সবাই। তার তিন ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে কয়েক বছর আগেই মারা যান। কুমুদিনী হাজংয়ের মেঝো ছেলে অর্জুন হাজং জানায়- রবিবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

১৯৪৬ সনের কথা। কমরেড মণিসিংহ ভারত থেকে দুর্গাপুর মামা বাড়িতে চলে আসেন। শুরু করেন টংক প্রথা বা ধান কড়াড়ি খাজনা বাতিল আন্দোলন। আন্দেলনে যোগ দেন সীমন্তের কুল্লাগড়া ইউনিয়নের লঙ্কেশ্বর হাজং, রাশিমণি হাজংসহ আদিবাসীরা। এরই জেরে সে বছরের ৩১ জানুয়ারী লঙ্কেশ্বর হাজংসহ বেশ ক’জন হাজং বিদ্রোহী নেতাকে ধরে নিতে ব্রিটিশ ফন্ট্রিয়ার পুলিশ আসে বহেরাতলী গ্রামে। তাদের না পেয়ে লঙ্কেশ্বর হাজংয়ের সদ্য বিয়ে করা স্ত্রী কুমুদিনী হাজংকে তুলে নিয়ে যায়।

এ খবর এক কৃষক বিদ্রোহ সভায় রাশি মণি হাজংয়ের কাছে পৌঁছে। ছুটে যান তিনি। নারীকে নিয়ে যাওয়া মানে মান নিয়ে যাওয়া উল্লেখ করে তিনি ঝাপিয়ে পড়েন। হাতে থাকা দা দিয়েই পুলিশের উপর হামলা চালান। পরে পুলিশের বন্দুকের গুলিতে তিনিসহ দুজন হাজং নেতার প্রয়াণ ঘটে। তবে রক্ষা হয় গৃহবধূ কুমুদিনী হাজং।


আরও খবর



রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে

উপকূলীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সমন্বয় সভা

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বাগেরহাট ইউনিটের সহযোগিতায় মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিদেরকে নিয়ে ইয়ুথ নেট প্রজেক্ট অফিস, মোরেলগঞ্জ এ ডিআরআর স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে সমন্বয় সভা করা হয়।

সভাটি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বাগেরহাট ইউনিটের এসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রাম অফিসার সাদিদ হোসেন এর সঞ্চালনায় ও মোঃ ওসমান গনির সভাপতিত্বে  উক্ত সভায় সকল এনজিওর প্রতিনিধিরা মুক্তমনের প্রাণবন্ত আলোচনা করেন।

কীভাবে সকলে মিলে ও সমন্বয় করে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার কার্যক্রমকে সুসংগঠিত ভাবে বাস্তবায়ন করা যায় এবং সকল কাজের লক্ষ পূরণ হয় তার জন্য নিজ নিজ মতামত ব্যক্ত করেন।

সকলের মতামতে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়, প্রতি দুই মাস অন্তর অন্তর বিভিন্ন এনজিওদের সমন্বয় করে একটি সমন্বয় সভা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়। যাতে কোন কার্যক্রম ওভারলেপিং না হয় সেজন্য কাজ বাস্তবায়নের আগে সমন্বয় করলে ভালো হবে বলেও মতামত প্রকাশ করেন।

সভার উপস্থিত এনজিও প্রতিনিধি হলেন, মোঃ সিফাত হোসাইব (কোডেক), নাসরিন আক্তার (উত্তরণ), শওকত চৌধুরী (ডরপ), ফয়সাল অহমেদ (জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশন) মোঃ ওসমান গনী (ব্রাক), সুরমা আক্তার (লজিক), ইভা আক্তার (ওয়ার্ল্ড ভিশন), স্নিগ্ধা পাল (সিসিডিবি) ও মোঃ মেহেদী হাসান (দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ) আলোচনায় বক্তারা মোরেলগঞ্জ উপজেলার সকল বেসরকারি সংস্থা এক হয়ে কাজ করার আহবান জানান। উক্ত অনুষ্ঠানের সঞ্চলনের দ্বয়িত্ব পালন করেন, মুসাদ্দিক বিল্লাহ তামিম, প্রোগ্রাম এসোসিয়েট, ইয়ুথ ইন ক্লাইমেট একশন প্রজেক্ট, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বাগেরহাট ইউনিট।


আরও খবর



চালু হতে যাচ্ছে মহাকাশের প্রথম রেস্তোরাঁ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঘন অন্ধকারে চেয়ারে বসে রয়েছেন আপনি। চারপাশ জুড়ে মাঝেমাঝে উল্কার ছোটাছুটি দেখতে পাচ্ছেন। আরেকটু মনোযোগ দিলে দেখবেন অনন্ত নক্ষত্রবীথি।

আপনার হাতে ছুরি-চামচ। সামনের টেবিলে রাখা ধোঁয়া ওঠা খাবার। মাঝেমাঝে স্বাদ নিচ্ছেন পছন্দের খাবারের। এমন দৃশ্য স্বপ্নে, বইয়ের পাতায় কিংবা সিনেমার পর্দায় দেখা যায়। কিন্তু এবার তা বাস্তবেও ঘটতে চলেছে।

নিউইয়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কল্পবিজ্ঞানের গল্পের মতো মনে হলেও এ বার খেতে যেতে পারবেন মহাকাশে। বায়ুমণ্ডলের একটি স্তর স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে তৈরি হতে চলেছে নতুন একটি রেস্টুরেন্ট।

আর এই অভিজ্ঞা যদি আপনি পেতে চান তাহলে পকেটে থাকতে হবে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার মতো অর্থ।

স্পেস ভিআইপি নামের একটি মহাকাশ ভ্রমণ সংস্থা এমন উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী বছর মহাকাশে এই রেস্টুরেন্টের দরজা খুলবে।

এই রেস্টুরেন্টের রন্ধনশিল্পী হিসেবে যারা থাকবেন তাদের নেতৃত্বে থাকবেন মিশেলিন স্টার পাওয়া ডেনিশ শেফ রসমস মুঙ্ক। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে আগামী বছরের শেষের দিকে যাত্রা শুরু করার সময় বিশ্বের প্রথম কার্বন-নিরপেক্ষ স্পেসশিপ নেপচুনে শেফ মুঙ্ক তার খাবারের ব্যবস্থা করবেন।

স্পেসশিপ নেপচুন রকেট নয় বরং একটি ক্যাপসুল। যা স্পেসবেলুন খুব ধীরে ধীরে চালানো হয়।

এই রেস্টুরেন্টের মেনু নিয়ে আপাতত গবেষণা চলছে। রেস্টুরেন্টে ওয়াইফাই এর ব্যবস্থা থাকবে। এখান থেকে চাইলে ভিডিও কলও করা সম্ভব।

স্পেস ভিআইপির এক কর্মীর ভাষ্য, কোন ধরনের খাবার থাকবে, সেটা এখনও ঠিক করা হয়নি। কিন্তু পুরো বিষয়টির মতোই খাবারের প্রতিটি পদ সুস্বাদু হবে এবং তাতে নিশ্চিতভাবে নতুনত্ব থাকবে।


আরও খবর
ব্যাটারি চেক করার দিবস আজ

রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪

ক্যালেন্ডারের উপহার : ৩৬৬ দিনের ২৯ ফেব্রুয়ারি আজ

বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪




‘আমার মন্ত্রী-সচিব আছে, জেলা এক্সেন গোনা লাগে না’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি

Image

রাস্তার অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল বলেন—‘আমার মন্ত্রী, সচিব আছে। জেলা এক্সেন (জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী) আমার গোনা লাগে না। শুধু তাই নয়, একপর্যায়ে গণমাধ্যমকর্মীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে ডামুড্যা উপজেলার খেজুরতলা এলাকায় এলজিইডির একটি রাস্তার কার্পেটিংয়ের চলমান কাজের অনিয়মের তথ্য সংগ্রহকালে এমন কাণ্ড করে বসেন ওই উপজেলা প্রকৌশলী।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা জানান, ডামুড্যা উপজেলার এলজিইডির তত্ত্বাবধানে কনেশ্বর ইউনিয়নের খেজুরতলা এলাকায় একটি পিচঢালাই রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ চলছিলো। চলমান কাজে নিম্নমানের ও পুরোনো নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে আসছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহে যান দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রতিনিধি সোহাগ খান সুজন, বাংলা টিভির নয়ন দাস ও ডেইলি স্টারের প্রতিনিধি জাহিদ হাসান রনি। ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তার কার্পেটিংয়ের বিটুমিন মেশানোর জায়গায় পুরোনো সেতুর ভাঙা পাথর দেখতে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিলকে প্রশ্ন করেন গণমাধ্যমকর্মীরা। এমন সময় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং একপর্যায়ে সমকালের প্রতিনিধি সোহাগ খান ও ডেইলি স্টারের প্রতিনিধি জাহিদ হাসান রনিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি সোহাগ খান সুজন অভিযোগ করে বলেন, রাস্তার কাজে অনিয়ম হচ্ছে এমন সংবাদে আমরা কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে যাই। আমরা সেখানে বেশকিছু পুরোনো পাথর ভাঙা দেখতে পেলে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিলকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করি। এরপরই তিনি আমাদের ওপর চড়াও হন এবং একপর্যায়ে আমাকে ধাক্কা দেওয়া শুরু করেন।

দৈনিক ডেইলি স্টারের জাহিদ হাসান রনি বলেন, পুরোনো কার্পেটিংয়ের কিছু অংশ মিলিয়ে তারা নতুন রাস্তা করছিলেন। আমরা জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল আমাদের গেট লস্ট বলেন। আমরা পাল্টা প্রশ্ন করলে গায়ে হাত দিয়ে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকেন। তিনি আমাদের পড়াশোনার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করেন এবং বলেন গেট লস্ট

অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল বলেন, তারা (সাংবাদিকরা) পুরোনো মালামাল আর নতুন মালামাল মিলিয়ে ভিডিও করছিল। তারা কেন এটা করবে? তাদের আমি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করিনি। তারাই আমাকে লাঞ্ছিত করেছে।

জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাফেউল ইসলাম বলেন, কার্পেটিংয়ে পুরোনো মালামাল নতুন করে বিটুমিনে মেলানোর সুযোগ নেই। রাস্তার পুরোনো কার্পেটিং ওঠানোর পর রোলার দিয়ে তা রাস্তাতেই মিলিয়ে ফেলতে হবে। এটা পাশেও রাখা যাবে না।

গণমাধ্যমকর্মীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি তার সঙ্গে (উপজেলা প্রকৌশলী) কথা বলবো। তিনি যদি দোষী হয়ে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরীন বেগম সেতু বলেন, বিষয়টি আসলেই দুঃখজনক। তিনি কেন সাংবাদিকদের সঙ্গে এ ধরনের ব্যবহার করেছেন, তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হবে।


আরও খবর