আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সড়কে অসুস্থ হয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে রাস্তায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিকুর রহমান মুকুলের (৫৬) মৃত্যু হয়েছে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে রাস্তায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে যান। অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ৮টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিকুর রহমান মুকুলের গাড়িচালক পুলিশ সদস্য জাফর আলী জানান, মালিবাগ এসবি অফিসে ডিউটি শেষ করে মিরপুর ৬০ ফিট এলাকার বাসায় ফিরছিলেন। তাদের গাড়িটি তেজগাঁও লাভ রোডের কাছে পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেল লেন পরিবর্তন করে হুট করে তাদের গাড়ির সামনে চলে আসে। এটি দেখে শফিকুর রহমান উত্তেজিত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে রাস্তায় দাঁড়ানোর পরপরই বেহুশ হয়ে পড়ে যান। তখন তাকে গাড়িতে করে সমরিতা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।


আরও খবর



সাংবাদিক মিথুনের ক্যানসার চিকিৎসায় এগিয়ে এল বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট শোয়েব মিথুন সম্প্রতি কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। তার এ দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসায় এগিয়ে এসেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন।

বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এবিজি টাওয়ারে শোয়েব মিথুনের মা-বাবার হাতে পাঁচ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা তুলে দেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের সম্পাদক জুয়েল মাজহার, এবিজি বসুন্ধরার পরিচালক মোস্তফা আজাদ মহিউদ্দিন, বসুন্ধরা গ্রুপের প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব প্রমুখ।

আর্থিক সহায়তা পেয়ে শোয়েব মিথুনের বাবা মজিবুর রহমান বলেন, আমার ছেলের চিকিৎসা সহায়তায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর সাহেব যে সহায়তা করেছেন, এর জন্য শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। আমি সবার কাছে আমার ছেলের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করার জন্য অনুরোধ করবো।

শোয়েব মিথুনের মা রোকেয়া আক্তার বলেন, অর্থ আসলে মানুষকে সুস্থ করতে পারে না। সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চাইতে হয়। আমার ছেলের জন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন।

বসুন্ধরা গ্রুপের প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট শোয়েব মিথুনকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মূলত ক্যানসার, হৃদরোগ এবং হতদরিদ্র শিশু-কিশোরদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয় বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে। বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন মানবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কয়েক যুগ ধরে এ কাজ করে আসছে।


আরও খবর



৯ ছাত্রীর চুল কাটার ঘটনায় শিক্ষিকা বরখাস্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ ছাত্রীর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিকা রুমিয়া সরকারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) স্কুল ম্যানেজিং কমিটি তাকে বরখাস্ত করে। এ ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে এ ব্যাপারে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ওই স্কুলে সপ্তম শ্রেণির ক্লাস চলাকালে চুল কাটার ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত রুমিয়া সরকার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা। ক্লাসে থাকা ৯ ছাত্রীর মাথায় হিজাব না থাকায় তিনি কাঁচি দিয়ে সবার চুল কেটে দেন। এতে ক্লাসের সব শিক্ষার্থীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এ ব্যাপারে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ জানান, যেসব ছাত্রীর মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়েছে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশক্রমে উপজেলা প্রশাসন ও স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপাতত ওই শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিয়া ফরিদ আহমেদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলেছি। মেয়েদের সামান্য চুল কাটা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আজ আবার বসব।


আরও খবর



রাজনীতিতে পাওলি দাম, লড়বেন নারীর ক্ষমতায়নের পক্ষে

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সিনেজগতের তারকাদের বর্তমানে রাজনৈতিক ময়দানে অবাধ বিচরণ। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতি আর গ্ল্যামারদুনিয়া যেন ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। পাওলি দামকেও এবার দেখা যাবে রাজনীতিকের ভূমিকায়। তবে রিয়েল লাইফে নয়, রিল লাইফে।

শুরু হচ্ছে অরিত্র সেনের নতুন ওয়েব সিরিজ জুলি’-র শুটিং। এতে পাওলি ছাড়াও অন্যান্য মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন কৌশিক সেন, শ্রুতি দাস ও গৌরব চট্টোপাধ্যায়রা। নারীর ক্ষমতায়নের কাহিনির মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে পাওলি দামকে। কালী সিজন টু’-এর সাফল্যের পর আবার অরিত্র সেনের পরিচালনায় নতুন ওয়েব সিরিজ জুলি’তে দেখা যাবে এই অভিনেত্রীকে।

মানব পাচারচক্রে জড়িয়ে যৌনপল্লিতে ঠাঁই পাওয়া জুলি’র রাজনীতিতে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ের গল্প বলবে এই সিরিজ। জুলি’র চরিত্রে অভিনয় করছেন পাওলি দাম। স্থানীয় নেতার মেয়ের বিরুদ্ধে তার লড়াই। এই চরিত্রে থাকছেন শ্রুতি দাস। এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের চরিত্রে দেখা যাবে কৌশিক সেনকে। সিবিআই অফিসারের ভূমিকায় থাকছেন গৌরব চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও ইন্টারেস্টিং চরিত্রে রয়েছেন অর্ণ মুখোপাধ্যায় ও সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়।

‘জুলি’র শুটিং শুরু হচ্ছে মার্চের শেষার্ধে। আড্ডাটাইমস’-এ এই ৭ এপিসোডের লিমিটেড সিরিজ প্রকাশ পাবে এই গ্রীষ্মেই।

পরিচালক অরিত্র সেন জানালেন, জুলি’র চোখ দিয়ে দেখা এই গল্প একটা অন্য পার্সপেক্টিভ যোগ করবে। সেই সঙ্গে প্রান্তিক মানুষদের মেনস্ট্রিম রাজনীতিতে নিজের জায়গা করে নেওয়ার যে লড়াই, সেটা দেখাতে চেয়েছি। দুর্বার’-এর সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে, ওদের কাজের সঙ্গেও যুক্ত থেকেছি। এই প্রান্তিক মানুষদের মূলস্রোতে টিকে থাকা এবং ভেসে থাকার যে প্রতিদিনকার যুদ্ধ, সেটা দেখেছি। সেখান থেকেই জুলি’র চরিত্রটা ডেভেলপ করেছি, যে কিনা আজকের দিনের দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারবে। অরিত্রর তত্ত্বাবধানে এই সিরিজের গল্প, কনসেপ্ট এবং চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন অভ্র চক্রবর্তী, শান্তনু মিত্র নিয়োগী, অনুপ্রিয়া দত্ত, আরণ্যক চট্টোপাধ্যায়।


আরও খবর



বিজিপি প্রত্যাবাসন: ফাইল আটকে আছে মিয়ানমার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
Image

মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ সদস্যকে ফেরত পাঠাতে প্রায় সব প্রস্তুতি রয়েছে বাংলাদেশের। মিয়ানমারও তাদের ফেরত নিতে চায়। তবে কবে নাগাদ তাদের ফেরত নেওয়া হবে, তা এখনো জানায়নি দেশটি। আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেওয়া সংক্রান্ত ফাইল মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আটকে আছে বলে তথ্য মিলছে।

ঢাকা ও নেপিডোর কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ১৭৭ বিজিপি সদস্যকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তবে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নেপিডোর দিক থেকে ঢাকাকে জানানো হয়েছে, বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেওয়ার ফাইল এখনো ক্লিয়ার করতে পারেননি কর্মকর্তারা। কেননা, কর্মকর্তা পর্যায়ে সব কাজ শেষ হলেও দেশটির প্রধানমন্ত্রীর অফিসে এ সংক্রান্ত ফাইল আটকে আছে। তবে খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির লড়াইয়ের জেরে গত সপ্তাহে দুই দফায় ১৭৭ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এসব বিজিপি সদস্য বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে রয়েছেন।

৯ দিন ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করা মিয়ানমারের সদস্যদের যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফেরত পাঠাতে চায় ঢাকা। এ নিয়ে প্রস্তুতিও রয়েছে ঢাকার। মিয়ানমারের দিক থেকে সবুজ সংকেত পেলে তাদের (বিজিপি) ফেরত পাঠাবে বাংলাদেশ। ফেব্রুয়ারিতে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, বিজিপি, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংস্থার ৩৩০ সদস্যকে যেভাবে ফেরত পাঠানো হয়েছে, এবারো সেই প্রক্রিয়ায় অনুসরণ করতে চায় বাংলাদেশ।

ঢাকার এক কূটনীতিক বলেন, তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের দিক থেকে প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব তাদের ফেরত পাঠাতে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগে যেভাবে মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, ঠিক একই প্রক্রিয়ায় এদের পাঠানো হবে।

তারা (বিজিপি) এখন ২০০ জনের মতো বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ইতোপূর্বে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে অনেককে ফেরত পাঠিয়েছি। একই প্রক্রিয়ায় এদের ফেরত পাঠানোর জন্য আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি। আশা করছি, আমরা তাদেরও ফেরত পাঠাতে পারব।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো, মিয়ানমার ও সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলমের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

এদিকে, কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টায় মিয়ানমার সীমান্তে দুইশর বেশি বিজিপি সদস্য অপেক্ষমাণ রয়েছে বলে দেশের গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকার এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক জানান, সীমান্তে শ’খানেকের বেশি বিজিপি সদস্য অবস্থান করছে। তারা এখন অবধি বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি চায়নি। আর আমরাও চাই না তারা বাংলাদেশে আসুক।

তাহলে কি নতুন করে আর কোনো বিজিপি সদস্যকে নেবে না বাংলাদেশ– এমন প্রশ্নে এই জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় হয়ত তাদের ঢুকতে দেওয়া হবে। যদি তারা ঢুকেও আমরা তাদের যত দ্রুত সম্ভব ফেরত পাঠাব। আগের মতো এদেরও ফেরত পাঠানো হবে।

চলমান পরিস্থিতিতে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের দূতকে ডেকে পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কি না– জানতে চাইলে অন্য এক কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। তাকে সব বিষয়ে জানানো হয়। রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তো কোনো লাভ হচ্ছে না।

সাময়িক আশ্রিত বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর প্রশ্নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, তারা (বিজিপি) এখন ২০০ জনের মতো বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ইতোপূর্বে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে অনেককে ফেরত পাঠিয়েছি। একই প্রক্রিয়ায় এদের ফেরত পাঠানোর জন্য আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি। আশা করছি, আমরা তাদেরও ফেরত পাঠাতে পারব।

ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। চলমান ওই সংঘর্ষে প্রায় পাঁচ দিনের ব্যবধানে মিয়ানমারের সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জন বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের দিক থেকে প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব তাদের ফেরত পাঠাতে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগে যেভাবে মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, ঠিক একই প্রক্রিয়ায় এদের পাঠানো হবে।

আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষে টিকতে না পেরে গত দেড় মাসে মিয়ানমারের প্রায় ৫০০ সামরিক বাহিনীর সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা আশ্রয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা চেয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের অস্ত্র নিয়ে নেওয়া হয়। পরে তাদের খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়।

এ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সরকারের এক কর্মকর্তা জানান, তারা আশ্রয়ের জন্য সহযোগিতা চায়। আমাদের কাছে সারেন্ডার বা আত্মসমর্পণ করতে হয়। বাংলাদেশ সরকার তাদের জিডআর্ম করে এবং তাদের খাবারের ব্যবস্থা করে। এরপর তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়।

২০২৩ সালের শেষের দিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে শুরু হওয়া অপারেশন ১০২৭’ থেকে সংঘর্ষের পর প্রতিবেশী দেশগুলোতে এখন অবধি প্রায় ১ হাজার জান্তা সদস্য (মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্য) আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। প্রায় ৫০০ জান্তা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বার্মা নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (বিএনআই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশগুলোর বাহিনী এবং গণমাধ্যমের তথ্য মতে, গত বছরের (২০২৩) শেষের দিকে শুরু হওয়া অপারেশন ১০২৭’ থেকে সংঘর্ষের পর প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেওয়া জান্তা সৈন্যের সংখ্যা প্রায় এক হাজারে পৌঁছেছে। মিয়ানমারের সঙ্গে সীমানা ভাগ করে নেওয়া পাঁচটি প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড, ভারত, বাংলাদেশ ও চীনে সীমান্ত নিয়ে পালিয়ে গেছে জান্তা সৈন্যরা।

বিএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, এদের মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জান্তা সৈন্যের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। আর ভারতে আশ্রয় নিয়েছে ৪০০ জনের বেশি। এ ছাড়া অপারেশন ১০২৭’-এর আগে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে মিয়ানমারের কারেন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তীব্র আক্রমণের মধ্যে শত শত জান্তা সৈন্য থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেয়। এসব জান্তা সৈন্যকে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করা হলেও তাদের প্রসঙ্গে মিলিটারি কাউন্সিল বিস্তারিত তথ্য জানানো থেকে বিরত থাকে।


আরও খবর



আরব সাগরে নৌকাডুবিতে ১২ জেলে নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আরব সাগরে মাছ ধরার নৌকা ডুবে ১২ জন পাকিস্তানি জেলে নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও ২ জেলে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি আজ ১৩ মার্চ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ১২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির নৌবাহিনী এখনও নিখোঁজ দুই জেলের সন্ধান করছে।

এর আগে গত ৫ মার্চ মাছ ধরার নৌকাটি সাগরে ডুবে যায়। এরপর হেলিকপ্টার, জাহাজ এবং স্পিডবোট সহযোগে দক্ষিণ সিন্ধু প্রদেশের জলসীমায় অনুসন্ধান কাজ শুরু করেন উদ্ধারকারী দল।

পাকিস্তান সামরিক বাহিনী এর আগে বলেছিল, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ভারতীয় সীমান্তের হাজামরো খাঁড়ির কাছে খোলা সমুদ্রে ৪৫ জন ক্রুসহ নৌকাটি উল্টে যায়।


আরও খবর