আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

সৃষ্টি হচ্ছে নতুন মহাসাগর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

আফ্রিকা বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে। আর এই মহাদেশটি বিভক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন একটি মহাসাগর। গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন ভূমির যে দুটি অংশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং দ্বিতীয় জনবহুল মহাদেশ তৈরি করেছে তা আলাদা হতে শুরু করেছে। আর এই বিভাজনের মধ্য দিয়ে একটি সম্পূর্ণ নতুন মহাসাগর সৃষ্টির পথ তৈরি হচ্ছে। এভাবে ভূমি যদি পৃথক হতে থাকে তাহলে জাম্বিয়া এবং উগান্ডার মতো দেশগুলো একদিন তাদের নিজস্ব উপকূলরেখার দেখা পাবে।

এই বছরের শুরুতে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে, বিজ্ঞানীরা আফ্রিকা বিভক্ত হতে শুরু করার সাথে সাথে একটি নতুন মহাসাগরের গঠন আবিষ্কার করেছিলেন।

জনপ্রিয় জার্নাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স অনুসারে, ভূতত্ত্ববিদরা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন যে, আফ্রিকা মহাদেশ অর্ধেক ভাগ হয়ে যাওয়ায় একটি নতুন মহাসাগর তৈরি হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা এই মহাদেশ ভাগ হওয়ার সঠিক জায়গাটিও সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন, যেখানে ৩০ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটারের বেশি মহাদেশটির খুব গভীর ভূগর্ভে প্রথম ভাগ হতে শুরু হয়েছিল।

ফাটলটি তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সীমানায় অবস্থিত। এটি এখন ধীরে ধীরে একে অপরের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ভূতাত্ত্বিকরা লক্ষ্য করেছেন, এই জটিল টেকটোনিক প্রক্রিয়াটি এখন থেকে কয়েক মিলিয়ন বছর পরে সম্পূর্ণ নতুন জলের জন্য জায়গাা তৈরি করবে। টেকটোনিক স্থানান্তরটি সঠিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার কারণ হচ্ছে, এটি দুটি সংযুক্ত স্থলভাগের মধ্যে লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগর উভয়কে সৃষ্টি করেছে।

বিজ্ঞানীরা আরও আবিষ্কার করেছে, ফাটলটি পূর্ব আফ্রিকান রিফট নামে পরিচিত, বর্তমানে ইথিওপিয়ান মরুভূমিতে ২০০৫ সালে প্রথম প্রদর্শিত হওয়ার পর এই ফাটল এ পর্যন্ত ৩৫ মাইল দীর্ঘ হয়েছে। ফাটলটি আফ্রিকান, আরব এবং সোমালি টেকটোনিক প্লেটের সীমানার সীমানায় অবস্থান করছে এবং বিগত ৩০ মিলিয়ন বছর ধরে আরব প্লেট ধীরে ধীরে আফ্রিকা মহাদেশ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। উপরন্তু, সোমালি প্লেটটি পূর্ব আফ্রিকান রিফ্ট ভ্যালির মধ্য দিয়ে আফ্রিকান প্লেট থেকেও দূরে সরে যাচ্ছে। 

লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট ছাত্র ক্রিস্টোফার মুর পৃথিবীতে এটিই একমাত্র জায়গা যেখানে আপনি অধ্যয়ন করতে পারেন কিভাবে মহাদেশীয় ফাটল একটি মহাসাগরীয় ফাটল হয়ে উঠছে। মুর পূর্ব আফ্রিকান অঞ্চলে আগ্নেয়গিরির ক্রিয়াকলাপ নিরীক্ষণের জন্য উপগ্রহ রাডার প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিলেন। তখন তিনি দেখতে পান একটি মহাদেশ ধীরে ধীরে বিচ্ছেদ হয়ে যাচ্ছে।

জিপিএস যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে গবেষকরা এই ভূমির গতিবিধির সুনির্দিষ্ট পরিমাপ করতেও সক্ষম হয়েছেন। সামুদ্রিক ভূ-পদার্থবিদ এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইমেরিটাস অধ্যাপক কেন ম্যাকডোনাল্ড বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেছেন, জিপিএস পরিমাপের সাহায্যে, আপনি প্রতি বছর কয়েক মিলিমিটারে চলাচলের হার পরিমাপ করতে পারেন। তিনি যোগ করেছেন: আমরা জিপিএস থেকে আরও বেশি পরিমাপ পাই, আমরা কী ঘটছে তার অনেক বেশি ধারণা পেতে পারি।

ম্যাকডোনাল্ড নিশ্চিত করেছেন, আফার অঞ্চলে এবং পূর্ব আফ্রিকান রিফ্ট উপত্যকায় এডেন উপসাগর এবং লোহিত সাগর প্লাবিত হবে এবং একটি নতুন মহাসাগরে পরিণত হবে সেই সঙ্গে পূর্ব আফ্রিকার সেই অংশটি তার নিজস্ব পৃথক ছোট মহাদেশে পরিণত হবে

ভূ-পদার্থবিদরা বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেছেন, তিনটি টেকটোনিক প্লেট বিভিন্ন গতিতে একে অপরের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, কিন্তু আরবীয় প্লেট প্রতি বছর প্রায় এক ইঞ্চি হারে আফ্রিকা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আফ্রিকান এবং সোমালি প্লেট উভয়ই প্রতি বছর আধা ইঞ্চি থেকে ০.২ ইঞ্চি পর্যন্ত আরও ধীর গতিতে ভেঙে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

অধ্যাপক কেন ম্যাকডোনাল্ড জোর দিয়ে বলেন, শুধু আমি নই, আমাদের মধ্যে আরও অনেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত। পৃথিবী একটি সর্বদা পরিবর্তনশীল গ্রহ, এবং এটি আমাদের অনেকের জন্য একটি ভীতিকর সম্ভাবনা হতে পারে। আমরা একশ বছরে আমাদের মহান নাতি-নাতনিদের সম্পর্কে ভাবছি কিনা বা এটি কীভাবে আমাদের প্রভাবিত করতে পারে, আমাদের গ্রহের সঙ্গে কী ঘটছে তা জানা বরং গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, একটি মহাদেশ যা নিরন্তর পরিবর্তনশীল গ্রহ দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে তা হল আফ্রিকা। ২০১৮ সালে কেনিয়াতে হঠাৎ বড় ফাটল দেখা দেওয়ার পর, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই ফাটলটি মিডিয়ার অনেক বেশি মনোযোগ পেয়েছে। এটি দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করেছে এবং একটি স্থানীয় মহাসড়কের প্রধান অংশ ধসে পড়েছে।

যদিও প্রাথমিক বিশ্বাস করা হয়েছিল, এটি পূর্ব আফ্রিকান ফাটলের সঙ্গে যুক্ত এবং এটির যে বৈশিষ্ট দেখা যাচ্ছে, তা সম্ভবত মাটি ক্ষয়ের কারণে হয়েছে। পৃথিবীর লিথোস্ফিয়ার ভূত্বক এবং ম্যান্টলের উপরের অংশ দ্বারা গঠিত। এটি টেকটোনিক প্লেটের একাধিক সংখ্যায় বিভক্ত। এই প্লেটগুলো স্টেশনারী নয়, এবং তাদের চারপাশে চলাফেরার কারণে সৃষ্ট আন্দোলনের কারণেও এটি ফেটে যেতে পারে।

পূর্ব আফ্রিকান রিফ্টে যা ঘটছে তা একটি ফাটল গঠনের দিকে নিয়ে যেতে পারে এবং একটি নতুন প্লেট সীমানা  তৈরি করতে পারে। ফাটলটির ৩,০০০ কিলোমিটার দূরত্ব জুড়ে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। দক্ষিণে এলাকাটি একটি সীমিত আগ্নেয়গিরি এবং ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। কিন্তু আপনি যদি আফার অঞ্চলের দিকে যান, তাহলে দেখা যাবে পুরো ফাটল উপত্যকার মেঝে আগ্নেয়গিরির শিলা দ্বারা আবৃত। এর অর্থ হল লিথোস্ফিয়ার প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর্যায়ে পাতলা হযে গেছে।

কয়েক মিলিয়ন বছর ধরে ফাটলটির পুরো দৈর্ঘ্য সমুদ্রতল পর্যন্ত চলে যাবে এবং একটি নতুন মহাসাগর সৃষ্টি করবে, যা দৃশ্যত ইতোমধ্যে ঘটতে শুরু করেছে। তারপরে মহাসাগর প্লাবিত হবে, আফ্রিকা মহাদেশকে ছোট করে রেখে ভারত মহাসাগর দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে ইথিওপিয়া এবং সোমালিয়ার কিছু অংশ মিলে তৈরি করবে একটি বড় দ্বীপ।


আরও খবর
শিশু শান্তি পুরস্কার পেল ৩ কিশোরী

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

হোয়াটসঅ্যাপ কি নিরাপদ!

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল ইরাক

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে ইরাক। হামাস ইসরায়েলের মধ্যেকার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মার্কিনদের এই সতর্কবার্তা দিয়েছে দেশটি। শনিবার (২ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল সুদানি যুক্তরাষ্ট্রকে এ সতর্কবার্তা দেন। মূলত ফিলিস্তিনে ইসরায়েলিদের হামলা শুরুর পর ইরাকে মার্কিন হামলার বিষয়ে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সুদানি আলাপকালে এ যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেন।

সুদানি বলেন, ইরাকে থাকা আন্তর্জাতিক জোটের উপদেষ্টাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের গোপন পরিকল্পনা জেনে যাওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল। দেশটি বলছে, হামাসের হামলার এ পরিকল্পনা তারা এক বছর আগেই জেনে গিয়েছিল।

হামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি, ই-মেইল ও সাক্ষাৎকার পর্যালোচনা করে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা হামাসের অভিযানের পরিকল্পনা জানত। এক বছরের বেশি সময় আগে তারা এসব জেনে গিয়েছিল। তবে বিষয়টিকে তারা পাত্তা দেয়নি। হামাসের দ্বারা এসব কাজ করা সম্ভব হবে না বলে মূল্যায়ন করেছিল তারা।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা হামাসের এ হামলার নথিকে জেরিখো ওয়াল নামে নামকরণ করেছে। এ নথিটি ৪০ পৃষ্ঠার। যেখানে পয়েন্ট আকারে ইসরায়েলে হামলার বিষয় এমনকি নিহতের সংখ্যা পর্যন্তও উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দেড় মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বাত্মক হামলার পর গত ২৪ নভেম্বর প্রথমবারের মতো চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে ইসরায়েল ও হামাস। এরপর দুই দফা এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে একমত হয় দুপক্ষ। তবে শুক্রবার সকাল ৭টায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হলেও চুক্তি বাড়ানো নিয়ে ঘোষণা দেয়নি কোনো পক্ষই।

যুদ্ধবিরতির শেষ হওয়ার পর প্রথম দিনে গাজার ৪০০ স্থাপনায় হামলার দাবি করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, দীর্ঘ যুদ্ধবিরতির পর গাজায় পুনরায় হামলা শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার ৪০০ স্থাপনায় হামলা করা হয়েছে।

আইডিএফ জানিয়েছে, ইসরায়েলের এসব লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে অন্য হলো হামাসের অস্ত্রাগার ও অবকাঠামো। খান ইয়ানিস ও দেইর আল বালাদের হামাসের এসব লক্ষ্যে হামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি মসজিদকে গাজার আরেক দল ইসলামিক জিহাদ নিজেদের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। এ ছাড়া এ সময়ে আইডিএফ একটি সেলে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৮৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া অন্তত ৫৮৯ জন আহত হয়েছেন এবং ২০টির বেশি বাড়িতে বোমা হামলা হয়েছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, শুক্রবার যুদ্ধবিরতি শেষ হতেই দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে তীব্র বোমাবর্ষণ শুরু হয়। বোমা হামলার মধ্যেই একটু নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বাসিন্দারা গাড়িতে জিনিসপত্র নিয়ে সড়কে নেমে যান। এ ছাড়া গাজা থেকে ইসরায়েলি শহরে রকেট ছোড়া হলে দক্ষিণ ইসরায়েলে সাইরেন বাজানো হয়। যদিও হামাসের এসব হামলায় ইসরায়েলে কোনো হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর
গাজায় ইসরায়েলের মন্ত্রীর ছেলে নিহত

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




মনোনয়নপত্র কেনা অধিকাংশ তারকা বসন্তের কোকিল : জায়েদ খান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image
আমরা যারা আওয়ামী লীগের খারাপ সময়ে পাশে ছিলাম, আমাদের মনোনয়নপত্র নেওয়া উচিত। কিন্তু দেখেন যারা মনোনয়নপত্র কিনেছেন তারা অধিকাংশই বসন্তের কোকিল।

আওয়ামী লীগের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এবং নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছেন শোবিজের একঝাঁক তারকা। সেই ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন রুবেল, মাহিয়া মাহি, শমী কায়সার, রোকেয়া প্রাচী, শাকিল খান, সিদ্দিকুর রহমান, গায়ক এসডি রুবেল, অভিনেত্রী সিমলাসহ অনেকে।

এদিকে শোবিজ তারকাদের মনোনয়ন ফরম কেনার হিড়িক দেখে জায়েদ খান বললেন, যারা মনোনয়নপত্র কিনেছেন তারা অধিকাংশই বসন্তের কোকিল।

মনোনয়নপত্র কেনার খবর শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন কেনার দৌড়ে দেখা যায়নি জায়েদ খানকে। মনোনয়নপত্র না কেনা প্রসঙ্গে ঢাকাই সিনেমার এ নায়ক বলেন, ইচ্ছে করেই আমি মনোনয়নপত্র কিনিনি। আমার হাতে এখন দেশ-বিদেশের অনেক কাজ। আপাতত এই কাজগুলো নিয়েই ব্যস্ত। কারণ দুই কাজ একসঙ্গে হয় না। আর আমাকে সংসদ সদস্য হিসেবে বিবেচনা করলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ এমনিতেই আসবে। তিনি যখন মনে করবেন আমি তখন মনোনয়নপত্র কিনব। যারা রাজপথে সক্রিয় ছিল। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে পাশে ছিল তাদেরই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা চিন্তা করা উচিত। এবারের মনোনয়ন কেনা অনেক শিল্পীই দলের দুঃসময়ে পাশে ছিল না।

নিজেকে আওয়ামী লীগের ত্যাগী কর্মী দাবি করে এ চিত্রনায়ক বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম। রাজপথে থেকে মার খেয়েছি। রুবেল ভাই, সোহেল রানা ভাইও রাজপথের লোক। আমরা হলাম আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মী। তারা আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে রাজপথে ছিলেন। আমি মনে করি, আমরা যারা আওয়ামী লীগের খারাপ সময়ে পাশে ছিলাম, আমাদের মনোনয়নপত্র নেওয়া উচিত। কিন্তু দেখেন যারা মনোনয়নপত্র কিনেছেন তারা অধিকাংশই বসন্তের কোকিল।


আরও খবর
মরণোত্তর দেহ দান করবেন অভিনেত্রী স্পর্শিয়া

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




বিশ্ব ইজতেমার দুই পর্বের তারিখ নির্ধারণ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম গণজমায়েত বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। আগামী বছরও ২ পর্বে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমা।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি জানান, তাবলিগ জামাতের এই বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমার প্রথম পর্ব ২০২৪ সালের ২ থেকে ৪ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ৯ থেকে ১১ জানুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বের ইজতেমায় মাওলানা জোবায়ের পক্ষের লোকজন ইজতেমায় অংশ নেবেন। তিন দিনের এই পর্বের ইজতেমা শেষ হবে ১৫ জানুয়ারি। ২১ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা। চলবে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। এতে ওয়াসেক পক্ষের লোকজন অংশ নেবেন।

ঢাকা থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে টঙ্গী তুরাগ নদীর তীরে টঙ্গীর বিশাল ময়দানে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা ১৯৬৭ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২০১১ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

ভারতের প্রখ্যাত মাওলানা ও তাবলিগের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা সাদের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে দুই গ্রুপ দুই পর্বে ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন।

একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, ভারতের মাওলানা সাদ অনুসারীরা, অপরটির নেতৃত্বে বাংলাদেশের আলেম ওলামাদের মাওলানা জুবায়ের অনুসারী গ্রুপ।

বিশ্ব ইজতেমা বা বিশ্ব ইজতিমা, প্রতিবছর সাধারণত বৈশ্বিক যেকোনো বড় সমাবেশ, কিন্তু বিশেষভাবে তাবলিগ জামাতের বার্ষিক সমাবেশ।

নিউজ ট্যাগ: বিশ্ব ইজতেমা

আরও খবর
ভূমিকম্প হলে যে দোয়া পড়তে হয়

শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3

জুমাবারের আমল

শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩




পুলিশকে সহায়তায় ১০ হাজার আনসার মোতায়েনের নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির ডাকা হরতাল ও অবরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সহায়তা করতে দেশজুড়ে ১০ হাজার আনসার মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২ এর সিনিয়র সহকারী সচিব মো. জহিরুল হকের সই করা এক আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আনসার-ভিডিপি মহাপরিচালককে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, আগামীকাল ২৯ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের সব রেলস্টেশন, বাসস্টেশন, লঞ্চঘাট, সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ বাহিনীকে সহায়তা দানের জন্য সারাদেশে অনধিক ১০ হাজার সাধারণ আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করতে হবে। এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের বিষয়টি সমন্বয় করতে বলা হয়।


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




পরাশক্তির প্রতিযোগিতায় ‘মূল ময়দান’ হবে বাংলাদেশ: গবেষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভৌগোলিক অবস্থানগত সুবিধার কারণে পরাশক্তি দেশগুলোর শক্তি পরীক্ষার প্রতিযোগিতায় মূল ময়দান হয়ে উঠবে বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি, ভারতের উত্থান এবং দক্ষিণ চীন সাগরে চীন-মার্কিন উত্তেজনার প্রেক্ষিতে এমনটি হবে বলে পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে।

গত সোমবার প্রকাশিত নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। দ্য বেল্ট অ্যান্ড রোড রিবুট শীর্ষক এই সমীক্ষা পরিচালনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পাবলিক ইউনিভার্সিটি উইলিয়াম অ্যান্ড মেরির গবেষণা ল্যাব এইড-ডেটা। এই গবেষণায় কেস স্টাডি হিসেবে বাংলাদেশ, জাম্বিয়া এবং আর্জেন্টিনাকে ব্যবহার করা হয়েছে। এটি চীনের গ্লোবাল ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) মূল্যায়ন করেছে।

সমীক্ষা অনুসারে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের আরও সুযোগ আসবে ঢাকার দুয়ারে।

এতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী উদার গণতন্ত্রের রক্ষক হিসেবে স্বৈরাচারের পথে বাংলাদেশকে আরও নিচে ঠেলে দেওয়ার মতো কর্মকাণ্ডের নিন্দা করতে বাধ্য হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে বাস্তবতা হচ্ছে, চীনের প্রভাব দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রসারিত হচ্ছে।

এইড-ডেটার তথ্যমতে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে সাহায্য ও ঋণের ক্ষেত্রে চীনের প্রতিশ্রুতি বছরে প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলার। সরকারিভাবে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অর্থায়নের উৎস হিসেবে চীন এখন বিশ্বের বৃহত্তম দেশ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বছরে প্রায় ৬০ বিলিয়ন ডলার উন্নয়ন অর্থ প্রদান করে। 

আরও পড়ুন>> মারাত্মক দূষণ ঠেকাতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর চিন্তা দিল্লির

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে বৈদেশিক সাহায্য ও ঋণ প্রদানকারী দেশের তালিকায় শীর্ষে ছিল জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। তবে এরপরে বেইজিং ১৭.৫ বিলিয়ন ডলারের অনুদান ও ঋণের প্রতিশ্রুতি দেয়। বিআরআই চালুর পর থেকে ঢাকার একক বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার হয়েছে চীন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় এসে কী উন্নয়ন করেছে, দৃশ্যমান ভৌত অবকাঠামোগুলো তার নজির হিসেবে কাজ করে নির্বাচনের আগে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচকরা বলে থাকেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্পূর্ণরূপে স্বজনপ্রীতিবাদী টেক্সটাইল শিল্পপতিদের ওপর নির্ভরশীল হয়েছে। শেখ হাসিনার দল দুর্নীতির মতো কাঠামোগত সমস্যাগুলো মোকাবিলার জন্য নতুন কোনো ধারণা রাখে না।

সমীক্ষা বলছে, এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও প্রধান বিরোধীদলগুলো বিশৃঙ্খল এবং সুশীল সমাজে ভিন্নমতের কণ্ঠস্বর অনেকাংশে নীরব। (এমন প্রেক্ষাপটে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায়) আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা জয়ী হবেন বলে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে।

সমীক্ষায় বলা হয়, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুযোগ দিচ্ছে। তবে বাংলাদেশের শিল্প ক্ষেত্রে টেক্সটাইলের পাশাপাশি নতুন নতুন প্রতিযোগিতামূলক শিল্পের মাধ্যমে বৈচিত্র্য আনা প্রয়োজন। এ জন্য বিনিয়োগ, দক্ষতা বিনিময় এবং পণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহকে এক সূত্রে বাধা প্রয়োজন হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক গভীর করা, মিয়ানমারের মাধ্যমে পরিকল্পিত রেল সংযোগ স্থাপন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বাড়াতে পারে বাংলাদেশ। 

আরও পড়ুন>> পশ্চিম তীরে ইসরায়েলিদের ওপর হামলা

আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য সম্পর্ক এবং ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী জোটের কারণে (এ অঞ্চলে শক্তি প্রতিযোগিতায়) যুক্তরাষ্ট্রের পথ সুগম হবে। তবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে টার্গেট করা এবং (বাংলাদেশে) সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলী ওয়াশিংটনকে কঠিন অবস্থানে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছে আই-ডেটা।


আরও খবর
গাজায় ইসরায়েলের মন্ত্রীর ছেলে নিহত

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩