আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নিয়ে কাঁপছে তেঁতুলিয়া

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
শীতের দাপটে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। এদিকে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও ভ্যান, রিকশাচালকরা যাত্রীর অভাবে বেকার সময় পার করছেন

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ক্রমশ তাপমাত্রা নিচে নামতে শুরু করেছে। গত ৫ দিন ধরে টানা ১০ ডিগ্রি থেকে ৭ ডিগ্রিতে এসে নেমেছে।

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা তেঁতুলিয়ার চলতি শীত মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এতে করে উত্তর থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি হিমেল হাওয়া ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি ঘন কুয়াশায় দুর্ভোগে পড়ছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা।

দেখা গেছে, শীতের দাপটে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। এদিকে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও ভ্যান, রিকশাচালকরা যাত্রীর অভাবে বেকার সময় পার করছেন।

অন্যদিকে সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও উত্তাপ কম থাকায় জবুথবু সাধারণ মানুষ। এদিকে শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বেশি করে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ বয়স্করা।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র সহকারী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র নাথ জানান, শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) ৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।


আরও খবর



সিলেটে কালবৈশাখির তাণ্ডব: ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেট ও সুনামগঞ্জে রবিবার (৩১ মার্চ) রাতে বেশ কয়েক ঘণ্টা ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। রাত সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় এ শিলাবৃষ্টি। একেকটি শিলা ছিল বিশাল আকারের। চৈত্রের শেষে এমন শিলাবৃষ্টি বোরোসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া শিলাবৃষ্টির পর থেকে সিলেটের প্রায় সব স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে- প্রবল ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে সিলেটে বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হবার কারণে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার কাজ চলমান রয়েছে। কারো এলাকায় বিদ্যুৎ লাইনের তার ছিড়ে থাকলে বা ব্যানার ফেস্টুন অথবা গাছের ডাল-পালা বৈদ্যুতিক লাইনে পরে থাকলে তাদের অবগত করতে বলা হয়েছে।

জানা যায়, রবিবার তারাবীর নামাজের পর সিলেট মহানগরসহ বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। এরপর শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। ফলে রাস্তায় থাকা সাধারণ মানুষ, পথচারী ও ঈদের কেনাকাটায় যাওয়া লোকজন বিপাকে পড়েন। শিলায় প্রাইভেটকার ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহনের গ্লাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একেকটি শিলা আকারে অনেক বড় বড় ছিলো।

এর আগে সিলেটে এরকম শিলাবৃষ্টি দেখা যায়নি বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করছেন অনেকেই। অনেকেই গাড়ি ভাংচুরের ছবি আপলোড দিয়েছেন। কারও কারও বাসার টিনের চালা ফুটো ও জানালার কাঁচের গ্লাস শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া অনেকের ছাদে থাকা পানির ট্যাংক ও পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানা গেছে। আহত হয়েছেন খোলা জায়গায় ও রাস্তায় অবস্থান করা কেউ কেউ।

সিলেট মহানগরের টিলাগড় এলাকায় ঝড়ে আটকা পড়া বেসরকারি চাকরিজীবি সিরাজ উ্দ্দিন বলেন, যে বড় আকারের শিলা পড়েছে; তা আমরা ছোটবেলায় দেখেছি। এত বড় আকারের শিলাবৃষ্টিতে কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাও ইউনিয়নের পশ্চিমদর্শা এলাকায় একটি গ্যাসের রাইজারে আগুন লেগে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া এলাকায় ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুরো এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

অপরদিকে, সুনামগঞ্জে ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে হাওরের আগাম জাতের ধানের ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

শান্তিগঞ্জ উপজেলার এক বাসিন্দা বলেন- ঝড়ে পাগলা বাজারের টিনশেডের কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়কে গাছপালা ভেঙে পড়ায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। সুনামগঞ্জ শহরের ইকবালনগরে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে গাছ ভেঙে পড়ে যানচলাচল বন্ধ ছিল। আধা ঘণ্টার ব্যবধানে রাত সোয়া ১১টায় আবারও বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়।

ঝড়ে শান্তিগঞ্জ উপজেলা পাগলা, কান্দিগাঁও, আসামপুর, বাঘেরকোনাসহ একাধিক গ্রামের অন্তত ২০ টি কাঁচা, আধাপাকা ঘর লন্ডভন্ড হয়েছে বলে জানা গেছে। ঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাগলাবাজারের। বাজারে সড়কের দুইপাশের অস্থায়ী দোকানপাট ঝড়ের বেগে লন্ডভন্ড হয়ে যায়।

এদিকে, সুনামগঞ্জ শহরের কালীবাড়ি এলাকায় চলন্ত সিএনজির উপর গাছ ভেঙ্গে পড়ায় চালকসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতরা সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের বৈষভেড় গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা যায়।

সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের হাছন তোরণ এলাকায় একাধিক গাছ ভেঙ্গে সড়কে পড়ায় দুইপাশের পরিবহন আটকে তীব্র জানজটের সৃষ্টি হয়। ঘণ্টা ব্যাপী ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের চেষ্টায় সড়কে জান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. নিরুপন রায় চৌধুরী বলেন, ঝড়ের কবলে পড়ে আহত সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ৫ জন রোগী আসেন। তাদের মধ্যে সাদ্দাম নামের এক যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট ওসমানি মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে। রয়েল নামের আরেক যুবক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ঝড়ের সঙ্গে মাঝারি শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে হাওরের আগাম ধানের জাতের কিছু ক্ষতি হতে পারে। আমরা সব জায়গায় খবর পাঠিয়েছি। তবে এখন হাওরে ফসলের ক্ষতি তেমন হবে না বলে জানান তিনি।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, রাত সোয়া ১০টায় তীব্র বেগে ঝড় আসে। সঙ্গে বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ঝড়ে গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


আরও খবর



নাবিকদের মুক্তি : প্রধানমন্ত্রীর শুকরিয়া আদায়

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও জিম্মি ২৩ নাবিকের মুক্তির খবরে শুকরিয়া আদায় করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ কথা জানান। এ সময় অন্যদের মধ্যে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর এম মাকসুদ আলম উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, নাবিকদের মুক্তির সংবাদটি যখন প্রধানমন্ত্রীকে দেই, তিনি শুকরিয়া আদায় করেন। এত অল্প সময়ের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা (জিম্মি থেকে উদ্ধার) ফায়সালা করা নজিরবিহীন। নববর্ষের প্রথম দিনে হয়েছে, আমরা আনন্দিত। শুধু তাদের আত্মীয়স্বজন নয়, পুরো দেশবাসী খুবই আনন্দিত। আমরা আমাদের নাবিকদের মুক্ত করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, বিশ্ব মেরিটাইম সেক্টরে যারা যারা আছেন, সবাই যোগাযোগ রেখেছেন বিষয়টি ফায়সালা করার জন্য। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর ও আন্তর্জাতিক মেরিটাইম উইং তৎপর ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা নাবিকদের মুক্ত করতে তৎপর ছিলাম।

দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় ধরে তৎপরতার মধ্য দিয়ে জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করতে পেরেছি। এখন তারা আরব আমিরাতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।


আরও খবর



নো স্টুডেন্ট পলিটিক্স ইন বুয়েট: অপি করিম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ছাত্ররাজনীতি নিয়ে কয়েকদিন ধরেই উত্তাল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। এই ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের মাঝে তৈরি হয়েছে নানা মত। একদল চাইছে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি চালিয়ে নিতে, আরেক দল ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে অনড়। এমন অবস্থায় দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নানা মত দিচ্ছেন। এবার এই ইস্যুতে নিজের অভিমত জানালেন সাবেক বুয়েটিয়ান ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপি করিম। ক্যাম্পাসটিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে তিনি।

বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টে অপি করিম লিখেছেন, বুয়েটের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং এলামনাই হিসেবে আমি বুয়েটে সকল প্রকার ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে। বুয়েটের বর্তমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে আমি একাত্মতা ঘোষণা করছি এবং তাদের সফলতা কামনা করছি।

হ্যাশট্যাগে লিখেছেন, নো স্টুডেন্ট পলিটিক্স ইন বুয়েট। দেশজুড়ে আলোচিত এই ইস্যুতে নিজের মতামত স্পষ্টভাবে প্রকাশের জন্য নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসছেন অভিনেত্রী। মন্তব্যের ঘরে একজন লিখেছেন, সহমত। আর আমাদের শিল্পীদের মাঝে একজনকে পেলাম যিনি সত্যি বলতে দ্বিধা করেন না।

এবার একটু পুরনো দিনে ফিরে যাওয়া যাক। অপি করিম তখন বুয়েটের শিক্ষার্থী। সেসময় ছাত্র রাজনীতির বিরূপ অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছিলেন তিনি। বুয়েট ক্যাম্পাসে তখন ছাত্রদলের আধিপত্য। ২৮ আগস্ট ২০০২ সাল। অপি করিম তার মাকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন পরীক্ষা দিতে। এ সময় তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন তখনকার বুয়েট ছাত্র সংসদের ভিপি ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা গোলাম মোর্শেদ লায়ন।

সেদিন পরীক্ষা দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাছে গেলে লায়ন তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে অপির পথরোধ করে দাঁড়ান। তিনি অপিকে জোর করে তুলে নিয়ে যেতে চান। অপির সঙ্গে তার মা ছিলেন। এ ঘটনায় মা-মেয়ে দুজনেই ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। বুঝে উঠতে পারছিলেন না কী করবেন? এ রকম পরিস্থিতিতে অপি তার এক বান্ধবীর সাহায্য নিয়ে অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন আহমেদের বাসায় আশ্রয় নেন। লায়ন তখন দলবল নিয়ে ওই বাসার সামনে পাহারা বসান। পরে ডিবির গাড়ি এলে তারা কেটে পড়েন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এরপরই ছাত্রদের তীব্র আন্দোলন ও দাবির প্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ হয় ছাত্ররাজনীতি।


আরও খবর
নতুন খবর দিলেন বিদ্যা সিনহা মিম

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ পরীমণি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কলেজ বন্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) জানিয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর।

এতে বলা হয়, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষণা না করা পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহে ক্লাস বন্ধ থাকবে।

এর আগে শনিবার দুপুরে চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে খুলবে স্কুল-কলেজ।

এর আগে তীব্র গরমের কারণে সাত দিন মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের ছুটি ঘোষণা করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। মাউশির পক্ষ থেকে বলা হয়, সারাদেশের ওপর দিয়ে চলমান দাবদাহ ও আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতা জারির প্রেক্ষিতে মাউশি অধিদপ্তরের আওতাধীন সকল সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ২৮ এপ্রিল খুলবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো ঈদের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল থেকে খোলার কথা ছিল।

দাবদাহের কারণে তিন দিন হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ শনিবার থেকে তাপমাত্রা বেশি থাকবে। এ সময় সবাইকে গরম থেকে বাঁচতে সতর্কতার সঙ্গে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়।


আরও খবর



সোমবার ঢাকা আসবেন কাতারের আমির, সই হবে ৬ চুক্তি ও ৫ স্মারক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানি। এদিন বিকেলে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সফরকালে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রীয় অতিথি কাতারের আমির শেখ তামিমকে অভ্যর্থনা জানাবেন। পরদিন মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমিরকে তার কার্যালয়ে অভ্যর্থনা জানাবেন। এদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই নেতার বৈঠক হবে এবং এরপর আরও একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

পরে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির। সেখানে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর শেষে আমির মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গভবনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন এবং রাষ্ট্রপতি তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও কাতারের আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

এছাড়া মঙ্গলবার বিকেলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে রাজধানীর একটি সড়ক ও একটি পার্কের নামকরণ করা হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় পার্ক এবং মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়কের নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কাতারের আমির।

নির্বাচিত ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে একান্ত একটি বৈঠকও করবেন দেশটির আমির। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন।

সরকার এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে দুই দিনের বাংলাদেশ সফরে কাতারের আমিরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাকে স্বাগত জানাতে সব প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ। সফর উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের ছবি দিয়ে ঢাকার কয়েকটি রাস্তা সাজানো হয়েছে।

প্রায় ১৯ বছর পর বন্ধুপ্রতীম দেশ কাতারের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো ব্যক্তি ঢাকা সফরে আসছেন। ২০০৫ সালের এপ্রিলে কাতারের তৎকালীন আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আলে সানি বাংলাদেশ সফর করেন।


আরও খবর