আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে তেঁতুলিয়া

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
পঞ্চগড় প্রতিনিধি

Image

৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঁপছে তেঁতুলিয়া। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে এ অঞ্চলে। আজ শনিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত ১০ জানুয়ারি রেকর্ড করা হয়েছিল ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গত কয়েকদিন তাপমাত্রা বাড়লেও আজ তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৬ দশমিক ১ ডিগ্রিতে। গতকাল শুক্রবার রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

এদিন সকাল থেকেই দেখা গেছে সূর্যের মুখ। তবে অনুভূত হচ্ছে প্রচণ্ড কনকনে শীত। সূর্যের মুখ দেখা গেলেও মিলছে না রোদের উষ্ণতা। এতে দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী-কর্মজীবী গরীব অসহায় মানুষ। পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে শুরু করে ছোটখাটো যানবাহনের চালকরা পড়েছেন বিপাকে। তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না অনেকে। তবে জীবিকার তাগিদে কাউকে নদীতে পাথর তুলতে, কাউকে চা বাগানে আবার কাউকে দিনমজুরের কাজ করতে যেতে দেখা গেছে।

চা শ্রমিক রাজু, কামাল ও জামাল উদ্দিন বলেন, সকালে কনকনে শীত। রোদ দেখা গেলেও বাগানে কাজ করতে গেলে হাত-পা অবশ হয়ে আসে। এখন বাগানের পরিচর্যা চলছে। শীতের কারণে গাছের ফ্লাইং, কাটিং করতে খুব কষ্ট হয়। কিন্তু খিদে আর পরিবারের কথা চিন্তা করে কাজে বের হতে হয়।

পাথর শ্রমিক ইমরান, আরশেদ আলী ও আবু তাহের বলেন, ঠাণ্ডায় নদীর পানি বরফের মতো মনে হয়। তারপরেও পাথর তোলা আমাদের জীবিকা। তাই কাজে বেরিয়েছি। কদিন ধরে নদীর ঠাণ্ডা পানিতে কাজ করে জ্বর-সর্দিতে ভুগলাম। তবুও পরিবারের কথা চিন্তা করে সকালেই পাথর তোলার সরঞ্জাম নিয়ে বেরিয়ে পড়েছি। একই কথা জানান কয়েকজন দিনমজুর ও নারী পাথর শ্রমিক।

নারী পাথর শ্রমিকরা বলছেন, তীব্র শীতের কারণে তাদেরও কাজে যেতে কষ্ট হচ্ছে। ঘর-সংসার সামলে তাদের জীবিকার তাগিদে কাজে যেতে হয়। শীতের কারণে অনেক সময় কাজে যেতে দেরি হয়। তখন মহাজনরা কাজে নিতে চান না।

অপরদিকে বীজতলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। তারা জানান, ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতের কারণে ক্ষেতখামারে কাজ করতে পারছেন না। অনেক দেরিতে মাঠে যেতে হচ্ছে। এখন বোরো মৌসুম, ভুট্টা, মরিচ, গমসহ বিভিন্ন ফসলের বীজ বপন করতে হচ্ছে। শীতের কারণে বেলা করে ক্ষেতে গিয়ে কাজ এগোচ্ছে না বলে জানান তারা।

শীতের কারণে পড়ালেখা স্থবির হয়ে পড়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও। সকালে স্কুল শিক্ষার্থী তানিয়া, কাজল ও নাইমা খাতুন জানায়, কনকনে শীতে রাতে পড়তে কষ্ট হয়। তখন যেন তাপমাত্রা শূন্যতে চলে যায়। আর সকালে কুয়াশা আর বাতাসের কারণে প্রাইভেট এবং স্কুলে যেতে কষ্ট হয়।

এদিকে শীতের প্রকোপে বেড়েছে নানান শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।

চিকিৎসকরা বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল জানান, তেঁতুলিয়ায় আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১০ জানুয়ারি এ জেলায় ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বর্তমানে উপজেলার ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হচ্ছে।


আরও খবর



গরমের মধ্যে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শীত শেষে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৩৪ ডিগ্রিতে। সেই সঙ্গে বাড়ছে গরমও। দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি মার্চে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত। সেই সঙ্গে এ মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর মধ্যেই বৃষ্টির সুখবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামী পাঁচ দিনে দেশে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার (তিন দিন) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাঙামাটিতে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময় রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও বৃষ্টি হয়নি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী তিন দিনে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এই সময়ে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এর মধ্যে আগামী দুদিন (শনিবার ও রোববার) সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

তবে সোমবার দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচ দিনে ফের দিন ও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। সেই সঙ্গে এই সময়ে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


আরও খবর
ঢাকার বায়ু আজও অস্বাস্থ্যকর

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




ফেব্রুয়ারিতে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৫৫

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারা দেশে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৫০৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৫৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ১ হাজার ৩১ জন। বুধবার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে ১১৫ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩৫ জন নিহত ও ৩১৭ জন আহত হয়েছেন, সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে সিলেট বিভাগে ২১ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২২ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই মাসে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৪৬ টি দুর্ঘটনায় ৫৯৯ জন নিহত এবং ১ হাজার ৯৯ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে রেলপথে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩৭ জন নিহত, ও আহত হয়েছে ৬৪ জন। নৌ-পথে ৫টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ৪ জন আহত এবং একজন নিখোঁজ রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ১৭৩ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২১০ জন নিহত, ১২৯ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ, নিহতের ৩৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ ও আহতের ১২ দশমিক ৫১ শতাংশ।

ফেব্রুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে ১১৫টি। এতে ১৩৫ জন নিহত ও ৩১৭ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম হয়েছে সিলেট বিভাগে ২১টি। এতে ২২ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছেন।

মোট দুর্ঘটনার ৫৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ গাড়িচাপা দেওয়ার, ১৯ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষের, ১৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যাওয়ার ও ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ বিবিধ ঘটনা। চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ ও ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ২৮ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৬৩ জন চালক, ৩৪ জন পথচারী, ৪৯ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬৯ জন শিক্ষার্থী, ৬ জন শিক্ষক, ৯৩ জন নারী, ৫৮ জন শিশু, ৩ জন সাংবাদিক, ১ জন চিকিৎসক, ১ জন আইনজীবী, ১ জন মুক্তিযোদ্ধা এবং ৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৭১০টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১২ দশমিক ৯৫ শতাংশ বাস, ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা ও ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারিতে মোট দুর্ঘটনার ৩৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ১৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ ফিডার রোডে হয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে মোট দুর্ঘটনার ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে হয়েছে।

সংগঠনটি সড়ক দুর্ঘটনার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছে। এর মধ্যে ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ বা দুর্বল প্রয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম-দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়া ও সড়ক-মহাসড়কে অবাধ চলাচল, রোড সাইন বা রোড মার্কিং ও সড়কবাতি না থাকা, রাতে ফগ লাইটের অবাধ ব্যবহার, সড়ক-মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও অদক্ষ চালকের হার বৃদ্ধি, ফুটপাত বেদখল, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টো পথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি ও বেপরোয়া যানবাহন চালানো।


আরও খবর



‘গণমাধ্যমকে আরও শক্তিশালী ও মজবুত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠা করতে প্রস্তুত সরকার’

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গণমাধ্যমকে আরও শক্তিশালী ও মজবুত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠা করতে সরকার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে প্রেসক্লাবের ২০২৪ সালের কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্য প্রদানকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্তর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও টিভি টুডে-এর প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওচমান গণি পাটোয়ারী, চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বশির আহমেদ, দৈনিক যুগান্তরের যুগ্ম সম্পাদক ও ঢাকা পোস্টের সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল প্রমুখ।

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অণুজীববিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি সাহা, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকার কবির বকুলকে অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গণমাধ্যম এখন শিল্প। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বিকাশ ছাড়া গণতন্ত্র পূর্ণতা পাবে না। এরকম বাস্তবতায় সরকার গণমাধ্যমকে পূর্ণাঙ্গভাবে সকল সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছে। গণমাধ্যমকে আরও শক্তিশালী অবস্থায় মজবুতভাবে প্রতিষ্ঠা করতে সরকার প্রস্তুত। সে ক্ষেত্রে সরকার সাংবাদিকদের কাছ থেকে একই ধরণের সহযোগিতা চায়।

তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যম ও সরকারের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করা এবং গণমাধ্যম শিল্পকে আরও শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করানোর জন্য আমরা চেষ্টা করতে পারি। গণমাধ্যম কীভাবে সরকার বা কর্তৃপক্ষের জন্য সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে জবাবদিহি আনতে পারে, এমনকি সমালোচনা করতে পারে, সে কাজগুলোও আমরা করতে পারি।

তিনি এ সময় আরও জানান, পেশাদার সাংবাদিকদের মধ্যে সাংবাদিকতায় শৃঙ্খলা আনার একটি দাবি রয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিকতাকে এভাবে উন্মুক্ত ও অবারিত করেছেন, এমনভাবে স্বাধীনতা দিয়েছেন সেটা নিয়ন্ত্রণের কথা এখন সাংবাদিকরাই বলছেন। সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে চায় না। তবে যে কোনো পেশায় কিছু অপেশাদার মানুষ চলে আসে। সেসব ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই কিছু না কিছু শৃঙ্খলা আনার প্রয়োজন আছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এই শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করে। গণমাধ্যম সেক্টরে সরকার যা কিছু করবে তা এর সাথে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে আলাপ-আলোচনা ও পরামর্শের ভিত্তিতে করবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গণমাধ্যমের সামাজিক দায়বদ্ধতার পাশাপাশি বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক দিক আছে। বাণিজ্যিক দিক থেকে লাভবান করা না গেলে গণমাধ্যম অস্তিত্ব সংকটে পড়ে। এজন্য কোন গণমাধ্যমকে আমরা যদি সরকারি বিজ্ঞাপন বা ক্রোড়পত্রের উপর নির্ভরশীল করতে চাই, তাহলে সেটি দীর্ঘ মেয়াদে টিকে থাকা মুশকিল হবে। এক্ষেত্রে সংবাদপত্রকে আরও উদ্ভাবনী হওয়ার চেষ্টা করতে হবে, সৃজনশীলতা আনতে হবে কীভাবে পাঠকের কাছে পৌঁছানো যায়, কিভাবে সফল হওয়া যায়।

এ সময় তিনি আরও যোগ করেন সাংবাদিকদের সাথে নিয়েই সরকার গুজব ও অপতথ্যকে মোকাবিলা করতে চায়। গণতন্ত্রকে সফল করার জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা জরুরি। তবে অপতথ্য ও গুজবের বিস্তার গণতন্ত্রকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত করবে, তেমনি গণমাধ্যম ও পেশাদার সাংবাদিকতাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।


আরও খবর



শব্দের চেয়ে ৮ গুণ গতিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল হুতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

শব্দের চেয়ে ৮ গুণ গতিসম্পন্ন ভয়ঙ্কর হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। ধারণা করা হচ্ছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র লোহিত সাগর, এডেন উপসাগর ও আরব সাগরে অভিযান পরিচালনা করার জন্য ব্যবহার করতে পারে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটি।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) একটি সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরআইএ। এর আগে, ইয়েমেনের হুতি-নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে এডেন উপসাগরে একটি অ্যান্টিশিপ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছিল। তবে ওই উৎক্ষেপণের ফলে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিয়ে গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এডেন উপসাগরে চলাচলকৃত বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। গাজায় ইসরাইলি হামলার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেই এ হামলা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।

এদিকে, গত মঙ্গলবার মার্কিন যুদ্ধজাহাজে খুব কাছ থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে হুতিরা। সিএনএনের খবর অনুসারে, সেদিন হুতিরা ইয়েমেন থেকে লোহিত সাগরে ইউএসএস ল্যাবুন লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।


আরও খবর



চালু হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হাতিরঝিল র‍্যাম্প

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি মাসেই চালু হতে যাচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হাতিরঝিল র‍্যাম্প। এটি চালু হলে বিমানবন্দর থেকে আসা গাড়িগুলো সরাসরি নামতে পারবে এফডিসির সামনে হাতিরঝিলমুখী সড়কে।

হাতিরঝিল সংলগ্ন এই র‍্যাম্পটি চালু হলে সড়ক থেকে নেমে সোজা হাতিরঝিল, গুলশান, বাড্ডা, রামপুরা, বনশ্রী যেতে পারবে গাড়িগুলো।

এছাড়াও বাম দিক দিয়ে যাওয়া যাবে তেজগাঁও, বিজয় সরণি, মহাখালী। আর ডান দিক দিয়ে সহজে যাওয়া যাবে মগবাজার, কাকরাইল, হাইকোর্ট, সচিবালয় ও গুলিস্তানে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর যানজট নিরসনে সবচেয়ে বড় এই মেগা প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দর সংলগ্ন কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ খুলে দেওয়া হয় যান চলাচলের জন্য। মোট ১৫টি র‍্যাম্প আছে ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই অংশে।


আরও খবর