আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

সশস্ত্র বাহিনীকে ছাত্র-জনতার মুখোমুখি দাঁড় করাবেন না: সাবেক সেনাপ্রধান

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারকে দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েন সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়া।

তিনি বলেছেন, দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীকে ছাত্র-জনতার মুখোমুখি দাঁড় করাবেন না। পাশাপাশি বিজিবি ও সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন।

রবিবার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া।

বক্তব্যে বলা হয়, সংগঠিত সব হত্যাকাণ্ড, জখম, গুলি, হামলা, ভাঙচুর, সন্ত্রাসের ঘটনার স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য তদন্ত হতে হবে জাতিসংঘের নেতৃত্বে ও তাদের অধীনে।

এতে বলা হয়, গত তিন সপ্তাহ ধরে সারা দেশে হত্যাযজ্ঞ, নির্যাতন গুম ও গণগ্রেপ্তারের যে ঘটনা চলছে তাতে তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, মর্মাহত ও ব্যথিত। 'অজস্র কিশোর-তরুণের অকাল জীবনাবসান ঘটেছে' উল্লেখ করে আরও বলা হয়, আজ অভিভাবক হিসেবে নিজেদের দায়মুক্ত ভাবতে পারছি না। তাই, বিবেকের তাড়নায় আমরা দেশবাসীর সামনে হাজির হয়েছি।

দেশের নীতিনির্ধারকরা যদি বিবেক, বুদ্ধি ও হৃদয়হীন হয়ে না পড়েন, তাহলে গত কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড়, করুণ ও মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতো না। এসব হামলা, আক্রমণ ও প্রতিরোধে অঙ্গহানি ঘটেছে অগণিত মানুষের। অন্ধ হয়েছেন বহু সংখ্যক কিশোর ও তরুণ। অসহায় নাগরিকরা প্রয়োজনীয় ও জরুরি চিকিৎসাও পাচ্ছেন না। তার ওপর চলছে ব্লক রেইড করে সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে বাড়ি, ঘর ও মেস চিনে শিক্ষার্থীদের ধরে নিয়ে যাওয়ার মতো ভয়ংকর সব ঘটনা। মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন অথবা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন হাজার-হাজার নিরপরাধ কিশোর-তরুণ-যুবক।

তারা মনে করেন, সুস্থ মস্তিষ্কের কোনো বিবেকবান মানুষের পক্ষে দেশে এমন একটা যুদ্ধ পরিস্থিতি মেনে নেওয়া সম্ভব না। আমরা নিজেরা নিজেদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হতে পারি না। আমাদের দেশটাকে, এই রাজধানী ঢাকা ও জেলা শহরগুলোকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হতে দিতে পারি না।

তাদের ভাষ্য, আক্রমণকারীরা গণআন্দোলনের প্রতিরোধের মুখে পিছপা হতে বাধ্য হলে, পরবর্তী পর্যায়ে ব্যবহার করা হলো বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে। তাদেরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে, কখনো সম্মুখভাগে কখনো পেছনে ও পাশে দাঁড় করিয়ে অন্যান্য বাহিনীগুলো এই গণআন্দোলনের ওপর তাদের জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। কোনোভাবেই এমন পরিস্থিতির দায় দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীর নেওয়া উচিত নয়। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী অতীতে কখনো দেশবাসী বা সাধারণ জনগণের মুখোমুখি দাঁড়ায়নি। তাদের বুকে বন্দুক তাক করেনি।

অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিস্থিতি থেকে উদ্ভূত এই রাজনৈতিক সংকটকালে আমরা ক্ষমতাসীন সরকারের প্রতি রাজপথ থেকে সশস্ত্র বাহিনীকে তাদের ছাউনিতে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

আমাদের সীমান্ত এই মুহূর্তে অরক্ষিত উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলন দমনের জন্য সীমান্ত থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিজিবি সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে সশস্ত্র বাহিনীকে অবিলম্বে সেনা ছাউনিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেকোনো আপদকালীন সংকট মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রাখা প্রয়োজন।


আরও খবর



বৃহস্পতিবার থেকে চলবে আন্তঃনগর ট্রেন

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দীর্ঘ ২৭ দিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) থেকে সারাদেশে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। তবে আপাতত পারাবত এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস চলাচল শুরু হচ্ছে না।

বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল থেকে সারাদেশে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হবে। স্টেশনে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনী আছে। এছাড়া রেলের নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করবে। তবে পারাবত এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস কাল থেকে চলাচল শুরু হচ্ছে না।

এদিকে গত ১২ আগস্ট থেকে মালবাহী ট্রেন, ১৩ আগস্ট থেকে মেইল/এক্সপ্রেস/লোকাল/কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে গত ১৮ জুলাই থেকে বিভিন্ন জায়গায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছে। তবে সরকারের কারফিউ জারির পর ১৯ জুলাই থেকে পুরোপুরি বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। এর মধ্যে গত ১ থেকে ৩ আগস্ট সীমিত পরিসরে কমিউটার ট্রেন চলাচল করেছে। পরে ৪ আগস্ট রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে।


আরও খবর



মুন্সীগঞ্জে ৩ ফসলি জমি অধিগ্রহণ ব‌ন্ধের দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণ থেকে রক্ষার দাবিতে মুন্সীগঞ্জে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কৃষকরা। মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত দুই ঘন্টাব্যাপি জেলার সিরাজদিখান উপজেলার ঢাকা দোহার সড়কের খারসুর বাজার এলাকায় এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বিগত হাসিনা সরকার কর্তৃক মুদ্রণ শিল্প পার্কের নামে খারসুর মৌজার মালিকানাধীন তিন ফসলি একশ একর কৃষি জমি অধিগ্রহণ ব‌ন্ধের দাবী‌তে তারা এসব কর্মসূচি পালন করে।

এতে প্রায় ১০ টি গ্রামের ৫ শতাধিক কৃষক ছাড়াও সর্বস্থরের সহস্রাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। 

মানববন্ধনে কৃষকরা দ্রুত সময়ের মধ্যে কৃষি জমি অধিগ্রহণ বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, বিগত স্বৈরশ্বাসক শেখ হাসিনা তার দলীয় ও প্রশাসনিক ক্যাডারদের মাধ্যমে জোর করে মুদ্রণ শিল্প পার্কের নামের আমাদের ৩ ফসলি জমি অধিগ্রহণ করার নীল নকশা তৈরি করেছে । ইতিমধ্যে ১০০ একর জমি অধিগ্রহণ বিষয় কৃষকদের দুইটি চিঠি প্রেরণ করেছে। তবে অধিগ্রহণ বন্ধের দাবি জানিয়ে এর আগেও একাধিকবার  নিষেধ করলেও তারা কোন প্রকার কর্ণপাত করেনি৷

বরং অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে কিছু বললে কণ্ঠরোধ করা চেষ্টা করেছে। তারা আরো বলেন, যেনকোন মূল্যে তাদের পৈত্তিক সম্প্রতি রক্ষা করবেন তারা। এসময় প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে হলেও কৃষি জমি রক্ষার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

শিল্প কল কারখানার নামে জমি অধিগ্রহণ প্রতিরোধ বিষয়ক আহবায়ক কমিটির আহবায়ক মোঃ মাসুদ রানা বিপ্লব বলেন, এখানে যাদের জমি নেই সেসব দালালরা দালালি করে আমাদের ৩ ফসলি জমি অধিগ্রহণের নামে দখল করার চেষ্টা করছে। আমরা বারবার বাধা দিলেও তারা অধিগ্রহণ কর্মকান্ড বন্ধ করছেনা। এসময় তিনি হুশিয়ারী দিয়ে আরো বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ বন্ধ না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

নিউজ ট্যাগ: মুন্সীগঞ্জ

আরও খবর
সুন্দরগঞ্জে ত্রাণের ৩ টন চাল জব্দ

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




তাকসিম খানকে নিয়ে যা বললেন প্রবাসী শুভ কামাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ওয়াসার তাকসিম খান যখন থাকবেন না তখন বুঝবেন কি হারাইলেন! উনি ছিলেন আন্তর্জাতিক মানের ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট। তার আগে এবং পরের ওয়াসার সূচক গুলা পারলে একবার দেখে নিয়েন এনুয়াল রিপোর্টগুলা থেকে। হয়তো এক সময় এসব নিয়ে গবেষণা করবেন আপনারা যখন তিনি থাকবেন না।

তিনি স্ট্রাকচারাল চেঞ্জ করেছিলেন। ওয়াসা এখন অপারেট করে যেকোন প্রাইভেট কোম্পানির মত, তিনি সিইও। পৃথিবীর এত বড় মাপের সংস্থার সবচেয়ে কম পয়সা পাওয়া সিইও। এই সংস্থা পৃথিবীর সবচেয়ে জনঘনত্বপূর্ণ সিটিকে পানি দেয় নিরলস। তার চেহারা দেখেই ফান্ড দিতো নানা আন্তর্জাতিক সংস্থা, তার প্রেজেন্টেশন আর কাজের বর্ণনা শুনে।

এইযে মিডিয়া তার মেয়াদবৃদ্ধির সময়ে তার পেছনে লেগে যেত, কেন জানেন? তিনি সিস্টেম লস কমিয়েছিলেন, মানুষ ধান্ধা করতে পারতো না আগের মত। একবার এনুয়াল রিপোর্ট গুলা বের করে দেইখেন ১৫ বছর আগে অনেক কম গ্রাহক নিয়ে সিস্টেম লস কত ছিলো, আর এখন কত। প্রত্যেকটা সূচকে এই লোক এগিয়ে রেখেছেন ওয়াসাকে, তাই এইসব পড়েই নানা সংস্থা ওয়াসাকে ফান্ডিং করতো তার চেহারা দেখে।

পারলে তার কোন একটা আন্তর্জাতিক প্রেজেন্টেশন এর ভিডিও দেইখেন। আমারে সরকারি একজন কর্মকর্তা দেখাইয়েন তার মতো গাটস নিয়ে কনফিডেন্টলি প্রেজেন্ট করতে পারে।

এখন এই প্রতিষ্ঠানে আসবে কোন আমলা। যে আমলারা কেরু কোম্পানি ছাড়া সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানকেই স্বাধীনতার পর থেকে প্রফিটেবল বানাইতে পারেনাই। বিমান থেকে শুরু করে ইউ নেইম ইট, সব সরকারি কোম্পানি শুধু ভর্তুকির উপরেই বেঁচে থাকে ধুঁকে ধুঁকে।

আমলারা দাবি করেন তারা ম্যানেজার, তারা সব সামলাইতে পারেন। বাংলাদেশী সরকারি কোম্পানীগুলার রেকর্ড সেই কথা বলেনা। আবার এর প্রমাণ আন্তর্জাতিক কোম্পানীতেও দেখা যায়। আগে বোয়িং এর সিইও হইতো ইঞ্জিনিয়াররা, এখন ম্যানেজারদের হাতে তথা বিবিএ এমবিএ এর হাতে যাওয়ার পর বোয়িং এর কি অবস্থা হইছে দেখেন! তাকসিম খান ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার থেকে হওয়া ম্যানেজার।

তার মত স্কিলওয়ালা একজন বিদেশী সিইওকে কনসালটেন্ট হিসাবে আনতে ওয়াসার দিতে হবে মাসে মিনিমাম ২৫ লাখ টাকা, আপনারা ৬ লাখ দিতেই কান্নাকাটি করেছিলেন। আমি সামান্য ৫ বছরের অভিজ্ঞতা ওয়ালা আইটি কনসালটেন্ট, আমিই পাই ট্যাক্স দেয়ার আগে মাসে প্রায় ১০০০০ ডলার। কত সস্তায় লোকটাকে পাইছিলেন আপনারা বুঝলেন না। সামনে বুঝবেন! এই লোক যদি দুর্নীতি করতো তবে সে নিজের বেতন বাড়াইতে বলতো না। আর হ্যাঁ, তার আমেরিকায় ১৪ টা বাড়িও নাই!

এইযে রেকর্ড রাখলাম। বেঁচে থাকলে ২০২৪ সালের ওয়াসার এনুয়াল রিপোর্টের সাথে ২০৩০ সালের এনুয়াল রিপোর্টের তুলনা করে দেখাবো। গুডলাক!!!

নিউজ ট্যাগ: ওয়াসার তাকসিম

আরও খবর



৫ দিনের নতুন কর্মসূচি বিএনপির

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পাঁচ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালিত হবে।

বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দল ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের যৌথসভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি নির্ধারণে এই যৌথসভার আয়োজন করা হয়।

কর্মসূচিসমূহ হলো-

> ৩১ আগস্ট জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা। 

> ১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন। এরপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।

> ২ সেপ্টেম্বর মহানগর ও জেলায় র‍্যালি।

> ৩ সেপ্টেম্বর মহানগর, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে মৎস্য অবমুক্তকরণ।

> ৪ সেপ্টেম্বর জেলা, মহানগর, উপজেলা, ইউনিয়নে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিএনপির ১৯৮ কর্মী নিহত হয়েছেন। এ সময় বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে বিএনপিই সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বলে দাবি করেন।

তিনি বলেন, বিএনপি বরাবরই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন আন্দোলনে প্রায় দুই হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছে।


আরও খবর
ঢাকায় এসেছেন কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান

শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সাংবাদিকের হাত-পা ভাঙ্গতে চাওয়া সেই চেয়ারম্যানের পকেটে সরকারি প্রকল্পের বরাদ্দ

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

ঘাটাইলের সাগরদিঘীতে অবস্থিত মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসাটি একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। যার প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক সাগরদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.হাবিবুল্লাহ্। এই প্রতিষ্ঠানে একই অর্থবছরে চেয়ারম্যান তিনটি সরকারি উন্নয়ন বরাদ্দের প্রকল্প দিয়েছেন। টাকায় যার অঙ্ক ৭ লাখ ২৮ হাজার। উন্নয়ন প্রকল্পের আইনে একই অর্থবছরে একইস্থানে বা প্রতিষ্ঠানে একাধিক প্রকল্প দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এর ছিঁটেফোঁটাও মানেননি চেয়ারম্যান। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বললেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্প দিয়েছেন চেয়ারম্যান।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি, আর সাধারণ ১ম পর্যায়) কর্মসূচির উন্নয়ন প্রকল্পে সাগরদিঘী ইউনিয়নে প্রকল্পের নাম দেওয়া হয় সাগরদিঘী মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসায় রাস্তা এইচ.বি.বি করণ। বরাদ্দ দেওয়া হয় ৩ লাখ টাকা। একই কর্মসূচির টি,আর দ্বিতীয় পর্যায় এই ইউনিয়নে প্রকল্পের নাম দেওয়া হয় সাগরদিঘী (হাতিমারা) মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার মসজিদের টাইলস্ করণ। যার ব্যয় ধরা হয় ১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। এবং একই কর্মসূচির টি,আর তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের নাম মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসায় মাটি ভরাট। এই কাজে বরাদ্দ ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

সরেজমিনে দেখা যায়, চেয়ারম্যান তিন নামে যে প্রকল্প দিয়েছেন নাম ভিন্ন ভিন্ন হলেও প্রতিষ্ঠান একটাই মদিনাতুল উলূম মাদ্রাসা। মাদ্রাসাটির মালিক ও পরিচালক চেয়ারম্যান মো.হাবিবুল্লাহ্। স্থানীয়রা জানায় এটি কোনো অবৈতনিক মাদ্রাসা নয়। শিক্ষাক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠান। এলাকাবাসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কথা হয় সাগরদিঘী গ্রামের রাসেল ভূইয়া সঙ্গে। তিনি বলেন, তার সন্তান মদিনাতুল উলূম মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। মাস শেষে বেতন দিতে হয় এক হাজার টাকা। মাসুম মিয়ার সন্তান পড়ে প্লে-তে। তিনি জানান মাসিক বেতন ৮০০ টাকা। পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থীর বেতন এক হাজার ৫০০ টাকা বলে জানান হিমেল মিয়া নামে একজন অভিভাবক।

এদিকে একই অর্থবছরে একই প্রতিষ্ঠানে বেআইনিভাবে প্রকল্প দিয়ে ক্ষান্ত হননি চেয়ারম্যান। অভিযোগ উঠেছে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি,আর) কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারি যে নির্দেশনা রয়েছে তাও মানা হয়নি। সরকারি নির্দেশনায় কর্মসূচির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যে বলা আছে-গ্রামীণ এলাকায় অপেক্ষাকৃত দুর্বল ও দরিদ্র জনগণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি। গ্রামীণ এলাকায় খাদ্যশস্য সরবরাহ ও জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দারিদ্র বিমোচনে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করা। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায়, ভরাট কাজে ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও টাকা অনুসারে মাটি কাটা হয়নি। আর শ্রমিক দিয়ে নয়, কাজ হয়েছে যন্ত্র দিয়ে।

প্রকল্পের সভাপতি ছিলেন নারী ইউপি সদস্য মনোয়ারা বেগম। তাকে প্রকল্পের কাজের বিষয়ে প্রশ্্ন করা হলে উল্টো প্রতিবেদককে বলেন, কাজের হিসেব উপজেলায় লেখা আছে সেখান থেকে নেন। এই কথা বলে মোবাইল ফোনের সংযোগ কেটে দেন তিনি।

একইস্থানে একই অর্থবছরে একাধিক প্রকল্প দেওয়ার বিষয়ে উপজেলার একাধিক চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, এটা অন্যায় অনিয়ম। একইস্থানে এক অর্থবছরে শুধু টি,আর নয়, কাবিখা, কাবিটাসহ যেকোনো সরকারি বরাদ্দ দেওয়া আইন পরিপন্থী।

সাগরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.হাবিবুল্লাহ্ একজন কোরআনের হাফেজ ও মাওলানা এবং আওয়ামী লীগ নেতা। প্রকল্প দেওয়ার বিষয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোান নম্বরে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। মোবাইলে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও সারা মেলেনি।

ঘাটাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে একইস্থানে প্রকল্প দেন চেয়ারম্যান। এভাবে প্রকল্প দেওয়া যায় না, বিষয়টি তাকে বারবার বুঝানোর চেষ্টা করলেও তিনি মানতে রাজি হননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতিজা হাসান বলেন, একই অর্থবছরে একই প্রতিষ্ঠানে একটার বেশি প্রকল্প দেওয়া বিধিবর্হিভূত। বেনাম ব্যবহার করে প্রকল্প দিয়ে থাকলে তদন্ত করে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাফসান সাইফ সন্ধি, ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

নিউজ ট্যাগ: ঘাটাইল

আরও খবর
সুন্দরগঞ্জে ত্রাণের ৩ টন চাল জব্দ

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪