আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক ২৫ কর্মকর্তার বিএনপিতে যোগদান

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক ২৫ জন কর্মকর্তা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে দলটিতে যোগ দেন।

এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

এই ২৫ কর্মকর্তার মধ্যে সেনাবাহিনীর সাবেক ১৯ জন, নৌবাহিনীর সাবেক দুজন এবং বিমানবাহিনীর সাবেক চারজন কর্মকর্তা রয়েছেন। তাদের নামের তালিকা নিচে দেওয়া হলো।

সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক এই ২৫ জন কর্মকর্তা হলেন-

সেনাবাহিনীর ১৯ কর্মকর্তা: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জহুর, কমান্ডো-৪ কর্নেল (অব.) আব্দুল হক, লে. কর্নেল (অব.) আইয়ুব, লে. কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান, লে. কর্নেল (অব.) নওয়াজ, লে. কর্নেল (অব.) মুস্তাফিজ, লে. কর্নেল (অব.) সাঈদ আলম, লে. কর্নেল (অব.) রাশেদ, মেজর (অব.) আজিজ রানা, মেজর (অব.) কোরবান আলী, মেজর (অব.) জাকিউল, মেজর (অব.) আফাজ, মেজর (অব.) মোরতাজা, মেজর (অব.) ছাব্বির, মেজর (অব.) তানভীর, মেজর (অব.) আল আমিন, মেজর (অব.) মনিরুজ্জামান, ক্যাপ্টেন (অব.) গনিউল আজম, লে. ইমরান।

নৌবাহিনীর দুই কর্মকর্তা: রিয়ার এডমিরাল (অব.) মুস্তাফিজুর রহমান এবং কমডোর (অব.) মোস্তফা সহিদ।

বিমানবাহিনীর চার কর্মকর্তা: এয়ার কমোডর (অব.) শফিক, এয়ার কমোডর (অব.) শাহ শাহে আলম, স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) আকতার হাফিজ খান, স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) শফিকুল ইসলাম।

নিউজ ট্যাগ: বিএনপি

আরও খবর



দুবাই বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছালো এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছেছে। জাহাজের অবস্থান নির্ণয়কারী বৈশ্বিক সংস্থা মেরিন ট্রফিক এ তথ্য জানিয়েছে।

মেরিন ট্রফিক ডটকম সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে এমভি আবদুল্লাহ ওমান সাগর পাড়ি দিয়ে পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করে। অবস্থান ও গতিবেগ অনুযায়ী বাংলাদেশ সময় রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়।

এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, জাহাজের ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ আছেন। দুবাই পৌঁছানোর পর নাবিকদের দুজন ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফিরবেন। বাকি ২১ জন কয়লা খালাসের পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে জাহাজ নিয়ে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সোমালিয় দস্যুরা গত ১২ মার্চ বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করে। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে জাহাজটি জিম্মি করা হয়। এর ৩২ দিন পর গত ১৪ এপ্রিল জাহাজটি মুক্ত করে দেয় জলদস্যুরা। এরপরই সেটি সোমালিয়া উপকূল থেকে আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। জাহাজটি ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা পরিবহন করছে।

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে চট্টগ্রামভিত্তিক কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ নামের জাহাজটি জিম্মি করা হয়েছিল। এতে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হন জাহাজের ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু।


আরও খবর



বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতিকে সহ্য করতে পারে না : কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি এদেশের সাম্প্রদায়িকতার বিশ্বস্ত ঠিকানা, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক বলে মন্তব্য করেছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন উপলক্ষে বাহাদুর শাহ পার্কে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতিকে সহ্য করতে পারে না।  তাদের চেতনা ও হৃদয়ে পাকিস্তান।

বিএনপি-জামায়াত বাঙালি সংস্কৃতি চেতনার, মুক্তিযুদ্ধের শত্রু উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আজকে কোনো রাখঢাক নেই, আজকে যারা সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক সে বিএনপি-জামায়াত হচ্ছে বাঙালি সংস্কৃতি চেতনার, মুক্তিযুদ্ধের শত্রু। এই শত্রুকে আসুন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাঙালির ঐতিহ্যবাহী চেতনায় আমরা প্রতিহত করি, পরাজিত করি।

কাদের বলেন, বাংলাদেশের যে শিশু আজও সমুদ্রের মুখ দেখেনি, যে শিশু অকালে ঝরে যায়, বনফুলের মতো ফুটে, বনফুলের মতো অদৃশ্য হয়ে যায়, কমলা রঙের অপরাহ্ণের রৌদ দুহাতে গালে মাখে, সে শিশুদের জন্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা নির্মাণ করবো।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি প্রমুখ।


আরও খবর



বুড়িচং সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

কুমিল্লার বুড়িচং সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বিল্লাল হোসেন (২৮) নামের এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চড়ানল তেঁতুলতলা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

আহত বিল্লাল হোসেন রাজাপুর ইউনিয়নের লড়িবাগ এলাকার আলী আহমদের ছেলে।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, আহত বিল্লাল হোসেন চোরাই মাল নামানোর কাজের শ্রমিক। ভারত থেকে অবৈধপথে আসা চিনি ও অন্যান্য পণ্য ওঠা-নামার শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন তিনি। সোমবার রাত ৮টার দিকে তেঁতুলতলা সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে আসা চিনি নামানোর সময় বিএসএফের সদস্যরা গুলি চালায়। তাদের ছোড়া ছররা গুলিতে আহত হন বিল্লাল। তার শরীরে ৩০টির মতো ছররা গুলি লেগেছে। পরে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

এ বিষয়ে বিজিবির সংকুচাইল বিওপির কামান্ডার ফারুক কামাল বলেন, আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আমরা এ বিষয়ে কোনো তথ্য বা বক্তব্য দিতে পারব না।

কুমিল্লা বিজিবির সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও কেউ ফোন রিসিভ না করায় কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



টিপু-প্রীতি হত্যা: আ.লীগ নেতাসহ ৩৩ জনের বিচার শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর ফলে মামলাটির বিচার অনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আলী হোসাইনের আদালত এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ২১ মে সাক্ষ্যগ্রহণ পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. রফিক উদ্দীন (বাচ্চু) এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ২৫ এপ্রিল মামলায় দায়ে অব্যাহতির আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। এরপর আদালত ২৯ এপ্রিল অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন।

মামলার আসামিরা হলেন কথিত শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহম্মেদ মন্টু, ফ্রিডম মানিক ওরফে জাফর, প্রধান সমন্বয়কারী সুমন সিকদার মুসা, শুটার মাসুম মোহাম্মদ আকাশ, শামীম হোসাইন, তৌফিক হাসান ওরফে বিডি বাবু, ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মারুফ রেজা সাগর, ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরিফুর রহমান ওরফে ঘাতক সোহেল, মতিঝিল থানা জাতীয় পার্টির নেতা জুবের আলম খান রবিন, হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সোহেল শাহরিয়ার, মাহবুবুর রহমান টিটু, নাসির উদ্দিন মানিক, মশিউর রহমান ইকরাম, ইয়াসির আরাফাত সৈকত, আবুল হোসেন মোহাম্মদ আরফান উল্লাহ ইমাম খান, সেকান্দার শিকদার আকাশ, মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম মাতবর, আবু সালেহ শিকদার, কিলার নাসির, ওমর ফারুক, মোহাম্মদ মারুফ খান, ইশতিয়াক আহম্মেদ জিতু, ইমরান হোসেন জিতু, রাকিবুর রহমান রাকিব, মোরশেদুল আলম পলাশ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ তালুকদার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মারুফ আহমেদ মনসুর, রিফাত হোসেন, সোহেল রানা, ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক নেতা আমিনুল, সামসুল হায়দার উচ্ছল ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বাবুল।

২০২৩ সালের ৫ জুন ৩৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার।

২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শোরুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতিও নিহত হন। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হন টিপুর গাড়িচালক মুন্না।

এ হত্যাকাণ্ডের পর ওইদিন রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়।


আরও খবর



যেভাবে অপহরণের ৪৮ ঘণ্টা কেটেছে ব্যাংক ম্যানেজারের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বান্দরবানের রুমা থেকে অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিন রাসেলকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭টায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও নিরাপত্তা বাহিনী বিশেষ অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে। নেজামকে এরইমধ্যে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে পার্বত্য জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যা‌বের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন।

র‌্যাব এবং অপহৃত ম্যানেজার নেজামের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, ম্যানেজার নেজাম চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানালে, সন্ত্রাসীরা ভোল্ট ভাঙতে চেষ্টা করে। ম্যানেজার তাদের জানায়, ভল্টে আঘাত করলে সেন্সরের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক বিষয়টি সোনালী ব্যাংকের হেড অফিস জেনে যাবে। তখন তারা ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং পাহাড়ি এলাকায় পৌঁছানোর পর তার চোখ বেঁধে ফেলে।

দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা তাকে পাহাড়ের ঝিরিপথে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার সঙ্গে ১০-১২ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ছিল বলে র‍্যাবকে জানান নেজাম উদ্দীন। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তার চোখের বাঁধন খুলে দেয় এবং অন্ধকারে চলার জন্য তার হাতে একটি বাটন মোবাইল সেট ধরিয়ে দেয়। এভাবে প্রথম রাত কেটে যায়।

অপহরণের দ্বিতীয় দিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ম্যানেজারকে নাস্তা খেতে দেওয়া হয় এবং পায়ে হাঁটিয়ে পাহাড়ি ঝিরিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অপেক্ষমান ৩০-৩৫ জনের একটি দল ম্যানেজারকে কলা পাতায় করে গরম ভাত, ডাল ও ডিম ভাজি দিয়ে খেতে দেয়। সেখান থেকে হাঁটিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। নতুন অবস্থানে ম্যানেজারকে ১৫-২০ মিনিট বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭ পর্যন্ত সেখানেই তাকে রাখা হয়। রাতে ম্যানেজারকে ডাল ও ডিম ভাজি দিয়ে সদ্য রান্না করা ভাত খেতে দেয়।

অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন সূত্রে জানা গেছে, অপহরণকারীরা নিজেদের মধ্যে বম ভাষায় কথা বললেও ম্যানেজারের সাথে কথা বলার সময় তারা শুদ্ধ বাংলা ভাষা ব্যবহার করতো।

সূত্র জানায়, ২-৩ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নেজামকে সবসময় ঘিরে রাখতো। এছাড়া ১২-১৩ জনের একটি গ্রুপ তার আশেপাশে অবস্থান করতো। দ্বিতীয় দিন বুধবার রাত ৮ টার দিকে একটি মাচাং ঘরে (টং ঘর) কড়া সশস্ত্র প্রহরায় ম্যানেজারের রাতে ঘুমানোর ব্যবস্থা করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ম্যানেজার নেজামকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ দেয় এবং তিনি যেন প্রশাসনিক বা আইনি সহায়তা না নেন, সে বিষয়ে পরিবারকে সতর্ক করা হয়।

পরিবারের সাথে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারের ফোন কলের সূত্র ধরে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে র‌্যাব তাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। এরপর শুরু হয় সন্ত্রাসীদের সাথে র‌্যাবের যোগাযোগ।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকে ব্যাংক ম্যানেজারের স্ত্রী মাইসুরা ইসফাত এবং তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা রুমা উপজেলায় অবস্থান করছিলেন। ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারের পর ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে তাদেরকেও র‌্যাবের একটি গাড়িতে চড়িয়ে রাত সোয়া ৯টার দিকে আসা হয় বান্দরবান জেলা সদরের মেঘলা এলাকায় অবস্থিত র‌্যাব ১৫ কার্যালয়ে।


আরও খবর