আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

স্থানীয় নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image
২০০৮ এর নির্বাচনে জোটবদ্ধ আওয়ামী লীগের ভূমিধ্বস বিজয়ের পর দলটি টানা তিনটি মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এতটা দীর্ঘ সময় কোন ব্যক্তি বা দল রাষ্ট্র পরিচালনা করে নাই

১৩ অক্টোবর তারিখে বাংলা ট্রিবিউনের একটি খবরে চোখ আটকে গেল। শিরোনাম: নৌকা পেল বিতর্কিত অনেকে, তৃণমূলের ক্ষোভ।এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার এটাই মোক্ষম সময়। ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ সাধারণ নির্বাচন। এখন চলছে বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি। নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনীতিতে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। যেহেতু এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও দলীয় প্রতীকের ব্যবহার শুরু হয়েছে। তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন আগামী সাধারণ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করবে।

সাধারণ দৃষ্টিতে ভোটের মাধ্যামে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের মতো সাংগঠনিক সক্ষমতা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ব্যতীত আর কোন দলের নাই। ২০০৮ এর নির্বাচনের পর বিএনপিও তার সাংগঠনিক শক্তি অনেকাংশেই হারিয়ে ফেলেছে। ১৩ বছরে তাদের কর্মকাণ্ডই মূলত তাদের এই অবস্থার জন্য দায়ী। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া বন্ধ রেখে তারা রক্ষণাত্মক রাজনীতির পথে হাঁটছে। তাই আমরা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করতে পারি।

২০০৮ এর নির্বাচনে জোটবদ্ধ আওয়ামী লীগের ভূমিধ্বস বিজয়ের পর দলটি টানা তিনটি মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এতটা দীর্ঘ সময় কোন ব্যক্তি বা দল রাষ্ট্র পরিচালনা করে নাই। আগামী নির্বাচনেও জয়ী হয়ে দলটি আবার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিতে চাইছে, এতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু বর্তমান স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নে দলটির ভূল, আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সক্ষমতায় হয়তো কোন চিড় ধরাতে পারে।

টানা তের বছর ক্ষমতায় থাকায় তৃণমূলের নেতৃত্বে একটা ঢিলেমী ভাব এসে যাওয়া স্বাভাবিক। বৃহৎ দল হিসাবে দলটির ভেতরে সাংগঠনিক গ্রুপিং তো রয়েছেই। এছাড়াও যুক্ত হয়েছে সুবিধালোভী ব্যক্তিদের অণুপ্রবেশ। এই সুবিধালোভী ব্যক্তিরা নিজেদের আখের গোছাতেই আওয়ামী লীগের নির্বাচনী রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে দলটির সাংগঠনিক সক্ষমতায় চিড় ধরাচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়। আগামী সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যদি সংগঠন ও জনগনের ওপর নির্ভর করে জয়ী হতে চায়, তবে বর্তমানের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলটির উচিত হবে যোগ্য সাংগঠনিক ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেওয়া। কিন্তু অনেকাংশেই সেই কাজটি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিদিনের খবর দেখলেই বোঝা যায় সুবিধালোভী বিতর্কিত ব্যক্তিরা অনেক জায়গাতেই মনোনয়ন পেয়ে যাচ্ছে। বঞ্চিত হচ্ছে আওয়ামী লীগের রাজপথের কর্মীরা। যারা শুধু রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন আওয়ামী লীগের কর্মী নয়, বরং আওয়ামী লীগের বিপদের দিনে রাজপথের কর্মী। পাঠক, আসুন, কিছু খবরের শিরোনামে চোখ বোলানো যাক।“বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা নৌকার প্রার্থী, নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ” (প্রথম আলো-১১.১১.২০২১), নাটোরে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে পদত্যাগের হুমকি” (প্রথম আলো-১০.১১.২০২১), ঘোড়াশালে তৃণমূলের তালিকায় নাম না থাকা মুজাহিদ পেলেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন” (প্রথম আলো-৮-১০-২০২১), কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম পাঠানোয় অনিয়ম করলে ব্যবস্থা: কাদের” (বাংলা ট্রিবিউন-৮-১০-২০২১)। এইসব খবরে আশংকা জাগে সাধারণ নির্বাচনের দুই বছর আগের এই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মনোনয়ন ঘিরে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের শক্তি দুর্বল করে দেয় কিনা।

দেশজুড়ে ইউপি নির্বাচনের পাশাপাশি কিছু পৌরসভার নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ৭ অক্টোবর দশটি পৌরসভার দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড, যার মধ্যে নীলফামারী জেলার ডোমার পৌরসভাও রয়েছে। ডোমার পৌরসভায় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে গনেশ কুমার আগরওয়ালকে, যার নাম তৃণমূল থেকে পাঠানো প্রার্থী তালিকায় ছিল না। ডোমারের আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো এই মনোনয়নে বিষ্মিত। গনেশ কুমার আগরওয়ালা তার দলীয় পরিচয়ে উল্লেখ করেছেন তিনি উপজেলা যুবলীগের নেতা এবং উপজেলা ছাত্রলীগের প্রাক্তন সহ-সভাপতি। কিন্তু তার সময়ের ডোমার ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মীই তাকে ছাত্রলীগের কর্মী হিসাবে চেনেন না। ডোমারের রাজনৈতিক ইতিহাসে তার কিংবা তার পরিবারের কারোরই আওয়ামী লীগের সাথে কোন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা কখনোই ছিল না। বরং বরাবরই তার পরিবার আওয়ামী লীগের বিরোধীপক্ষ হিসাবেই পরিচিত। গণেশ কুমার আগরওয়ালার পিতা বানোয়ারি লাল আগরওয়ালা ডোমারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত।

২৩.০৬.১৯৯২ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মতিন চৌধুরী ডোমারে গেলে ডোমার বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় মন্ত্রীকে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে বওয়ারি লাল আগরওয়ালা বিএনপিতে যোগদান করেন এবং মন্ত্রী তার বাড়িতে আতিথ্য গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের মন্ত্রী, জামায়াত নেতা যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী ডোমার গেলে তার বাড়িতে আতিথ্য গ্রহণ করেন।

এছাড়াও ১৯৯৬ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় তৎকালীন ডোমার ছাত্রদল নেতা আসাদুজ্জামান চয়ন ও আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে বিএনপির সমর্থকরা আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর করে এবং বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবির অবমাননা করে। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ (বর্তমান ডোমার উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-০৬, তারিখ: ২৯.০৭.১৯৯৬, জি আর নং- ৪৬/৯৬)। এই মামলার অন্যতম আসামী গণেশ কুমার আগরওয়ারের বড় ভাই গোবিন্দ কুমার আগরওয়ালা।  কথিত আছে, গণেশ কুমার আগরওয়ালা টাকার বিনিময়ে ডোমার উপজেলা যুবলীগের কমিটিতে নিজের নাম লেখান।

ডোমার পৌরসভার মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন ডোমার আওয়ামীলীগের দুইজন ত্যাগী নেতা। এনায়েত হোসেন রতন নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ময়নুল হক মনু ডোমার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। দুইজনই ৮৯’র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ৯৫’র সারের দাবিতে আন্দোলন, ৯৬’র অসহযোগ আন্দোলন সহ গত ৩৫ বছরে আওয়ামী লীগের সকল আন্দোলন-সংগ্রামের প্রথম সারির কর্মী। ১৯৯৫ সালে সারের দাবিতে কৃষকদের সাথে আন্দোলন করতে গিয়ে তৎকালীন বিএনপি সরকারের রোষানলে পড়ে ময়নুল কারাবরণও করেন। এমন ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে আওয়ামীবিরোধী হিসাবে পরিচিত ও অবাঙালি সংস্কৃতির পরিবারের সদস্য একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার পুরো উপজেলাজুড়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলো সাধারণ নির্বাচনের পূর্বপ্রস্তুতি। আওয়ামী লীগ যদি দ্বাদশ সাধারণ নির্বাচনে সত্যিকার অর্থেই জয়ী হয়ে আবার সরকার গঠন করতে চায়, তবে তাদের উচিত হবে এইসব বিতর্কিত ব্যক্তিদের মনোনয়ন বাতিল করে দল থেকেও বহিষ্কার করা। নইলে পরবর্তীতে রাষ্ট্রের রাজনৈতিক রূপ অনেকবেশি লুপ্ত হবে। রাজনৈতিক ক্ষমতা রাজনীতিবিদের চেয়ে আমলা ও ব্যবসায়ীদের হাতে বেশি চলে যাবে। যা কোনভাবেই দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গলজনক হবে না।

লেখকঃ সৈয়দ এরশাদুল হক মিলন

লিটলম্যাগ সম্পাদক ও

সাবেক যুগ্ম আহবায়ক

ডোমার উপজেলা ছাত্রলীগ।


আরও খবর



মার্চের ২৯ দিনে এলো ১৮১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রতিবছরই রমজান মাসে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স তথা প্রবাসী আয় বেড়ে যায়। তবে এবার খুব বেশি রেমিট্যান্স আসেনি। চলতি মার্চ মাসের প্রথম ২৯ দিনে বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৮১ কোটি ৫১ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। প্রতিদিন গড়ে আসছে ৬ কোটি ২৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধ‌রে) যার পরিমাণ ১৯ হাজার ৯৬৬ কোটি টকা।

রোববার ( ৩১ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি মার্চের প্রথম ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮১ কোটি ৫১ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২২ কোটি ৭৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৩ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫৪ কোটি ৯৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭৪ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি মার্কিন ডলার আর ফেব্রুয়া‌রি‌তে আসে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। 

২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার,  ফেব্রুয়ারি ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার। যা সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স।


আরও খবর



সাত বছরের বড় মডেলের সঙ্গে শাহরুখপুত্র আরিয়ানের প্রেমের গুঞ্জন

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

পাপারাৎজিদের এড়িয়েই চলেন বলিউড কিং খান শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খান। তাও ক্যামেরা তার পিছু ছাড়ে না। কার সঙ্গে পার্টি করছেন, কাকে নিয়ে কনসার্টে যাচ্ছেন সবই ধরা পড়ে ক্যামেরায়। এবার প্রকাশ্যে এল নয়া তথ্য। আরিয়ান খানের প্রেমিকা কে, তা নিয়ে গুঞ্জনের শেষ নেই। অনন্যা পাণ্ডে একবার বলেছিলেন যে তিনি এবং আরও অনেকেই আরিয়ানকে পছন্দ করেন কিন্তু আরিয়ান তাদের এড়িয়েই চলেন। এবার সামনে এল আরিয়ানের প্রেমিকার খবর।

শোনা যাচ্ছে, নিজের চেয়ে সাত বছরের বড় এক ব্রাজিলিয় মডেল ও অভিনেত্রী লারিসা বনেসির প্রেমে পড়েছেন আরিয়ান। তার সঙ্গেই শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের রোমান্সের কানাঘুষা। এক ব্যক্তি লক্ষ্য করেছে যে, শাহরুখের ছেলে শুধু লারিসা নয়, লারিসার পুরো পরিবারকে ফলো করে এবং এর ব্রাজিলিয়ান সুন্দরীও ফলো করে পুরা খান ফ্যামিলিকে। উপরন্তু, আরিয়ান লারিসার মাকে তার জন্মদিনে একটি উপহার পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে, যেমনটি তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দেখা গেছে।

লারিসা পেশায় একজন অভিনেত্রী। তাকে গুরু রান্ধাওয়ার সুরমা সুরমা’ মিউজিক ভিডিও, স্টেবিন বেনের মিউজিক ভিডিও এবং এমনকি বিশাল মিশ্রের সঙ্গে একটি অ্যালবামেও দেখা গেছে। অক্ষয় কুমার এবং জন আব্রাহমের সঙ্গে ব্লকবাস্টার গান সুভা হোনে না দে’ দিয়ে বলিউডে কাজ শুরু করেছিলেন। টাইগার শ্রফ, সুরাজ পাঞ্চোলির সঙ্গেও কাজ করেছেন। সাইফ আলি খানের গো গোয়া গন’-এ পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে হিন্দি সিনেমায় লারিসার অভিষেক হয়।


আরও খবর
নতুন খবর দিলেন বিদ্যা সিনহা মিম

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ পরীমণি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




সিরিয়ায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নিহত ৩৬

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আবারও সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদি ইসরায়েল। এতে অন্তত ৩৬ সিরীয় সেনা নিহত হয়েছেন। সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশের একটি এলাকায় স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৯ মার্চ) ভোরের আগে হামলা চালায় ইসরায়েল। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, আলেপ্পো প্রদেশে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লার অধীনে থাকা একটি রকেট ডিপোর কাছে এই হামলা চালানো হয়। সংস্থাটি জানায়, ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি কয়েক ডজন আহত হয়েছেন।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, ভোরের আগে চালানো হামলায় বেসামরিক মানুষ ও সামরিক কর্মী নিহত ও আহত হয়েছেন।

এর আগে, সিরিয়ায় বিমান হামলায় ১৩ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ইরানপন্থি অন্তত ৯ জনসহ একজন কমান্ডার ছিলেন। মঙ্গলবার সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ওই হামলা চালানো হয়।


আরও খবর



কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ভোটার কত, তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬ জুনের মধ্যে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, নির্বাচন কমিশনসহ তিনজনকে এ তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে কক্সবাজারের ঈদগাহ ইউনিয়নের ৩৮ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে গতকাল ২৩ এপ্রিল স্থানীয় ভোটার মো. হামিদুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া একটি রিট দায়ের করেন। রিটে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা কতজন রোহিঙ্গা কক্সবাজারে নাগরিকত্ব পেয়ে ভোটার হয়েছেন তা খুঁজে বের করতে উচ্চপর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি করতে সরকারের সংশ্লিষ্টাদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়।

একই সঙ্গে ভোটার তালিকা থেকে রোহিঙ্গাদের বাদ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। এছাড়া সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করা পর্যন্ত ঘোষিত তফসিলে নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ বন্ধ বা স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়।

রিটকারী আইনজীবী জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন ৪০ রোহিঙ্গা। তাদের তালিকা যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়েছে।

এছাড়া একই ইউনিয়নে কয়েকশ (সাড়ে তিনশ) রোহিঙ্গা নাগরিক হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে তাদের নাগরিকত্ব থেকে বাদ দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করা পর্যন্ত ওই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়েছে রিটে বলেও জানান রিটকারী আইনজীবী।


আরও খবর



তুরস্কে স্থানীয় নির্বাচনে এরদোগান বিরোধীদের জয়

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তুরস্কের স্থানীয় নির্বাচনে প্রধান নগরীগুলোতে বড় জয় পাওয়ার দাবি করেছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি। ধারণা করা হচ্ছে, ইস্তাম্বুল ও রাজধানী আঙ্কারায় দুই দশকেরও বেশি সময় পর প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং তার জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) সবচেয়ে বড় পরাজয় হতে যাচ্ছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিবার (৩১ মার্চ) ইস্তাম্বুলে স্থানীয় নির্বাচনে ৯৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।

শহরটির মেয়র সিএইচপি পার্টির একরেম ইমামোগলু জানিয়েছেন, তিনি ক্ষমতাসীন একে পার্টির প্রার্থীকে ১০ লাখের বেশি ভোটে হারিয়েছেন।

ভোটের পর এক প্রতিক্রিয়ায় সাবেক ব্যবসায়ী ইমামোগলু জানিয়েছেন, যারা জাতির বার্তা বোঝে না তারা শেষ পর্যন্ত হেরে যাবে। আজ রাতে ইস্তাম্বুলের এক কোটি ৬০ লাখ নাগরিক আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী এবং প্রেসিডেন্টের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছে।

তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারাতেও জয় পেয়েছে সিএইচপি দলীয় মেয়র মনসুর ইয়াভাস। তুরস্কের তৃতীয় বড় শহর ইজমিরেও এগিয়ে আছে সিএইচপি।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির পক্ষ থেকে বলা হয়, তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের মধ্যে ৩৬টিতেই জয় পেয়েছে সিএইচপি।

এদিকে ভোটে এগিয়ে থাকার খবর পাওয়ার পর বিরোধী সমর্থকেরা উদযাপন করতে ইস্তাম্বুলে জড়ো হয়েছিল। হাজার হাজার মানুষ মশাল জ্বালিয়ে এবং তুর্কি পতাকা নেড়ে ভোটের ফল উদযাপন করে।

স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে দেওয়া এক ভাষণে এরদোয়ান বলেন, সারা দেশে তার দলের জনপ্রিয়তা কমেছে। এই ফল মূল্যায়ন করে ভুলগুলো সংশোধন করা হবে।’

২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত আগের নির্বাচনে সিএইচপির ইমামোগলু হারিয়ে দিয়েছিলেন এরদোয়ান ও তার দলকে। দুই দশক পর তিনি ইস্তাম্বুলকে এরদোয়ানের হাতছাড়া করেছিলেন। এবারের পরাজয়ও এরদোয়ানের জন্য বড় আঘাত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।


আরও খবর