আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

স্থায়ী হলো দ্রুত বিচার আইন, সংসদে বিল পাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে প্রণীত দ্রুত বিচার আইন স্থায়ী করেছে সরকার। আইনটি এতদিন বিভিন্ন মেয়াদে সময় বাড়িয়ে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এবার সময় বাড়ানোর পরিবর্তে স্থায়ী রূপ দিতে জাতীয় সংসদে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) বিল পাস করা হয়েছে। এসময় বিরোধী দলের নেতারা সমালোচনা করে সংসদে আইনটি স্থায়ী না করার প্রস্তাব দিলেও কণ্ঠভোটে তা নাকচ হয়ে যায়।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিলটি পাসের জন্য সংসদে তোলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

২০০২ সালে প্রথম এই আইনটি করা হয়েছিল দুই বছরের জন্য। এরপর ৭ দফা এই আইনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালে আইনটি সংশোধন করে মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ৯ এপ্রিল এই আইনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর মধ্যে আইনটির মেয়াদ না বাড়িয়ে তা স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ২৯ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেদিন মন্ত্রিসভায় বিলের খসড়া অনুমোদনের পর মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত বিল সংসদে পাস হলো। বিলে আইনটি স্থায়ী করা ছাড়া অন্যকোনো সংশোধনী আনা হয়নি।

বিল পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক বলেন, ২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার যখন আইনটি করেছিল তখন আপনারা (তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ) বলেছিলেন এটি নিপীড়নমূলক ও কালো আইন। এই আইনটা রাজনৈতিক কারণ বা সরকার চাইলে যেকোন কারণে নাগরিককে হয়রানি করতে পারে। সে আইনটা আপনারা রেখেছেন। আমি জানি না কেন রেখেছেন?

চুন্নু বলেন, যখন আপনারা ক্ষমতায় থাকবেন না, স্থায়ীভাবে আইনটা করবেন, অন্য কেউ ক্ষমতায় আসবেন, তখন উদ্দেশ্য তো ভালো নাও থাকতে পারে। আপনারা কি এটা বলতে চান, বিএনপি যে আইনটা এনেছিল তা ভালো ছিল? এটাই আজকে স্বীকার করুন। র‌্যাবের যখন গঠন করা হয়েছিল আওয়ামী লীগসহ অনেক রাজনৈতিক দল বিরোধিতা করেছিল। সেই র‌্যাব এখন টিকে আছে, তারা কাজ করছে। সরকারের কাছে অনুরোধ, যদি প্রয়োজন পড়ে এক/দুই বছর আইনের মেয়াদ বাড়ান। কিন্তু আইনটা স্থায়ী করবেন না, করলে ভবিষ্যতে একদিন আপনাদের এমন অবস্থা হবে, সেদিন আফসোস করবেন।

জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আইনটি আনা হয়েছিল বিএনপির সময়। ওই সময় আমরা ও আজকের আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধিতা করেছিলাম। তারপরও আইনটি পাস হয়েছিল। আজকেও পাস হবে। আমার প্রশ্ন হলো যার জন্য গর্ত খুঁড়বেন, নিজেকেই সেই গর্তে পড়তে হয়। আজকে বিএনপি সেই গর্তে পড়েছে। এখন আওয়ামী লীগ আইনটিকে স্থায়ী করতে নিয়ে এসেছে। দিন এক রকম থাকবে না। তিনি আইনটিকে স্থায়ী না করে পাঁচ/চার বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।

বিরোধী দলের সমালোচনার জবাবে আইনটি করার সময় বাংলাদেশে অরাজক পরিস্থিতি ছিল বলে দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সেসময় নানা ধরনের অপরাধ হতো, তাই হয়ত আইনটি তৎকালীন সরকার করেছিল। আমি মনেকরি আইনটি করার উদ্দেশ্য ছিল তাৎক্ষণিক বিচার যেন মানুষ পায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীরা যাতে শাস্তি পায় সেটাই মূল উদ্দেশ্য ছিল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্যরা অনেক সময় আমাদের কাছে পাঠান যেন এ আইনের মাধ্যমে বিচার হয়। শুধু সংসদ সদস্য না, অনেকেই আইনটি ব্যবহার করার জন্য আমাদের কাছে সুপারিশ পাঠান। কারণ একটাই যাতে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে অপরাধীরা শাস্তি পায়। সংসদ সদস্যদের কেউ বলেনি আইনটি বাতিল করে দেন। কেউ বলেননি আইনটি যথাযোগ্য নয়। তারা সময় বৃদ্ধি করে দিয়ে আইনটি চালু থাকার কথা বলেছেন। আইনটি একই রকম আছে আমরা কোনো রকম সংশোধন করি নাই। কাউকে উদ্দেশ্য করে বা ক্ষতি করার জন্য আইনটি হয়নি। কোনো রাজনৈতিক নেতা বলতে পারবেন না, এ আইনের মাধ্যমে শাস্তি হয়েছে।

সংশোধনীর আলোচনায় মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন আইনটি ভালো। তাহলে বিএনপি যখন আইনটি করেছিল আপনারা তার বিরোধিতা করেছিলেন কেন? এখন ভালো হয়ে গেল! আপনি বলেছিলেন, অপপ্রয়োগ হয় কিনা যারা আন্দোলন করছে তারা বলতে পারবে। আমরা যদি কখনো আপনাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাই তখন বলতে পারব অপপ্রয়োগ হচ্ছে কিনা।

পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আইনটি কখন আনা হয়েছিল তা মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। শান্তির পরিবেশ তৈরির জন্য আইনটি স্থায়ী করা হচ্ছে।


আরও খবর



রায়পুরায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত, আহত ১০

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীর রায়পুরার নিলক্ষায় বালু ব্যবসা এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় দুইজন গুলিবিদ্ধসহ আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে রায়পুরা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল নিলক্ষায় ইউনিয়নের বীরগাঁও সোনাকান্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত সাগর মিয়া (২০) নিলক্ষা ইউনিয়নের সোনাকান্দি গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে এবং একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তারসহ নানা কারণে নিলক্ষা গ্রামের রাজিব সরকারের সঙ্গে একই এলাকার আনোয়ার সকারের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দ্বন্দ্বের জের ও হামলা মামলায় দীর্ঘদিন ধরেই এলাকা ছাড়া ছিলেন রাজিব ও তার সমর্থকরা। বুধবার সকালে রাজিবের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এলাকা দখলের জন্য বীরগাঁও, সোনাকান্দি, আমিরাবাদসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়। এ সময় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গেলে বীরগাঁও এলাকার আনোয়ার গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। দুপক্ষের গোলা-গুলিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এর মধ্যে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেয়ার পথেই গুলিবিদ্ধ হয়ে সাগর মিয়ার মৃত্যু হয়। পুলিশি গ্রেপ্তারসহ আইনি জটিলতা এড়াতে আহতদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়েছেন স্বজনরা।

নরসিংদীর সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) আফসান আল-আলম জানান, সোনাকান্দি এবং আমিরাবাদ গ্রামের পূর্ববিরোধসহ বালু ব্যববসাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহতের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: নরসিংদী

আরও খবর



নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ পরীমণি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

চিত্রনায়িকা পরীমণি ব্যক্তিজীবনের নানা ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আলোচনায় থাকেন। সম্প্রতি বছরখানেক আগে বোট ক্লাবে মদ খেয়ে মারামারিতে জড়ানোর কাণ্ডে আরও একবার সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন।

এছাড়াও সংসার, বিচ্ছেদ বিতর্ক যেন পরীর সর্বক্ষণের সঙ্গী। তবুও পরীমণি থামেন না, ব্যক্তিজীবনে সিঙ্গেল মাদার হিসেবেই এগিয়ে চলেছেন একমাত্র ছেলে পূণ্যকে সঙ্গে নিয়ে।

পরীমণির জীবনে এখন তার সবচেয়ে বড় শক্তি ছেলে পূণ্য। তাকে নিয়েই সকল ব্যস্ততা, যত আয়োজন। তবুও নিজের প্রতিও অনেক ভালোবাসা রয়েছে নায়িকার। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তেমনটাই জানান দিয়েছেন তিনি।

বুধবার নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি ছবি প্রকাশ করেছেন এই নায়িকা। যেই ছবিতে পরীমণি জানিয়েছেন, নিজের প্রতি মুগ্ধতার কথা।

অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা একটি ছবি প্রকাশ করে পরী লিখেছেন, এমন মুগ্ধ হয়ে এর আগে নিজেকে চেয়ে দেখিনি কখনো। এখন দেখি। প্রাণভরে নিজেকে দেখি। আর সাহস করে নিজেকে নিজের ভালোবাসার কথা জানান দেই। নিজেকে ভালোবাসার মতো প্রেম যে দ্বিতীয়টি আর নেই।

পরীমণির সেই ছবিতে মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন ভক্ত থেকে শুরু করে সহশিল্পীরাও। বিবাহবিচ্ছেদ, বোট ক্লাব কাণ্ড নানা কারণে বিতর্ক থাকলেও পরীমণি ব্যস্ত থাকেন নিজেকে নিয়েই। নিজের প্রতিই মুগ্ধতা, ভালোবাসার শেষ নেই তার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ছবি প্রকাশ করেই যেন আরও একবার সেই বার্তাটিই পৌঁছে দিতে চাইলেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফেলু বক্সী নামের কলকাতার একটি ছবির ঘোষণা দিয়েছেন পরীমণি। যেটা নির্মাণ করছেন দেবরাজ সিনহা। ছবিতে তার সঙ্গে আছেন সোহম চক্রবর্তী ও মধুমিতা সরকারের মতো তারকা।


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে শেষ মুহূর্তে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা ও স্বজনেরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে নির্বাচনে আর মাত্র এক দিন বাকি। শেষ মূহুর্তের প্রচারণায় জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। প্রথম ধাপের ৮ই মে নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের কাছে ছুটছেন প্রার্থীরা। সভা-সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়।

ভোটারদের মন জয় করতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রতিদিন ব্যবহার করছেন নতুন নতুন কৌশল। চলছে পোস্টার, ফেস্টুন ও লিফলেট বিতরণ। সেই সঙ্গে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গণসংযোগ, পথসভা ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।

বিগত নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে কে কি করেছেন, নতুন রা জয়ী হলে কি করবেন, সেই প্রতিশ্রুতি নিয়ে ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। তাদের বিরামহীন প্রচারণায় ইতোমধ্যে জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ভোটারদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে বেশ আগ্রহ। তারাও হিসাবনিকাশ করতে শুরু করছেন-কার হাত ধরে হবে উপজেলা বাসীর ভাগ্য উন্নয়ন। যোগ্য প্রার্থী বেছে নেয়ার পাশাপাশি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ চান ভোটাররা। ৮ই মে ভোটাররা ভোট দিয়ে আগামী পাঁচ বছরে জন্য যোগ্য চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন।

সাধারণ ভোটাররা জানান, জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিপদে-আপদে পাশে পাওয়া যাবে এমন প্রার্থীকেই ভোট দেবেন তারা। জনবিচ্ছিন্ন কোনো প্রার্থীকে তারা চান না। আগামী ৮ই মে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনবান্ধব ও পছন্দের প্রার্থীর পক্ষেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চান।

জানা গেছে, এ উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১২ জন প্রার্থী। চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন। গত ২৩ শে এপ্রিল প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পরপরই নির্বাচনের মাঠ সরব হয়ে উঠেছে এ উপজেলায়। এর আগে এই উপজেলায় মোট ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় মোট ১০টি ইউনিয়ন। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭১ টি। কক্ষের সংখ্যা ১৪২৪, মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার ২২২জন।

প্রতিটা কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়ে ভোটাররা যেন বাড়ি ফিরতে পারে এমন প্রস্তুতি রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।


আরও খবর



শেষ দিনে পদ্মা সেতু হয়ে স্বস্তিতে ঘরে ফিরছে মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রায় গতকাল যানবাহনের ঢল থাকলেও আজ অনেকটাই চাপশূন্য ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতুর মাওয়া টোলপ্লাজা। ঈদযাত্রার শেষ দিনে বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল থেকে এই পথে যানবাহনের ক্রমাগত উপস্থিতি থাকলেও নেই কোনো জট কিংবা গাড়ির সারি। এতে অনেকটাই ভোগান্তিহীন স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ।

সকালে দেখা যায়, মাওয়া টোলপ্লাজায় ৭টি বুথের মধ্যে ৬টি দিয়ে গণপরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত যানবাহন পাড়ি দিচ্ছে সেতু। মোটরসাইকেলের জন্য রয়েছে অপর একটি নির্ধারিত টোলবুথ। টোলপ্লাজায় আসা মোটরসাইকেল পর্যায়ক্রমে সারিবদ্ধভাবে টোল প্রদান করে সেতুতে উঠছে। তবে মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট ছাড়া উঠতে দেওয়া হচ্ছে না সেতুতে।

গাড়ির উপস্থিতি তেমন না থাকায় টোল প্রদানে খুব একটা অপেক্ষা করতে হচ্ছে না কাউকে। মূলত এতদিন ছুটি না পাওয়া ও নানা কারণে রাজধানীতে থেকে যাওয়া মানুষরাই মূলত এখন বাড়ি ফিরছে। শেষ সময়ে জট কম থাকে এমন অভিজ্ঞতা থেকেও এখন বাড়ি ফেরার কথা বলেছেন যাত্রীরা।

খুলনাগামী যাত্রী শাহিন রেজা জানান, গতকাল জেনেছিলাম পথে অনেক যানজট, তাই রওনা হইনি। আজ ফজরের নামাজ পড়েই রওনা হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ পথে কোনো যানজট পাইনি। সুন্দর সড়কের কারণে স্বল্প সময়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে যেতে পারছি।

আরেক যাত্রী ইমরান হোসেন বলেন, বেসরকারি একটি কোম্পানিতে কাজ করি। ছুটি পাইছি গতকালকে। কিন্তু যেতে পারি নাই, তাই আজ বাসায় যাচ্ছি। পরিবারের সঙ্গে একটা দিন অন্তত আনন্দ ভাগাভাগি করতে হবে। সকাল সকাল রওনা হয়েছি যেন ভোগান্তিতে না পড়ি, এসে দেখলাম রাস্তা আজ অনেকটাই ফাঁকা।

এদিকে সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ের নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পাড়ি দিয়েছে ৪৫ হাজার ২০৪টি যানবাহন। এতে টোল আয় হয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা। যা একদিনে টোল আদায়ের সর্বোচ্চ রেকর্ড।

পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সেতু কর্তৃপক্ষ ও ট্রাকিফ পুলিশের কাজ করার কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর



গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মানবিক অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (৩ মে) অনুষ্ঠিত হবে। এদিন বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনের জন্য ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জিএসটি কর্তৃপক্ষ।

জিএসটি কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গুচ্ছের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এবার ৯৪ হাজার ৬৩১ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের জন্য পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

নির্বিঘ্নে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য জিএসটি কর্তৃপক্ষ প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনও। পাশাপাশি পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের অভিবাবকরা যেন কেন্দ্রে না আসেন, সেজন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।

ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ চলছে। যেহেতু শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী নিকটবর্তী কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন, সেহেতু এবার আমরা অভিভাবকদের কেন্দ্রে না আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।


আরও খবর