আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়া ৪ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বন্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়ায় চার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এছাড়া স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরে ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে তিন মাস এবং ছয়টিকে নতুন করে ছয় মাসের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

তবে বাড়ানো এই সময়ের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে না গেলে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধসহ কঠোর ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউজিসি।

সোমবার (২ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ জানান, নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার শর্ত পূরণ না হওয়ায় আইনের বিধান অনুযায়ী চার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায়ের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তারা নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। চলতি মাস থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এর আগে গতকাল রবিবার ইউজিসির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

এদিকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হওয়ার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। তাদের ভাষ্য, নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে ভর্তি কার্যক্রমের জন্য সাত বছরের অনুমতি দেয়া হয়। এরপর তা সর্বোচ্চ আরও পাঁচ বছর বৃদ্ধি করা যায়। এই ১২ বছরের মধ্যে তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে হয়। যারা স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি বা ব্যর্থ হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রমসহ সব কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। এটা আইনে স্পষ্ট লেখা আছে।

যে চার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না সেগুলো হলো- স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি ও ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

এছাড়া স্থায়ী ক্যাম্পাস ছাড়া শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনে পিছিয়ে থাকা তালিকাভুক্ত ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১২টি প্রতিষ্ঠানের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে। কারও ইন্ট্রেরিয়ার ডিজাইন, কারও বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ, কারও আসবাবপত্র কেনা বাকি রয়েছে।

এমন ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন করে তিন থেকে ছয়মাস পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তাদের একাডেমি ও প্রশাসনিক সব কার্যক্রম স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করতে নির্দেশনা দেওয়া হবে। না গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে ইউজিসি।

তিনমাস সময় বাড়ানো হয়েছে এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রয়্যাল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি, দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস।

আর ৬ মাস সময় পেয়েছে এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা), গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।


আরও খবর



মহেশপুরে ৪০ পিস স্বর্ণের বারসহ আটক ২

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৪০ পিস স্বর্ণের বারসহ ২ জনকে আটক করেছে বিজিবি। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী পলিয়ানপুর সীমান্তের ছয়ঘড়িয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো- মহেশপুর উপজেলার ছয়ঘড়িয়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন (৫৩) ও মৃত আকতার আলীর ছেলে মো. হুমায়ন কবির (৪০)।

৫৮ বিজিবি মহেশপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সালাহউদ্দিন চৌধুরী জানান, বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে সোনা পাচার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করে বিজিবি। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে ছয়ঘড়িয়ায় মহেশপুর থেকে সীমান্তের দিকে যাওয়া একটি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তারা। সেসময় মোটরসাইকেলে থাকা দুই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৪ কেজি ৬৩৩ গ্রাম ওজনের ৪০ টি স্বর্ণের বার। আটক করা হয় ওই গ্রামের জসিম উদ্দিন ও হুমায়ন কবিরকে। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে আসামিদের মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।


আরও খবর



ঈদে ঢাকার বাইরে যেতে পারবে না সিটি বাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদে যাত্রী চাহিদা মেটাতে নগরীর ছোট ছোট বাসগুলো অন্যান্য বিভিন্ন জেলায় চলাচল করে। এতে যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি বাড়ে সড়ক দুর্ঘটনা। তাই এবারের ঈদে এসব বাস ঢাকার বাইরে যেতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পান্থপথ মোড়ে বসুন্ধরা সিটি শপিং মল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, মহাসড়কগুলোতে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। অর্ধেকের বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মোটরসাইকেল। তাই এবারের ঈদে পুলিশ সদস্যদের মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধ করা হয়েছে। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পুলিশ সদস্যদের এ নিষেধজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ঈদে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মহাসড়কগুলোতে ঈদে সবাইকে মোটরসাইকেলে যাতায়াত না করার অনুরোধ জানান তিনি।

হাবিবুর রহমান বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। বাস মালিকদের নিষেধ করা হয়েছে যেন ফিটনেসবিহীন গাড়ি বের না করে। যারা এসব নির্দেশনা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঈদের কেনাকাটায় কারণে ঢাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় যে পরিমাণ মার্কেট ও যানবাহন রয়েছে সেই তুলনায় পর্যাপ্ত বৈধ পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। ফলে ঈদ কেনাকাটা করতে আসা গাড়িগুলো রাস্তায় পার্কিং করা হচ্ছে। এতে করে আরো যানজট বাড়ছে। সড়কে পার্কিং করলে ট্রাফিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



হামলার সময় ইসরায়েলকে রক্ষায় সহযোগিতা করেছে সৌদি!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের ছোড়া ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে সহযোগিতা করেছে সৌদি আরব। সৌদিতে ক্ষমতাসীন রাজপরিবারের ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কেএএন নিউজ।

সৌদি রাজপরিবারের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ইরানের ছোড়া ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সৌদি আরব নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহারের পাশাপাশি ইসরায়েল,যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সমন্বয়ে গঠিত সামরিক জোটকে সহযোগিতা করেছে।

এই সহযোগিতার কারণ হিসেবে ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সৌদি আরব মনে করে, গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে ইরান এই সংঘাত থেকে ফায়দা তোলার পরিকল্পনা করছে এবং সম্প্রতি যে হামলা তেহরান পরিচালিত করেছে, তা সেই পরিকল্পনার অংশ। সৌদি আরব কখনও সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না। সেই সঙ্গে যেসব দেশ যদি সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়, তাদেরকেও সমর্থন করে না।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে বোমা হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এতে নিহত হন ১৩ জন। নিহতদের মধ্যে ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) দুই জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মোহাম্মদ রেজা জাহেদী এবং মোহাম্মদ হাদি হাজি রহিমিও ছিলেন।

হামলার দায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েল স্বীকার করেনি। তবে সাক্ষ্য-প্রমাণ যা পাওয়া গেছে,তাতে হামলাটি যে আইডিএফ করেছিল তা পরিষ্কার। গত সপ্তাহে ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছিলেন এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

তারপর শনিবার রাত ও রোববার ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ৩ শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরানের সামরিক বাহিনী। হামলায় হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। বেশিরভাগ ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে ইসরায়েলের ৯টি স্থাপনায় ইরানি ড্রোন আঘাত হানতে সফল হয়েছে বলে জানা গেছে।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরায়েলের সঙ্গে চরম দ্বন্দ্ব রয়েছে ইরানের। সেই দ্বন্দ্ব আরও ব্যাপকভাবে বেড়েছে গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে কাতারের আমির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসেছেন সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর তেঁজগাওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে টাইগার গেটে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠকে বসেন দুই নেতা।

একান্ত বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গ্লোব হলে ফটোসেশনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম।

এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে দুদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আমির।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দুদেশের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা।

এর আগে, গতকাল সোমবার বিকালে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।


আরও খবর



বোনের প্রেমিককে হত্যার দায়ে ভাইসহ দুজনের ফাঁসি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

কুমিল্লার হোমনায় মো. ফয়সল (২২) নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে দুই যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে দুজনকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, হোমনা উপজেলার রাজনগর গ্রামের মো. ফুল মিয়ার ছেলে মো. শামীম মিয়া (২৪) ও একই উপজেলার সাফলেজি গ্রামের মো. বেদন মিয়ার ছেলে মো. দুলাল মিয়া (২০)।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, নিহত ফয়সালের সাঙ্গে একই উপজেলার ফুল মিয়ার মেয়ে মেহেদী আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যা মেনে নিতে পারছিলেন না প্রেমিকা মেহেদী আক্তারের ভাই শামীম। পরে শামীম ফয়সালকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২০ সালের ৫ জুন ফয়সাল তার মামা নজরুল মিয়ার ছাদে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় তার মোবাইলে শামীম ফোন করে আমিরুল ইসলাম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। ফয়সাল কাউকে কিছু না জানিয়ে ওই স্থানে যান। এক পর্যায়ে তাকে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে এবং পরে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে ফয়সালের মরদেহ ওই বিদ্যালয়ের মাঠে পুঁতে রাখেন শামীম ও দুলাল।

ওইদিন রাতে ফয়সাল বাসায় না ফেরায় দুশ্চিন্তায় পড়েন স্বজনরা। পরদিন নিহত ফয়সালের বাবা মকবুল হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করেন। সেটি তদন্তের দায়িত্ব পান হোমনা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম সরকার। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ফয়সালের মোবাইল ফোনের কললিস্ট চেক করেন। এ সময় শামীমের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন শামীম।

পরে শামীমের দেখানো স্থান থেকে ফয়সালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শামীমের এ কাজে দুলাল সহযোগিতা করেন বলে জানালে পুলিশ দুলালকেও আটক করে।

এ ঘটনায় নিহত ফয়সালের বড় বোন সালমা আক্তার বাদী হয়ে শামীমকে প্রধান আসামি করে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে হোমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আটক শামীম ও দুলালকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে উভয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দুজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। একইসাঙ্গে প্রত্যেক আসামীকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় উভয় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।


আরও খবর