আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সঠিক তথ্যের কোনো বিকল্প নেই : পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
সঠিক তথ্যের কোনো বিকল্প নেই। টিম ওয়ার্ক করতে হবে। প্রচার প্রচারণা ব্যাপকভাবে চালাতে হবে। আগে মানুষ বলতো বিশ্বব্যাংক কি বলে। এখন মানুষ বলে বিবিএস কি বলে। এ আগ্রহটা তৈরি হয়েছে। এটা ধরে রাখতে

আগামী ২৫ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত জনশুমারির মূল শুমারি অনুষ্ঠিত হবে। এ এক সপ্তাহের সারা দেশের মানুষকে গণনার আওতায় আনা হবে। এ উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে জোনাল অপারেশন (প্রথম) প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। 

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান (বিবিএস) ভবনে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম।  

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সারাদেশের ১৪৪ জন জোনাল কর্মকর্তা এ প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন। জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ কার্যক্রম ৪টি পর্যায়ে সম্পন্ন হবে, জোনাল অপারেশন পরিচালনা, শুমারির তথ্য সংগ্রহ, পিইসি জরিপ পরিচালনা ও আর্থ-সামাজিক ও জনতাত্ত্বিক জরিপ পরিচালনা। জোনাল অপারেশন প্রথম পর্যায়ে মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরিচালিত হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সঠিক তথ্যের কোনো বিকল্প নেই। টিম ওয়ার্ক করতে হবে। প্রচার প্রচারণা ব্যাপকভাবে চালাতে হবে। আগে মানুষ বলতো বিশ্বব্যাংক কি বলে। এখন মানুষ বলে বিবিএস কি বলে। এ আগ্রহটা তৈরি হয়েছে। এটা ধরে রাখতে হবে। 

মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, চলতি মাসেই মূল শুমারি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ডিভাইস ব্যবহার করে ধৈর্য্য সহকারে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। সঠিক পরিসংখ্যান ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটায়।

প্রকল্প পরিচালক কবির উদ্দিন বলেন, জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১ মোট ৪টি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হলো পর্যায়-১, এর আওতায় শুমারির ব্লক এলাকা প্রণয়ন, জিআইএস পদ্ধতি ব্যবহার করে দেশের সব এলাকা ম্যাপ ও জিও কোডের আওতায় স্বতন্ত্র সনাক্তকরণ মাধ্যমে চিহিৃত করা হবে। পর্যায় ২-এর আওতায় শুমারি পরিচালনা দেশের সব খানা, ব্যক্তি এবং আবাসন ইউনিট গণনা করা হবে। পর্যায়-৩ এর আওতায় শুমারি পরবর্তী জরিপ পরিচালনা শুমারির গূণগতমান পরিমাপ করা হবে। পর্যায়-৪ এর আওতায় আর্থ-সামাজিক ও জনমিতিক জরিপ পরিচালনা খানা ও জনসংখ্যা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে।


আরও খবর



‘আমার মন্ত্রী-সচিব আছে, জেলা এক্সেন গোনা লাগে না’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি

Image

রাস্তার অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল বলেন—‘আমার মন্ত্রী, সচিব আছে। জেলা এক্সেন (জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী) আমার গোনা লাগে না। শুধু তাই নয়, একপর্যায়ে গণমাধ্যমকর্মীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে ডামুড্যা উপজেলার খেজুরতলা এলাকায় এলজিইডির একটি রাস্তার কার্পেটিংয়ের চলমান কাজের অনিয়মের তথ্য সংগ্রহকালে এমন কাণ্ড করে বসেন ওই উপজেলা প্রকৌশলী।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা জানান, ডামুড্যা উপজেলার এলজিইডির তত্ত্বাবধানে কনেশ্বর ইউনিয়নের খেজুরতলা এলাকায় একটি পিচঢালাই রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ চলছিলো। চলমান কাজে নিম্নমানের ও পুরোনো নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে আসছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহে যান দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রতিনিধি সোহাগ খান সুজন, বাংলা টিভির নয়ন দাস ও ডেইলি স্টারের প্রতিনিধি জাহিদ হাসান রনি। ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তার কার্পেটিংয়ের বিটুমিন মেশানোর জায়গায় পুরোনো সেতুর ভাঙা পাথর দেখতে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিলকে প্রশ্ন করেন গণমাধ্যমকর্মীরা। এমন সময় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং একপর্যায়ে সমকালের প্রতিনিধি সোহাগ খান ও ডেইলি স্টারের প্রতিনিধি জাহিদ হাসান রনিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি সোহাগ খান সুজন অভিযোগ করে বলেন, রাস্তার কাজে অনিয়ম হচ্ছে এমন সংবাদে আমরা কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে যাই। আমরা সেখানে বেশকিছু পুরোনো পাথর ভাঙা দেখতে পেলে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিলকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করি। এরপরই তিনি আমাদের ওপর চড়াও হন এবং একপর্যায়ে আমাকে ধাক্কা দেওয়া শুরু করেন।

দৈনিক ডেইলি স্টারের জাহিদ হাসান রনি বলেন, পুরোনো কার্পেটিংয়ের কিছু অংশ মিলিয়ে তারা নতুন রাস্তা করছিলেন। আমরা জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল আমাদের গেট লস্ট বলেন। আমরা পাল্টা প্রশ্ন করলে গায়ে হাত দিয়ে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকেন। তিনি আমাদের পড়াশোনার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করেন এবং বলেন গেট লস্ট

অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল বলেন, তারা (সাংবাদিকরা) পুরোনো মালামাল আর নতুন মালামাল মিলিয়ে ভিডিও করছিল। তারা কেন এটা করবে? তাদের আমি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করিনি। তারাই আমাকে লাঞ্ছিত করেছে।

জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাফেউল ইসলাম বলেন, কার্পেটিংয়ে পুরোনো মালামাল নতুন করে বিটুমিনে মেলানোর সুযোগ নেই। রাস্তার পুরোনো কার্পেটিং ওঠানোর পর রোলার দিয়ে তা রাস্তাতেই মিলিয়ে ফেলতে হবে। এটা পাশেও রাখা যাবে না।

গণমাধ্যমকর্মীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি তার সঙ্গে (উপজেলা প্রকৌশলী) কথা বলবো। তিনি যদি দোষী হয়ে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরীন বেগম সেতু বলেন, বিষয়টি আসলেই দুঃখজনক। তিনি কেন সাংবাদিকদের সঙ্গে এ ধরনের ব্যবহার করেছেন, তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হবে।


আরও খবর



শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করব না: ফেরদৌস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন চিত্রনায়ক ও ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ। বুধবার (৬ মার্চ) ফেনীতে রেমন্ড শপের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, অনেকেই বলছে শিল্পী সমিতি নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করব। কিন্তু আমি এখন সবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করব না। আগে ছিলাম পর্দার নায়ক এখন মাঠের নায়ক হতে চাই। দেশের দশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারছি এটা আমার বড় প্রাপ্তি। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সংসদে দাঁড়িয়ে কথা বলেছি, আরো জোরালোভাবে বলবো বলে জানান তিনি।

শুরুতে ফিতা কেটে ও কেক কেটে শো-রুম উদ্বোধন করেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। শোরুমটির উদ্বোধন করেন ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী। বিশেষ অতিথি ছিলেন আজমেরী গ্রুপের ডিরেক্টর মফিজুর, রেমন্ড শপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. শরীফ হোসেন। এ সময় ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের নেতা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



‘ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধে বাংলাদেশে কোনো প্রভাব পড়বে না’

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

অনির্দিষ্টকালের জন্য ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশে এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

শনিবার (২৩ মার্চ) বিকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা জানান।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজার তার আপন গতিতেই চলবে। ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়লে সেটা নিয়ে কিছু না করা হলেও কেউ যদি মজুদদারি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভারত থেকে ইতিমধ্যে যে পেঁয়াজ কেনা হয়েছে সেগুলো ৩ দিনের মধ্যে দেশে এসে পৌঁছাবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন>> অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করল ভারত

প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাভাবিক বাজারে বেচা-কেনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনোরকম পুলিশি তৎপরতা বা ম্যাজিস্ট্রেসি তৎপরতা প্রয়োজন নেই। বাজারে যথেষ্ট পরিমাণ পণ্যের সরবরাহ আছে এবং দামও যৌক্তিক পর্যায়ে আছে।

চালের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, চাল খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়। এ কারণে আরেক মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে কোনো কিছু বলা ঠিক হবে না।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




অবন্তিকার আত্মহত্যা: আম্মান ও দ্বীন ইসলাম রিমান্ডে

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় গ্রেপ্তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর দুই দিন এবং সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টায় কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে তোলা হয়। এ সময় সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর পাঁচ দিন এবং সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের দুই দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে আম্মানের দুই দিন এবং সহকারী প্রক্টরের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

বাদীপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নূরু উর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বেলা পৌনে ১১টার দিকে একটি সাদা প্রাইভেটকারে করে তাদেরকে আদালতে হাজির করে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। এরপর মাথায় হেলমেট ও মুখে মাস্ক পরা অবস্থায় তাদেরকে আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. মজিবুর রহমানের কক্ষে রাখা হয়।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আম্মান সিদ্দিকী নামের এক সহপাঠীকে দায়ী করে গলায় ফাঁস নেন জবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শনিবার (১৬ মার্চ) ময়নাতদন্ত শেষে বিকেল ৩টার দিকে প্রথম জানাজা ও পৌনে ৪টার দিকে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয় অবন্তিকাকে।

নিহত অবন্তিকা কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা এলাকার মৃত জামাল উদ্দিনের মেয়ে। তার বাবা কুমিল্লা সরকারি কলেজের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন। তার মা তাহমিনা শবনম কুমিল্লা পুলিশ লাইনস উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। ২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল তার বাবা অধ্যাপক জামাল উদ্দিন মৃত্যুবরণ করেন। অবন্তিকার একটি ছোট ভাই রয়েছে। সে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। এ ঘটনায় অবন্তিকার মা বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেন।


আরও খবর



‘বৃষ্টি খাতুন’ পরিচয়ে সাংবাদিকের মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢামেক প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত অভিশ্রুতি নামে পরিচিত নারী সাংবাদিকের প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জব্বার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি নিহত নারী সাংবাদিকের পরিচয় নিশ্চিতকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত আছেন।

এস আই আব্দুল জব্বার জানান, ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে অভিশ্রুতির প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন নিহত হন। এর মধ্যে এক নারী সাংবাদিক রয়েছেন। ওই সাংবাদিক কর্মক্ষেত্রে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে পরিচিত। তার একটি বায়োডাটায় লেখা আছে তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বী।

তবে তার মৃত্যুর খবর দেখে মরদেহ নিতে আসেন কুষ্টিয়ার শাবলুল আলম সবুজ নামে একজন। তিনি নিজেকে অভিশ্রুতির বাবা বলে পরিচয় দেন এবং দাবি করেন অভিশ্রুতি মুসলিম। ফলে ওই সাংবাদিকের প্রকৃত পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তেরি হয়। জটিলতা তৈরি হয় মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে। তবে, কুষ্টিয়ার শাবলুল আলম ছাড়া ওই নারীর মরদেহ নিতে অন্য কেউ আসেননি।

পরিচয় নিশ্চিত হতে আজ ওই সাংবাদিকের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা গেছে এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি খাতুন লেখা আছে। বাবার নাম সবুজ শেখ আর মায়ের নাম বিউটি বেগম লেখা আছে।

এনআইডি অনুযায়ী তার গ্রাম বনগ্রাম, ডাকঘর বনগ্রাম, উপজেলা খোকসা এবং জেলা কুষ্টিয়া। এনআইডির তথ্যানুযায়ী পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় এখন সাংবাদিক অভিশ্রুতির মরদেহ তার বাবা শাবলুল আলম সবুজের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে প্রক্রিয়া চলছে।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে বৃষ্টি খাতুনের মা বিউটি বেগম জানান, অভিশ্রুতি নামটি ওর নিজের দেওয়া। ওর আসল নাম বৃষ্টি খাতুন।

তার বাবা সবুজ শেখ বলেন, অভিশ্রুতি আমার মেয়ে। অভিশ্রুতি আমার তিন মেয়ের মধ্যে বড়। আমার আরও দুটি মেয়ে রয়েছে। নিজের মেয়েকে নিয়ে কেন মিথ্যা বলব?


আরও খবর