লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ঢাকা যাওয়ার বাস ভাড়া নিয়ে ঝগড়ার জেরে ঘুমন্ত স্ত্রী নীলা আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলায় স্বামী সুমন উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত সুমন রামগতি উপজেলার বড়খেরী ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী গ্রামের নাছির উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় চা দোকানি ছিলেন। এর আগে তিনি নরসিংদী জেলা সদরের একটি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সেই সূত্রে নরসিংদীর শিলমাদ্রী ইউনিয়নের বাগহাটা গ্রামের ওমর আলীর মেয়ে নীলার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ে হয় তার।
আদালত ও হত্যা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা যাওয়ার জন্য বাস ভাড়া চাওয়ায় সুমনের সঙ্গে ভিকটিম নীলার ঝগড়া হয়। এ নিয়ে সুমন তাকে মারধর করে। তবে স্ত্রী বায়না ধরেছে তাকে টাকা দিতে হবে। এতে ঘুমের মধ্যে স্ত্রীকে তিনি শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে পরনের কাপড় খুলে বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখেন।
এরপর ঘরের বাইর থেকে রড দিয়ে দরজায় ছিটকিনি লাগিয়ে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালানো হয়। তবে নিহতের পা ফ্লোরে ও হাত খাটে ছোঁয়া ছোঁয়া অবস্থায় ছিল। এতে ঘটনাটি সন্দেহজনক হয়। পরদিন ভিকটিমের ভাই মাহবুব মিয়া বাদী হয়ে রামগতি থানায় মামলা দায়ের করেন। একইদিন আসামি সুমনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।