শেরপুর জেলার
সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের বয়ড়া পরানপুর গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে সোমবার
ভোর রাতে স্ত্রী পারভীন বেগমকে হত্যার পর স্বামী মো. শফিকুল ইসলাম (৩৮) কীটনাশক পান
করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
সদর থানা পুলিশ
নিহত পারভীন বেগমের লাশ উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে এবং
স্বামী শফিকুল ইসলামকে পুলিশ হেফাজতে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার বয়ড়া পরানপুর গ্রামের পারভীন বেগমের সাথে একই
ইউনিয়নের হাওড়া আমতলা গ্রামের শফিকুল ইসলামের সাথে ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর এই
দম্পতির ঘরে দুই সন্তান জন্মগ্রহণ করে। গত কয়েক মাস ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক
কলহ চলছিলো। এর জের ধরে স্ত্রী পারভীন বেগম দুই মাস পূর্বে স্বামীর বাড়ি হাওড়া আমতলা
গ্রাম থেকে বয়ড়া পরানপুর পিত্রালয়ে চলে আসেন।
পরে পৌরসভার নাগপাড়া
মহল্লার আল বারাকা প্রাইভেট হাসপাতালে আয়া পদে চাকুরি নেয়। রোববার রাতে শফিকুল ইসলাম
শ্বশুর বাড়িতে আসে এবং রাতের খাবার শেষে তারা স্বামী স্ত্রী শুয়ে পড়েন। সোমবার ভোররাতে
কোন এক সময় ঘুমন্ত পারভীন বেগমকে পাষন্ড স্বামী শফিকুল ইসলাম ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা
কেটে জবাই করে। পরে সে নিজেও কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
এদিকে সোমবার
সকালে শাশুড়ি জামেলা বেগম তার মেয়ে পারভীন বেগম এবং জামাই শফিকুল ইসলামের কোন সারা
শব্দ না পেয়ে ঘরে উকি দিয়ে দেখতে পান তার মেয়ে পারভীন বেগম জবাই করা অবস্থায় ঘরের মেঝেতে
পড়ে আছে এবং শফিকুল ইসলামের মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে। এ অবস্থায় সে ডাক চিৎকার দিলে
বাড়ির লোকজন জড়ো হয়।
পরে শেরপুর সদর
থানায় খবর দেয়া হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া সদর
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বছির আহমেদ বাদল, উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন সঙ্গীয়
ফোর্স ঘটনাস্থল গিয়ে পারভীন বেগমের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মর্গে এবং শফিকুল
ইসলামকে চিকিৎসার জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বছির আহমেদ বাদল হত্যাকান্ডের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তবে হত্যার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।