আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

শত্রুপক্ষের মাথা কাটার পর খুলি দিয়ে বালিশ তৈরি করেন ওঁরা!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নিউ গিনির ঘন জঙ্গলের অনাবিষ্কৃত অঞ্চল। আধুনিক মানুষের পা সেই অর্থে এই অঞ্চলে পড়েনি। এই অঞ্চলেই আসমত উপজাতির বাস। আসমত উপজাতির মানুষেরা শুধু তাঁদের শত্রুদের শিকার করার জন্য নন, রীতিমতো শত্রুদের মেরে তাঁদের মাংস খাওয়ার পদ্ধতির জন্যও কুখ্যাত।

এই উপজাতির যোদ্ধারা নৃশংস ভাবে হামলা চালান শত্রুপক্ষের উপর। হামলা চালিয়ে শত্রুদের হত্যা করে ফেলেন তাঁরা। শত্রুকে খুন করার পর তাঁদের মাথা কেটে তা দিয়ে উদরপূর্তি করেন এই উপজাতির মানুষেরা। শত্রুপক্ষের মাথা কেটে খাওয়াকে বীরত্ব এবং উপজাতীয় আনুগত্যের প্রতীক বলেই মনে করেন আসমত উপজাতির মানুষ।তবে কী করে এই উপজাতির সদস্যেরা মৃতদের মাথা ভক্ষণ করেন, তা জানলে যে কোনও মানুষ অবাক হতে বাধ্য।

আসমতিরা প্রথমে কাটা মাথার বাইরের অংশের চামড়া কেটে বাদ দিয়ে দেন। এর পর উনুনে রেখে ভাজা হয় মাংসযুক্ত ওই খুলি।আসমত উপজাতির এই ভয়াবহ আচারপদ্ধতি অন্যান্য উপজাতির মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করলেও নিজেরা বিশ্বাস করেন, মানুষের মাথা একটি পবিত্র খাদ্যবস্তু এবং মানুষের মাথাকে গাছের ফলের সঙ্গেও তুলনা করেন তাঁরা।

মাথা কাটার পর বাকি দেহ নিয়েও কারসাজি করতে ছাড়েন না এই উপজাতির মানুষেরা। কাটা দেহ নিজেদের উরুর উপর রেখে প্রার্থনা করেন তাঁরা। মনে করেন, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির দৈহিক ক্ষমতা তাদের কাছে চলে আসবে।

খুলিগুলি অলঙ্কার হিসেবে ব্যবহার করার পাশাপাশি বাড়ির সাজসজ্জাতেও কাজে লাগান আসমত উপজাতির সদস্যেরা। মাথার খুলিগুলিকে বালিশ হিসাবেও ব্যবহার করেন তাঁরা। পাশাপাশি এই খুলিগুলিকে অর্ধেক করে তা খাবার খাওয়ার পাত্র হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।

বিভিন্ন প্রাণীর মস্তিষ্ক এবং সাগো কৃমিই আসমত উপজাতির প্রধান খাদ্য। মৃতদেহের মেরুদণ্ডের বিভিন্ন অংশ এবং চোয়াল দিয়ে কানের দুলও বানান আসমাত উপজাতির সদস্যেরা।আসমত উপজাতির কোনও সদস্যের মৃত্যু হলেও তাঁরা সেই সদস্যের মাথা কেটে নেন। কাটা মুণ্ডু থেকে চোখ এবং ঘিলু বের করে নেওয়া হয়।

এই উপজাতির বিশ্বাস, মৃত্যুর পর নাকের ছিদ্র বন্ধ করে রাখলে প্রেতাত্মারা শরীরে প্রবেশ করতে পারবে না। তাই মৃত্যুর পর তাঁদের নাকের গর্তও বুজিয়ে দেওয়া হয়।

আমেরিকার প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট নেলসন রকফেলারের পঞ্চম সন্তান মাইকেল রকফেলার ১৯৬১ সালের নভেম্বর মাসে এমন একটি এলাকা থেকে নিখোঁজ হন, যেখানে অসমত জনজাতির বসবাস।

পরে তাঁর পরিবারের তরফে এক জন গোয়েন্দাকে সেই এলাকায় তদন্তের জন্য পাঠানো হলে এই উপজাতির কিছু মানুষ তাঁকে জানান যে, তাঁরা সম্প্রতি এক জন শ্বেতাঙ্গকে মেরেছেন। এর পর ওই গোয়েন্দা তিনটি খুলি নিয়ে সেই জায়গা থেকে আমেরিকা ফিরে আসেন। এই খুলির মধ্যে একটি খুলি আসমত উপজাতির সদস্যদের দ্বারা হত্যা করা ওই শ্বেতাঙ্গের ছিল।সৌভাগ্যক্রমে বর্তমানে আসমাতিরা আর শত্রুপক্ষের মাথা কেটে খাওয়ার এবং খুলি বের করার অনুশীলন মেনে চলেন না। ১৯৮০ সালে এই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।


আরও খবর
ব্যাটারি চেক করার দিবস আজ

রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪




ঈদে ট্রেন যাত্রার তৃতীয় দিনের টিকিট বিক্রি শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

৩য় দিনের মতো ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আগামী ৩ এপ্রিল থেকে ঈদ উপলক্ষ্যে ট্রেনে যাত্রা শুরু হবে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল ৮টায় টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এদিন বিক্রি করা হবে আগামী ৫ এপ্রিলের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট।

এসময় পাওয়া যাবে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট। পরে দুপুর ২টায় বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট। এবার স্পেশালসহ আন্তঃনগর ট্রেনে ঢাকা থেকে বহির্গামী টিকিট সংখ্যা ৩৩ হাজার ৫০০টি।

সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নেওয়া কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা যায়।

আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখী মানুষের এই ট্রেন যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে গতকাল ২৪ মার্চ। যাত্রীদের সুবিধার্থে শতভাগ টিকিট এবার অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। এর আগে ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৪ মার্চ; ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৫ মার্চ।

ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৭ মার্চ; ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৮ মার্চ; ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।

নিউজ ট্যাগ: বাংলাদেশ রেলওয়ে

আরও খবর



বেইলি রোডে আগুনে ৪৩ জন নিহত : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে আগুনে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।

সামন্ত লাল সেন বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ৩৩ জন এবং পার্শ্ববর্তী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন মারা গেছেন। জরুরি বিভাগ ও বার্ন ইনস্টিটিউট মিলিয়ে এখন পর্যন্ত আহত ২২ জন চিকিৎসাধীন আছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি সংবাদ পেয়ে দ্রুত চলে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দ্রুত যেতে বলেছেন। এখানে এসে ভয়াবহ অবস্থা দেখলাম। যারা এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন, তাদের বেশির ভাগের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা বেঁচে আছেন তাদের বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। বাইরে কেউ আছে কি না, সে তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আহত ও দগ্ধদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ভবনের দ্বিতীয় তলায় কাচ্চি ভাই নামের একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এরপর ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন হতাহতদের সম্পর্কে জানান।

ওই ভবনটি সাত তলা। উপরের তলাগুলোতেও রেস্তোরাঁ এবং তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার পর তা উপরের তলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত লোকজন উপরের দিকে উঠে যায়। এ সময় ভবন থেকে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে কয়েকজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে ১২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আগুন নেভানোর পাশাপাশি ভবনে আটকা পড়া ব্যক্তিদের মই দিয়ে নামিয়ে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।


আরও খবর



শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি ভবনে তালা

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

যৌন হয়রানির অভিযোগে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বুধবার (১৩ মার্চ) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, প্রক্টর অফিসসহ সকল একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে।

বুধবার (১৩ মার্চ) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার কৃষিবিদ ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অভিযুক্ত দুই শিক্ষক বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র ও সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করা হয়। এছাড়াও রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে তার বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।

এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। তাদের দাবি, বাধ্যতামূলক ছুটি নয় বরং স্থায়ী বহিষ্কার। প্রথমে তারা প্রশাসনিক ভবন ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকা সোনালী ব্যাংকের শাখা অফিসে তালা দেন৷ পড়ে একে একে বিজ্ঞান ভবন, কলা ভবন, প্রক্টর অফিস, সামাজিকবিজ্ঞান ভবন, ব্যাবসাপ্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে সকল প্রশাসনিক ও শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এরপর কিছু সময়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় আন্দোলনকারীরা।

পড়ে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থানের ঘোষণা দেয়। এরপরেই বিকাল ৪টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।

প্রশাসনিক ভবনে দীর্ঘসময় অবরুদ্ধ থাকার পর একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের সামনে আসেন উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

এসময় ভিসি ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আমরা যে তদন্ত কমিটি করেছি সেটি কাজ করছে। আশা করি খুব দ্রুত তারা প্রতিবেদন দেবে এবং সেই অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে । তোমরা শান্ত থাকো। আমি আশ্বাস দিচ্ছি, আমরা এর বিচার করবো।

তবে তার এই কথায় শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট হতে পারেনি। এসময় তারা উপাচার্যের অপারগতাকে নিন্দা জানিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ফারাবী বলেন, আমরা আমাদের দাবিতে অটল থাকবো। যদি আজকের মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কার না হয় তাহলে আমাদের রক্তের ওপর পা দিয়ে আপনাদের যেতে হবে। আমরা আমাদের অবস্থানে এক চুল ছাড় দেব না।

দিনব্যাপী আন্দোলনকারীদের দমানোর চেষ্টা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র পরামর্শক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য শিক্ষকরা। কিন্তু সকল বাধা অতিক্রম করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যায়।


আরও খবর



বেনাপোলে ৩৯৬ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার ২

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)

Image

যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৯৬ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করেছে র‍্যাব। এ সময় দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেনাপোল সীমান্ত এলাকার পুটখালী গ্রামের অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন পুটখালি গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে হাফিজুর রহমান ও বালুন্ডা গ্রামের সিরাজুল গাজির ছেলে ইসরাফিল গাজি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর সাবিব হোসেন।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকার পুটখালী গ্রামে স্থানীয় ওলিয়ার রহমানের মালিকানাধীন বিশাল গরু ফার্মে বিক্রির জন্য ফেন্সিডিল মজুদ করেছে মাদক কারবারিরা। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। ঘটনাস্থল থেকে হাফিজুর রহমান ও ইসরাফিল গাজিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে ওই ফার্মের উত্তর পাশের একটি জমির কলা গাছের ঝোপ থেকে দুটি বস্তা পাওয়া যায়। সেখান থেকে ৩৯৬ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বরাত দিয়ে র‍্যাব কর্মকর্তা মেজর সাবিব হোসেন জানান, সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাস হওয়ার সুযোগে তারা বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় স্বল্প মূল্যে ফেনসিডিল কিনে যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বেশি দামে বিক্রয় করে থাকে। গ্রেপ্তার হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। অন্যদিকে মো. ইসরাফিলের বিরুদ্ধে মাদক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

জব্দকৃত মাদক ও গ্রেপ্তারকৃতদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে তাদের যশোর জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।


আরও খবর



জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্টের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাঙ্গাগওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ অন্যান্য নেতার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মানাঙ্গাগওয়ারের কর্মকাণ্ডের কারণে নিষেধাজ্ঞা থেকে বাদ যায়নি তার স্ত্রীও।

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সম্পদ আটকে যাবে এবং সেখানে বেসরকারি উদ্যোগে বা ব্যক্তিগতভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন না তারা।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাঙ্গাগওয়ার পাশাপাশি জিম্বাবুয়ের আরও ১০ জন ব্যক্তি এবং তিনটি ব্যবসার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এই নিষেধাজ্ঞাগুলো একটি বিস্তৃত প্রোগ্রামের স্থালাভিষিক্ত হবে যা দুই দশক আগে চালু হয়েছিল। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন প্রত্যক্ষ করছি।

যুক্তরাষ্ট্র প্রথম ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে জিম্বাবুয়ের ওপর অর্থনৈতিক এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে এবং অন্যান্য উচ্চ-পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে সেসময় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

মূলত তাদেরকে দেশে গণতন্ত্রকে দুর্বল করার জন্য অভিযুক্ত করেছিল ওয়াশিংটন। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যসহ বিভিন্ন দেশ জিম্বাবুয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ইতোমধ্যেই জিম্বাবুয়েতে বহু অপহরণ, শারীরিক নির্যাতন এবং বেআইনি হত্যার ঘটনা উল্লেখ করেছেন যা মানুষকে চরম শঙ্কার মধ্যে ছেড়ে দিয়েছে।

হোয়াইট হাউস বলেছে, এই শোষণ ও নির্যাতনের জন্য দায়ী ব্যক্তিসহ অন্যদের জবাবদিহি করার প্রচেষ্টার দিকে পুনরায় নজর দিচ্ছে তারা।

জিম্বাবুয়ের জাতীয় পুলিশ এবং সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স অর্গানাইজেশন (সিআইও)-এর সদস্যসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদেরও এই নিষেধাজ্ঞায় টার্গেট করা হয়েছে।


আরও খবর