আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

সুদানে সংঘর্ষ অব্যাহত, নিহত বেড়ে ২০০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আফ্রিকার দেশ সুদানে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দেশটির আধা-সামরিক বাহিনীর সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। এই লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন আরও ১৮০০ মানুষ।

শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে সুদানের বহু হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং চিকিৎসা সেবা ও খাবারের সরবরাহ কমে গেছে। খবর এএফপির।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুদানের সেনাবাহিনী এবং কুখ্যাত আধা-সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-র মধ্যে ক্ষমতার লড়াই দেশটিকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। রাজধানী খার্তুমে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং সেনা সদরদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বাহিনীর মধ্যে লড়াই চলছে।

আরও পড়ুন: সুদানে সেনাদের গুলিতে ৭ বিক্ষোভকারী নিহত

বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘস্থায়ীভাবে অস্থিতিশীল বলে পরিচিত সুদানের রাজধানীতে এই লড়াই নজিরবিহীন এবং এমনকি এটি বেশ দীর্ঘায়িতও হতে পারে। যদিও আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিকভাবে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে কূটনীতিকরা সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। দুই বাহিনীর মধ্যকার এই সংঘর্ষে বিমান হামলা, আর্টিলারি এবং ভারি গোলাগুলির ব্যবহারও দেখা যাচ্ছে।

সুদানে জাতিসংঘের মিশনের প্রধান ভলকার পার্থেস রুদ্ধদ্বার অধিবেশনে নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৮৫ জন নিহত এবং আরও ১৮০০ জন আহত হয়েছেন। বৈঠকের পর পার্থেস সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি খুবই অস্পষ্ট। তাই লড়াইয়ের ফলে ক্ষমতার ভারসাম্য কোথায় স্থানান্তরিত হচ্ছে তা বলা খুব কঠিন।

আরও পড়ুন: সুদানে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে ফের গুলি, নিহত ১০

এর আগে সোমবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সুদানের যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে অবিলম্বে শত্রুতা বন্ধ করার আহ্বান জানান। তিনি সতর্ক করে বলেন, লড়াইয়ের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেলে তা দেশ ও অঞ্চলের জন্য ধ্বংসাত্মক হতে পারে।

এর আগে সুদানের চিকিৎসকরা লড়াইয়ে প্রায় ১০০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পাশাপাশি উভয় পক্ষের বহু সংখ্যক যোদ্ধার মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিলেন। তবে হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ সংঘাতে আহত অনেক মানুষ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেননি।


আরও খবর



বান্দরবানে ১৮ নারীসহ কেএনএফে’র ৪৯ সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে ১৮ নারীসহ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ৪৯ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে এ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৭টি অস্ত্র ও গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে কেএনএফর পোশাক উদ্ধার করা হয়েছে।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রুমার পাহাড়ে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। এই অভিযানে আরও ৪৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে, রবিবার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে রুমার সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ার ও কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রবিবার বান্দরবানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের কথা নিশ্চিত করেছেন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র জব্দের কথাও জানান তিনি।

সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের বক্তব্যের পরপরই র‌্যাব জানায়, বান্দরবানে এক বিশেষ অভিযানে কেএনএফ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের শ্যারনপাড়ার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।


আরও খবর



যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া বিএনপি: কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির বোধগম্য হয় না যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।

বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।

কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।

বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।

নিউজ ট্যাগ: ওবায়দুল কাদের

আরও খবর
বিএনপির ৭৫ নেতাকে বহিষ্কার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্য: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ডেকে আনতে পারেন বাইডেন

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েলে যা চলছে, তা বিশ্বযুদ্ধে রূপ নিতে পারে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তিনি (বাইডেন) জানেন না তিনি কী করছেন। তিনি দেশকে বিশ্বযুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারেন। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ডেকে আনতে পারেন।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ফ্লোরিডায় এক বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বাইডেনকে বেশ করুণ বলে খোঁচাও দেন। তিনি বলেন, আমাদের এমন একজন প্রেসিডেন্ট আছেন যিনি দুটি বাক্য একসঙ্গে বলতে পারেন না! যিনি মঞ্চ থেকে সিঁড়ি খুঁজে পান না, যিনি জানেন না তিনি কী করছেন!

ট্রাম্প বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট হলে তারা (ইরান) ইসরায়েলকে আক্রমণ করতো না। আমি থাকতে তারা কখনই তা করেনি। কারণ ইরান আক্রমণ করার মতো অবস্থানে ছিল না। তাদের কাছে কোনো টাকা ছিল না। তারা ভেঙে পড়েছিল।

তিনি বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যা চলছে, তা শেষ পর্যন্ত বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আমাদের জাতির জন্য এটি একটি বিপজ্জনক সময়। বিপজ্জনক হওয়ার একটি বড় কারণ হলো, আমাদের এমন একজন রাষ্ট্রপতি আছেন যিনি মারাত্মকভাবে অযোগ্য!


আরও খবর



রিজার্ভ বেড়ে ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের উপরে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

আমদানির চাহিদা অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রা না থাকায় বাজারে ডলার বিক্রির ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমে আসছিল। তবে ঈদের আগে কিছুটা চাঙা ছিল রেমিট্যান্স প্রবাহ। তাই ফের কিছুটা বেড়েছে রিজার্ভ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী- রিজার্ভ এখন ২ হাজার ১০ কোটি ডলারে (২০ দশমকি ১০  বিলিয়ন) পৌঁছেছে। যেখানে গত মাসের ২৭ মার্চেও ছিল ১ হাজার ৯৪৫ কোটি ডলার।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ঈদের আগে প্রবাসীরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এছাড়া রপ্তানি প্রবাহও বেড়েছে। এসব কারণেই মূলত রিজার্ভ কিছুটা চাঙ্গা।

তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। এটি প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।

প্রতি মাসে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে কষ্টসাধ্য হবে বাংলাদেশের জন্য। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন অনেকটা শেষ প্রান্তে রয়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রোস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল, ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সংকটের কারণে রিজার্ভ থেকে বাজারে প্রচুর ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া গত মাসে আকুর বিলও পরিশোধ হয়েছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কম। এসব কারণেই মূলত রিজার্ভ কমছে।


আরও খবর



লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র, লুকাতে চাচ্ছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দখলদার ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বড় হামলার পর ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বার্তাসংস্থা ইরানিয়ান স্টুডেন্টস নিউজ এজেন্সি (আইএসএনএ) একটি কলাম প্রকাশ করেছে।

এতে তারা জানিয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলের নাভাতিম বিমান ঘাঁটি এবং হেরমন পাহাড়ের ওপর একটি সামরিক অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ইসরায়েল এই ক্ষয়ক্ষতি লুকানোর চেষ্টা করছে।

বার্তাসংস্থাটি বলেছে, নাভাতিম বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে কারণ গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে যে ভয়াবহ হামলা হয়েছিল, সেটি এই ঘাঁটি থেকে চালানো হয়েছিল। অপরদিকে হেরমন পাহাড়ের ওপর থাকা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি গোয়েন্দা অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। কারণ এই স্থান থেকে সিরিয়ায় ইরানের বিভিন্ন অবস্থানের ওপর চালানো অসংখ্য হামলা পরিচালিত হয়েছে।

বার্তাসংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ইরান ইসরায়েলের কোনো বেসামরিক ব্যক্তি ও অবকাঠামোর ওপর হামলার কোনো পরিকল্পনাই করেনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও অবৈধ বসতিস্থাপনকারী ইসরায়েলিরা তাদের জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রাতটি পার করেছে।

হামলার ক্ষয়ক্ষতি লুকানোর বিষয়টি উল্লেখ করে বার্তাসংস্থাটি বলেছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। কিন্তু ইসরায়েল এসব ক্ষয়ক্ষতি লুকানোর চেষ্টা করছে।

ইরানের এমন অভূতপূর্ব হামলার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ওই সময় ইরানে পাল্টা হামলা চালানোর প্রস্তাব দেন নেতানিয়াহু। কিন্তু বাইডেন এতে সমর্থন দেননি। তিনি নেতানিয়াহুকে জানান, ইসরায়েল যদি পাল্টা হামলা চালায় তাহলে এতে যুক্ত হবে না যুক্তরাষ্ট্র।

বার্তাসংস্থাটি তাদের কলামে বলেছে, ইরানে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন না দেওয়ার অর্থ হলো, ইরান তাদের তেজস্বিতা প্রমাণ করেছে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে চায় না। এছাড়া ইসরায়েলে হামলা না চালাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাধাকে যে ইরান কোনো মূল্য দেয়নি সেটিও এই হামলার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থাটি।

এই কলামে উল্লেখ করা হয়েছে, ইরানের বিমানবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আলী বাগারি জানিয়েছেন, গতকাল ইরান ইসরায়েলে যে হামলা চালিয়েছে, সেটির চেয়ে ১০ গুণ বড় হামলা চালানো ক্ষমতা ইরানের রয়েছে। তবে তারা পূর্ণশক্তি প্রয়োগের ব্যাপারে এখনই ভাবছেন না।

নিউজ ট্যাগ: ইসরায়েল ইরান

আরও খবর