আফ্রিকার দেশ সুদানে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে
দেশটির আধা-সামরিক বাহিনীর সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। এই লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০
জন নিহত এবং আহত হয়েছেন আরও ১৮০০ মানুষ।
শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে সুদানের
বহু হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং চিকিৎসা সেবা ও খাবারের সরবরাহ কমে গেছে। খবর
এএফপির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুদানের সেনাবাহিনী এবং কুখ্যাত আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-র মধ্যে ক্ষমতার লড়াই দেশটিকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। রাজধানী খার্তুমে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং সেনা সদরদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বাহিনীর মধ্যে লড়াই চলছে।
আরও পড়ুন: সুদানে সেনাদের গুলিতে ৭ বিক্ষোভকারী নিহত
বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘস্থায়ীভাবে অস্থিতিশীল বলে পরিচিত সুদানের রাজধানীতে এই লড়াই নজিরবিহীন এবং এমনকি এটি বেশ দীর্ঘায়িতও হতে পারে। যদিও আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিকভাবে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে কূটনীতিকরা সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। দুই বাহিনীর মধ্যকার এই সংঘর্ষে বিমান হামলা, আর্টিলারি এবং ভারি গোলাগুলির ব্যবহারও দেখা যাচ্ছে।
সুদানে জাতিসংঘের মিশনের প্রধান ভলকার পার্থেস রুদ্ধদ্বার অধিবেশনে নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৮৫ জন নিহত এবং আরও ১৮০০ জন আহত হয়েছেন। বৈঠকের পর পার্থেস সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি খুবই অস্পষ্ট। তাই লড়াইয়ের ফলে ক্ষমতার ভারসাম্য কোথায় স্থানান্তরিত হচ্ছে তা বলা খুব কঠিন।
আরও পড়ুন: সুদানে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে ফের গুলি, নিহত ১০
এর আগে সোমবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও
গুতেরেস সুদানের যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে ‘অবিলম্বে শত্রুতা
বন্ধ করার আহ্বান জানান। তিনি সতর্ক করে বলেন, লড়াইয়ের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেলে তা দেশ
ও অঞ্চলের জন্য ধ্বংসাত্মক হতে পারে।
এর আগে সুদানের চিকিৎসকরা লড়াইয়ে প্রায়
১০০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পাশাপাশি উভয় পক্ষের ‘বহু সংখ্যক’ যোদ্ধার মৃত্যুর
তথ্য জানিয়েছিলেন। তবে হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ সংঘাতে আহত
অনেক মানুষ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেননি।