আজঃ মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

শুকনো মৌসুমে আবাদি জমিতে রূপ নিচ্ছে লালমনিরহাটের চার নদী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

লালমনিরহাটের ভৌগোলিক সীমারেখার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে তিস্তা, ধরলা, সানিয়াজান ও রত্নাই নদী। বর্ষা মৌসুমের পর পরই এ নদীগুলোতে তেমন পানিপ্রবাহ থাকে না। শুকিয়ে যাওয়া এসব নদীতে স্থানীয় কৃষকরা চাষ করছেন ধান, ভুট্টাসহ বিভিন্ন জাতের ফসল। ফলে শুকনো নদীর বুকজুড়ে এখন চোখে পড়ে বিস্তীর্ণ ফসলের খেত। সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, এ চার নদীর বুকে চলতি বছর প্রায় শতকোটি টাকার ফসল উৎপাদন হবে।

এ বছর তিস্তা, ধরলা, সানিয়াজান ও রত্নাই নদীর বুকে বোরো ধান, ভুট্টা, মরিচ, পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ করা হয়েছে। মূলত নদীর তীরবর্তী ও চরে বসবাসকারী কৃষকরাই এর উদ্যোক্তা। তাদের একক উদ্যোগেই উৎপাদিত হচ্ছে প্রায় শতকোটি টাকার এ বিপুল পরিমাণ ফসল।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমার ঢাকাইয়াপাড়া ও সাঁওতালপাড়া হয়ে প্রমত্তা তিস্তা নদী লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের আঙ্গরপোতা দিয়ে প্রবেশ করেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রবেশপথ দহগ্রাম থেকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার শেষ প্রান্তে গোকুন্ডা ইউনিয়ন পর্যন্ত নদীজুড়ে ভুট্টাসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের ব্যাপক চাষ হয়েছে। ভারতের একই জেলার চ্যাংড়াবান্ধা হয়ে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী দিয়ে প্রবেশ করেছে ধরলা নদী। প্রবেশপথ বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে লালমনিরহাটের বড়বাড়ী ইউনিয়ন পর্যন্ত এ নদীর বুকজুড়ে বোরো ধান ও ভুট্টা চাষ হয়েছে। ধান ও ভুট্টার বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষীরা।

অন্যদিকে ভারতের মেখলিগঞ্জ মহকুমার কাংড়াতলীর মোড় হয়ে পাটগ্রাম উপজেলার কুচলিবাড়ী ইউনিয়নের পানবাড়ী এলাকা দিয়ে প্রবেশ করেছে সানিয়াজান নদী। কুচলিবাড়ী প্রবেশপথ থেকে বাউরা জমগ্রাম এলাকা পর্যন্ত এ নদীর বুকজুড়ে বোরো ধান এবং ভুট্টা চাষ করেছেন নদী-তীরবর্তী কৃষকরা। এছাড়া লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়ন হয়ে ভারত থেকে প্রবেশ করেছে রত্নাই নদী। এ নদী গোড়ল ইউনিয়ন হয়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের চরকুলাঘাট হয়ে ধরলা নদীতে মিশেছে। এ নদীর বুকজুড়ে বোরো ধান ও ভুট্টা ব্যাপকভাবে আবাদ হয়েছে।

লালমনিরহাট কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় ৭২টি চরাঞ্চল রয়েছে। এসব চরের মোট জমির পরিমাণ ২৬ হাজার ৬৭৬ একর। এর মধ্যে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ২০ হাজার ৪৮৬ একর। এসব জমি চাষাবাদ করে থাকে ৩১ হাজার ৬৩৭টি কৃষি পরিবার। তবে স্থানীয়দের হিসাব বলছে, কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্যের দ্বিগুণ জমি চাষ হয়। যার মধ্যে রয়েছে এ চার নদীর জমিও।

সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তিস্তা, ধরলা, সানিয়াজান ও রত্নাই নদীতে আনুমানিক ১০ হাজার একরেরও বেশি জমিতে বোরো আবাদের বাম্পার ফলন হয়েছে। এসব জমিতে প্রতি একরে গড়ে দুই টন করে বোরো ধান উৎপাদনের আশা করছেন চাষীরা। এ হিসাবমতে, ১০ হাজার একর জমিতে দুই হাজার টন ধান উৎপাদন হওয়ার কথা। প্রতি মণ ধানের দাম গড়ে ৮০০ টাকা করে ধরলে দুই হাজার টন ধানের দাম প্রায় ৪০ কোটি টাকা হয়। এছাড়া প্রায় ১৫ হাজার একর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। প্রতি একর জমিতে চার টন করে ভুট্টা উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। এ হিসাবে, ১৫ হাজার একর জমিতে ৬০ হাজার টন ভুট্টা উৎপাদন হবে। প্রতি মণ ভুট্টার বর্তমান বাজারদর ৮০০ টাকা অনুযায়ী মোট দাম প্রায় ১২০ কোটি টাকা হয়। এ চার নদীর বুকজুড়ে চাষ করা অন্যান্য ফসলের হিসাব বাদ দিলেও কেবল বোরো ধান ও ভুট্টা বিক্রি করেই প্রায় ১৬০ কোটি টাকা আয়ের প্রত্যাশা করছেন কৃষকরা।

শ্রীরামপুর ইউনিয়নের খেংটি এলাকার ধরলা নদীর তীরবর্তী বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম জানান, ধরলা নদীতে প্রায় এক একর জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন তিনি। ফলনও আশানুরূপ হয়েছে। তবে এসব চাষের বিষয়ে স্থানীয় কৃষি বিভাগের কেউ যোগাযোগ করেনি। পাটগ্রাম পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভূমিহীন কৃষক জবেদুল ইসলাম জবেদ জানান, ধরলা নদীর শুকিয়ে যাওয়া অংশের বালি সরিয়ে প্রায় দেড় একর জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। এতে বাড়তি কোনো ব্যয় হয়নি। তিনিও বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করছেন।

মূল ভূখণ্ডের ২৫ শতাংশ জমিতে ভুট্টা ফলন হয় বলে জানিয়েছেন হাতীবান্ধা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের তিস্তা-তীরবর্তী এলাকার কৃষক হাজী আব্দুর রশীদ। তিনি বলেন, এর থেকেও বেশি ফলন পাওয়া যায় তিস্তার বুকে ভুট্টা চাষ করে। এবারো তিনি আড়াই একর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। তার আশা, এবার প্রতি একরে আড়াই থেকে তিন টন করে ভুট্টা উৎপাদন হবে।          

চার নদীর বুকজুড়ে চাষ হওয়া এ বিপুল পরিমাণ ফসলের কোনো তথ্য নেই লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কাছে। খামারবাড়ির উপপরিচালক শামীম আশরাফ বলেন, নদীর বুকে বা চরের চাষাবাদের আলাদা করে কোনো তথ্য নেই। আমরা উপজেলাভিত্তিক যে তথ্য পাই, সেই তথ্যমতে আমাদের কার্যক্রম চলে। তাই নদীর বুকে কিংবা চরে কী পরিমাণ ফসল উৎপাদন হবে তার সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান বলা বা দেয়া সম্ভব নয়।

তবে এসব জমিতে চাষ সম্পর্কে অবগত লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান। তিনি জানান, প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমের পর এসব নদীতে চাষ করেন স্থানীয় ভূমিহীন কৃষকরা। এর মাধ্যমে তারা স্থানীয় কৃষি অর্থনীতিতেও যথেষ্ট অবদান রেখে চলেছেন।  প্রচুর পলিমাটি ও বালি পড়ে ভরাট হওয়া নদীগুলো খনন ও প্রয়োজনীয় শাসনের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলে নদীগুলো খনন ও শাসন করার উদ্যোগ নেয়া হবে।


আরও খবর
হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে হীরা ধান

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪




তীব্র গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার ১০ উপায়

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

এ বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ বৈশাখ শুরুর আগেই হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। আবহাওয়া অফিস থেকেও জানানো হয়েছে আগামী দুই দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

পূর্বাভাস বলছে, চলমান দাবদাহ আরও চার দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এমন গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোক হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে লোকজন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি। তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে যা করবেন

১. পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন

২. বাড়ির বাইরে থাকার সময় সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন

৩. শরীরে পানিশূন্যতা এড়াতে অতিরিক্ত পানি ও শরবত পান করতে হবে

৪. স্যালাইন পানিতে থাকা সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও চিনি শরীর সজীব রাখতে বিশেষভাবে কার্যকর। দীর্ঘ সময় গরমে থাকলে স্যালাইন পান করুন।

৫. গ্রীষ্মকালীন ফল দিয়ে তৈরি তাজা জুস পান করুন

৬. মাংস এড়িয়ে বেশি করে ফল ও সবজী খান

৭. প্রস্রাবের রঙ খেয়াল করুন। প্রস্রাবের গাঢ় রঙ পানি স্বল্পতার লক্ষণ।

৮. সব সময় ছাতা বা টুপি সাথে রাখুন

৯. ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন

১০. চেষ্টা করুন যেন দিনে কম বাইরে যেতে হয়


আরও খবর



বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অুনসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান সোমবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলছেন, তারা রিটের একটি কপি হাতে পেয়েছেন। সেখানে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে বিবাদী করা হয়েছে দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ চারজনকে।

এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলি অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

জাতীয় ওই দৈনিকে বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে তার নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।

অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


আরও খবর



গোপন বিয়ে’র গুজব উড়িয়ে চমক দিলেন অদিতি-সিদ্ধার্থ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

অদিতি রাও হায়দরি ও সিদ্ধার্থের বিয়ে নিয়ে গুজব ছড়াতেই ময়দানে নামলেন যুগল। এবার নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন তারা। বুধবার থেকে বলিউড সরগরম। খবর ছড়ায়, অভিনেত্রী অদিতি রাও হায়দরি এবং সিদ্ধার্থ নাকি গোপনে বিয়ে সেরেছেন। তেলঙ্গানার রঙ্গনয়কস্বামী মন্দিরে নাকি বিয়ে সেরেছেন যুগল। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) অন্য খবর জানালেন এই যুগল। সমাজমাধ্যমে ছবি পোস্ট করে তারা তাদের বাগ্‌দানের খবর প্রকাশ্যে এনেছেন।

বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে সিদ্ধার্থের সঙ্গে তোলা একটি ছবি পোস্ট করেন অদিতি। সেই ছবিতে যুগলের আঙুলে বাগ্‌দানের আংটি স্পষ্ট। ছবির সঙ্গে অদিতি লেখেন, ও সম্মতি দিল। আমাদের বাগ্‌দান সম্পন্ন হয়েছে।’ এই ভাবেই বিয়ের গুজব উড়িয়ে দিয়েছেন তারা। ২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দক্ষিণী ছবি মহা সমুদ্রম’-এর সেটে আলাপ অদিতি ও সিদ্ধার্থের। ছবির সেট থেকেই তাদের বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। সমাজমাধ্যমে আদুরে ছবি ও ভিডিও পোস্ট করলেও নিজেদের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি দু’জনের কেউই।

বাগ্‌দান সম্পন্ন হতেই সিদ্ধার্থ এবং অদিতির বিয়ে নিয়ে কৌতূহল দানা বেঁধেছে। কিন্তু বিয়ের তারিখ নিয়ে এখনও কোনও তথ্য প্রকাশ করেননি এই যুগল।

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে ছোটবেলার বান্ধবী মেঘনাকে বিয়ে করেছিলেন সিদ্ধার্থ। দীর্ঘস্থায়ী হয়নি সেই বিয়ে। তিন বছরের মধ্যেই ভাঙে সম্পর্কে। ২০০৭ সালে আইনত বিবাহবিচ্ছেদ হয় সিদ্ধার্থের। অদিতির গল্পটাও খানিকটা একই রকমের। মাত্র ২১ বছরেই উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক সত্যদীপ মিশ্রের সঙ্গে বিয়ে হয় অদিতির। তবে চার বছর পর বিয়ে ভাঙে নায়িকারও। ২০১৩ সালে আলাদা হন দু’জনে। এ বার সিদ্ধার্থ-অদিতির বিয়ের অপেক্ষা।


আরও খবর



শুরু হলো শবে কদর তালাশের দশক

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজান শুরুর পর ইতোমধ্যে প্রথম দুই দশক অর্থাৎ, রহমত ও মাগফিরাত শেষ হয়েছে। আজ থেকে শুরু হয়েছে নাজাতের দশক। এই নাজাতের দশকে এমন একটি রাতের কথা বলা হয়েছে, যেই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম। কারণ, এ রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কার হেরা পর্বতের গুহায় মহান আল্লাহ মুহাম্মাদ (সা.)-এর কাছে পবিত্র কোরআন নাজিল করেন।

আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি একে (কোরআন) নাজিল করেছি কদরের রাতে। আপনি কি জানেন মহিমাময় কদর রজনী কী? মহিমান্বিত কদর রজনী হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। (সুরা কদর: ১-৩)

সাধারণত কদর রজনী শেষ দশকে হওয়াই বিশুদ্ধ অভিমত। হজরত আবু সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবু সায়িদকে জিজ্ঞেস করেছি, সে আমার বন্ধু ছিল। তিনি বলেন, আমরা নবী করিম (সা.) এর সঙ্গে রমজানের মধ্য ১০ দিন ইতিকাফে ছিলাম। তিনি ২০ তারিখ সকালে বের হন এবং আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। ভাষণে বলেন, আমাকে কদরের রজনী দেখানো হয়েছিল, অতঃপর ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তোমরা তা শেষ ১০ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে তালাশ করো। আমি নিজেকে মাটি ও পানিতে সিজদা করতে দেখেছি। তাই যারা রাসুলের সঙ্গে ইতিকাফে ছিল, তারা যেন ফিরে আসে। তখন আমরা ফিরে এসেছি। আমরা আকাশে কোনো মেঘ দেখিনি। হঠাৎ একরাতে মেঘ এলো, বৃষ্টি হলো, মসজিদের ছাদ ভেসে গেল। তা ছিল খেজুরগাছের ঢালের এবং নামাজ শুরু হলো, তখন আমি রাসুল (সা.) কে দেখেছি, তিনি পানি ও মাটিতে সিজদা করছেন। এমনকি তার কপালে মাটির চিহ্ন ছিল। (বুখারি, হাদিস : ২০১৬)

শবে কদর অনুসন্ধান ও আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ লাভে প্রত্যেক পাড়া-মহল্লার মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা ইতোমধ্যে ইতিকাফে বসেছেন।

ইতিকাফ হচ্ছে আল্লাহতায়ালার নৈকট্য ও ক্ষমা লাভের এক অনন্য সুযোগ। রমজানের ইতিকাফ শুরু করতে হয় ২০ তারিখের সূর্যাস্তের আগ থেকে। আর তা শেষ হয় রমজান শেষ হলে। অর্থাৎ ২৯ তারিখে চাঁদ দেখা গেলে বা ৩০ তারিখ পূর্ণ হলে। সুতরাং যারা রমজানের শেষ দশকে আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ, অনুকম্পা, ক্ষমা ও করুণার আশায় মসজিদে ইতিকাফ পালন করবেন, তারা আজ সন্ধ্যার মধ্যে মসজিদে যেয়ে অবস্থান নেবেন।

ইতিকাফের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আল্লামা হাফেজ ইবনে রজব বলেছেন, ইতিকাফের উদ্দেশ্য হলো- সৃষ্টির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং স্রষ্টার সঙ্গে সম্পর্ক কায়েম করা। আল্লাহর সঙ্গে পরিচয় যতো গভীর হবে, সম্পর্ক ও ভালোবাসা ততো নিবিড় হবে এবং তা বান্দাকে পুরোপুরি আল্লাহর কাছে নিয়ে যাবে।

শবে কদর তালাশ করতে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রমজানে ইতিকাফে বসতেন। এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি কদরের রাতের সন্ধানে (রমজানের) প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করলাম। এরপর ইতিকাফ করলাম মধ্যবর্তী ১০ দিন। তারপর আমার প্রতি ওহি নাজিল করে জানানো হলো যে, তা শেষ ১০ দিনে রয়েছে। সুতরাং তোমাদের যে ইতিকাফ পছন্দ করবে, সে যেন ইতিকাফ করে। তারপর মানুষ (সাহাবায়ে কেরাম) তার সঙ্গে ইতেকাফে শরিক হয়। (মুসলিম শরীফ)

মুহাক্কিক ইমামগণ বলেছেন, আরবিতে লাইলাতুল কদর শব্দদ্বয়ে ৯টি হরফ বা বর্ণ রয়েছে; আর সুরা কদরে লাইলাতুল কদর শব্দদ্বয় তিনবার রয়েছে; নয়কে তিন দিয়ে গুণ করলে সাতাশ হয়, তাই (ছাব্বিশ দিবাগত) সাতাশ রমজানের রাতে শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা প্রবলভাবে বিদ্যমান রয়েছে। (তাফসিরে মাজহারি)।

শবে কদরে নির্ধারিত ফরজ ইবাদতগুলো সযত্নে পালনপূর্বক সামর্থ্যমতো সর্বাধিক নফল ইবাদতের মাধ্যমে রাত্রি জাগরণ করা সুন্নত। রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের উদ্দেশ্যে আত্মমূল্যায়নসহ কদরের রাত জেগে ইবাদত করবে, তার অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৩০, হাদিস : ৩৪)।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উড়ে গেল বাসের ছাদ, নিহত ১

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাবনা থেকে ঢাকাগামী সি লাইনের যাত্রীবাহী এক বাস সড়কের গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খেয়ে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭ জন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শাহজাদপুরে বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের টেটিয়ারকান্দি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ওয়াদুদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আল-শামীম পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার মধুপুর গ্রামের রাশিদুল ইসলামের ছেলে। এদিকে, আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক তাদের নামপরিচয় জানা যায়নি।

ওসি এম এ ওয়াদুদ জানান, সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পাবনা থেকে ছেড়ে আসা সি লাইন পরিবহনের বাস পাবনা-নগরবাড়ি মহাসড়কের শাহাজাদপুরের টেটিয়ারকান্দা এলাকায় পৌঁছালে অন্য একটি গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাসের পুরো ছাদটি উড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই আল শামীম নামের এক যাত্রী নিহত হয়। আহত হয় আরও সাতজন। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতর পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করে হেফাজতে রাখা হয়েছে।’


আরও খবর