আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সুনামগঞ্জে বাড়ছে নদীর পানি, কাঁচা ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কায় ৮০ শতাংশ পেকে গেছে এমন ধান কেটে ফেলার আহ্বান জানিয়েছে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসন। এতে জেলায় আবাদ করা ২ লাখ ২২ হাজার ৮০৫ হেক্টর জমির কাঁচাপাকা বোরো ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। গত কয়েক দিনের পাহাড়ি ঢলে অকাল বন্যায় সুনামগঞ্জে অনেক বাঁধের ভাঙন ঠেকানো গেলেও কিছু বাঁধ ভেঙে কৃষকদের কাঁচা ধান ডুবে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জেলার হাজারো কৃষক। ফাটল ধরা যে বাঁধগুলো এখনো টিকে রয়েছে, সেগুলোয় কৃষকরা স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন।

শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তরের গাণিতিক মডেলের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয় ও অরুণাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। যার ফলে সুরমা নদী সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় এবং ধনু বাউলাই নদী নেত্রকোনা জেলায় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়েছে, আগামী ২৪-৭২ ঘণ্টায় সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলায় আকষ্মিক বন্যার উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি সমতল ৫.২৫ সে. মিটার এবং শক্তিয়ারখলা পয়েন্টের যাদুকাটা নদীর পানি ৪.৪২ সে. মিটার ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৩ মিলি মিটার এবং ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ২৮৮ মিলি মিটার। তবে এখন পর্যন্ত জেলার সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও আগামী কয়েক দিনে বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রশাসন বলছে ধান তাড়াতাড়ি কাটতে। প্রয়োজনে মেশিন দেবে আমাদের। এখন পেটের দায়ে কাঁচা ধান কাটা হচ্ছে। বাঁধের অবস্থা ভালো না। হাওরের অবস্থাও ভালো না। তাই আমরা কাঁচা ধান কাটা শুরু করেছি।

বিশ্বম্ভরপুরের মল্লিকপুরের বাসিন্দা আব্দুল মতিন বলেন, দুই দিন পর পর শুনি বাঁধে এদিক ওদিক ফাটল ধরেছে। সেগুলো ইউএনও কামলা ধরে ঠিক করাচ্ছে। এই পানির ভয়ে কাঁচা ধান কাটাইতাছি। কৃষি অফিসারে কইছে ১৭ তারিখের পরে কাটতে পারমু না ধান। বন্যা হবে। এখন বিপদে পড়ে কেটে ফেলতেছি।

খরচার হাওরের কৃষক মো. সোহাগ মিয়া বলেন, হাওরের অবস্থা ভালো না। ধানও ভালো হয়নি। অর্ধেক ছুছা, অর্ধেক ধান। বাঁধের অবস্থাও ভালো নয়। কয়েক দিন ধরে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধে কাজ করছি। এখন যে রকম খবর আসছে, তাতে আমাদের ভয় হচ্ছে। এ রকম যদি হয়, তাহলে সামনে আমাদের দুঃখের দিন আসতেছে। এলাকায় কোনো কাজ পাব না। বাড়ি-ঘর ছেড়ে পরিবার নিয়ে ঢাকায় কাজ খুঁজতে হবে।

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বললেন, সুনামগঞ্জের ২ লাখ ২২ হাজার ৮০৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত (শুক্রবার) ৩০ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। যা মোট আবাদের ১৪ ভাগ। আমরা স্থানীয় কৃষক ও জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শ দিচ্ছি ৮০ ভাগ পেকে গেছে এমন ধান যেন কাটা শুরু করেন। আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে এবং উজান থেকে যদি পাহাড়ি ঢল না আসে তাহলে সুষ্ঠুভাবে বোরো ধান সংগ্রহ করতে পারব।

নিউজ ট্যাগ: সুনামগঞ্জ

আরও খবর



ঈদ উপলক্ষ্যে ৪১ রুটে চলবে বিশেষ লঞ্চ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রমজানের শেষে আসছে খুশির ঈদ। চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে আগামী ১০ বা ১১ এপ্রিল সারা দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে। ঈদ উপলক্ষ্যে গ্রামে ফেরা মানুষের চাপ সামাল দিতে দক্ষিণাঞ্চলের নৌ-রুটে বিশেষ লঞ্চের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের চার-পাঁচ দিন আগে আগামী ৬ এপ্রিল ঢাকার সদরঘাট নৌ-টার্মিনাল থেকে বিশেষ লঞ্চ চলাচল শুরু করবে। এ জন্য ইতোমধ্যে ১৩০টি লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের ৪১টি রুটে এসব লঞ্চ চলাচল করবে।

বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, আগামী ৬ এপ্রিল সদরঘাট টার্মিনাল থেকে বিশেষ লঞ্চ চলাচল শুরু হবে।

আগাম টিকিট কবে?

ঈদের বাকি আরও অন্তত তিন সপ্তাহ। এর মধ্যেই অনেক যাত্রী বন্দরে গিয়ে আগাম টিকিটের খোঁজ করছেন। তারা খালি হাতে ফেরত গেছেন। এ বিষয়ে জানিতে চাইলে লঞ্চ মালিকরা জানিয়েছেন, আগাম টিকিট ছাড়ার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।


আরও খবর



গাজায় বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ মাথায় পড়ে নিহত ৫

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজায় বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ মাথায় পড়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৮ মার্চ) গাজার আল শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে এসব ত্রাণ ফেলা হয়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক সংবাদিক সিএনএনকে জানান, বিমান থেকে এসব ত্রাণ ফেলা হয়েছে। তবে কোন দেশের বিমান ছিল, সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।

মাথায় ত্রাণ পড়ে পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আল-শিফা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আল-শেখ। আহত কয়েকজনকে ওই হাসপাতালেই প্রেরণ করা হয়েছে।

গত ৫ মাস ধরে গাজায় অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এতে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে গাজাবাসী। অনাহারে থাকা এসব মানুষকে সহযোগিতায় গত কয়েকদিন ধরে বিমান থেকে ত্রাণ ফেলছে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ। তবে গাজার দাতব্য সংস্থাগুলো বলছে, যে পরিমাণ মানুষ অনাহারে রয়েছে সেটির তুলনায় এই ত্রাণ কিছুই না।

এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৮৩ জন নিহত এবং ১৪২ জন আহত হয়েছেন। অনেক ভুক্তভোগী এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। সব মিলিয়ে টানা ৫ মাসের ইসরায়েলি হামলা ও অভিযানে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩৮ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগ নারী ও শিশু।


আরও খবর



অর্থনৈতিক সব সূচক বাড়ছে, হতাশার কিছু নেই : অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারায় এসে দাঁড়িয়েছে। এ পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ স্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। অর্থনৈতিক সবগুলো সূচক বাড়ছে। কাজেই এখানে অনিশ্চয়তা ও হতাশার কিছু নেই।

আজ সোমবার (৪ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টায় ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সেশন শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

ডিসিদের জন্য কোনো পরামর্শ ছিল কি না, জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি একটি বিষয় তাদের বলেছি। এ পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা আজ সর্বোচ্চ স্থানে এসে দাঁড়িয়েছি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। আমাদের যে সূচকগুলো আছে উন্নয়নের, সেগুলো বাড়ছে। ফেব্রুয়ারি মাসের রেমিট্যান্স ২১৬ মিলিয়ন ডলার। আমাদের সবগুলো সূচকই-তো বাড়ছে। কাজেই আমদের এখানে অনিশ্চয়তার কিছু নেই, হতাশারও কিছু নেই। এগুলো নিয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। এটা চলছেই, যে কিছু হয়নি। যেমন বিএনপির যিনি মহাসচিব, তিনি তার জায়গা থেকে বলেছেন যে তিনি কোনো উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন না। ওরা তো এসব কথাই বলে।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপির যিনি প্রধানমন্ত্রী (সাবেক) ছিলেন বেগম জিয়া, তিনি বলেছেন এ ব্রিজ (পদ্মা সেতু) ভেঙে পড়বে। এসব কথাবার্তা সিরিয়াস কোনো কিউরিসিজম না। এটা কীভাবে বলেন, উনি সিরিয়াসলি বলেছেন, এ ব্রিজ আওয়ামী লীগ বানিয়েছে, এটা ভেঙে পড়তে পারে। কাজেই আপনারা উঠবেন না পদ্মা সেতুতে। এগুলো থেকে সত্যিকার যেটা আসল চিত্র, সেটি তুলে ধরার জন্য ডিসিদের আহ্বান করা হয়েছ।

মানুষের মূল নজর মূল্যস্ফীতিতে, সে ব্যাপারে ডিসিদের কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কি না? জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, খালি ইনফ্লেশনটাই কনসার্ন হয়ে গেলো! আর কিছু না? এক কোটি লোককে কার্ড দেওয়া হয়েছে, তারা সস্তা দামে খাদ্যপণ্য পাচ্ছে।

আয়কর আদায়ে ডিসিদের নির্দেশনা দিয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, হ্যাঁ দিয়েছি। তারা সহায়তা করবেন। তারা যেটা করছেন সেটা করবেন। আরও ভালো করে করবেন, মন দিয়ে করবেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, আজ শেখ হাসিনার যে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, সেটি ধরে বাংলাদেশ এগুচ্ছে। বাংলাদেশের যে অব্যাহত উন্নতি মানুষের মধ্যে যে আশার সঞ্চার হয়েছে সেটি আপনি রাস্তায় ঘুরলেই দেখতে পাবেন। মেট্রোরেলে চড়লেই বুঝতে পারবেন মানুষ কতটা খুশি হয়েছে, আশ্বস্ত হয়েছে। নারীরা কীভাবে একা চলতে পারেন মেট্রোতে, তারা সন্তুষ্ট।


আরও খবর



এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা

পিরোজপুরে কেন্দ্র পরিবর্তন হওয়ায় অংশ নেয়নি দুইতৃতীয়াংশ পরীক্ষার্থী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর আদেশে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার সদ্য সমাপ্ত এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভেন্যু পরিবর্তন হওয়ায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি দুইতৃতীয়াংশ পরীক্ষার্থী। নতুন কেন্দ্র নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ ৩০ কিলোমিটার দুরত্ব ও যাতায়াত ব্যাবস্থা ভালো না থাকায় এমনটি হয়েছে।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, এবারের এসএসসি ভোকেশনাল  পরীক্ষায় জেলার নাজিরপুরের মালিখালী ইউনিয়নের এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র (কোড-৩৭০৩৬) ভেন্যু বাতিল করা হয়। এতে ওই এলাকার আশেপাশের তিনটি স্কুল লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দীর্ঘা এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মানিক নগর কারিগরি ইনষ্টিটিউট এর কারিগরি পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পরে । এই তিন স্কুল থেকে প্রতি বছর ৫০ থেকে ৬০ জন কারিগড়ি পরীক্ষা দিতো লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে । পরীক্ষা কেন্দ্র ভেন্যু পরিবর্তন হওয়ার আদেশ আসায় ওই স্কুল গুলোর দশম শ্রেণির (কারিগরি) ২৫ থেকে ৩৫ জন শিক্ষার্থী রেজিষ্ট্রেশন করেনি। এ কারনে এবার এস এস সি ভোকেশনাল পরীক্ষার জন্য ফর্মফিলাপ করে মাত্র ৩১ জন শিক্ষার্থী।

নির্ধারিত নতুন পরীক্ষা কেন্দ্র নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, বাতিল হওয়া কেন্দ্র থেকে ৩০ থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় ভোগান্তিতে পরে ৩১ পরীক্ষার্থী। স্কুল গুলোর শিক্ষকদের কাছ থেকে জানা গেছে, এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার প্রথমদিনে পরীক্ষার্থীরা মধুমতি নদী পারি দিয়ে চড়াই উৎরাই পার হয়ে পরীক্ষা দিতে আসলেও দ্বিতীয় দিনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে অনুপস্থিত হয় ৩জন। এভাবে শেষ পরীক্ষায় অনুপস্থিতির সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮ জনে।  শেষ পর্যন্ত ১৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এতে করে ১৮ জন পরীক্ষার্থী শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে পড়ে। এ নিয়ে বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে দীর্ঘা এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (অনুপস্থিত) পরীক্ষার্থী অশোক কির্তনিয়া বলেন, নতুন কেন্দ্র নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ  ৩০ থেকে ৩২ কিলোমিটার দুরত্বের কারনে এবার পরীক্ষা দিতে যেতে পারিনি। তাছাড়া আমি ওখানে থেকে যে পরীক্ষা দিবো তার ব্যায় আমার বাবা বহন করতে পারবে না। যদি আবারও লরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা হয় তাহলে আগামী বছর পরীক্ষা দিবো।

লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী লাবন্য মল্লিক বলেন, আমি পরীক্ষা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে কেন্দ্র পরিবর্তন হয়ে নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ হওয়ায় আমি আর পরীক্ষা দিতে পারলাম না। ৩৪/৩৫ কিলো মিটার দূরে গিয়ে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব না। এখানে যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই খারাপ। তাছাড়া বড় একটি নদী খেয়া পার হয়ে যেতে হয়। আমরা সকালে রওয়ানা দিয়ে পরীক্ষার হলে যেতে ৩ ঘন্টা লেগে যেতো। এভাবে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব না। যদি  কখনও লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ,তাহলে আবার পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেবো। না হলে আর পরীক্ষা দেয় হবে না।

এ বিষয়ে মানিক নগর কারিগরি ইনষ্টিটিউট এর পরীক্ষায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থী রনজিত বিশ্বাস বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানতে পারছি এতো দূরে গিয়ে পরীক্ষা দেয়ার খরচ মেটাতে না পারায় পরীক্ষা দেয় নাই। এবার লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি ভোকেশনাল ১৮ জন পরীক্ষার্থী ছিলো। শেষ পর্যন্ত আমাদের মাত্র ৭ জন পরীক্ষা দিয়েছে।

এ বিষয়ে লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের  ট্রেড ইন্সট্রাক্টর (ইলেকট্রিক্যাল) দিপঙ্কর সমাদ্দর বলেন, এভাবে কেন্দ্র কেটে নেয়ায় পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। তিনটি স্কুল দিয়ে এবার সব কটি পরীক্ষা দিয়েছে মাত্র ১৩ জন। আর গত দশ বছর লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থাকায় প্রতি বছর প্রায় ৫০/৬০ পরীক্ষা দিতো। ফলাফলও ভালো করতো।

এ বিষয়ে লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাষ কান্তি বিশ্বাস বলেন, আমার বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশন করেছিলো ৩৪ জন। পরীক্ষা কেন্দ্র নাজিরপুর সদরে চলে যাওয়ায় মাত্র ১৭ জন শিক্ষার্থী ফর্মফিলাপ করে। ১৩ শিক্ষার্থী আর ফর্মফিলাপ করে নাই। এ থেকে শেষ পর্যন্ত মাত্র ৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।

এ বিষয়ে পিরোজপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.ইদ্রিস আলী আযিযী বলেন, আমার এই বিষয়টা জানা ছিলো না। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিবো। আমি খোঁজ খবর নিয়ে এ ব্যাপারে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।

উল্লেখ্য , ২০১৩ সালে লরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র অনুমোদন দেয়া হয়। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ কেন্দ্রে লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দীর্ঘা এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মানিক নগর কারিগরি ইনষ্টিটিউট এর কারিগরি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতো।


আরও খবর



কর্মী হিসেবে অফিসে আপনার আচরণ কেমন হওয়া উচিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

জীবনের তাগিদে অনেকেরই চাকরি করতে হয়। এ কারণে অফিস বা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কাজ করতে হয়। কর্মক্ষেত্রে থাকা সব মানুষগুলো এক ধরনের হয় না। এরপরও সবার সঙ্গে মানিয়ে চলতে হয়। কাজের ক্ষেত্রে মতামতে অমিল, দক্ষতায় সাম না হওয়া এবং কারও বিশেষ ক্ষেত্রে দক্ষতার জন্য অনেক সময় বিভেদের সৃষ্টি হয়। এই বিভেদ অনেকে প্রকাশ করেন, আবার কেউ কেউ প্রকাশ করেন না। কিন্তু বিভেদ প্রকাশ হোক বা হোক, মনে বিভেদ থাকলে এ থেকে কাজের পরিবেশ নষ্ট হয়। ফলে এক বা দুজনের কারণে পুরো টিমে এর প্রভাব পড়ে। এমনকী ব্যক্তিজীবনেও এর প্রভাব পড়ে।

কর্মক্ষেত্রে সবসময় টিম বা অফিসের ইতিবাচক হয়, এমন চিন্তাভাবনা এবং এ উদ্দেশ্যে সবার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। যেকোনো বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করে অগ্রসর হতে হবে। কারও সঙ্গে মতামতের মিল না হলে ভেবে দেখতে হবে, দুজনের মধ্যে কার সিদ্ধান্ত অফিসের জন্য সেরা সুফল বয়ে আনবে। কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের কেমন আচরণ ও ব্যবহার হওয়া উচিতএ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ক্যারিয়ারবিষয়ক পরামর্শ প্রকাশ করা ওয়েবসাইট কেটি রবার্টস।

সততা: ব্যক্তিগত কিংবা অফিশিয়াল জীবনে সততা সবার ঊর্ধ্বে। কর্মক্ষেত্রে সবসময় খোলামেলাভাবে কাজ করতে হবে। অপ্রয়োজনীয়ভাবে গোপনীয়, বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত বা ক্লায়েন্টের তথ্য অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না। কেউ অসৎ আচরণ বা অন্যায় করলে সেটি সহ্য বা সমর্থন করা যাবে না। এমনটা হলে নিজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাতে হবে।

পরস্পর সম্মান: সবসময় অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব বজায় রাখতে হবে, এমনকি চাপের সময়ও। নিজে কোনো কারণে কোনো কাজের জন্য চাপে বা জটিলতায় থাকা স্বাভাবিক, তাই বলে সহকর্মীদের কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, আঘাত বা অসম্মান করবেন না। হোক সে আপনার সিনিয়র বা জুনিয়র। সবসময় মৌখিক এবং লিখিতভাবে উপযুক্ত ভাষা ব্যবহার করবেন। নিজের ভুল হলে বা কখনো ভুল বোঝাবুঝি হলে ক্ষমাপ্রার্থী হতে হবে এবং অন্যের ব্যক্তিগত মতামতকেও সম্মান করতে হবে।

মিটিং: কর্মক্ষেত্রে অফিসের উন্নয়ন বা নতুন কোনো পদক্ষেপের জন্য মিটিং, আলোচনা সভার প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে আগে থেকেই সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এসব মিটিংয়ে সর্বদা সময়মত পৌঁছান। মিটিংয়ে আপনার কী করতে হবে, তা আগে জেনে-বুঝে নিয়ে কাজগুলো গুছিয়ে রাখুন। মিটিংয়ে থাকা সবার কথাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে শুনুন এবং নিজের কোনো মতামত থাকলে তা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন।

যোগাযোগ: সহকর্মীদের সঙ্গে সর্বদা স্পষ্টভাবে কথা বলুন এবং কিছুটা সময় লাগলেও এমন ভাষায় উপস্থাপন করুন, যাতে সবাই তা বুঝতে পারে। সবার সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ করুন। সহকর্মীদের সঙ্গে অফিশিয়াল ব্যতীত অন্য কোনো বিষয়ে কথা বলা উচিত নয়। অফিসের বাইরে সহকর্মীদের সঙ্গে অফিস সংক্রান্ত গসিপে জড়ানোও ঠিক নয়। সরাসরি বা মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় সর্বোচ্চ শালীনতা বজায় রাখতে হবে এবং লিখিত যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভাষা নির্বাচনে সতর্ক থাকুন।

টাইম ম্যানেজমেন্ট: অফিসে আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আপনাকে দেয়া কাজটি যথাসময়ে করার চেষ্টা করুন। কখনো বিলম্ব করা ঠিক নয়। প্রয়োজনে কয়েক মিনিট আগে অফিসে পৌঁছান। কোনো কারণ দু-একদিন অফিসে পৌঁছাতে দেরি হতে পারে, তবে সেটি যেন অভ্যাসে পরিণত না হয়ে যায়। অফিসে গিয়ে কফি পান ও সহকর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সব গুছিয়ে ঠিক সময়ে অফিসের কাজ শুরু করুন। কাজের মাঝে চা বিরতি ও দুপুরের খাবার এবং বিরতির সময়সূচি মেনে চলুন। কাজ শেষ হলে যথা সময়ে চলে যান।

অফিসের লক্ষ্য: প্রতিটি অফিসেরই নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য থাকে। সেসব বাস্তবায়নে একেকজন কর্মীর ওপর একেক ধরনের দায়িত্ব দেয়া থাকে। আপনার ওপর অর্পিত দায়িত্ব আপনি নিজে গুরুত্বসহকারে করার চেষ্টা করুন।

দায়িত্ববান হওয়া: নিজের কাজের জন্য নিজেকেই দায়িত্ব নিতে হবে। যেটি প্রয়োজন সেটি করুন এবং নিজের কাজ অন্যের জন্য রেখে দেবেন না। কোনো কারণে নিজের কিছু ভুল হলে বা নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে না পারলে, এটি বিনয়ের সঙ্গে স্বীকার করার অভ্যাস করুন। এ নিয়ে অন্য সহকর্মী বা ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান তৈরি করুন। এতে পরবর্তীতে কাজটি শেষ করা আপনার জন্য সহজ হবে।

টিমওয়ার্ক: কর্মক্ষেত্রে সবাইকে নির্দিষ্ট টিমের সঙ্গে কাজ করতে হয়। এতে প্রায়ই এমন কিছু পরিস্থিতি হয়, যে কাজগুলো আপনার পছন্দের নয়। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ বাদ রেখে সবার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দলগতভাবে কাজ করতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: কর্মক্ষেত্র

আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪