নরম, কোমল ও মসৃণ ত্বক কে না চায়। কিন্তু
পরিবেশ দূষণ, খাদ্যাভ্যাস, অযত্ন ও অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের কারণে ত্বক কোমলতা হারায়।
ফলে অকালে ত্বকে পড়ে বার্ধক্যের ছাপ।
কিছু খারাপ অভ্যাস আপনার ত্বকে অকালবার্ধক্যের
লক্ষণগুলো ফুটিয়ে তোলে। ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের প্রতিবেদন
অনুযায়ী আজ আমরা চারটি গুরুতর বদভ্যাসের কথা জানব। এগুলো এড়ালে ফিরে পাবেন আপনার ত্বকের
জেল্লা।
ধূমপান
ধূমপান যে ক্ষতিকর, এ কথা আমরা সবাই জানি।
তবু আমরা সহজে এ বদভ্যাস ত্যাগ করতে পারি না। কিন্তু ত্বকের জেল্লা ফিরে পেতে এবং অকালবার্ধক্য
রুখতে আপনাকে অবশ্যই ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। ধূমপানের ফলে ত্বকের কোলাজেন ও ইলাস্টিন
প্রোটিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাছাড়া এটি ত্বকের স্বাভাবিক বার্ধক্যের প্রক্রিয়াকেও গতিশীল
করে তোলে। এর কারণে অকালে ত্বকে বলিরেখা লক্ষ করা যায়। তাই দ্রুত এ বদভ্যাস ত্যাগ করুন।
অ্যালকোহল
অ্যালকোহল শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর। তাই
মদপানের অভ্যাস থাকলে এখনই ছাড়ুন। অ্যালকোহল শরীরকে ডিহাইড্রেট করে এবং শরীরে ভিটামিন
এ-এর মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে অকালে ত্বকের তারুণ্য হারিয়ে যায়। এ বদভ্যাস যত দ্রুত
পারেন দূর করুন।
অনিদ্রা
সুস্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম দরকার।
অনিদ্রার কারণে চোখের নিচে কালশিটে পড়ে যায়। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে ত্বক জেল্লা হারায়।
এ ছাড়া অনিদ্রার কারণে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাও ক্রমশ হারিয়ে
ফেলে ত্বক। ফলে বলিরেখা বাড়ে এবং অকালে পড়ে বার্ধক্যের ছাপ।
মানসিক চাপ
শুধু ত্বকের জন্যই নয়, সুস্বাস্থ্যের জন্য
মানসিক চাপ এড়ানো জরুরি। অকারণে দুশ্চিন্তা করবেন না। জীবনে উত্থান-পতন থাকবেই। তাই
বলে ভেঙে পড়লে চলবে না। মানসিক চাপ শরীরের ওপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। এর লক্ষণ প্রকাশ
হয় ত্বকেও। মানসিক চাপের কারণে বার্ধক্যের প্রক্রিয়া দ্রুত হয়। মানসিক চাপ শরীরে
প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা ত্বকের তন্তুসহ শরীরের বিভিন্ন অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে অকালে
বার্ধক্য আসে ত্বকে।