আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সুন্দর ত্বক পেতে দূর করুন ৪ বদভ্যাস

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নরম, কোমল ও মসৃণ ত্বক কে না চায়। কিন্তু পরিবেশ দূষণ, খাদ্যাভ্যাস, অযত্ন ও অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের কারণে ত্বক কোমলতা হারায়। ফলে অকালে ত্বকে পড়ে বার্ধক্যের ছাপ।

কিছু খারাপ অভ্যাস আপনার ত্বকে অকালবার্ধক্যের লক্ষণগুলো ফুটিয়ে তোলে। ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী আজ আমরা চারটি গুরুতর বদভ্যাসের কথা জানব। এগুলো এড়ালে ফিরে পাবেন আপনার ত্বকের জেল্লা।

ধূমপান

ধূমপান যে ক্ষতিকর, এ কথা আমরা সবাই জানি। তবু আমরা সহজে এ বদভ্যাস ত্যাগ করতে পারি না। কিন্তু ত্বকের জেল্লা ফিরে পেতে এবং অকালবার্ধক্য রুখতে আপনাকে অবশ্যই ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। ধূমপানের ফলে ত্বকের কোলাজেন ও ইলাস্টিন প্রোটিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাছাড়া এটি ত্বকের স্বাভাবিক বার্ধক্যের প্রক্রিয়াকেও গতিশীল করে তোলে। এর কারণে অকালে ত্বকে বলিরেখা লক্ষ করা যায়। তাই দ্রুত এ বদভ্যাস ত্যাগ করুন।

অ্যালকোহল

অ্যালকোহল শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর। তাই মদপানের অভ্যাস থাকলে এখনই ছাড়ুন। অ্যালকোহল শরীরকে ডিহাইড্রেট করে এবং শরীরে ভিটামিন এ-এর মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে অকালে ত্বকের তারুণ্য হারিয়ে যায়। এ বদভ্যাস যত দ্রুত পারেন দূর করুন।

অনিদ্রা

সুস্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। অনিদ্রার কারণে চোখের নিচে কালশিটে পড়ে যায়। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে ত্বক জেল্লা হারায়। এ ছাড়া অনিদ্রার কারণে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাও ক্রমশ হারিয়ে ফেলে ত্বক। ফলে বলিরেখা বাড়ে এবং অকালে পড়ে বার্ধক্যের ছাপ।

মানসিক চাপ

শুধু ত্বকের জন্যই নয়, সুস্বাস্থ্যের জন্য মানসিক চাপ এড়ানো জরুরি। অকারণে দুশ্চিন্তা করবেন না। জীবনে উত্থান-পতন থাকবেই। তাই বলে ভেঙে পড়লে চলবে না। মানসিক চাপ শরীরের ওপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। এর লক্ষণ প্রকাশ হয় ত্বকেও। মানসিক চাপের কারণে বার্ধক্যের প্রক্রিয়া দ্রুত হয়। মানসিক চাপ শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা ত্বকের তন্তুসহ শরীরের বিভিন্ন অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে অকালে বার্ধক্য আসে ত্বকে।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ডাক

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফাইরুজ আবন্তিকা নামে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেল তিনটায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করবেন তারা। নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে ফাইরুজ আবন্তিকার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও ক্যাম্পাসের ভিতর টায়ার জ্বালিয়ে আন্দোলন করে। এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উপাচার্যের নির্দেশে অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অব্যাহতি ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন।

একই সঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ, সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন আইন কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার দাস। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, সঙ্গীতের চেয়ারম্যান ঝুমুর আহমেদ।

শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার পরপরই উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম রাত ১টার দিকে ক্যাম্পাসে আসলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আটকে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তখন ড. সাদেকা হালিম শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় ঘোষণা দেন।

এসময় এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত কর্মদিবস সময় নিতে চাইলে শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে আগামী ১২ ঘণ্টায় মধ্যে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেশ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থার দাবি জানান। একই সঙ্গে রাতের মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, বিগত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানিসহ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রশাসনের গাফিলতির কারণে অভিযুক্তরা পার পেয়ে গেছেন। তাই এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।

এর আগে শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা জেলা সদরের নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। পরে তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, ফাইরুজ আবন্তিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আত্মহত্যা চেষ্টার আগে ফেসবুকে দেয়া দীর্ঘ এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেছেন।


আরও খবর



সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন: ফল ঘোষণা নিয়ে অনিশ্চয়তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের দুইদিন ব্যাপী নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের মধ্যে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

প্রত্যক্ষদশী কয়েকজন আইনজীবী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ভোট বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হয়। তখন থেকেই স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী ও বিএনপির প্যানেলের প্রার্থীরা রাতেই ভোট গণনার পক্ষে সোচ্চার হন। তারা নির্বাচন কমিশনকে ভোট গণনা করে ফল ঘোষণা করতে বলেন। তবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী শাহ মনজুরুল হক শুক্রবার বেলা ৩ টায় দিনের আলোতে ভোট গণনা চাচ্ছিলেন।

এ বিষয় নিয়েই একপর্যায়ে দুপক্ষের সমর্থকদের মাঝে হট্টগোল শুরু হয়। শুক্রবার ভোরে হাতাহাতি মারামারির ঘটনাও ঘটে। এতে কয়েকজন আইনজীবী আহত। যেখানে একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলকে মারধর করা হয়। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বহিরাগতরা এই হামলা করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীরা জানিয়েছে।

এক পর্যায়ে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথিকে বিজয়ী ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের প্রধান অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের। তিনি বলেন, ভোট গণনার সময় অন্য সম্পাদক প্রার্থী উপস্থিত না থাকায় সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হলো।

পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুপ্রিম কোর্টে এসে বহিরাগতদের বের করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ভোটের বাক্সগুলো পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ফলাফল ঘোষণার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী শাহ মনজুরুল হকবলেন, ভোট তো গণনাই হয়নি। সকাল ৮ টার পর পুলিশের পাহারায় আমি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ ছেড়ে বাসায় চলে এসেছি। আমাদের নেতৃবৃন্দ সার্বিক বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবেন।

বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ভোটের পর আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলাম। এখনও আমরা ফলাফলের অপেক্ষায় আছি। আমরা এখন ব্যালট বাক্সও খুজে পাচ্ছি না, নির্বাচন কমিশনকেও খুজে পাচ্ছি না।

শুক্রবার সকালে দেখা যায় ভোটের ব্যালট বাক্স সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে পুলিশের পাহারায় রয়েছে। এই প্রাঙ্গণে আইন শৃংখলা বাহিনীর কিছু সদস্য ছাড়া কোন দলের প্রার্থী ও সমর্থকদের দেখা যায়নি। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা ফোন করে কাউকে পাওয়া যায়নি।

গতকাল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের দুইদিন ব্যাপী নির্বাচনের শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। দুইদিনে সাত হাজার ৮৮৩ জন আইনজীবীর মধ্যে পাঁচ হাজার ৩১৯ আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।


আরও খবর



পরী-বুবলীর তর্কযুদ্ধে মজা লুটছেন অপু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বৃষ্টিময় শীতল আবহাওয়ায় হঠাৎ করেই শীতল এক যুদ্ধ চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যতম জনপ্রিয় প্ল্যটফরম ফেসবুকে। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় দুই চলচ্চিত্র তারকার মধ্যে চলছে কথার লড়াই। একজন পরীমনি, অপরজন বুবলী। বুধবার (২০ মার্চ) রাত থেকেই চলছে দুই নায়িকার ফেসবুক যুদ্ধ। চলছে পাল্টাপাল্টি পোস্ট।

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর একমাত্র সন্তান শেহজাদ খান বীরের জন্মদিনকে ঘিরে। ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রায় পাঁচ মিনিটের সেই ভিডিওতে ছেলেকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা দিতে দেখা গেছে তাকে।

তবে বিপত্তি বাধে সেই ভিডিও নিয়েই। বুবলীর সেই ভিডিও প্রকাশের পরপরই মধ্যরাতে নিজের ফেসবুকে তাকে খোঁচা দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পরীমনি। কিন্তু পুরো স্ট্যাটাসে কোথাও বুবলীর নাম মেনশন করেননি তিনি। তবে কারো বুঝতে বাকি নেই যে পোস্টটি বুবলীকে ইঙ্গিত করে করা! নিজের স্ট্যাটাসে পরীমনির দাবি, প্রায় ছয় মাস আগে তার সন্তান পুণ্যকে নিয়ে বানানো ভিডিওকে কপি করেই বানানো হয়েছে বুবলীর সন্তানের সেই ভিডিও।

অবশ্য পরীমনির পোস্টের পর বুবলীও আলাদা করে পরীকে ইঙ্গিত করে পোস্ট করেছেন। তার দাবি, কাছাকাছি মেলে, একদম মেলে- এ রকম বহু বহু জিনিস হচ্ছে দুনিয়াতে। কিন্তু এসবে পৃথিবীর কারো কোনো অসুবিধা নাই। শুধু এক ধরনের সিন্ডিকেটের অবস্থা দেখলে মনে হয় যে এরাই শুধু মা হয়েছে, আর কেউ মা হয়নি। এ ছাড়া অভিনেত্রী বিভিন্ন ইঙ্গিতমূলক কথা লেখেন নিজের স্ট্যাটাসে।

এরপর বুবলীর সেই পোস্টকে ঘিরেও নতুন করে পোস্ট দেন পরীমনি। সেটিকে গরুর রচনার সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। পাল্টা পোস্ট দিয়ে লেখেন, হিহিহি একটি শিক্ষিত বকরির গরুর রচনা! সেই সঙ্গে বুবলীকে বেচারি উল্লেখ করে খোঁচাও মারেন পরী মনি। এটাও লেখেন যে বুবলী নিজেও জানে না সে কী লিখছে! নিজের লেখা সে নিজেও বুঝতে পারবে না।

এদিকে পরীমনি-বুবলীর মধ্যে ভার্চুয়াল লড়াই যখন চলছে, এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিলেন অপু বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত ৮টায় ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন উফ কী সুন্দর ওয়েদার। বলার ভাষা নেই, আবেগ নেই, মিউজিক নেই, শুধু ছবিটাই আছে।

অপু বিশ্বাসের এ স্ট্যাটাসের অর্থ অবশ্য বুঝতে বাকি নেই নেটিজেনদের। তারা বলছেন, বুবলীকে এবার অপু বিশ্বাসও খোঁচা দিলেন। সামাজিক মাধ্যমে যা নিয়ে চলছে এখন নানা সমালোচনা। তিন তারকার ভক্তরাও সামাজিক মাধ্যমে বিভ্রান্ত হচ্ছেন তাদের একে অপরকে ইঙ্গিত করে চলা এই তর্কযুদ্ধে। অনেকেই অনুরোধ করছেন এই তর্কযুদ্ধ থামাতে। এখন দেখার বিষয়, অপুর ইঙ্গিতের পর এই লড়াই কোন দিকে মোড় নেয়!


আরও খবর



বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড

পুড়ে মারা গেলেন এডিশনাল ডিআইজির বুয়েট পড়ুয়া মেয়ে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হয়েছেন দেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্রী লামিশা ইসলাম। তিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে কর্মরত অতিরিক্ত ডিআইজি মো. নাসিরুল ইসলাম বিপিএমের মেয়ে লামিশা।

২০১৮ সালে অসুস্থতাজনিত কারণে লামিশার মারা যান মা। এরপর ছোট বোন আর বাবাকে আগলে রাখতেন লামিশা। দুই কন্যা সন্তানের কথা চিন্তা করে পুলিশ কর্মকর্তা বাবা ডিআইজি মো. নাসিরুল ইসলাম আর বিয়ে করেননি। স্কুল-কলেজ পেরিয়ে লামিশা ভর্তি হয়েছিলেন দেশসেরা বিদ্যাপীঠে। কিন্তু মেধাবী এই শিক্ষার্থীর জীবন প্রদীপ নিভে গেল রাজধানীর বেইলি রোডের আগুনে।

এ নিয়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ছোট বেলায় মা হারা পরিবারে লামিশারা ছিল দুই বোন। হঠাৎ আগুনে আবারও বিধ্বস্ত হলো এ পরিবারটি। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও বলেছিলেন, আমাদের একজন সহকর্মীর মেয়ে মারা গেছেন। পরে জানা যায়, সেই মেয়েটিই নিহত লামিশা ইসলাম।

লামিশাকে হারিয়ে বাবা পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি (রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড ক্যারিয়ার প্ল্যানিং-১) নাসিরুল ইসলাম হয়ে পড়েছেন বাকরুদ্ধ। তার সহকর্মীরাও শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছেন।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ভবনে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার সংবাদ আসে ফায়ার সার্ভিসের কাছে। এরপর ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ ঘটনায় অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এছাড়া, গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। আহত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে ৩৫ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।

পরিস্থিতিকে ভয়াবহ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন, তাদের বেশিরভাগের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাইকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ভয়াবহ এই আগুনের ঘটনার নেপথ্যের কারণ, ভবনের অগ্নি নিরাপত্তা ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণসহ হতাহত বেশি হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।


আরও খবর



পিরোজপুরে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগের সভাপতিকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

পিরোজপুরে আলোচিত নৌকার এজেন্ট ও জেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগের সভাপতি ফয়সাল আকনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনায় গতকাল বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আহত ফয়সালের বাবা মোহাম্মদ মোফাজ্জল আকন বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলো- প্রধান আসামি উত্তর নামাজপুরের লিটন শিকদারের ছেলে মিজান শেখ, পার কুমারখালীর দেলোয়ার হোসেনের ছেলে জামাল হোসেন শেখ, ভাইজোড়া এলাকার জব্বার ফকিরের ছেলে সাইদুল ফকির, উত্তর নামাজপুরের আব্দুল মোতালেবের ছেলে আল-আমীন, একই এলাকার আশরাফ আলীর ছেলে সোহেল হাওলাদার, মোহাম্মদ আউয়ালের ছেলে মোহাম্মদ হাসান, একই এলাকার সোবহান সিকদারের ছেলে জুয়েল সিকদার। এছাড়া অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার ৭ নং আসামি জুয়েল সিকদারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

আরও পড়ুন>> মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ সভাপতির উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে বিক্ষোভ

উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে পিরোজপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের নামাজপুর এলাকায় ফয়সাল আকনকে স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম আউয়ালের ঈগল প্রতীকের সমর্থক (ক্যাডার) মিজান শেখ, জামাল শেখ, সাইদুল ফকির, আল-আমীন, সোহেল হাওলাদার, মোহাম্মদ হাসান ও জুয়েল সিকদারসহ আরও ৭/৮ জনের সন্ত্রাসী দল ধারালো দা, চাইনিজ কুড়াল, জিআই পাইপ ও লোহার রড দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।

এতে ফয়সালের মাথা, গাল, পিঠের নিচের অংশ ও হাতের আঙ্গুল গুরুতরভাবে জখম হয় এবং পেটের ভুঁড়ি বের হয়ে যায়। ঘটনার পর এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফয়সালকে খুলনা প্রেরণ করে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। আহতের ঘটনায় পিরোজপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আসিকুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় আহতের পিতা মোহাম্মদ মোফাজ্জল আকন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। আমরা ৭ নং আসামি জুয়েল সিকদারকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি আসামি গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর