সুন্দরবনে মাছ
ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার ১১ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত কোনো
দস্যুকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর)
দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন
ভোরে সুন্দরবন পূর্ববন বিভাগের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জ এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা
হয়। তাদের মধ্যে শরণখোলা থানা পুলিশ তিনজন ও মোংলা থানা পুলিশ বাকিদের উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃতরা জেলেরা
হলেন, মো. রফিকুল ইসলাম খান (৩৫), শুকুর আলী বেপারি (৩০), মো. আকরাম হোসেন (৪২), আনিচ
শেখ (২২), মো. মিলন শেখ (২৩), মো. মনির বেপারী (৩৬), মো. বকতিয়ার বেপারী (৩৫) ও মো.
অলি শিকদার (৪৮)। তাদের বাড়ি বাগেরহাট জেলার রামপাল, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, সদর ও খুলনার
বটিয়াঘাটা উপজেলায়।
শরণখোলা থানা
পুলিশের অভিযানে উদ্ধারকৃত জেলেরা হলেন, সোহেল মল্লিক (২৮). আসাদুল শেখ (৩২) ও হানিফ
হাওলাদার (৪৮)।
জানা গেছে, গত
১৫ ডিসেম্বর বিকেলে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের বেড়ির
খাল ও হরমল খাল থেকে ১১ জনকে অপহরণ করে দস্যুরা। পরে জেলে-প্রতি ১০ হাজার টাকা করে
মুক্তিপণ দাবি করে দস্যুরা।
বাগেরহাটের পুলিশ
সুপার কেএম আরিফুল হক জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর জেলেদের অপহরণের সংবাদে পুলিশ সুন্দরবনে
বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চালিয়ে মোংলা ও শরণখোলা এলাকা থেকে ১১ জেলেকে উদ্ধার
করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান,
বুধবার ভোরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণে কোনো বনদস্যুকে গ্রেপ্তার
করা সম্ভব হয়নি। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।