আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তিন মাসের জন্য বন্ধ হচ্ছে সুন্দরবন। এ সময় পর্যটক প্রবেশ ও সাধারণ মানুষের চলাচলসহ নদী-খালে মাছ শিকারও বন্ধ থাকবে। ১ জুন থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। মাছ ও বন্যপ্রাণীর বংশবৃদ্ধি, বিচরণ এবং প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, সরকার তার রাজস্বের দিকে না তাকিয়ে সুন্দরবন ও এতে বিচরণকারী প্রাণী ও বিভিন্ন খালের মাছ রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য জুন থেকে আগামী তিন মাস সুন্দরবনে পর্যটক ও জেলেদের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। আগামী ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে মাছ ধরতে পারবেন না জেলেরা। পাশাপাশি ঢুকতে পারবেন না কোনো পর্যটক। এ সময়ের মধ্যে কোনো নৌযান সুন্দরবনের অভ্যন্তরের খালগুলোতে চলাচল করবে না।

বন বিভাগ এ মৎস্য অফিসের তথ্যানুযায়ী, এখন সুন্দরবনে ২৫১ প্রজাতির মাছের প্রজনন মৌসুম তাই বন বিভাগ থেকে জেলেদের জন্য সব ধরনের পারমিট বন্ধ রাখা হবে। বনের নদী ও খালে নৌযান চলাচল করলে মাছের ডিম ছাড়তে সমস্যা হবে তাই সব ধরণের নৌযানও বন্ধ থাকবে।

এখন প্রজনন মৌসুম চলছে বনের ৩১৫ প্রজাতির পাখির, ৩৫ প্রকারের সরীসৃপ, ৪২ প্রকারের স্তন্যপায়ী প্রাণীর। এসব প্রাণীর মধ্যে রয়েছে বাঘ, হরিণ, শুকর, বানর, কুমির, ডলফিন, ভোঁদড়, বন বিড়াল ও মেছো বাঘসহ অন্যান্য প্রাণী।

সুন্দরবনে প্রবেশ বন্ধের পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য করমজল, হারবাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, নিল কমল, দুবলা, আলোর কোল, হিরণ পয়েন্ট, টাইগার পয়েন্ট ও কলাগাছিয়াসহ ১১টি স্পটে বন্ধ থাকবে পর্যটক প্রবেশ।


আরও খবর



থাইল্যান্ডে ভিক্ষু বেশধারী ৭ বাংলাদেশি আটক

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

থাইল্যান্ডে বৌদ্ধভিক্ষুর বেশধারী ৭ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা সবাই অবৈধ অভিবাসী। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় সোংখলা প্রদেশ থেকে তাদের আটক করা হয়। দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য থাইগার সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোংখলা ইমিগ্রেশন ও হাট ইয়াই ট্যুরিস্ট পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আটককৃ ৭ জনের সবাই পুরুষ। তারা থাইল্যান্ডকে মালয়েশিয়া যাওয়ার রুট হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানীয়দের সঙ্গে মিশে যেতে এবং কর্তৃপক্ষের নজর এড়াতে তারা মাথা ন্যাড়া করে বৌদ্ধভিক্ষু সেজেছিলেন। বাংলাদেশি এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ৪৬ বছর বয়সি এক ব্যক্তি। তারা বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেন।

স্থানীয় প্রসাশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রেফতার সাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থাইল্যান্ডে অবৈধ প্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা যে বৌদ্ধভিক্ষু, এমন কোনো প্রমাণ তাদের কাছে ছিল না।


আরও খবর
নেদারল্যান্ডসে বন্দুক হামলায় নিহত ৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




সংগ্রাম-সাফল্যের দশ বছরে আজকের দর্পণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আমার এ জন্মদিন-মাঝে আমি হারা/আমি চাহি বন্ধুজন যারা/তাহাদের হাতের পরশে/মর্ত্যের অন্তিম প্রীতিরসে/নিয়ে যাব জীবনের চরম প্রসাদ/নিয়ে যাব মানুষের শেষ আশীর্বাদ/শূন্য ঝুলি আজিকে আমার/দিয়েছি উজাড় করি/যাহা-কিছু আছিল দিবার/প্রতিদানে যদি কিছু পাই/কিছু স্নেহ, কিছু ক্ষমা/তবে তাহা সঙ্গে নিয়ে যাই/পারের খেয়ায় যাব যবে/ভাষাহীন শেষের উৎসবে।’-আজকের দর্পণের ৯ম জন্মদিন আজ।

২০১৪ সালের এই দিনে গণতন্ত্রকে মজবুত, রাষ্ট্র-সমাজের অনিয়ম-দুর্নীতি-অসঙ্গতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ এবং ইতিবাচক বাংলাদেশকে তুলে ধরতে সংগ্রামী যাত্রা শুরু করেছিল পত্রিকাটি। দেশে এখনো বলিষ্ঠ কণ্ঠে, সোচ্চার লেখনীতে অন্যায়-অবিচার, শোষণ-বঞ্চনা, অনিয়ম-দুর্নীতির খবর তুলে আনতে আজকের দর্পণ সাফল্যের সঙ্গে নিজের অবস্থান করে নিয়েছে। একইসঙ্গে ইতিবাচক সংস্কৃতি ও ইতিবাচক সংবাদ তুলে ধরতেও আজকের দর্পণের জুড়ি নেই।

আজকের দর্পণ শুধু সংবাদ প্রকাশ করে থেমে থাকেনি। বাংলাদেশের ইতিবাচক উন্নয়নে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে পত্রিকাটি। মূলত আজকের দর্পণ সর্বত্র বাংলাদেশের সাফল্য চায়। এতে সবচেয়ে বড় অনুঘটকের ভূমিকা নিচ্ছে এ দেশের লাখ লাখ পাঠক। আর এসবের ভিত্তি হলো সুসাংবাদিকতা, জনমুখিতা, বদলের সহযোগী, সৃজনশীলতা, সংহতি। সেইসঙ্গে পাঠকের ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়।

প্রচারসংখ্যায় আজকের দর্পণ সর্বশীর্ষে এখনো পৌঁছাতে না পারলেও খবরের গুণগত মান ও মর্যাদার দিক থেকে এগিয়ে আছে সমসাময়িক অনেক পত্রিকার চেয়ে। যা সহযোগী সংবাদ মাধ্যমগুলোর জন্য সব সময়ই ঈর্ষণীয় হয়ে রয়েছে। তাই দিনশেষে খবরের বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য আজকের দর্পণ পত্রিকাটিই খুঁজে নেন সবাই। এভাবেই দীর্ঘ পরিক্রমায় মানুষের মনের মণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছে আজকের দর্পণ। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য পত্রিকাটি আজ দেশ পেরিয়ে বিদেশের পাঠকদের কাছেও সমাদৃত।

স্বাধীন, নিরপেক্ষ, সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতার ধারা মেনে সুনামধন্য এ সংবাদ মাধ্যমটি কোনো দলের মুখপত্র হয়নি। জনগণের পক্ষে কোনো সত্য উচ্চারণে কখনই হয়নি শঙ্কিত। পেশাদারি দক্ষতা ও উৎকর্ষ অর্জনে আজকের দর্পণের প্রতিটি সদস্য সবসময় থেকেছে সর্বোচ্চ সচেষ্ট। যাত্রালগ্ন থেকেই পরিবর্তনের সহযোগী আজকের দর্পণ। তাই স্বল্প সময়েই তা জনগণের কাগজ হয়ে উঠেছে। বাড়ির ছোট্ট শিশু থেকে গৃহিণী, কর্মজীবী নারী থেকে প্রবীণতম সদস্য-সবার হৃদয়েই জায়গা দখল করে নিয়েছে আজকের দর্পণ।

পথচলার ১০ম বছরের শুরুতে আজকের দর্পণ পাঠককুলের হাতে তুলে দিচ্ছে ১২ পৃষ্ঠার মূল পত্রিকার সঙ্গে ৪৮ পৃষ্ঠার একটি বর্ষপূর্তি সংখ্যা। এতে লিখেছেন দেশের স্বনামধন্য লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সমাজবিজ্ঞানী এবং প্রজ্ঞাবান বুদ্ধিজীবীরা।

দৈনিক আজকের দর্পণ এখন পর্যন্ত দেশের সর্বাধিক প্রযুক্তি সুবিধাসম্পন্ন প্রচার মাধ্যম। পত্রিকাটি ছাপা হয় সর্বাধুনিক প্রিন্টিং প্রেসে। আধুনিক, সুপরিসর অফিসে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে শুরু থেকেই। এ কারণে প্রতিদিন নির্ধারিত সময়েই পাঠকের হাতে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে আজকের দর্পণ। জাতীয় দৈনিকের জন্য এটা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য দিক। আমাদের এসবের মূল্যায়নের ভার সর্বোপরি সহৃদয় পাঠকদের কাছেই রইলো।

আজকের দর্পণের নিবিষ্ট পাঠকরা তাদের মূল্যবান পরামর্শ দিয়ে আমাদের আগামী দিনে এগিয়ে যাওয়ার পথে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন এবং উদ্দীপ্ত ও প্রাণিত করবেন। আজকের দর্পণ সবসময়ই সত্যবাক, জনগণ ও জাতির কণ্ঠস্বর। আজকের দর্পণ জাতির অগ্রগতি, উন্নয়ন স্পন্দন ও প্রগতির পথে সবিশেষ ভূমিকা পালন করে যাবে।


আরও খবর



রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, নিহত ২

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে উখিয়ার পালংখালী ৬নং ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- পালংখালী ৬নং ক্যাম্পের বাসিন্দা সামসু আলম (২৩) ও নুর মোহাম্মদ (১৭)।

উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। তবে কারা- কী কারণে এ খুনের ঘটনা ঘটিয়েছেন তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যরা কাজ করছেন।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেয় ভারত : প্রণয় ভার্মা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেয় ভারত তাইতো জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জি-২০ সম্মেলন : ঢাকা থেকে নয়া দিল্লি শীর্ষক এক সেমিনারে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের বিশ্বকে বলার অনেক কিছু আছে। বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন সাফল্য রয়েছে। ভারত বাংলাদেশকে জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রণ করেছে। কারণ বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেয় ভারত। সম্মেলন এমন এক সময়ে হতে যাচ্ছে যখন ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্মেলনে গ্লোবাল সাউথেরও কথা শুনতে চায় ভারত। আমরা বাংলাদেশের সহযোগিতা চাই। আফ্রিকার দেশগুলো কী বলে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কী বলে, শুনতে চায় ভারত।

সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, নয়া দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সোনালি আধ্যায়ে আরও একটি পালক যোগ করবে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশ সরকার এবং আমাদের স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণ জি-২০ সম্মেলনে অর্থবহ অবদান রাখতে পারবে।

চলমান বৈশ্বিক সংকটের বহুমাত্রিক সমাধানে জি-২০ অংশীদারদের সঙ্গে বাংলাদেশ কাজ করতে উন্মুখ বলে জানান ড. মোমেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি, উন্নয়নের অধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত কণ্ঠস্বর। তিনি প্রায় ১৭০ মিলিয়ন মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি গণতান্ত্রিক রাজনীতির পক্ষে কথা বলেন।

মোমেন বলেন, জি-২০ প্রেসিডেন্সির একটা গুরত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে, গ্লোবাল সাউথের সমস্যা নিয়ে আসা। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি মুখপাত্র। বাংলাদেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গ্লোবাল সাউথের জন্য কণ্ঠস্বর হিসেবে ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত।

সেমিনারে অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনও বক্তব্য দেন।

উল্লেখ্য, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ভারতের নয়া দিল্লিতে দুই দিনব্যাপী জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হতে যাচ্ছে।


আরও খবর



সাইবার নিরাপত্তা আইনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ টিআইবির

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের নামে নতুন মোড়কে মূলত একই ধরনের নিবর্তনমূলক ধারা সম্বলিত সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) ২০২৩ তড়িঘড়ি করে সংসদে পাস করার ঘটনায় হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

নতুন এই আইনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতোই মুক্ত চিন্তা, ভিন্নমত, বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মতো সাংবিধানিক অধিকারসমূহকে খর্ব করার ঝুঁকি সৃষ্টি করা হয়েছে। অথচ যে বিষয়গুলোর অন্তর্ভুক্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সেই সাইবার অবকাঠামো, ইন্টারনেট ও সংশ্লিষ্ট সকল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের নিরাপত্তা-সংক্রান্ত অনেক বিষয়কেই উপেক্ষা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে টিআইবি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সিএসএ যেন ডিএসএর প্রতিরূপ না হয়, তা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয় ও সংসদীয় কমিটিতে তুলনামূলক পর্যালোচনা ও সুপারিশ শীর্ষক একটি কার্যপত্রও প্রেরণ করেছিল টিআইবি। তাড়াহুড়া করে আইনটি পাস করা হলো জাতীয় সংসদে, যেখানে প্রতিশ্রুতি থাকলেও টিআইবিসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের পরামর্শ ও সুপারিশ আমলে নেওয়া হয়নি।

ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে ৫ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে উত্থাপনের পর মাত্র আট দিনের মধ্যে তা কণ্ঠভোটে পাস করা হলো। মুক্তচিন্তা, মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মতো মৌলিক মানবাধিকার চর্চাকে অনেক ক্ষেত্রেই আবারও অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত করা হলো, যা চরম হতাশাজনক।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা ও হামলার চেষ্টার ঘটনা, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো, ডোমেইন অ্যাকাউন্টস, ব্যাংক ও ডেটাবেজ থেকে সংবেদনশীল তথ্য চুরির উদাহরণ রয়েছে। প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত আইনি কাঠামো তৈরি করার বিষয়গুলোকে আইনের আওতার বাইরেই রেখে দেওয়া হয়েছে। সাইবার স্পেসে নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করে ভিন্নমত দমন ও গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের জন্যই সিএসএর মোড়কে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচিত কালো আইন ডিএসএকেই বাস্তবে বহাল রাখা হলো। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো সাইবার নিরাপত্তা আইনও সাইবার মাধ্যম ব্যবহারকারীর জন্য হয়রানি, হুমকি, আতঙ্ক ও সাইবার নিরাপত্তাহীনতাবোধ সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে প্রণীত হলো।


আরও খবর