আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

সুন্দরবনে ভালো নেই মায়াবি চিত্রা হরিণ, থামছে না শিকার

প্রকাশিত:শনিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে ভালো নেই মায়াবি চিত্রা হরিণ। বন্য এ প্রাণীটি চোরা শিকারি ও পাচারকারীদের প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছে। ফাঁদসহ নানা কৌশলে সুন্দরবনে হরিণ শিকার করেন তারা। সাম্প্রতিক সময়ে উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে সুন্দরবনে হরিণ শিকার। এসব হরিণের মাংস আবার বন সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় হরহামেশা বিক্রি হচ্ছে। হরিণ শিকারের পাশাপাশি এসব শিকারির কাছ থেকে অন্যান্য বন্য প্রাণীও রেহাই পাচ্ছে না। ডজন-ডজন হরিণ শিকার হলেও তা নিয়ে খুব একটা তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শিকারিদের ধরতে সুন্দরবনে বন বিভাগের নিয়মিত টহল থাকলেও অদৃশ্য কারণে হরিণ শিকার কমছে না। বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ম্যানেজ করে, আবার কখনও তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের সুবিধা নিয়ে শিকারিদের সুযোগ করে দিচ্ছেন কিছু অসাধু বন কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। তারা শিকারি চক্রের কাছ থেকে হরিণের মাংসসহ আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করায় দিনে দিনে সুন্দরবনে হরিণ শিকার বাড়ছে।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সুন্দরবন থেকে ৩০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের তেরকাটি খাল এলাকা থেকে এসব হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়।   বন বিভাগের টহল টের পেয়ে হরিণ শিকারিরা বনের ভেতরে গা ঢাকা দেন। তাই এ সময় শিকারিদের কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে নৌকা ও বন বিভাগের দেওয়া একটি পাস উদ্ধার করেছে বন বিভাগের সদস্যরা।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সুন্দরবন থেকে ডিঙি নৌকা, হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ২০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করে বন বিভাগ। সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ইসহাকের ছিলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব হরণির মাংস জব্দ করা হয়।   এ সময় কাউকে আটক করতে পারেননি বনরক্ষীরা।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জ থেকে ১২ কেজি হরিণের মাংসসহ চারজনকে আটক করে বন বিভাগ। বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের টহল দলের সদস্যরা সুন্দরবনের বঙ্গবন্ধুর চর থেকে এসব হরিণের মাংস বিক্রির সময় তাদের হাতেনাতে আটক করেন।

আটকরা হলেন- সজীব মিয়া (৩৫), নওশের আলী (৩২), ইদ্রিস আলী (৪০) ও নূর আলী (৩৮)। তারা সবাই খুলনার বাসিন্দা।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বাগেরহাটের শরণখোলায় বসত বাড়ি থেকে হরিণের দুটি চামড়া জব্দ করে বন বিভাগ। শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা গ্রামের তানজির বয়াতির বাড়ি থেকে চামড়া দুটি উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় কাউকে আটক করতে পারেননি বনরক্ষীরা।

এর আগে রোববার (২২ জানুয়ারি) সুন্দরবন থেকে হরিণের মাংসসহ দুই শিকারিকে আটক করে বন বিভাগ। সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের  শরণখোলা রেঞ্জের ডিমেরচর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় ১৬ কেজি হরিণের মাংস, আটকদের ব্যবহৃত ইঞ্জিনচালিত নৌকা, ১৫০টি ফাঁদ ও ২৫০ ফুট নাইলন সুতা জব্দ করেন বনরক্ষীরা।

আটক দুই হরিণ শিকারি হলেন- পিরোজপুরের পাথরঘাটা উপজেলার চরলাঠিমারা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. নিজাম (৪৫) ও করমজাতলার রতন আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী (৪০)।

এদিকে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সুন্দরবন থেকে হরিণের মাংসসহ চার জেলেকে আটক করে বন বিভাগ। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের দুবলার চর শুঁটকি পল্লী সংলগ্ন নাড়িকেলবাড়িয়ার চর থেকে সাড়ে চার কেজি হরিণের মাংস জব্দসহ তাদের আটক করা হয়।

আটক চার জেলেরা হলেন- খুলনার পাইকগাছা উপজেলার প্রতাপকাঠি গ্রামের আহসান আলী খানের ছেলে সাফায়েত খান, হরিঢালি গ্রামের জরিব গাজীর ছেলে হোসেন আলী গাজী, কড়ইখালী গ্রামের আ. গফুর গাজীর ছেলে রনোকুল গাজী এবং নোয়াকাঠি গ্রামের সোহরাব গোলদারের ছেলে খলিলুর রহমান। আটক জেলেরা দুবলার চরে শুঁটকি আহরণে নিয়োজিত ছিলেন।

এর আগে ২০২২ সালেও সুন্দরবনের হরিণ শিকারিরা ছিল ব্যাপক তৎপর। প্রায় বছরজুড়েই হরিণ নিধনের খবর ছিল।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক ও সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী  বলেন, শুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানি কম থাকে এ কারণে সহজে বনের মধ্যে ঢুকে যায় শিকারিরা। এ সময়ে হরিণ শিকারও একটু বেড়ে যায়। তবে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, সুন্দরবনের মধ্যে যদি কেউ হরিণ শিকারি ধরিয়ে দিতে পারেন তাহলে তাকে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। আর বনের বাইরে ধরিয়ে দিতে পারলে রয়েছে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার। যা গেজেটে উল্লেখ রয়েছে।

জানা যায়, সুন্দরবনের ৩০০ প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আর্কষণীয় প্রাণী হচ্ছে চিত্রা হরিণ। সুন্দরবনের আর্কষণীয় প্রাণীদের মধ্যে বাঘ ও চিত্রা হরিণ অন্যতম। বাঘের সংখ্যা কম হলেও হরিণের সংখ্যা প্রচুর; দেড় লাখের ওপরে। ফলে সুন্দরবনে যত্রতত্র হরিণের সাক্ষাৎ ঘটে পর্যটকদের। তাই বাঘের দেখা না পেলেও হরিণ দেখে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলেন পর্যটকরা।

যেভাবে চলে হরিণ শিকার: চলমান শুষ্ক মৌসুমে সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে ঝাঁকে ঝাঁকে হরিণের দেখা মিলছে। খাল বা নদীর ধারে দল বেধে হরিণের চলাফেরার দৃশ্য এখন হরহামেশাই চোখে পড়ে। যেসব এলাকায় হরিণের বিচরণ বেশি সেসব স্থানে নাইলনের জাল পেতে, বিষ মাখিয়ে, স্প্রিং বসানো ফাঁদ পেতে, কলার সঙ্গে বড়শি ঝুলিয়ে, চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে ও তীর অথবা গুলি ছুড়ে হরিণ শিকার করা হয়।

মাছ ধরার পারমিট নিয়ে হরিণ শিকারিরা রাতের আঁধারে গোপনে বনে ঢোকে। নাইলনের দড়ির এক ধরনের ফাঁদ ব্যবহার করেন তারা। হরিণের নিয়মিত যাতায়াতের পথে এগুলো পাতা হয়। যাতায়াতের সময় হরিণগুলো আটকে যায়। এক রাতে ফাঁদ পেতে আসা হয়। পরের রাতে গিয়ে আবার ফাঁদ দেখা হয়। অনেক সময় এসব ফাঁদে আটকে হরিণ মারাও যায়। আবার অনেক সময় ফাঁদে পা আটকে জালে জড়িয়ে থাকে।

এসব ফাঁদ বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে হিরণ পয়েন্ট, দুবলার চর, বঙ্গবন্ধুর চর, কটকা, তালপট্টি, কচিখালি, দুবলা চান্দেরশ্বর, বগি, চরখালি এলাকায়। বিভিন্ন উপলক্ষে চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায় এসব এলাকায়। শিকারিরা বনের ভেতর থেকে হরিণ শিকার করে এনে লোকালয়ে থাকা সহযোগীদের হাতে পৌঁছে দেয়। বিভিন্ন জায়গায় হাতবদল হয়ে হরিণ পৌঁছে যায় নির্দিষ্ট গন্তব্যে।

হরিণের মাংস চড়া দামে বিক্রি হয়। ক্রেতারাও অনেক সময় প্রতারণা ভেবে হরিণের মাংস কিনতে চান না। তাই তাদের প্রমাণ দেখাতে চোরা শিকারিরা জীবন্ত হরিণ লোকালয়ে এনে জবাই করে থাকেন।

প্রতি কেজি হরিণের মাংসের দাম পড়ে এক হাজার ৫০০ টাকা। আর আস্ত একটি জীবিত হরিণের দাম চাওয়া হয় ১৫ হাজার টাকা।

হরিণের চামড়া-শিং সৌখিন ব্যক্তিরা সংগ্রহ করে ড্রইংরুম সাজায়। এছাড়া বনাঞ্চল এলাকার ধনাঢ্য ব্যক্তিরা হরিণের মাংস খেয়ে উৎসবও পালন করেন। কোনো বড় ধরনের স্বার্থসিদ্ধির জন্যও কর্তাব্যক্তিদের খুশি করতে গোপনে হরিণের মাংস সরবরাহ করেন; এমন তথ্যও পাওয়া গেছে।

শিকারি দমনে র‌্যাবের অভিযান দাবি: সুন্দরবন একাডেমির পরিচালক ফারুক আহমেদ  বলেন, বন্য প্রাণী হলো সুন্দরবনের আকর্ষণ। বাঘ বাঁচাতে হলে হরিণকে বাঁচাতে হবে। বনে বাঘের প্রধান খাদ্য হরিণ। তাই হরিণ না থাকলে বাঘও থাকবে না। সুন্দরবনের ইকো সিস্টেমের ভারসাম্য রাখতে সব প্রাণীরই প্রয়োজন। এ থেকে কোনো একটি না থাকলে সিস্টেম নষ্ট হয়ে যায়। সুন্দরবনের বন্য প্রাণী রক্ষায় সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব রয়েছে। ২০০ বছর আগের ব্রিটিশদের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি দিয়ে এখনও চলছে বন। তখন তো জলবায়ু পরিবর্তন ছিল না, বনে এত পর্যটক ঢুকতো না। তাই বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করে আধুনিক বন রক্ষার ব্যবস্থাপনা তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, সুন্দরবনের প্রধান আকর্ষণ বাঘ ও হরিণ। বাঘের সংখ্যা তেমন না থাকলেও হরিণের সংখ্যা রয়েছে বেশি। তাই সুন্দরবনের যত্রতত্র হরিণের সাক্ষাৎ ঘটে পর্যটকদের। বাঘের দেখা না পেলেও হরিণ দেখে তারা আনন্দ পান। সেই হরিণ যদি শিকারিদের কারণে কমে যায় তাহলে বনের প্রতি আকর্ষণ কমে যাবে। র‌্যাব যদি সারা দেশের জঙ্গি দমন করতে পারে তাহলে সুন্দরবনের শিকারি দমন করতে পারবে না এটা তো হতে পারে না।

বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী যা বললেন: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার  বলেন, হরিণ শিকার হচ্ছে বিষয়টি না জানার কিছু নয়। প্রতি পয়েন্টে পয়েন্টে তো লোক দিতে পারি না। সীমিত লোকবল ও জলযান নিয়ে সুন্দরবনের হরিণ রক্ষায় চেষ্টা করা হচ্ছে। এতটুকু জানি আমি প্রচেষ্টা চালিয়েছি। তবে পারিপার্শ্বিকতার কারণে সফল হতে পারিনি। 


আরও খবর



বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপিকে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিবলে আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বুধবার ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা আমাদের বিজয়কে সংহত করার পথে প্রতিবন্ধক তাদের পরাজিত করব। আমাদের লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

তিনি বলেন, বিজয়কে সুসংহত করার পথে প্রতিবন্ধকতা হলো বিএনপির মতো সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি। এ শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।

তিনি বলেন, আজকের এই দিনে আমরা শপথ নেব মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ধারাবাহিক লড়াইয়ে এগিয়ে যাব। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বয়ে নিয়ে যাব, এটাই হোক আমাদের শপথ।

এর আগে, সকালে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



কেএনএফ সন্দেহে গ্রেপ্তার ৫২ জন দুই দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত কেএনএফ সন্দেহে আটক ৫২ জনকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। দুটি মামলায় তাদের রিমান্ডে পাঠানো হয়। এর মধ্যে লাল নুন বমকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হোছাইনের আদালত (আমলি আদালত) এ আদেশ দেন। পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড দেন।

কোট পুলিশ পরিদর্শক ফজলুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রিমান্ডে পাঠানো ব্যক্তিরা হলেন, চেওচির বম, ভান লাল দিক বম, সাইরাজ বম, রুয়াল কামলিয়ান বম, গিলবার্ট বম, লাল রাম তিয়াম বম, লিয়ান নোয়াই থাং বম, নল থন বম, পেনাল বম, লাল মুন লিয়ান বম, জাসোয়া বম, জৌনুন বম, ভান লাল সম বম, লাল ধাম লিয়ান বম, রেন থন বম, সাপ লিয়ান থাং বম, লমজুয়েল বম, পাসুম বম, লাল বাউ খম বম, ভান রোয়াত ময় বম, লাল রুইয়াই বম, লাল দিন থার বম, লাল রৌয়াত লন বন, লাল ফ্লেং কিং বম, রৌসাং লিয়ান বম, লাল থাং পুই বম, ভারৌ সাং বম, লাল ইমানুয়েল বম পায়েল, লাল রিং সাং বম, মুন থাং লিয়ান বম, জেমস মিল্টন বম, রাম থাং লিয়ান বম, মেলরী বম, জিংরুথং বম, ভান রিম কিম বম, লেরী বম, নেম্পেল বম, লাল তলাহকিম বম, পারঠা জুয়েল বম, লাল নুন কিম বম, লাল নুএং বম, টিনা বম, লাল নুর জির নম, জিং রেম ঙাক বম, আল মন বম, ঙাইন কিম বম, লালসিং পার বম, শিউলি বম, লাল রোবত বম আপেল, লাল লম থার বম, মিথু সেল বম, লাল রুয়াত লিয়ান বম।

আদালতের জিআরও বিশ্বজিত সিংহ জানান, বান্দরবানের রুমায় ব্যংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় ৫৩ জনের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে  ৫৭ জন আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এদের মধ্যে ৫২ জনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর ও একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় আদালত।

কোট পুলিশ পরিদর্শক ফজলুল হক জানান, রাষ্ট্রপক্ষের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি ও ৫২ জনের প্রত্যেককে দুই দিনের রিমান্ড দেয় আদালত।

এর আগে, রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় ৬৬ জনকে বান্দরবান কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।


আরও খবর



৭১-এ ফখরুল কোথায় যুদ্ধ করেছেন জানতে চাইলেন কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৯৭১ সালে কোথায় ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধ করেছেন, তা জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গণহত্যা দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে এ কথা জানান তিনি।

মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্যে করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭১ সালে আপনি কোথায় ছিলেন? কোথায় ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধ করেছেন? জানতে চাই। ২৫ মার্চ নিয়ে গণহত্যার একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। তাদের মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ভুয়া। এরা দালাল। তাদের জন্য গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জোটেনি।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের কাছ থেকে ন্যায্য পাওনা আমরা পাইনি। কথা দিয়ে তাদের নাগরিক ফেরত নেয়নি। পাকিস্তানের হয়ে যারা দালালি করে তারা মুক্তিযুদ্ধের শত্রু, দেশের শত্রু।

বিএনপি ক্ষমতার দিবাস্বপ্ন দেখছে উল্লেখ কের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদেশে আওয়ামী লীগের বন্ধু আছে প্রভু নাই। বিএনপির প্রভুরা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। তবে আওয়ামী লীগের বন্ধুরা নির্বাচনের পক্ষ নিয়েছে।

এ সময় বিএনপির ভারতীয় পণ্য বয়কট নিয়ে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের রান্নাঘরে গিয়ে খুঁজতে হবে কী কী ভারতীয় পণ্য রয়েছে। সবার ঘরেই ভারতীয় পণ্য মিলবে।

কাদের আরও বলেন, রাজনীতি করার জন্য রিজভী একটা শাল পুড়িয়েছে। আরও কয়টা শাল বাসায় আছে, জানতে হবে। ভারতীয় পণ্য ছাড়া খাবার জোটে না। রিজভীর মতো ফখরুলও মাথা গরম করলে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেবো।

বিএনপির আন্দোলন ভুয়া দাবি করে কাদের বলেন, তাদের সমাবেশও ভুয়া। ফিলিস্তিনের গণহত্যার কথা তারা বলে না।


আরও খবর



ফতুল্লায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে চীনা নাগরিকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় পাওয়ার প্ল্যান্টের ভবন থেকে নিচে পড়ে ঝাং জি বিন (৫৫) নামের এক চীনা নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি একটি কোম্পানির ইলেক্টিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফতুল্লার পঞ্চবটি বিসিক শিল্পনগরীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক বেলা ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

টিবিইএ কোম্পানি লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানটির দোভাষী মো. সেলিম জানান, তারা পঞ্চবটি বিসিক এলাকায় একটি পাঁচ তলা ভবনে বিদ্যুৎ পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরির কাজ করেন। সেখানকার ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ওই চীনা নাগরিক। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ওখানে কাজ করছেন। আজ সকালে ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ফ্লোরে বিদ্যুতের তার সঞ্চালনার ফাঁকা জায়গায় একটি কাঠ পেতে তার ওপর দাঁড়িয়ে কাজ করছিলেন ওই চীনা নাগরিক। হঠাৎ সেই কাঠটি ভেঙে ফাঁকা জায়গা দিয়ে বেসমেন্ট পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি।

পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে এক চীনা নাগরিককে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।


আরও খবর



যাকাত নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে নারীর মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাকিল মোল্লা, রাজবাড়ী

Image

রাজবাড়ীতে যাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধা নারী মারা গেছেন। আজ রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজবাড়ী শহরের ভবানীপুর এলাকায় হাজী দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভোর থেকেই যাকাতের কাপড় নেওয়ার জন্য হাজী দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে মানুষ ভিড় জমায়। সকাল ৭টার দিকে কাপড় দেওয়া শুরু করা হয়। লাইন দিয়ে কাপড় দেওয়া হচ্ছিল। হঠাৎ কাপড় নিতে আসা মানুষেরা হট্টগোল পাকিয়ে ফেলে। তড়িঘড়ি করে কাপড় নিতে আসার সময় এক নারী নিচে পরে যায়। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ অবস্থায় তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মিলন খান নামে একজন বলেন, সকাল ৭টা থেকে যাকাত দেওয়া শুরু হয়। শুরুতে সবাই সিরিয়াল ধরে নিচ্ছিল। যাকাত দেওয়ার কিছু সময় পরে লাইনের পিছন দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে সামনে প্যান্ডেলের বাঁশ ভেঙে যায়। এতে করে হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়ে এক নারী গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, সকাল ৭টা থেকে যাকাতের লুঙ্গি ও শাড়ি বিতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু সময়ের আগেই লোকজন এসে ভিড় জমায়। তাদের লাইন ধরে দাঁড় করানো হয়। কিন্তু একপর্যায়ে লাইন ভেঙে গিয়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। আমরা নিরাপত্তার জন্য পুলিশ চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ ছিল না। দুর্ঘটনার পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।

রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইফতেখারুল আলম প্রধান বলেন, যাকাতের কাপড় আনতে গিয়ে পদদলিত হয়ে এক নারীর মৃত্য হয়েছে। তবে তার নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ওই নারীর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।


আরও খবর