সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পরিত্যক্ত চুলকে ঘিরে গড়ে উঠেছে চুল প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র। নারীদের মাথা আঁচড়ানোর পর উঠে আসা পরিত্যক্ত চুলকে জীবিকার উৎস নিয়েছেন গ্রামীণ নারীরা। পরিত্যক্ত চুলের কারখানাকে কেন্দ্র করে কর্মসংস্থান হয়েছে শত শত নারী - পুরুষদের। বেঁচে থাকার অবলম্বন পেয়েছেন বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীরা।
কেন্দ্রতে কাজ করা নারী শ্রমিকরা জানান, গুটি কিংবা জটা থেকে চুল ছাড়ানোর কাজ করে থাকেন তবে অতি সল্প মূল্য এখানে শ্রম দিচ্ছে শ্রমিকরা দৈনিক ৭ ঘণ্টা কাজ করে ৫০ টাকা মুজরি পেয়ে কাজ করছেন তারা। যারা এ পেশায় কাজ করেন তারা মূলত গ্রামের দরিদ্র নারী ও পুরুষ। যা আয় করেন তা দিয়ে সন্তানদের পড়ালেখার খরচ এবং তাদের সংসারের চাহিদা মিঠাতে সহযোগীতায় লাগাচ্ছে তাদের দাবি মজুরি বৃদ্ধিসহ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের পাশে যেন এগিয়ে আসেন স্থানীয় প্রতিনিধিরা।
চুল ব্যবসায়ী বিপ্লব বলেন, দুই বছর আগে দুটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে আটটি কেন্দ্র গড়ে তোলেন। এরপর আল-আমিন মিলে এই প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানার নাম দেন আল আমিন হেয়ার ফ্যাশন। তাদের কারখানা থেকে প্রতি মাসে ২০০ থেকে ৩০০ কেজি প্রক্রিয়াজাত করা চুল বিক্রি হচ্ছে। প্রতি মাসে প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা বিক্রি হয়ে থাকে। কর্মীদের বেতন, বাড়ি ভাড়া ও আনুষঙ্গিক খরচ বাদ দিয়ে মাসে তাদের ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভ থাকে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হুদা বলেন, পরিত্যক্ত চুল প্রক্রিয়াজাত করার ফলে পরিবেশের উপর কোন প্রকার প্রভাব পড়ছেনা। পরিবেশ দূষণ হয়না এবং আর্থিক লাভবানসহ এলাকার বেকার তরুণ-যুবক, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, পরিত্যক্ত ও ফেলে দেয়া চুল কে কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থান করায় উপজেলার অনেক বেকার মহিলা পুরুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।