আজঃ রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

সুপ্রিম কোর্ট বারে আওয়ামী লীগের পূর্ণ প্যানেল বিজয়ী ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সম্পাদকসহ ১৪ টি পদেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের সাদা প্যানেলের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ৩৭২৫ ভোট ও সম্পাদক পদে আব্দুন নুর দুলাল ৩৭৪১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।

অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের  সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ২৯৩ ভোট ও সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ৩০৯ ভোট পেয়েছেন। যদিও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা এই নির্বাচনকে অবৈধ  অ্যাখ্যায়িত করে ভোট প্রদান থেকে বিরত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত  ১ টার পর সমিতির আওয়ামী লীগ অংশের মনোনীত নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান খান এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

সহ-সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মোহাম্মদ আলী আজম ও জেসমিন সুলতানা, ট্রেজারার পদে মাসুদ আলম চৌধুরী, সহ-সম্পাদক পদে নুরে আলম উজ্জ্বল, হারুনুর রশিদকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। কার্যনির্বাহী সদস্য পদে  আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের  মো. সাফায়েত হোসেন সজীব, মহিউদ্দিন রুদ্রু, শফিক রায়হান শাওন, সুভাষ চন্দ্র দাস, নাজমুল হোসেন স্বপন, মো. দেলোয়ার হোসেন, মনিরুজ্জামান রানাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের দুই দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ১ম দিনের মতো  দ্বিতীয় দিনেও বিএনপি ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি মিছিল ও হট্টগোলের জেরে উত্তপ্ত ছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ। নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেও বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা ভোট দান থেকে বিরত থেকেছেন। তারা নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করে তাদের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের দাবি জানান।

নির্বাচন উপ-কমিটির অন্যতম সদস্য ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান মনির বলেন, দুই দিনব্যাপী নির্বাচনে ৮ হাজার ৬২০ ভোটারের মধ্যে ৪ হাজার ১৩৭ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।  নির্বাচনের প্রথম দিন ২ হাজার ২১৭ জন আইনজীবী শেষ দিন ১ হাজার ৯২০ জন ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।


আরও খবর
তফসিল স্থগিত চাওয়া রিটের শুনানি আজ

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

হাইকোর্টে জিতলেন ড. ইউনূস

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




ডেমরায় ককটেলসহ আটক ২

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ডেমরায় একটি পরিত্যক্ত বাড়ি ঘিরে রেখেছে র‍্যাব-৩। বাড়িটি থেকে এখন পর্যন্ত ১৫টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে র‍্যাবের বোম ডিস্পোজাল ইউনিট কাজ করছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডেমরায় খাঁননগর এলাকার পরিত্যক্ত বাড়িটি ঘিরে রাখে র‍্যাব-৩।

আরও পড়ুন>> সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশে লাগবে এনআইডি বা পাসপোর্ট

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‍্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শামিম হোসেন বলেন, নাশকতা করার জন্য বাড়িটিতে ককটেল তৈরি করা হচ্ছিল। এ ঘটনায় আমরা দুই জনকে আটক করেছি। আটকরা হলেনমোহাম্মদ জাকির শিকারি (৩৫) ও মোহাম্মদ ইসরাফিল ভূঁইয়া (৫০)।

তিনি আরও বলেন, বাড়িটি থেকে এখন পর্যন্ত ১৫টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে আমাদের বোম ডিস্পোজাল ইউনিট কাজ করছে।


আরও খবর



ডেঙ্গুতে ১২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৪৭০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে সাতজন ঢাকার বাসিন্দা। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটির ৩১৯ জন এবং ঢাকা সিটির বাইরে এক হাজার ১৫১ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৫ হাজার ৯০৫ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ লাখ ৯৫ হাজার ৪২ জন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪১ জন। মারা গেছেন ১ হাজার ৪৯৫ জন। এরমধ্যে ঢাকা সিটির ৮৭২ জন এবং ঢাকা সিটির বাইরের ৬২৪ জন।

আরও পড়ুন>> বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস আজ

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। গত বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ জুন মাস থেকে শুরু হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর মে মাস থেকেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একই সঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বছরব্যাপী নানা উদ্যোগ নিলেও কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

উল্লেখ্য, গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ২৮১ জন।


আরও খবর



বিএনপি থেকে বেরিয়ে ভোটে অংশ নিচ্ছেন যেসব হেভিওয়েট

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। তবে দলটির একাধিক হেভিওয়েট নেতা দল থেকে বের হয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। কেবল বিএনপির পদে থাকা নেতারা নন, অতীতে বহিষ্কার, পদচ্যুত অথবা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা নেতারাও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এসব নেতা দল ছাড়লেও এতদিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। এখন তারাই শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য বলছে, বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া অন্তত তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান, দুজন উপদেষ্টা, কয়েকজন মধ্যম সারির নেতা, সাবেক কয়েকজন সংসদ সদস্য এবং মাঠপর্যায়ের প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন নেতা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এদের মধ্যে কেউ বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন (বিএনএম), কেউ তৃণমূল বিএনপি আবার কেউ বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এমনকি একজন প্রভাবশালী নেতা আওয়ামী লীগ থেকেও নির্বাচন করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোটকেন্দ্রিক রাজনৈতির অমোঘ টান উপেক্ষা করতে পারেননি এসব হেভিওয়েট নেতা। তাই দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্যমান সংবিধানের আলোকে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে এসে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর চমক দেখিয়েছেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলটির সঙ্গে যুক্ত প্রবীণ এই নেতা শেষ জীবনে এসে রাজনীতিতে ইউটার্ন নিয়েছেন। ঝালকাঠি-১ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন তিনি। নৌকার প্রার্থিতা জমা দেওয়ার আগে তিনি বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেন। বিএনপিও তাকে বহিষ্কার করেছে।

এ আসন থেকে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর ১৯৭৯, ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত বিএনপি সরকারের আইন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ নির্বাচন করবেন কুমিল্লা-৫ আসন থেকে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেন মো. ইউনুস। সে বছর মনোনয়ন চেয়েও পাননি শওকত মাহমুদ।

বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী এই মুহূর্তে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন। তিনি সিলেট-৫ আসনে নির্বাচন করবেন। আর তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকার নির্বাচন করবেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে।

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ একে একরামুজ্জামান স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তার নির্বাচনি আসন ব্রহ্মণবাড়িয়া-১। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিএনপি থেকে বেরিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে দলটির নির্বাহী সদস্য শাহ মো. আবু জাফর। এ মুহূর্তে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তার নির্বাচনি আসন ফরিদপুর-১।

এ আসন থেকে ১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগের, ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির এবং ২০০৫ সালের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবু জাফর। এবার তিনি নোঙর প্রতীকে লড়বেন।

বিএনপি থেকে ছিটকে পড়া বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতাও এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এদের মধ্যে মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান (কিশোরগঞ্জ-২) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন। এ আসনে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

গাজীপুর মহানগর বিএনপি নেতা ও বাসন থানা বিএনপির সহসভাপতি জব্বার সরকার, সাবেক ছাত্রনেতা ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মোজাফফর আহমেদ ও জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসভাপতি আব্দুল কাদির তালুকদার তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন।

দলে বড় কোনো পদ না থাকলেও বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বগুড়ার রাজনীতিতে পরিচিত মুখ সাবেক চারবারের সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মোল্লা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তার নির্বাচনি আসন বগুড়া-৪। এ আসন থেকে ১৯৯৪ (উপনির্বাচন), ১৯৯৬ (১৫ ফ্রেব্রুয়ারি), ১৯৯৬ (জুন) এবং ২০০১ সালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য খন্দকার আহসান হাবিব (টাঙ্গাইল-৫) এবং দেলদুয়ার উপজেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার ওয়াহিদ মুরাদ (টাঙ্গাইল-৬) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এ ছাড়া সরকার বাদল বগুড়া-৭ আসনে, দেলয়ার হোসেন খান দুল ময়মনসিংহ-৪ আসনে, ডা. আসমা শহীদ ফরিদপুর-২ আসনে, সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক নীলফামারী-৪ আসনে, মাওলানা মতিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে, বিউটি বেগম বগুড়া-২ আসনে, ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম ঝালকাঠি-২ আসনে, শাহ শহীদ সারোয়ার ময়মনসিংহ-২ আসনে এবং মো. শুকরান বগুড়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গাজীপুর- ১ আসনে জব্বার সরকার, ঠাকুরগাঁও- ২ আসনে মোজাফ্ফর আহমেদ এবং চাঁদপুর- ৪ থেকে আব্দুল কাদের তালুকদার পাটের আঁশ প্রতীকে লড়বেন।

এর বাইরেও আরও কয়েকজন বিএনপি নেতা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তবে দলে তাদের প্রভাব ও পদপদবি তেমন না থাকায় তারা আলোচনায় আসছেন না।

দলের নেতাদের প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, এটাকে আমরা খুব বড় ঘটনা হিসেবে দেখছি না। এত বড় দল থেকে দু-চারজন বেরিয়ে গেলে তেমন কিছু হয় না। সরকারের চাপে পড়ে যে কজন বেরিয়ে গেছেন, তাদের ছাড়াই দল ভালো মতো চলবে।


আরও খবর
আচরণবিধি লঙ্ঘনে শামীম ওসমানকে শোকজ

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




‘ফ্রিস্টাইলে’ স্বতন্ত্র প্রার্থী রাখবে না আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image
যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছিলেন তারা কোনো অবস্থাতেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে পারবেন না। কেউ করলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।

কৌশলগত কারণে স্বতন্ত্র বা ডামি প্রার্থীর বিষয়ে নমনীয় থাকলেও শেষ পর্যন্ত একেবারে ফ্রি স্টাইলে রাখবে না আওয়ামী লীগ। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোট করতে আপাতত এমন সিদ্ধান্ত থাকলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এ বিষয়ে তৃণমূলে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেবে দলটি। সেখানেই স্পষ্ট করা হবে কোথায় বা কারা হতে পারবেন ডামি প্রার্থী। এর বাইরে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করলে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে দলের সেই অবস্থানও স্পষ্ট করা হবে। এর সঙ্গে রয়েছে জোট শরিক ও মিত্রদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়টিও। শরিকদের ছেড়ে দেওয়া আসনে দলের প্রার্থী বা ডামি প্রার্থী রাখা হবে কিনা তাও সুনির্দিষ্ট করবে দলটি। তবে এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে আরও কিছু সময় নিতে চায় ক্ষমতাসীন দলের হাইকমান্ড।

দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, সময়ের ব্যবধানে কৌশল ও সিদ্ধান্ত সুনির্দিষ্ট করেই প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে। সেটা মেনেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নির্বাচন করবেন।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী নয়, ডামি প্রার্থীর কথা বলা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী আর ডামি প্রার্থী এক জিনিস নয়। ডামি প্রার্থী জেতার প্রার্থী নয়। এটা বলা হয়েছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যাতে নির্বাচন না হয় সেজন্য। আর স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থীর ব্যাখ্যা অন্য জিনিস। নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করতে অনেকেই ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছিলেন তারা কোনো অবস্থাতেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে পারবেন না। কেউ করলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। এ বিষয়ে তৃণমূলকে সহজ-সরল ভাষায় পরিষ্কার ব্যাখ্যা দেওয়া হবে বলেও জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগ চায় উৎসব ও আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে নির্বাচন হোক। স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়ানোর বিধান আছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আগ্রহ আছে, তাদের অনেকেই মনোনয়নপত্র কিনেছেন। কৌশলগত কারণে দলের পক্ষ থেকে অনেক কথা বলা হয়। আবার কৌশলগত কারণেই আমরা সুনির্দিষ্ট রূপরেখা দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করতে চাই। ফলে সময়ের ব্যবধানে কৌশল ও সিদ্ধান্ত সুনির্দিষ্ট করেই নির্দেশনা দেওয়া হবে। সেটা মেনেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নির্বাচন করবেন। ফলে এটা নিয়ে চিন্তিত বা বিচলিত হওয়ার সময় এখনো হয়নি।

তিনশ আসনের বিপরীতে ৩৩৬২টি দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছিল আওয়ামী লীগ। প্রতিটি আসনে গড়ে প্রার্থী ছিল ১১ জনের বেশি। তাদের মধ্যে ২৯৮ আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছে দলটি। ফলে প্রতি আসনে অন্তত ১০ জন দলের মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন। বিএনপিবিহীন ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে বাধা দেওয়া হবে না-এমন ইঙ্গিত আসার পর জেলায় জেলায় নৌকার বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন মনোনয়নবঞ্চিত বর্তমান এমপিসহ দলের নেতাদের অনেকেই। এতে তৃণমূলে তৈরি হচ্ছে সংকট। দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী এবং দলেরই স্বতন্ত্র নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে বিভক্তি নেতাকর্র্মীরা। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর গত তিন দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা-ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। বিষয়টি লাগাম টানা না গেলে ভয়াবহ কোন্দলে বিপর্যস্ত হবে দলের তৃণমূল।

এছাড়া নির্বাচন সবার জন্য উন্মুক্ত রাখলে অনেক স্থানেই দলের প্রার্থীর জেতার সম্ভাবনা কমে যাবে। কারণ একই আসনে দলের একাধিক প্রার্থী থাকলে আওয়ামী লীগের ভোট ভাগ হবে। আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, বিএনপি ও তাদের মিত্ররা ভোটে না থাকলে, তাদের সমর্থকরা যারা ভোট দিতে আসবেন তাদের অনেকেই নৌকার বিরুদ্ধে যে প্রার্থী দাঁড়াবেন তাকে ভোট দেবেন। ফলে দলের প্রার্থীরা একটা বড় ধরনের চাপে পড়বেন।

তবে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, দলের প্রার্থীদের অসুবিধার বিষয়টিও তারা গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন। ডামি প্রার্থীর সুযোগ নিয়ে কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ তারা দেবেন না। এখনো তো সময় আছে। সময় ও পরিস্থিতি বিবেচনা করেই তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে দলের প্রার্থীদের এখনই শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

দলীয় সূত্র বলছে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা এড়াতে ডামি প্রার্থীর কথা বলা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে-ভোটের আমেজ ধরে রাখা এবং ভোটে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ানো। তার মানে এই নয়, দলের এমপি-নেতা যে কেউ চাইলেই যে কোনো আসনে নির্বাচন করতে পারবেন। ভোটের মাঠে শেষ পর্যন্ত কোন আসনে কোন দলের কতজন প্রার্থী থাকে সেই বিষয়টি দেখেই আসনভিত্তিক আলাদা সিদ্ধান্ত নেবে তারা। সব আসনেও রাখা হবে না ডামি প্রার্থী। পরিস্থিতি বিবেচনায় দলের এই সিদ্ধান্তগুলো সুনির্দিষ্ট করা হবে। যারা নির্দেশনা মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

নিউজ ট্যাগ: আওয়ামী লীগ

আরও খবর
আচরণবিধি লঙ্ঘনে শামীম ওসমানকে শোকজ

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশই নেবে : শাহরিয়ার আলম

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের নির্বাচনকে সামনে রেখে বিদেশি কূটনীতিকদের তৎপরতা নিয়ে সন্তুষ্ট নয় সরকার। কূটনীতিকদের তৎপরতা আরও বাড়তে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

বুধবার (৮ নভেম্বর) সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ বিষয়ে অসন্তোষ জানান প্রতিমন্ত্রী।

শাহরিয়ার আলম বলেন, বিষয়টা আমরা পছন্দ করি না (কূটনীতিকদের তৎপরতা)। কিন্তু তারপরও আমরা তাদের একটা কালচারাল স্পেস দিয়েছি। এ কালচারটা বাংলাদেশে আছে অনেকদিন থেকে। কিন্তু আমরা চাই, সামনের দিনে তারা এ কালচার থেকে সরে আসবে। বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশই নেবে।


আরও খবর
আচরণবিধি লঙ্ঘনে শামীম ওসমানকে শোকজ

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩