আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সহযোগিতা করা আমাদের দায়িত্ব: র‍্যাব ডিজি

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সহযোগিতা করাকে নিজেদের জন্য প্রধান দায়িত্ব এবং নির্বাচন ঘিরে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যাঘাত ঠেকানোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‍্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন।

তিনি বলেছেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার থাকে, বিরোধী দল থাকে। নির্ধারিত সময়ে জাতীয় নির্বাচন হয়। নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকে নির্বাচন কমিশনের অধীন। সেক্ষেত্রে আমাদের প্রধান দায়িত্ব হলো নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে শেষ করা যায়।

বুধবার (৭ জুন) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন র‍্যাবের ডিজি খুরশীদ হোসেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (ডিআইজি) ইমতিয়াজ আহমেদ, র‌্যাব-৬ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফিরোজ কবীর, গোপালগঞ্জ সদরের কোম্পানি কমান্ডার বদরুদ্দোজা।

খুরশীদ হোসেন বলেন, নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন করতে পারে বা করবে। এটা গণতান্ত্রিক অধিকার। আমাদের দায়িত্ব হলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা। কেউ যাতে দেশের সম্পদ ধ্বংস করতে না পারে, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটাতে না পারেএসবই আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি। এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তা কঠিন হস্তে দমন করা হবে।

তিনি বলেন, আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। র‌্যাবকে করা হয় এলিট ফোর্স। র‌্যাব সাতটি বাহিনী নিয়ে কাজ করে। এর বাইরে আমাদের কিছু নির্ধারিত এজেন্ডা রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে জিরো টলারেন্স নীতি। এ দেশ আমাদের, এ দেশের মানুষ আমাদের। এ দেশ ও দেশের মানুষকে অন্যদের চেয়ে আমাদের চিন্তা বেশি।

র‍্যাবপ্রধান বলেন, র‍্যাবের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছিলাম গত বছরের অক্টোবরে। এ বছরের জুনে অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর আস্থা রেখে আরও এক বছর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছেন। তাকে ধন্যবাদ জানাই।


আরও খবর



নৌকা প্রতীকে ভোটে লড়তে চান রাষ্ট্রপতির ছেলে

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৫ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের একমাত্র ছেলে আরশাদ আদনান রনি।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে শহরের সাহাবুদ্দিন পার্ক (জুবলি ট্যাংক) সংলগ্ন নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই ইচ্ছা পোষণ করেন।

আরশাদ আদনান রনি বলেন, আমি পাবনা-৫ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার ইচ্ছে পোষণ করছি। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাবনা-৫ (সদর) আসনে মনোনয়ন চাইব। উনি মনোনয়ন দিলে পাবনার মানুষের জন্য কাজ করতে পারব।

রাষ্ট্রপতি বাবার সম্মতি আছে জানিয়ে বলেন, রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরপরই পাবনার মানুষের জন্য আমার বাবা কাজ করে যাচ্ছেন। উনি তার সর্বোচ্চটুকু পাবনার মানুষের জন্য কাজ  করছেন।

নিজের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার অতীত তুলে ধরে রাষ্ট্রপতির ছেলে বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগ এবং পরে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম। মাঝে ব্যবসায়িক কারণে একটু দূরে ছিলাম। বর্তমানে আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।

মতবিনিময় সভায় পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমান, সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম শহিদ, পাবনা টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজিউর রহমান রুমি, পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুব মোর্শেদ বাবলাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
খালেদা জিয়ার কোনও উন্নতি দেখছেন না চিকিৎসকরা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বায়ুদূষণের শীর্ষে আজ দুবাই, ঢাকা ষষ্ঠ

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বায়ুদূষণের শীর্ষে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুবাই। অন্যদিকে, দূষণমাত্রার তালিকায় রাজধানী ঢাকা রয়েছে ৬ নম্বরে। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা ১৮ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

দূষণ তালিকায় শীর্ষে থাকা দুবাইয়ের স্কোর ১৬৯ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ। শহরটির স্কোর ১৬৮ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর।

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। শহরটির স্কোর ১৬১ অর্থাৎ এই শহরের বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর।

অন্যদিকে, ৬ নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। রাজধানী ঢাকার স্কোর ১৪০ অর্থাৎ এখানকার বায়ুর মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর। বিশেষ করে যাদের ফুসফুসজনিত রোগ, অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে।

ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বের অন্যতম দূষিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়া। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে জনপ্রতি পাঁচ বছরেরও বেশি আয়ু কমতে পারে বলে সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।


আরও খবর
ঢাকাসহ ১৪ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ভারতে পা রেখেছে বাংলাদেশ দল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বিশ্বকাপ খেলতে ভারতের গুয়াহাটিতে পৌঁছেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। আজ (বুধবার) স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ঢাকা থেকে গুয়াহাটির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় টাইগাররা।

বাংলাদেশ বিমানের চার্টার্ড ফ্লাইটে ভারত গেছেন সাকিব-মুশফিকরা। দলের খেলোয়াড়রা সবাই গেছেন একই ফ্লাইটে। ভারতে পা রাখার পর সাকিবদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।

হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেসহ কোচিং স্টাফের সব সদস্যও দলের সঙ্গে গেছেন। একই ফ্লাইটে ছিলেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও।

২৯ সেপ্টেম্বর, গুয়াহাটির বারসাপারা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কার।

ওই ম্যাচের আগে শুধু একটি দিন হাতে পাবে টাইগার ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশ দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে একই স্টেডিয়ামে ২ অক্টোবর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এরপর ওখান থেকে রওয়ানা হবে হিমাচল প্রদেশে ধর্মশালা স্টেডিয়ামের উদ্দেশ্যে। ৫ অক্টোবর শুরু এবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ধর্মশালায়।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড

সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত (সহ-অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব।


আরও খবর



‘উন্নয়ন সমৃদ্ধি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চাইলে শেখ হাসিনার বিকল্প নাই’

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রাহাত (পিরোজপুর)

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, উন্নয়ন সমৃদ্ধি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চাইলে শেখ হাসিনার বিকল্প নাই। আর যদি চান জঙ্গীদের উত্থান হোক, দুর্নীতির উত্থান হোক তাহলে ভিন্ন শিবিরে যাবেন। এখন সিদ্ধান্ত আপনি নেবেন। আপনার সন্তানরা সুদিন পাবে, আপনার ভবিষ্যৎ, আপনার এলাকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখাবেন, নাকি দেশকে ওই পিছনের দিকে নিয়ে যাবেন। সে সিদ্ধান্ত আপনাদের নিতে হবে।

মন্ত্রী আজ রবিবার দুপুরে পিরোজপুর সদর উপজেলা চত্ত্বরে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত উন্নয়ন মেলা ও উপজেলা অডিটরিয়ামে আলোচনা সভার প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুসহ সকল বিষ্ময়কর উন্নয়নের বার্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বর, দলীয় নেতৃবৃন্দকে ঘরে ঘরে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। কারণ অনেকে অনেক কিছু জানেন না। তাদেরকে বোঝানো দরকার যে, শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করে সাজিয়েছেন। আজকে বঞ্চিতদের জন্য  নানাবিধ ভাতার ব্যবস্থা করেছেন।

মন্ত্রী বলেন, আমার বিশ্বাস পিরোজপুরবাসীরা উন্নয়নের পক্ষে থাকবে, সমৃদ্ধির পক্ষে থাকবে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে থাকবে, আধুনিক বাংলাদেশের বিনির্মানের পক্ষে থাকবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের পক্ষে থাকবে।

জেলা প্রশাসক জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহামেদ সাব্বির সাজ্জাদ, সহকারি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মুকিদ হাসান খান, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার যুগ্ম-পরিচালক আব্দুল কাদের প্রমূখ।

এর আগে মন্ত্রী দিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করেন। মেলায় ১১টি ষ্টল স্থান পায়। সকালে নাজিরপুর উপজেলা চত্ত্বরে একই কর্মসূচি উদ্বোধন ও আলোচনায় অংশ নেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডাক্তার সঞ্জিব দাশ, উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাকির হোসেন মিয়া, নজিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির, কৃষকলীগের আহবায়ক এস  এম নজরুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ আব্দুল লতিফ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেখ মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহারিয়ার ফেরদৌস রুনা, শেখমাটিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান চৌধুরী নান্নু, খালিদ হোসেন সজল প্রমূখ।


আরও খবর



অবৈধ করাতকলে উজাড় হচ্ছে বনাঞ্চল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

করাতকল স্থাপনে লাইসেন্স নিতে হয় বন বিভাগ থেকে। লাগে পরিবেশ অধিদপ্তরে ছাড়পত্র। মানতে হয় আরও নির্দিষ্ট কিছু বিধিমালা। সাতকানিয়ায় এসবের কোনো তোয়াক্কা নেই। নিয়ম-নীতি না মেনে যত্রতত্র গড়ে উঠছে অবৈধ করাতকল। এসব করাতকলে হরহামেশা চেরাই করা হচ্ছে কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে বনাঞ্চল। ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন ও বনবিভাগের কর্মকর্তাদের মাসোহারা দিয়ে এসব করাতকল পরিচালনা করা হচ্ছে। শিগগিরই যৌথ অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়েছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

করাতকল বিধিমালা-২০১২ তে বলা আছে, কোনো সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান ও জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে এমন স্থান থেকে কমপক্ষে ২০০ মিটার এবং সরকারি বনভূমির সীমানা থেকে কমপক্ষে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না। সাতকানিয়ায় এই নির্দেশনা মানা হচ্ছে না কোথাও।

জানা গেছে, সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা, কেঁওচিয়া, বাজালিয়া, ধর্মপুর, কালিয়াইশসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক করাতকল আছে। এগুলোর মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া বেশিরভাগেরই নেই লাইসেন্স

স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব অবৈধ করাতকল সেখানে গড়ে ওঠে যেখানে সহজে বনাঞ্চল থেকে কাঠ আসে। এরপর কাঠ চেরাই হয়। সেই কাঠ দিয়ে ফার্নিচারসহ অন্যান্য সামগ্রী তৈরি হয়ে বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বেশিরভাগ সময় রাতে ট্রাকযোগে সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে কাঠ আসে। অবৈধ হওয়ায় এসব করাতকলে হিসাব হয় না যে সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে কী পরিমাণ কাঠ আসে। মাঝেমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগ এসব কাঠ করাতকলে আসার সময় আটক করে। তবে বেশিরভাগ সময় কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই বনাঞ্চল থেকে কাঠ এসে অবৈধ করাতকলে চেরাই হচ্ছে।

জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অনুমোদনহীন করাতকলের মালিক বলেন, সবাই যেভাবে পরিচালনা করছে, আমিও সেভাবে করছি। এখানে তো বেশিরভাগ করাতকলের লাইসেন্স নেই।

লাইসেন্স না থাকায় প্রশাসনিকভাবে কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে প্রশাসনের যোগাযোগ ও সুসম্পর্ক আছে। তাই তেমন সমস্যা হয় না।

জানতে চাইলে পদুয়া বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, আমার আওতাধীন এলাকায় অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে শিগগিরই প্রশাসন ও বন বিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করবে।


আরও খবর