আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

শুভ সন্ধ্যা সৈকতে সর্বপ্রথম দৃষ্টিনন্দন ডাকবাংলো “সাম্পান” উদ্বোধন

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

বরগুনার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র তালতলী শুভ সন্ধ্যা সৈকতে সর্বপ্রথম দৃষ্টিনন্দন ডাকবাংলো সাম্পান এর উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক মুহা. রফিকুল ইসলাম।

শনিবার(৩১ আগষ্ট) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে শুভ সন্ধ্যা সৈকত সংলগ্ন আধুনিক ডাকবাংলো ভবণটি উদ্বোধন করা হয়েছে।

এই শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতটি অল্প সময় জনপ্রিয়তা পেলেও ঘুড়তে আসা পর্যটকদের রাত্রিযাপনের জন্য কোন ব্যবস্থা না থাকায় পর্যটকদের কথা চিন্তা করে এই ডাকবাংলোটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুম্পার পরিকল্পনা ও নির্দেশনা গত এক বছরের ভেতরেই বিভিন্ন অনুদানের টাকায়  সাম্পান নামের এই ডাকবাংলোটি নির্মান করা হয়।একতলা বিশিষ্ট এই ভবনে দুইটি বেড রুমসহ ড্রইং-ডাইনিং স্পেস  রয়েছে। পাশাপাশি এখানে বিনোদন পার্ক, আধুনিক বারবি কিউ রেস্তোরা ও পার্কিং এর জন্য স্থান রাখা হয়েছে, যা পর্যায়ক্রমে নির্মিত হবে।

প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মুহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, এটি নির্মাণের উদ্দেশ্য হচ্ছে সৈকতটি ঘিরে একটি নান্দনিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা। দীর্ঘস্থায়ীভাবে সি-বীচ রক্ষায় করার জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রিক কর্মসংস্থান ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে এই বাংলোটি অবদান রাখবে। তিনি বেসরকারী উদ্যোক্তাদের এই সৈকত কেন্দ্রিকহোটেল-মোটেল নির্মানের জন্য আহবান জানান।

এসময়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পিজুস চন্দ্র দে, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অনিমেষ বিশ্বাস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা, সহকারী কমিশনার (ভুমি) অমিত দত্ত, তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ড.কামরুজ্জামান বাচ্চু প্রমুখসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: বরগুনা

আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




‘সর্বাত্মক চেষ্টা ভারতের সঙ্গে সবচেয়ে সুসম্পর্ক বজায় রাখা’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ভারত আমাদের প্রতিবেশী এবং আমাদের একমাত্র প্রতিবেশী বলা যায়। কারণ, চারদিক থেকেই ভারত আমাদের আছে। কাজেই তার সাথে আমাদের সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক হওয়া উচিত এবং হবে। এ ছাড়া আমদের গত্যন্তর নাই, তাদেরও গত্যন্তর নাই। দুই দেশের মধ্যে বৈরি সম্পর্ক রেখে কেউ লাভবান হবে না। আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা হবে সবচেয়ে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। বন্ধুত্বের শীর্ষ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া- এটাই আমাদের উদ্যোগ। সম্প্রতি জার্মানির সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা বলেন। সাক্ষাৎকারে সরকারের প্রথম মাসে নেওয়া নানা উদ্যোগ ও আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন ড. ইউনূস।

ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী এবং দুটো দেশ নানাভাবে একে অপরের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু ভারতের শক্তিশালী মিত্র হিসেবে পরিচিত শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কে এক ধরনের টানাপোড়েন দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি কোন বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিচ্ছেন? এ প্রশ্নে ড. ইউনূস ভালো সম্পর্ক ছাড়া বাংলাদেশ-ভারতের গত্যন্তর নেই বলে জানান।

তিনি আরও বলেন, পানিবন্টন চুক্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক আইন আছে। দুই দেশের মধ্যকার চলমান বিরোধ নিরসনে দুই দেশ আন্তর্জাতিক আইন মেনে নিলেই সেটার সমাধান হবে। সার্ক একটা পরিবারের মতো ছিল। আমরা সেই কাঠামোতে ফিরে যেতে পারি কিনা দেখবো। শুধু ভারতের সাথে না, দক্ষিণ এশিয়ায় যত দেশ আছে সবাই যেন পরস্পরের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজার রাখে। শান্তিপূর্ণ জোন হিসেবে আমরা একে গড়তে চাই। বাধা-বিপত্তি এড়িয়ে সার্ক ও বিমসটেক-কে সক্রিয় করার করার চেষ্টা করবো।

আপনি প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর একমাস পূর্ণ হলো। গত কয়েক সপ্তাহে কোন কোন বিষয়কে আপনি অগ্রাধিকার দিয়েছেন? এ প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমার তো অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা না। অগ্রাধিকারগুলো সামনে এসে গেছে। আমি বাছাই করার সুযোগও পাইনি। শান্তি-শৃঙ্খলা হলো সবার প্রথমে। যেহেতু বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা আসছি, সরকার গঠন করেছি, কাজেই প্রথম দায়িত্ব হলো শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। এটার উপরেই জোর দেওয়া হচ্ছে। এরকম বিপ্লব বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে হয়নি। ছাত্রদের সঙ্গে সাধারণ জনগণ এগিয়ে এসেছে। এমন কোনো লোক ছিল না যে এটাতে শরিক মনে করেনি। জনমত নির্বিশেষে এই আন্দোলনে শরিক হয়েছে। আমরা একটা বিরাট দায়িত্ব নিয়ে আসছি। এদিকে হলো বিপ্লব আর এদিকে স্বপ্ন। শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়বো। মানুষের সীমাহীন আকাঙ্ক্ষা। আমাদের দায়িত্ব অনেক। অর্থনীতি একটা বিশৃঙ্খল, ভঙ্গুর অর্থনীতি হয়ে গিয়েছিল। যে কারণে মানুষ এত বিক্ষুব্ধ। সব কিছু লুটপাট। এটা লুটের একটা সরকার ছিল। কাজেই সেই লুটের সরকার থেকে সত্যিকার সরকার, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা- এটাও মানুষের একটা আকাঙ্ক্ষা। এবং এটা দ্রুত দেখতে চায়। সেগুলো আমাদের করার চেষ্টা। এক মাসের মধ্যে আমাদের যতটুকু সম্ভব করেছি।

রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি সংবিধান পুর্নলিখনের দাবিও উঠেছে। বলা হচ্ছে সংবিধান পুনর্লিখন ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন? - এ প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, এটা মস্ত বড় সুযোগ। এই সুযোগ জাতির জীবনে আর আসবে কিনা জানি না। না আসাটাই স্বাভাবিক হোক। গোড়াতে হাত দিতে হবে, সংবিধানে হাত দিতে হবে। তো সেখানে প্রশ্ন হচ্ছে- সংবিধান নতুন করে লিখতে হবে, নাকি এই সংবিধানই কিছু সংশোধন করা হবেঁখ? এ বিষয়ে মতভেদ আছে।

এইজন্য কমিশন হবে, বিচার-বিবেচনা করবে, একমত হবে। এর উপর ভিত্তি করে নির্বাচন হবে। এটা না হওয়া পর্যন্ত তো আমরা নির্বাচনের রূপরেখা ঠিক করতে পারছি না। কী ধরনের নির্বাচন হবে, কী কী নির্বাচন হবে- সবকিছুই সংবিধানের ভিতরে থাকবে।  পুরো আন্দোলনের ব্র্যান্ড নেইম হচ্ছে সংস্কার। সংস্কার হচ্ছে আকাঙ্ক্ষা। আমরা সেই আকাঙ্ক্ষার অংশীদার। আমরা দায়িত্ব নিয়েছি যেন আমরা সেই আকাঙ্ক্ষা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পূরণ করতে পারি।


আরও খবর



উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের উত্তর প্রদেশে এক নারীর মাথাবিহীন বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রাজ্যের কানপুরের গুজাইনির ন্যাশনাল হাইওয়ে থেকে গতকাল সকালে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। খবর এনডিটিভির। 

সন্দেহ করা হচ্ছে, ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এরপর হত্যার পর লাশ হাইওয়েতে ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশ এখন পর্যন্ত ওই নারীর পরিচয় বের করতে পারেনি।

পুলিশ ওই নারীর পরিচয় চিহ্নিত করতে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করেছে। ওই হাইওয়ের পাশের এক হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, লাশ পাওয়ার আগে একই গঠনের এক নারী হেঁটে যাচ্ছিলেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গতকাল সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে প্রথম ওই লাশ দেখতে পাওয়া যায়। যেখানে ওই নারীর লাশ পাওয়া গেছে সেখানো কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। তবে ঘটনাস্থল থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজে এক নারীকে হেঁটে যেতে দেখা গেছে।

মৃত্যুর কারণ জানতে ইতোমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত নারী নিখোঁজের অভিযোগ পায়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ঘটনাস্থল ফরেনসিক টিম পরিদর্শন করেছে এবং দাঁত ও হাড়ের নমুনা সংগ্রহ করেছে। পুরো এই ঘটনার তদন্ত চলছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।


আরও খবর



পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা না দিলে ব্যবস্থা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন থানা/ইউনিট/ডিউটিস্থল হতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বেচ্ছায় তা জমা না দিলে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ ইতোমধ্যে কিছু উদ্ধার করা হয়েছে। লুণ্ঠিত অবশিষ্ট অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

কোন ব্যক্তির কাছে এ ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ রক্ষিত থাকলে আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিকটস্থ থানায় জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: পুলিশ

আরও খবর



ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ওবামাসহ ৯২ নোবেল বিজয়ী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ ৯২ জন নোবেল বিজয়ী। এ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের ১০৬ জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী এবং সুশীল সমাজের নেতারা তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল তার ফেসবুকে চিঠিটি শেয়ার করেছেন।

চিঠিতে বলা হয়, আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীরা বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন এবং আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাতে পেরে আনন্দিত। বাংলাদেশের জনগণের মতো ড. ইউনূসও স্বৈরাচারিতার শিকার। আজ গণতান্ত্রিক এবং ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের ফলশ্রুতিতে স্বৈরাচার উৎখাত হয়েছে। ড. ইউনূস যেমনটা বলেছেন, বাংলাদেশ তার দ্বিতীয় স্বাধীনতা উপভোগ করছে এবং জাতি হিসেবে তার পূর্ণ সম্ভাবনা পূরণের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

আমরা দীর্ঘ সময় ধরে অধ্যাপক ইউনূসকে সমর্থন করতে পেরে গর্বিত। এটা বাংলাদেশের নতুন সূচনা এবং এই নতুন সময়ে আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশের জনগণের শান্তি ও সাফল্য কামনা করি। একটি নতুন এবং উন্নত সমাজ তৈরিতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টাকে আমরা সমর্থন করি এবং যেকোনো প্রয়োজনে সাহায্য করতে প্রস্তুত আছি।

চিঠিতে স্বাক্ষর করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ শান্তি, চিকিৎসা, রসায়ন, পদার্থবিদ্যা,অর্থনীতি ও সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ৯২ জন। এ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের ১০৬ জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।


আরও খবর



সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের ওপর ডিম নিক্ষেপ

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার সিএমএম কোর্টে নেওয়া হয় আনিসুল ও সালমানকে। এ সময় তাদের বহনকারী ভ্যান আদালত প্রাঙ্গণে পৌঁছলে সেখানে উপস্থিত সাধারণ জনতা তাদের উদ্দেশে ডিম নিক্ষেপ করেন।

এর আগে রাজধানীর সাইন্সল্যাবে হকার মৃত্যুর ঘটনায় তাদের দুজনকে আসামি করা হয়। হকার শাহজাহান হত্যায় তার মা বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। এই মামলায় দুজনকে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।

বুধবার দুপুরে নিউমার্কেট থানা সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের ডিবিতে রাখা হয়েছিল। ডিবি কার্যালয় থেকে তাদের আদালতে উপস্থাপন করে ১০ দিন রিমান্ড চাইবে পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মামুনুর রশীদের আদালতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় তাদের গ্রেপ্তারের তথ্য আসে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর অন্যান্য মন্ত্রী-এমপির মতো এই দুজনও আত্মগোপনে চলে যান। এর মধ্যে সালমান এফ রহমানের বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার খবরও বের হয়। গতকাল পুলিশ তাকেসহ আনিসুল হককে গ্রেপ্তারের তথ্য জানায়।

ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মাইনুল হাসান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানী ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নিউমার্কেট থানায় দায়ের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। একজন ছাত্র ও একজন হকার। পরের দিন ওই ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। এসব হত্যার ঘটনায় ইন্ধনদাতা হিসেবে এ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, এই মামলাগুলোতে আসামিদের নাম অজ্ঞাত হিসেবে ছিল। তদন্তে নিশ্চিত হয়ে শেখ হাসিনা সরকারের ওই দুই প্রভাবশালীকে ইন্ধনদাতা হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা আত্মগোপনে চলে যান। পাশাপাশি দলটির নেতারাও আছেন আত্মগোপনে। কেউ কেউ দেশ ছেড়েছেন বলে খবর এসেছে।

নিউজ ট্যাগ: সালমান এফ রহমান

আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪