আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে : রেজাউল করিম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তির সকল অপচেষ্টার বিরুদ্ধে যেকোন মূল্যে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।

মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) পিরোজপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে পিরোজপুরের গোপাল কৃষ্ণ টাউন হল মিলানয়তনে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় রাজধানীর সচিবালয়ের নিজ দপ্তর থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম হাওলাদার আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার সমীর কুমার দাস বাচ্চু ও গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সাফল্য কেউ যাতে ছিনিয়ে নিতে না পারে, সেজন্য বিজয়ের মাসে আমাদের আবার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যাকান্ডের পর বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিলো। গোলাম আযমসহ যুদ্ধাপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে এনে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার করেছেন। একইসাথে তিনি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করেছেন।

তিনি আরো যোগ করেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নত-সমৃদ্ধ। এই শান্তিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে আবার নতুন করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে একটি মহল। তারা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। তাদেরকে যেকোন মূল্যে প্রতিহত করতে হবে। ত্রিশ লক্ষ শহিদের স্বপ্ন, বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন কোনভাবেই নষ্ট হতে দেয়া হবেনা।

তিনি আরো বলেন, আমাদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জন হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু পিরোজপুর ৮ ডিসেম্বরেই হানাদারমুক্ত হয়েছিলো। পিরোজপুরের মানুষের সে গৌরবগাঁথা ও ঐতিহ্য সম্মিলিতভাবে ধরে রাখতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: শ ম রেজাউল করিম

আরও খবর



চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কোটি টাকার স্বর্ণসহ আটক ২

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১ কেজি ১১৪ গ্রাম স্বর্ণসহ মো. শফিকুল ইসলাম ও মো. মোরশেদ নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।

শনিবার (২ মার্চ) সকালে শারজাহ থেকে আসা বিমানের যাত্রী ছিলেন তারা। আটক মো. শফিকুল ইসলাম চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা ও মো. মোরশেদ হাটহাজারী উপজেলার বাসিন্দা।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তসলিম আহমেদ স্বর্ণ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শারজাহ থেকে আসা দুই ব্যক্তি বিমানবন্দরের কাস্টমস এরিয়া অতিক্রম করার সময় স্ক্যানিংয়ে তাদের লাগেজে স্বর্ণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে তাদের লাগেজ তল্লাশি করে দুটি ব্লেন্ডিং মেশিনের ভিতর অভিনব কায়দায় লুকানো মোট ১ কেজি ১১৪ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। পরে এই যাত্রীদেরকে আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক মূল্য এক কোটি টাকা বলে কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দারা জানিয়েছেন।


আরও খবর



‘কুপ্রস্তাবে রাজি না হয়ে অন্যায় করেছি, আজ আমি অনার্স ফেল’

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার বিচারের দাবিতে উত্তাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ঠিক সে সময়ে উঠে এল আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অবন্তিকার মতো শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানি ও কুপ্রস্তাবের শিকার হন ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের ১৩তম আবর্তন ব্যাচের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম। সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

মিম জানান, দুই বছর আগে যৌন হয়রানি ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ তুলে এখনো বিচার পাননি তিনি। উল্টো তাকে বিভিন্ন পরীক্ষায় ফেল করানো হয়েছে। এমনকি তার মা-বাবাকে অভিযোগ প্রত্যাহারের চাপ দেওয়া হয়েছে।

সাক্ষাৎকারে ওই ছাত্রী বলেন, কুপ্রস্তাবে রাজি না হয়ে অন্যায় করেছি বলে আমার মনে হয়। কারণ, আজকে আমি ফেল। আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলে। কোনো মহিলা টিচারের অনুপস্থিতিতে আমাকে দরজা আটকে জোর জবরদস্তি করা করা হয়। আমি হয়ত তার মতো সাহসী হতে পারি নাই। তার জন্য হয়ত আমি মারা যাই নাই। কে জানে এর পর আমি বেঁচে থাকব কি না। আমাকে একঘরে করে দিয়েছে শিক্ষকেরা। আমাকে অনার্সের ভাইভায় ফেল করানো হয়েছে। প্রতিবাদের ফলাফলস্বরূপ আজকে আমি অনার্স ফেল। একজন শিক্ষক আমাকে ৪০ মার্কের ইনকোর্স পরীক্ষায় ডাবল শূন্য দিয়েছে। এটা তো খুন। এভাবে সমাজে একের পর এক মেধাবী ছাত্রছাত্রীকে খুন করে ফেলা হচ্ছে।’

‘আমি যখন অভিযোগ দায়ের করি, তখন কোনো সেল ছিল না। কোনো সেল না থাকায় আমাকে সরাসরি উপাচার্য স্যার বরাবর অভিযোগ দায়ের করতে হয়েছিল। উপাচার্য স্যার বরাবর অভিযোগ দায়ের করায় আমার ওপর অনেক ধরনের প্রেশার আসে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি তারা আমার গ্রামের বাড়িতে পর্যন্ত চলে গিয়েছিল। আমার বাবা-মা অসুস্থ, তাদের ওপর প্রেশার করেছে অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য। অভিযোগ প্রত্যাহার না করায় আমাকে বিভাগের রুমে কোনো মহিলা টিচারের অনুপস্থিতিতে দরজা আটকে জোর জবরদস্তি করা হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সাংবাদিক সমিতি আছে সেখানে ওই টিচার ক্ষমতাবলে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলেছে আমার প্রসঙ্গে যেন কোনো নিউজ না আসে।’

ওই ছাত্রী আরও বলেন, আমি যে এত স্বাভাবিকভাবে কথা বলার চেষ্টা করছি- আমি ভেতর থেকে এতটা স্বাভাবিক না। আমার একটা অভিযোগ দায়ের করার কারণে ওইটা যেন অপরাধ হয়ে উঠেছে। আমার ক্লাসমেটরা আমার সঙ্গে মিশতে ভয় পায়। আমি দুই বছর যাবৎ কারও সঙ্গে মিশতে পারি না। আমাকে একা করে ফেলা হয়েছে। ওই শিক্ষক ডিপার্টমেন্ট বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াই। উনাকে কোনো লিভে পাঠানো হয় নাই। আমাকে এইট সেমিস্টারে ফেল করানো হয়েছে। আমার এসাইমেন্ট টিচাররা নিতে চাই না। আমাকে সেভেন সেমিস্টারে ফেল করানো হয়েছে। আমাকে অনার্স ফাইনাল ইয়ারের ভাইভায় ফেল করানো হয়েছে।’

‘আমি আজীবন পড়াশোনা ব্যতীত কিছুই করিনি। আমি ননপলিটিক্যাল ছাত্রী। আমি কোনো অর্গানাইজেশনে জড়িত না। সেখান থেকে আমার জন্য সহজ ছিল না প্রতিবাদ করার। আমার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার কারণে আমি প্রতিবাদ করেছি। সেই  প্রতিবাদের ফলাফল স্বরূপ আজকে আমি অনার্স ফেল। প্রতিবাদ করা আমার অন্যায় ছিল। আমার বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আমি মিশতে পারি না। আমি যতই হাই ক্যালিভার আমি প্রকাশ করি- আমি  মার্কস পাই না। আমার কি তাহলে উচিত ছিল ওই শিক্ষকের কুপ্রস্তাবে রাজি হওয়া। আমি রাজি না হয়ে অনেক বড় অন্যায় করেছি। আমি মার্কসিট পুণর্মূল্যায়নের আবেদন জানালেও তা করা হয়নি। এবার চেয়ারম্যান স্যার উনার দুইটা কোর্সে আমাকে ১০০ এর মধ্যে তিন দিয়েছেন। একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি কতটুকু খারাপ মেধার অধিকারী হলে আমি তিন পাই। আমার প্রসঙ্গে আমি বুজতে পারি আমার মেরুদণ্ড কতটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমাকে কাউন্সিলিং নিতে হয়। আমিতো স্বাভাবিক না। আমার বিভাগে এমনকি ক্যাম্পাসে অনেক আছে- এই একটা কারণে কেউ প্রকাশ করে না।’

‘আজকে যে অবন্তিকা মারা গেল, দেড় বছর আগে থেকে যুদ্ধ করে আসছে- মেয়েটা যদি বিচার পেত তাহলে কি আজ মারা যেত? এটা তো খুন। এভাবে সমাজে একের পর এক মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের খুন করে ফেলা হচ্ছে। সে বিচার পেলে আজ এই ঘটনা ঘটত না।’

অভিযুক্ত কে ছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওই ছাত্রী বলেন, উনি ছিলেন ইমপ্রেস টেলিফিল্মের একজন এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার। উনি সিনেমা নির্মাণ করেন, আবার আমার বিভাগের লেকচারার ছিলেন। এখনো উনি বহল আছেন। উনি আমাকে কাজের জন্য উনার অফিস রুমে ডেকে নিয়ে হ্যারাজ করেন। এটা নিয়ে আমি অনেকদিন ভুগেছি। যখন আমার দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে- আমাকে প্রতিনিয়ত ফেল করানো হচ্ছে, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বলা হচ্ছে। আমার বাবাকে বলা হচ্ছে-আপনার মেয়েকে বহিষ্কার করে দেব। নতুন করে যে কিমিটি করা হয়, এখন যিনি ভিসি আছেন তিনি ওই কমিটির একজন সদস্য ছিলেন। ভিসি সাদেকা হালিম ম্যাডাম অনেক নারী বান্ধব।’

‘কিন্তু ম্যাডামের উপস্থিতি থাকা স্বত্বেও আমি এখন পর্যন্ত বিচার পেলাম না। কয়েক দফা রিপোর্ট আসা স্বত্বেও ওই আবু সাইদ ইমন যিনি শিক্ষক এবং উনাকে সাহায্যকারী আমাদের বিভাগের চেয়ারম্যান স্যার অধ্যাপক জুনাইদ হালিম এতগুলো তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আসার পরও উনারা সুপ্রিম কোর্টে রিট করেছন। একজন শিক্ষক কতটা বেহায়া হলে নিজের দোষ ঢাকতে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যায়। সুপ্রিম কোর্ট থেকেও তারা হেরে গেছেন। তারা সিন্ডিকেটের প্রতিবেদন না মেনে সুপ্রিম কোর্টে রিট করেছেন। উনি ইমপ্রেস টেলিফিল্মের একজন এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার বলে ক্ষমতা বলে কি সকাল জায়গায় পার পেয়ে যাবেন।’

অন্যরা অভিযোগ না করার বিষয়ে ওই ছাত্রী বলেন, ফেল করার ভয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আবু সাইদ ইমনের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীরা কোনো কথা বলেন। আমিতো ফেল করে গেছি। আমারতো স্টুডেন্ডশিপের কোনো ভয় নাই। আমি রাস্তা দিয়ে যখন চলাফেরা করি-তখন আততায়ীরা আমাকে ফেরে ফেলতে পারে। আমি সারাক্ষণ অনিরাপত্তায় ভুগি। আমার পরিবার অনিরাপত্তায় ভোগে। কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ করছে না বা প্রকাশ করছে না তারাও যে নিরাপদ না বিষয়টা তেমন না। একজন শিক্ষার্থী যখন যৌন হয়রানির অভিযোগ দেয়-তখন তার চরিত্র নিয়ে যেসব কথা বলা হয় তা প্রকাশ করা যায় না। আমার বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে যখনই কেউ কথা বলেন-তখনই আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলেন।’


আরও খবর



মুশফিকের জায়গায় টেস্ট দলে তাওহীদ হৃদয়

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চোটে পড়া মুশফিকুর রহিমের জায়গায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। মিরপুরের বিসিবি কার্যালয়ে নির্বাচক কমিটি সভায় বসেছিল মুশফিকের বিকল্প ঠিক করতে। সেখানেই বিকল্প হিসেবে নির্বাচকরা হৃদয়কে টেস্ট দলে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

২০২৩ সালের মার্চে জাতীয় দলে মুশফিকুর রহিমের বদলি হিসেবেই নেয়া হয়েছিল হৃদয়কে। মুশফিকের ব্যাটিং পজিশনেই খেলেছেন তিনি। টানা এক বছর ব্যাট হাতে দারুণ করে দলে থিতু করেছেন নিজেকে। বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৩০টি ওয়ানডে এবং ১৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। টেস্ট দলে ডাক পাওয়ার পর এবার তার সামনে খুলে যাচ্ছে টেস্ট অভিষেকের দুয়ারও। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট শুরু হবে আগামী শুক্রবার। শেষপর্যন্ত টেস্ট অভিষেকের সুযোগ পেলে দারুণ একটা বিষয় হবে। এই মাঠেই গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ ম্যাচে হৃদয় ১৬৫ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেছিলেন।

সব মিলিয়ে ১৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ২০ ইনিংসে ৪৮.০৫ গড়ে হৃদয়ের রান ৯১৩। সেঞ্চুরি করেছেন ৩টি, আছে ডাবল সেঞ্চুরিও।

তাকে নিয়ে ২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের চার জন বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট খেলার সুযোগ পেলেন। এর আগে শরীফুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয় ও শাহাদত হোসেন দীপু দেশের হয়ে লাল বলে ক্রিকেট খেলেছেন।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের টেস্ট দল

নাজমুল হাসান শান্ত (অধিনায়ক), জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, লিটন দাস, মুমিনুল হক, শাহাদাত হোসেন দিপু, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, মুশফিক হাসান, নাহিদ রানা, তাওহীদ হৃদয়।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




জ্যাকলিনের অ্যাপার্টমেন্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের অ্যাপার্টমেন্টে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ভয়াবহ সেই অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, তখন বাড়িতে ছিলেন না জ্যাকলিন। অভিনেত্রী এখন দেশের বাইরে আছেন বলে জানা গেছে।

মুম্বাইয়ের পশ্চিম বান্দ্রার পালি হিল অঞ্চলের নাওরোজ হিল সোসাইটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বুধবার (০৬ মার্চ)। বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের বাসস্থান এটি। যদিও সরাসরি জ্যাকলিনের ফ্ল্যাটে আগুন লাগেনি, লেগেছে তার নিচ তলায়। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে জ্যাকনিল তার নতুন বাড়িতে স্থানান্তরিত হয়েছেন।

মুম্বাইয়ের পালি হিলে এখন তার বাস। সেখানেই রণবীর কাপুর থেকে শুরু করে সাইফ আলি খানের বাড়ি রয়েছে। এবার সেখানেই দেখা গেল আগুন। কিছু মানুষ তা লক্ষ্য করেই খবর দেয় দমকল বাহিনীকে।

বুধবার ঘটে এই অঘটন। যদিও প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি, কীভাবে আগুন লেগেছে। ভিডিও দেখা মাত্রই সামাজিক মাধ্যমে অভিনেত্রীকে নিয়ে উদ্বেগ বাড়ে অনুরাগীদের। সকলেই তার বাড়ির ভেতরের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেন। যদিও আগুন লাগে অ্যাপার্টমেন্টের ১৪ তলায়। ঠিক তার ওপরেই জ্যাকলিনের ফ্ল্যাট। তিনি থাকেন ১৫ তলায়। দ্রুত দমকল এসে পরিস্থিতি সামল দেন।

বর্তমানে ক্যারিয়ার নিয়েই সমস্যায় রয়েছেন জ্যাকলিন। ২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণার মামলায় নাজেহাল অবস্থা অভিনেত্রীর। কনম্যান সুকেশের সঙ্গে তার নাম জড়াতেই তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। এরপর থেকেই বলিউডের সঙ্গে বাড়ে জ্যাকলিনের দূরত্ব। হাতে নেই তেমন সিনেমা, নেই কোনও কাজের প্রস্তাব। যদিও ছোটখাটো বেশ কয়েকটি কনসার্টে তাকে যোগ দিতে দেখা যাচ্ছে। তবে সুকেশের এই মামলার জাল থেকে বেরিয়ে আসতে চান অভিনেত্রী। ক্যারিয়ারে আবারও আগের মতোই কাজ করে যেতে চান।


আরও খবর



ইমরান খান বন্দি থাকা কারাগারে সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বন্দি থাকা আদিয়ালা কারাগারে সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা চালানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের পুলিশ ও কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের (সিটিডি) যৌথ চেষ্টায় এ হামলা বানচাল করা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় বুধবার রাতেই তিনজনকে আটক করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, আটক সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ভারী অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের অজ্ঞাত জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

রাওয়ালপিন্ডি পুলিশের এক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, পুলিশ ও সিটিডি আদিয়ালা কারাগারে হামলার চেষ্টা বানচাল করেছে। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটক তিন ব্যক্তি আফগানিস্তানের বাসিন্দা। 

আরও পড়ুন>> রমজানে মসজিদে ইফতার নিষিদ্ধ করল সৌদি

রাওয়ালপিন্ডি পুলিশের প্রধান সাইদ খালিদ হামদানি বলেন, তাদের কাছ থেকে স্বয়ংক্রিয় ভারী অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের কাছে হ্যান্ড গ্রেনেড, ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ও কারাগারের মানচিত্রও পাওয়া গেছে।

তিনি জানান, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বর্তমানে কারাগার ও তার আশপাশের এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আদিয়ালা কারাগার বর্তমানে বন্দিতে ঠাসা। এটিতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দি রয়েছেন। কারাগারটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানসহ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীও রয়েছেন।


আরও খবর