আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

স্বামী হত্যায় প্রেমিকসহ স্ত্রীর যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বরিশাল প্রতিনিধি

Image

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা এলাকায় স্বামী সুশান্ত বৈরাগীকে বিষ খাইয়ে হত্যার দায়ে স্ত্রী সেরিকা মন্ডল ও তার পরকীয়া প্রেমিক মিঠুন হালদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে উভয়কে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বরিশালের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম রাশেদুজ্জামান রাজা রবিবার বিকেলে আসামি সেরিকার উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। এ সময় অপর দণ্ডপ্রাপ্ত মিঠুন হালদার পলাতক ছিলো।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, আসামি সেরিকার সাথে ঝালকাঠীর জগদ্বীশপুরের মিঠুন হালদার ওরফে মিন্টু হালদারের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। স্বামী সুশান্ত বৈরাগী এতে বাধা দেয়। এর জের ধরে সুশান্তকে হত্যার পরিকল্পনা করে স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিক। ২০১৭ সালের ৭ নভেম্বর রাতে সুশান্তের খাবারে বিষ মিশিয়ে দেয় তারা। ওই খাবার খেয়ে সুশান্ত অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। ৯ নভেম্বর বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুশান্তের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়। একই ঘটনায় সুশান্তের ভাই সুনীল বৈরাগী বাদী হয়ে ১০ নভেম্বর উজিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক আলী আকবর ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর উপরোক্ত দুই আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। পরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ মামলার ৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ দণ্ডাদেশ দেন।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার মো. কামরুল ইসলাম এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত সেরিকাকে বিশেষ ব্যবস্থায় বরিশাল কেন্দ্রিয় কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। অপরদিকে পলাতক মিঠুন হালদারের বিরুদ্ধে সাজা এবং গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।


আরও খবর



জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা : তদন্ত কমিটির প্রথম সভা আজ

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠন করা তদন্ত কমিটির প্রথম সভা বসছে আজ রোববার।

কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, রোববার (১৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় আমাদের প্রথম সভা হবে। এ সভায় আমরা কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করবো, কিভাবে কত দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি রিপোর্ট প্রদান করা যায়।

তদন্ত কমিটির রিপোর্ট কতদিনের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের কোনো সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি। তবে যত দ্রুত সম্ভব প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলেছেন উপাচার্য। আশা করি দ্রুততম সময়ে আমরা রিপোর্ট পেশ করতে পারবো।

তবে শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেবেন বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন। এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী তদন্ত রিপোর্টে অভিযোগ প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির কথাও উল্লেখ করেন।

পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, সঙ্গীতের চেয়ারম্যান ঝুমুর আহমেদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার দাস।

এর আগে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা শহরের বাগিচাগাঁও ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এলাকায় নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। এর আগে নিজের ফেসবুক আইডিতে মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন দুজনকে। তারা হলেন-সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। ইতোমধ্যে সহপাঠী ও সহকারী প্রক্টরকে পুলিশ আটক করেছে।


আরও খবর



ভালো খেজুর চিনবেন যেভাবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

রমজানে খেজুর ছাড়া যেন চলেই না। ইফতারে সবাই খেজুর খেয়ে থাকেন। খেজুরে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ রয়েছে। সারাদিন না খেয়ে থাকার পর সন্ধ্যায় ইফতারে খেজুর খাওয়ার পর তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়া যায়।

খেজুর সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। এটি রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে। এতে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে। আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ফাইবার ও ম্যাগনেশিয়ামোর মতো প্রয়োজনীয় খনিজ রয়েছে খেজুরে। এছাড়া রিবোফ্লাভিন, থায়ামিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে ও ফোলেট সমৃদ্ধ। যা শিশু, কিশোর, যুবক, গর্ভবতী নারীসহ সবার জন্য পুষ্টিকর ফল।

তবে খেজুরের সব উপকারিতা পাওয়ার জন্য অবশ্যই বাজার থেকে ভালো খেজুর নির্বাচন করা জরুরি। উপকারী এই ফল যদি বাজার থেকে কেনার সময় ভালোটি নির্বাচন করতে না পারেন, তাহলে কিন্তু উপকার পাওয়া যাবে না। ভালো খেজুর নির্বাচনের উপায় সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সান এক্সপার্ট এবং কার্তাগো ডেটস। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।

খেজুর নির্বাচনের উপায়: ব্যাকটেরিয়া, ছাঁচ, খামির ও স্টোরেজে কীটপতঙ্গের উপস্থিতির কারণে নষ্ট হয়ে থাকে খেজুর। খেজুরে তীব্র গন্ধ থেকে গাঁজন হয়ে থাকে। অনেক সময় সংরক্ষণের ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় খেজুরের মধ্যে ছাঁচের দাগগুলো স্পষ্ট থাকে। কোনো খেজুরে যদি সমস্যা দেখতে পান, তাহলে প্যাকেটিংয়ের গায়ে থাকা ব্যাচ অনুযায়ী, সবগুলো খেজুরই বাদ দিতে হবে।

খেজুরের বাইরের পৃষ্ঠের সাদা সাদা দাগ হচ্ছে প্রাকৃতিক চিনি। এই চিনি অনেক সময় স্ফটিক তৈরি করে। খেজুর প্রচুর পরিমাণ মিষ্টিজাতীয় হয়ে থাকে। খেজুর সংরক্ষণের ব্যবস্থা যদি ভালো না হয়, তাহলেই খেজুরের বাইরের পৃষ্ঠে চিনির স্ফটিক পড়ে। তবে ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে এমনটা হওয়ার ষম্ভাবনা কম থাকে।

ভালো খেজুর আর্দ্র ও মোটা থাকবে, প্রাকৃতিক মাধুর্যে ফেটে পড়ার মতো মনে হবে। স্বাদে সমৃদ্ধ ও সুস্বাদু হবে সবসময়। আবার তাজা খেজুরের দিকে খেয়াল করলে দেখবেন তা চকচকে ও দাগহীন। হতে পারে তা সোনালি বাদামী, অ্যাম্বার বা লালচে। প্রথমে নাকের কাছে নিন এবং এর ঘ্রাণ নিন। গুণগত ভালো ও মিষ্টি খেজুর থেকে সুঘ্রাণ পাওয়া যায়। এছাড়া খেজুরের প্যাকেটে সংরক্ষণ ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেখতে পারেন।

নিউজ ট্যাগ: খেজুর

আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




মাস্টার্সের ফল প্রকাশের ৭দিনের মধ্যে জবির হল ছাড়ার নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স এর ফল প্রকাশিত হওয়ার সাত দিনের মধ্যে হল ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে হল প্রশাসন।

সোমবার (১১ মার্চ) হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড.দীপিকা রাণী সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যায় বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক ছাত্রীদের জানানো যাচ্ছে যে- যাদের মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে তাদেরকে আগামী সাত দিনের মধ্যে হলের আবাসিক সিট ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।

উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীকে তুচ্ছ ঘটনায় মারধরে করেন ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের অবৈধভাবে হলে থাকা এক সাবেক শিক্ষার্থী। পরবর্তীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেই শিক্ষার্থীর আসন বাতিল করা হয়। আর সেই প্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছে হল প্রশাসন।


আরও খবর



পানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির বিপক্ষে মত দিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দেওয়ার বিপক্ষে মত দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

আজ রবিবার (১০ মার্চ) ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে ঢাকা ওয়াসার ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বিল কালেকশন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

ওই অনুষ্ঠানে তিনটি বেসরকারি ব্যাংক ও তিনটি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।

এ সময় পানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি ব্যবস্থার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, মানুষের আয় বৃদ্ধির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে, যাতে মানুষ বিদ্যুৎ এবং পানি নিজের টাকায় কিনে খরচ করতে পারে।

একসময় কৃষিতে ভর্তুকি তুলে দিতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কৃষিক্ষেত্রে আমাদের কৃষক এবং তাদের উৎপাদিত পণ্যের বিপণন ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ক্ষেত্রেও আমাদের ভর্তুকি দিতে না হয়।

সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে তাজুল ইসলাম বলেন, টেকসই ও উন্নতসেবা প্রদান করার জন্য সেবা সরবরাহকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিকভাবে সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে ভর্তুকি দেওয়া হলেও তা দীর্ঘমেয়াদী কার্যকরী কোনো সমাধান নয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকেই ধীরে ধীরে নিজের সক্ষমতা তৈরি করে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের যে পথনকশা তৈরি করেছেন, সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে গেলে এছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য দেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম, অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, ঢাকা ওয়াসার বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুজিত কুমার বালা।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




কুবি উপাচার্যের প্রকাশনা সম্পর্কে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের চরম মিথ্যাচার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

২০০৬ সালে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলেও বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক পরিবেশ নিয়ে প্রশংসা করার মত ছিলনা কোন উল্লেখযোগ্য উপাদান। বারবার বিশ্ববিদ্যালয়টি নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হয়েছে হত্যা, টেন্ডার, নিয়োগ বাণিজ্যে ছাত্র শিক্ষকদের জড়িত থাকার কারণে। হয়নি মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ সৃষ্টি।

এই অবস্থায় দেশ বিদেশে পড়াশোনা ও শিক্ষকতার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ম উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন অধ্যাপক ড: এ এফ এম আবদুল মঈন। যোগদানের পরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি লিডিং ও মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন উপাচার্য। এজন্য সর্বপ্রথমেই উদ্ভাবনে নেতৃত্ব, সমাজের ক্ষমতায়ন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা, মানবকল্যাণ, সম্প্রদায়কে সমৃদ্ধকরণ এবং টেকসই প্ল্যানেট গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে তিনি অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি ভিশন তৈরী করেন, এবং তা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপরিক্ষার আয় থেকে মানসম্পন্ন প্রবন্ধ প্রকাশনায় উদ্ধুদ্ধ করার জন্য শিক্ষকদের জন্য মর্যাদাসম্পন্ন ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড ও স্বীকৃতি শুরু করা, শিক্ষকদের প্রকাশনার জন্য Editorial Support সহ বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য IELTS, GMAT ইত্যাদি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফিস প্রদান করা, গবেষণার মান বৃদ্ধিতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানের বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা, মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথমবারের মত মর্যাদাপূর্ণ ভাইস চ্যান্সেলর বৃত্তি প্রচলন করা, ক্রীড়ায় উদ্বুদ্ধকরণের জন্য স্পোর্টস বৃত্তি প্রচলন করা, কেন্দ্রীয়ভাবে একটি একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করে সেশন জট দূর করা, যে সকল শিক্ষক উচ্চতর ডিগ্রি করার পরেও বিদেশে থেকে পদ ধরে রাখার কারণে এখানে শিক্ষক সঙ্কট তৈরি হয়েছে তাদের ৯ জনের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা বাবদ ১.৭৮ কোটি টাকা ফিরিয়ে এনে পদগুলো শূন্য করে নূতন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া, মশাবিহীন, স্বাস্থ্যকর, নান্দনিক ও নিরাপদ ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার মাধমে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করা, সর্বক্ষেত্রে অটোমেশন (ডি-নথি, ওয়েবসাইট, অ্যাপ, ইআরপি, ক্যাম্পাস এরিয়া নেটওয়ার্ক, পেমেন্ট গেটওয়ে) সেবার ব্যবস্থা করা, এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেমন, দুর্নীতিমুক্ত প্রকিউরমেন্ট ও অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ ও টেন্ডার বাণিজ্যের সংস্কৃতি বন্ধ করা।

এই সকল ব্যতিক্রমধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলশ্রুতিতে দুই বছরে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক সফলতা অর্জন করেছে এবং জাতীয় পর্যায়ে তার ইমেজ বৃদ্ধি করতে সমর্থ হয়েছে। যেমন, এখন গুচ্ছ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষ পর্যায়ে অবস্থান অর্জনে সক্ষম হয়েছে। বৈশ্বিক AD ইনডেক্স এর গবেষকদের তালিকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেখানে মাত্র ৫জন শিক্ষকের সংখ্যা ছিলো, তা এই দুই বছরে ১৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৯০ জনে উন্নীত হয়েছে। তাছাড়া, বর্তমান উপাচার্য ২০২২ সালে যোগদানের পূর্বে এপিএতে যেখানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৪৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪২তম ছিলো, তা দুই বছরে উন্নীত হয়ে ১০ম স্থানে এগিয়ে এসেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অর্জন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবার ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারগণ সকলেই যখন গর্বিত, তখন হঠাৎ করেই এই অর্জন ও অগ্রযাত্রা বাঁধার মুখে পড়ে। সম্প্রতি ১৯ ফেব্রুয়ারি কুবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে জয়ের পরই ঐদিন বিকালে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরেন শিক্ষক নেতারা। ২১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের ফুল দেওয়ার তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে উপাচার্য ও শত শত শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে দুইজন শিক্ষক কে অপমানিত করে। এছাড়া উপাচার্যকে কটাক্ষ করে নব্য আলী জিন্নাহ বলেন সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান৷ ৬ মার্চ উপাচার্যকে সবার সামনে পদত্যাগ করতে বলেন ও তাঁকে ডাস্টবিন বলেও সম্বোধন করেন। এর আগে প্রো-উপাচার্যকে স্টেজ এ রেখে মেহেদী হাসান এক বক্তৃতায় উপাচার্যকে আমদানিকৃত পঁচা মাল বলে অভিহিত করেন। ৬ই মার্চের বাকবিতণ্ডায় উপাচার্যকে শিক্ষকদের পদোন্নতিতে গুণগতমানের প্রকাশনার শর্ত তুলে নেয়ার দাবিতে মেহেদী হাসানসহ শিক্ষক সমিতির  আরেক নেতা কাজী কামাল উপাচার্যের কোনও Q1 জার্নালে প্রকাশনা নাই বলে দাবি করেন, এমনকি তার Q4 এ কোন প্রকাশনা থাকিলে কাজী কামাল পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দেন।

উপাচার্যকে হেয় করার পরিপ্রেক্ষিতে বাস্তব তথ্য পর্যালোচনা করে প্রতীয়মান হয় যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এ এফ এম আবদুল মঈন যুক্তরাজ্যের অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক এবং মর্যাদাপূর্ণ কমনওয়েলথ স্কলারশিপ পেয়ে University Of Stirling U.K থেকে Strategic Management বিষয়ে  পি.এইচ.ডি  পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। তাছাড়া, অস্ট্রেলিয়ার Top-ranking বিশ্ববিদ্যালয় Australian National University তে Post-Doctoral Fellow হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ২৩ বছর এবং অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফেডারেশন ইউনিভার্সিটি অস্ট্রেলিয়ায় ১৪ বছর (২০০৭-২০২০) শিক্ষকতা করেছেন।

একাডেমিক কার্যক্রমের বাইরে, তিনি বাংলাদেশে বহু-দাতা সংস্থা (World Bank, UK-Aid, SIDA এবং Swiss Agency for Development and Corporation) এর অর্থায়নে বাংলাদেশে উদ্যোক্তা প্রচার প্রকল্পে কারিগরি উপদেষ্টা, পরামর্শদাতা এবং ব্যবস্থাপক হিসেবে ব্যাপকভাবে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি Social Responsibility research Network (SRRnet) একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।

তিনি একটি গবেষণা-ভিত্তিক বই পৃথিবী বিখ্যাত Springer Nature প্রকাশনা থেকে সহ-সম্পাদনা করেছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন জার্নালে, গবেষণা-ভিত্তিক বই এবং সম্মেলনের কার্যক্রম নিয়ে ৩৯ টি উন্নত মানের গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। ইদানীং কালে প্রকাশিত প্রকাশনা বিশ্লেষণ করে দেখা যায় উপাচার্যের Q1 মানসম্পন্ন ২ টি, Q2 মানসম্পন্ন ৩ টি, এবং Q3 মানসম্পন্ন ১টি প্রকাশনা রয়েছে।


আরও খবর