বিয়ের পর তারকারা
কোথায় হানিমুনে যাচ্ছেন, তা নিয়ে ভক্তদের মধ্যে একটা কৌতূহল থাকে। পূর্ণিমার বিয়ের
পরও এমন কৌতূহল ছিল। সংবাদমাধ্যম থেকেও জানার চেষ্টা করা হয়, বরকে নিয়ে কোথায় হানিমুনে
যাচ্ছেন তিনি। নিজে থেকে কিছু না জানালেও, পূর্ণিমার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বরকে
নিয়ে এরই মধ্যে মধুচন্দ্রিমায় গেছেন তিনি। সপ্তাহখানেকের এই হানিমুনের জন্য তাঁরা বেছে
নিয়েছেন থাইল্যান্ডকে।
পূর্ণিমা অবশ্য
আগেই প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, হানিমুনের জন্য তাঁর পছন্দের জায়গা থাইল্যান্ডই হতে
পারে, হয়েছেও তাই। তবে কবে যাচ্ছেন হানিমুনে জানতে চাইলে পূর্ণিমা বলেছিলেন, ‘যাব, তবে এখনই
নয়। আম্মা তো এখনো পুরোপুরি সুস্থ হননি। সবকিছু স্বাভাবিক হলে সময় করে আশপাশের কোনো
দেশে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। সেটা থাইল্যান্ড হতে পারে।’ পরিবার সূত্র নিশ্চিত করে জানিয়েছে, গত
২৮ জুলাই বর আশফাকুর রহমানকে নিয়ে পূর্ণিমা ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন। এরই মধ্যে
তাঁরা ব্যাংকক, পাতায়া, ফুকেট ঘোরাঘুরির কাজ শেষ করেছেন। আরও কয়েকটি স্থান ঘোরাঘুরি
শেষে দুই-এক দিনের মধ্যে ঢাকায় ফিরবেন তাঁরা। হানিমুনের এই সময়টা পূর্ণিমা ও রবিন বেশ
উপভোগ করছেন বলেও জানান।
এ বছরের ২৭ মে
পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। বিয়ের দুই মাসের মাথায় ২১ জুলাই
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিয়ের খবরটি প্রথম আলোকে নিজেই নিশ্চিত করেন এই অভিনেত্রী। পূর্ণিমা
বলেন, ‘বিয়ে করেছি এটা
সত্যি। মাসখানেক আগে পারিবারিকভাবে বিয়েটা হয়েছে।’ পূর্ণিমার স্বামী
আশফাকুর রহমান ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। আশফাকুর রহমানের সঙ্গে পরিচয়
প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, চার কি পাঁচ বছর আগে কাজের সূত্রেই তাঁর সঙ্গে পরিচয়। সেখান
থেকে একটা ভালো বোঝাপড়া, বন্ধুত্ব হয়েছে। এরপর পরিবারকে জানাই। দুই পরিবার থেকে বলা
হলো, বিয়েটা করে ফেললেই ভালো। পারিবারিকভাবে ছোটখাটো আয়োজনে বাসাতেই বিয়ের অনুষ্ঠান
হয়েছে।
পূর্ণিমা এর আগে
২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের ছেলে আহমেদ জামাল ফাহাদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ
হন। বিয়ের সাত বছরের মাথায় ২০১৪ সালে কন্যাসন্তানের মা হন তিনি। বছর তিনেক আগে ফাহাদের
সঙ্গে পূর্ণিমার বিচ্ছেদ হয়।
আশফাকুর রহমানের
সঙ্গে বিয়ের আগে তাঁর কোন বিষয়টি দেখে পূর্ণিমার ভালো লেগেছে জানতে চাইলে প্রথম আলোকে
এই অভিনেত্রী জানান, ‘তাঁর ব্যবহার, আন্তরিকতা, অনেক যত্নশীল—এসব বিষয় বেশি ভালো লাগে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার,
আমার মেয়ের প্রতি তাঁর আবেগ বেশি, যা আমাকে দারুণভাবে আকর্ষণ করে। একটা মেয়ে যখন বাচ্চাসহ
আবার বিয়ে করে, তখন মেয়েটি তাঁর সঙ্গে কী হবে, সেটা নিয়ে ভাবে না। তাঁর বাচ্চার সঙ্গে
স্বামীর ব্যবহার কেমন হবে, সেটা নিয়েই চিন্তা করে বেশি। আমিও সেই চিন্তাই করেছি। কিন্তু
তাঁকে দেখেছি, আমার চেয়ে আমার বাচ্চাকে বেশি আগলে রাখে, বাচ্চা নিয়ে তাঁর এক্সাইটমেন্ট
বেশি, যা আমাকে দারুণভাবে আলোড়িত করে। বাচ্চাকে খুব আদর করে। তা ছাড়া আমার শ্বশুর-শাশুড়িসহ
বাসার সবাই বাচ্চা ভালোবাসেন।’