ফ্রান্সের প্রখ্যাত
চলচ্চিত্র নির্মাতা জ্যঁ-লুক গদার আর নেই। গত মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পৃথিবী ভ্রমণ
শেষ করেন বিশ্বখ্যাত এই নির্মাতা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
তাৎক্ষণিকভাবে
গদারের মৃত্যুর কারণ জানানো না হলেও কয়েক ঘন্টা পর তার আইনজীবীর বরাত দিয়ে ব্রিটিশ
দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্যঁ-লুক গদার স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছেন।
গদারের আইনি কাউন্সিল
প্যাট্রিক জনারে বলেন, একাধিক দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ছিলেন বিশ্বখ্যাত এই নির্মাতা।
স্বেচ্ছায় মৃত্যুর জন্য তিনি সুইজারল্যান্ডে যান।
নিজের জীবন শেষ
করতে আইনিভাবে অন্য কারও সাহায্য নেওয়াই হলো ‘স্বেচ্ছামৃত্যু’। সুইজারল্যান্ডে এ ধরনের মৃত্যুর বৈধতা
রয়েছে। তবে ফ্রান্সে স্বেচ্ছামৃত্যুর আইনি বৈধতা না থাকায় গদারের মৃত্যুর খবর প্রকাশের
পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ জানিয়েছেন, স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার নিয়ে
জাতীয় বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে ফ্রান্সের
‘লিবারেশন’ পত্রিকা গদারের পরিবারের ঘনিষ্ঠ একজনের
(নাম উল্লেখ করেননি) উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, জ্যঁ-লুক গদার অসুস্থ ছিলেন না। তিনি
খুবই ক্লান্ত ছিলেন। তাই এই ক্লান্তির অবসান ঘটাতে চেয়েছিলেন।
১৯৩০ সালের ৩
ডিসেম্বর প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন জ্যঁ-লুক গদার। পঞ্চাশের দশকে তিনি চলচ্চিত্র জগতে
আত্মপ্রকাশ করেন। তার হাত ধরেই বদলে যেতে থাকে ফরাসি চলচ্চিত্রের ধারা। এজন্য তাকে
বলা হয় ফ্রেঞ্চ নতুন ধারার চলচ্চিত্রের রূপকার।
মূলত, দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধের পর আবির্ভূত ফরাসি নির্মাতাদের মধ্যে সেরা বিবেচনা করা হয় গদারকে। তার
নির্মিত বিখ্যাত কয়েকটি সিনেমা হলো ‘উইকেন্ড’, ‘পাইরট লে ফু’, ‘লা পেটিট সোলদাদ’, ‘ইন প্যারিস অব
লাভ’, ‘দ্য কারাবিনারস’, ‘দ্য ইমেজ বুক’, ‘অল দ্য বয়েজ আর
কল্ড প্যাট্রিক’ ইত্যাদি।