আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

স্বজনহারা মানুষগুলোর কাছে নির্বাচন এক আতঙ্কের নাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

গতবছরের ২৭ জুলাই ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়ন নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে ভাংবাড়ি ভিএফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণার পর মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়েছিলো।

পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। ওই সময় কেন্দ্রের পাশে ভাংবাড়ি বেল মার্কেটের সামনে ৮মাস বয়সী সুরাইয়া আক্তারকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন মা মিনারা বেগম। সেই গুলির আঘাতে ছোট্ট সুরাইয়া মায়ের কোলেই মারা যায়।

এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা প্রিজাইডিং অফিসারসহ পুলিশ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। নিহত শিশুর মরদেহ নিয়ে পরিবার ও এলাকাবাসী রাণীশংকৈল থানা ঘেড়াও করে।

ওই দিন রাতেই জেলা প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রটকে আহবায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। আর নিহত সুরাইয়া'র মায়ের হাতে তুলে দেয়া হয় নগদ ৫০ হাজার টাকা। পর দিন বিকেলে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত শিশুটির ময়নাতদন্ত শেষে নিজ কাঁধে সন্তানের মরদেহ বহন করে দাফন করেছেন ফেরিওয়ালাবাবা মো. বাদশা মিয়া। নির্বাচনের পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে আসামী করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা ৮০০ জনের বিরুদ্ধে।

ঘটনার ২দিন পর বুলেট বা ভারী বস্তুর আঘাতে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. হাবিবুর রহমান। তিনি জানান, শিশুটির মাথায় আঘাত ছিলো। এটি লোহার রডের আঘাতেও হতে পারে, বুলেটের আঘাতেও হতে পারে। খুলির একটি অংশ পাওয়া যায়নি।

নিহতের বাবা বাদশা মিয়া জানান, নিষ্পাপ শিশুটি কী অন্যায় করেছে যে তাকে প্রাণ হারাতে হলো। এই হত্যার বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, ওই সময় অনেকে অনেক সান্তনা আর প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে আর কেউ খোঁজ রাখেনি তার পরিবারের। নির্বাচনের কথা আসলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে মেয়ের মাথার খুলি উড়ে যাওয়া বীভৎস মৃত মুখ। তাই ভোট নিয়ে আর কোনো আগ্রহ নেই তার।

ওই সময় জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জাহাঙ্গীর হোসেন (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বলেছিলেন, ভোটের ফল ঘোষণা শেষে কেন্দ্র ত্যাগ করার সময় পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। তিনি এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে চাননি তখন।

এরপর কেটে যায় এক বছরেরও বেশি সময়। সন্তান হারিয়ে শোকে কাতর সুরাইয়া আক্তারের বাবাকে আশ্বাসের অংশ হিসেবে দুটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি, চিকিৎসার খরচসহ পরিবারটিকে নানা রকম সহায়তার কথা বলা হয়। কিন্তু বাদশার অভিযোগ, একটি ঘর পেলেও আরেকটি ঘরের জন্য ধরনা দিয়েও ঘর পাননি তিনি। তার চিকিৎসার ওষুধ পত্রের সহায়তার কথা বললেও, তা দেয়া হয়নি তাকে। এমনকি পরে কোনো খোঁজও নেয়া হয়নি পরিবারটির।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছেন জানতে চাইলে বাদশা বলেন, ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার সাহস হারিয়ে ফেলেছি। ভোট কেন্দ্রে কোনো নিরাপত্তা নাই। আবারও গুলি চলবে না, আমার মাথার খুলি উড়বে না, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই।

এর আগে ২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর নির্বাচনী সহিংসতায় জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গুলিতে ৩জন নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। নিহতরা হলেন, পীরগঞ্জ উপজেলার ঘিডোব গ্রামের আদিত্য কুমার রায়, হাবিবপুর গ্রামের মো. সাহাবুলি ও ছিট ঘিডোব গ্রামের মোজাহারুল ইসলাম। এ ছাড়াও নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় আহত হয়েছেন একাধিক নারী পুরূষ। স্বজন হারানো এসব এসব মানুষগুলোর কাছে নির্বাচন যেন এক আতঙ্কের নাম।

ভোট কেন্দ্র্রে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের এক কলেজ শিক্ষক। তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রে আমরা যারা প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসাররা দায়িত্ব পালন করি, তাদের নিরাপত্তা নিয়ে সব সময় শঙ্কায় থাকি। ভোট কেন্দ্রের ভেতরে ও বাহিরে যারা দায়িত্ব পালন করেন সবারই নিরাপত্তা জোরদার করা দরকার।

এছাড়াও একই বছরের ২৭ ডিসেম্বরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নে নির্বাচনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন স্থানীয় হামিদুর রহমান। ওই সময় এসপি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছিলেন, মেম্বার প্রার্থীর নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে দ্বন্দের জেরে সরকারি কাজে বাধা দেয় একটি পক্ষ। সেখানে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নির্দেশে পুলিশের গুলিতে একজন মারা গেছেন।

সম্প্রতি নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে নিহত হামিদুর রহমানের ছেলে হাসিবুল ইসলাম জানান, সেদিন আমার বাবা ভোট কেন্দ্রের পাশে বাজারে অবস্থান করছিল। বিকেলে কেন্দ্রে ফলাফল নিয়ে উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ গুলি চালায়, আমার বাবা নিহত হন। নির্বাচনী সহিংসতায় বাবাকে হারিয়েছি, বিচার চাইনি। কার কাছে বিচার চাইব?

এ বিষয়ে কথা হয় সুশীল সমাজের কয়েকজন প্রতিনিধির সঙ্গে। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় ভোট কেন্দ্র কেন এত সহিংসতা প্রবণ ও এর থেকে উত্তোরণের উপায় কী? তারা বলেন, নির্বাচন এলেই দেখা যায় ভোট কেন্দ্রগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের দখলে থাকে। তখন সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে বা স্বাধীন মতামত দিতে ভয় পায়। এর জন্য নির্বাচন কমিশনের যেভাবে নিরাপত্তা জোরদার করা প্রয়োজন, সে ধরনের নিরাপত্তা ভোট কেন্দ্রগুলোতে দেখা যায় না।

তারা আরো বলেন, এ ছাড়াও ফলাফলকে কেন্দ্র করে কোনো পক্ষ পেশিশক্তি প্রয়োগ করার চেষ্টা করে। এ জন্য নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনাগুলো ঘটে আর প্রাণ হারায় নিরীহ সাধারণ মানুষ। তাই সাধারণ মানুষ ভোট দেয়ার সাহসটুকু হারিয়ে ফেলেছে। কাজেই নির্বাচনী সহিংসতায় যেসব মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং মানুষ যে এখন ভোট দিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছে এর দায় নির্বাচন কমিশন কোনোমতে এড়াতে পারে না।

নিউজ ট্যাগ: নির্বাচন

আরও খবর



গরমে ঘাম হওয়া ভালো না খারাপ, যা বলছেন চিকিৎসক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ঋতু পরিক্রময়া এখন গ্রীষ্মকাল। স্বাভাবিকভাবেই এখন গরম পড়বে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এ সময় গরমের তীব্রতা যেন একটু বেশিই হচ্ছে। ফলে নাজেহাল জনজীবন। এ সময় বাইরে বের হলেও কিছুক্ষণ পরপর পানি তৃষ্ণা পায়। বেশিক্ষণ আবার থাকাও যায় না। আর ঘাম তো রয়েছেই।

গরমে ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পানি ও লবণ বের হয়। শরীর থেকে প্রয়োজনীয় লবণ বের হওয়ায়র ফলে এর ঘাটতি দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার পানিশূন্যতারও আশঙ্কা থাকে। এ সময় সচেতন থাকা জরুরি। কারণ, গরমে ঘাম থেকে যেমন শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হয়, একই সঙ্গে ঘাম মুছে না ফেললে তা থেকে জীবাণুর মাধ্যমে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সম্প্রতি গরমে ঘাম হওয়ার ব্যাপারে দেশর একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মতলেবুর রহমান।

এ চিকিৎসক জানিয়েছেন, গরমে যাদের ঘাম হয় তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। ঘাম অতিরিক্ত হলে ওরস্যালাইন বা ডাবের পানি পান করতে হবে। এসবের বিকল্প হিসেবে লবণ মিশ্রিত পানীয় পান করা যেতে পারে। অনেকেই মনে করেন গ্লুকোজ বা চিনি মিশ্রিত পানি পানে লবণের ঘাটতি পূরণ হয়। এটি আসলে ভুল ধারণা। অতিরিক্ত চিনি বা গ্লুকোজ গ্রহণ মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।

তিনি বলেন, যারা ব্লাড প্রেশার, দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগ বা হৃৎপিণ্ডের বৈকল্যজনিত সমস্যায় আক্রান্ত, তাদের বাড়তি লবণ খাওয়া যাবে না। এমন রোগীদের ক্ষেত্র বিশেষ আবার পানি পানেও বিধিনিষেধ থাকে। তবে অতিরিক্ত ঘাম হলে ডাবের পানি, ওরস্যালাইন বা সামান্য লবণ মিশ্রিত পানি পান করতে পারেন। ঘামের মাধ্যমে বের হওয়া পানি ও লবণের শূন্যতা পূরণ করতে হবে।

ত্বকের জন্য করণীয়: গরমের সময় ঘাম থেকে দুর্গন্ধ হয়। এ থেকে রক্ষা পেতে প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেই প্রসাধনী অবশ্যই মানসম্মত হতে হবে। ঘামের সময় ঠান্ডা পানিতে কাপড় বা তোয়ালে ভিজিয়ে নিয়ে শরীর মুছতে পারেন। এমনটা সম্ভব না হলে যেকোনো শুকনা কাপড়, টিস্যু বা রুমাল দিয়েও ত্বক মুছতে পারেন। ভেজা কিছু দিয়ে শরীর মোছার পর আবার শুকনা কিছু দিয়ে ত্বক মুছা উচিত। কারণ, ত্বক যদি ভেজা থাকে তাহলে ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শরীরের কিছু কিছু জায়গায় লোম বেশি থাকে। সেসব স্থানে ঘামও বেশি হয়। এসব স্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। লোম ছোট রাখতে হবে। যে পোশাক পরিহিত অবস্থায় ঘাম হয়, ওই পোশাক যত দ্রুত সম্ভব বদলাতে হবে।

অতিরিক্ত ঘামলে করণীয়: ঘাম যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরানো, ক্ষুধামান্দ্য বা অবসন্নতার মতো উপসর্গ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনটা হলে ঠান্ডা জায়গায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। যদি সম্ভব হয় ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর ধুয়ে নিন। মাথায়ও পানি ঢালতে পারেন। যদি এসব সম্ভব না হয় তাহলে পানি দিয়ে শরীর ও মাথা মুছে নিতে পারেন। আর এ অবস্থায় তরল খাবার বেশি খেতে পারেন।

নির্দিষ্ট কিছু হরমোনের তারতম্য থেকে ঘাম অতিরিক্ত হতে পারে। কখনো এমনটা মনে হলে একই তাপমাত্রায় আগের থেকে বেশি ঘাম ও বা ঘামের কারণে যদি লাইফস্টাইল ব্যাহত হয়, তাহলে অবশ্য বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আবার যদি ঘাম হওয়ার কোনো কারণ না থাকার পরও ঘাম হয়, তাহলে হঠাৎ ঘেমে যাওয়া বা অতিরিক্ত ঘাম হওয়া অন্য কোনো অসুখের উপসর্গ হতে পারে। কারণ, রক্তে সুগার কমে যাওয়া বা হার্ট অ্যাটাক হলেও ঘাম হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের সুগার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাদের অতিরিক্ত ঘাম হলে তাৎক্ষণিক চিনি মিশ্রিত পানি পান করাতে হয় এবং সুগার মাপতে হয়। এছাড়াও যেকোনো কারণে ঘামকে অস্বাভাবিক মনে হলে কালক্ষেপণ না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


আরও খবর
গরমে যে কারণে দই খাওয়া জরুরি

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আশঙ্কা, ঢাকাসহ ১৮ জেলায় সতর্কসংকেত

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকাসহ দেশের ১৮ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের অন্য এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এ অবস্থায় সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর



চাকরি ছাড়লেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫৭ কর্মকর্তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ৫৭ জন কর্মকর্তা। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) অন্য চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাকরি ছেড়েছেন তারা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।

পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন একজন উপ-পরিচালক ও একজন অফিসার। বাকি ৫৫ জন সহকারী পরিচালক। তাদের মধ্যে ৪৮ জনের পদত্যাগ কার্যকর হবে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল)।

এছাড়া গত ৩১ মার্চ, ১৫ ও ১৬ এপ্রিল একজন করে, ১৮ এপ্রিল ২ জন এবং ২১ এপ্রিল ৪ জনের পদত্যাগ কার্যকর হয়েছে।

চাকরি ছেড়ে যাওয়া এসব কর্মকর্তা বেশির ভাগই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া খুলনা ও বরিশাল অফিসে ৩ জন করে, সিলেট অফিসে ২ জন, মতিঝিল, চট্টগ্রাম ও রংপুর অফিসে একজন করে কর্মরত ছিলেন।

এক সময় বিসিএস, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার মতো চাকরি ছেড়ে অনেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আসতেন। কিন্তু এখন হয়েছে উল্টো।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনের ঘাটতিতে হতাশা, চাকরির সুযোগ-সুবিধা কমে আসার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা একটি গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের অন্য যে কোনো চাকরির মধ্যে তুলনামূলকভাবে ব্যাংকের বেতন বেশি। ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিতে নানাভাবে উৎসাহিত করার ব্যবস্থা ছিল। সব ক্ষেত্রে মেধাবীদের প্রাধান্য ছিল। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদানের পর একাডেমিক রেজাল্টের ভিত্তিতে চারটি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। ২০১৯ সালের এডি ব্যাচ থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

২০২২ সালের আগ পর্যন্ত তিন বছর পূর্ণ হলে পদ খালি থাকা সাপেক্ষে পরবর্তী ধাপে পদোন্নতির যোগ্য হতেন কর্মকর্তারা। এখন পদ খালি থাকলেও ৫ বছর না হলে পদোন্নতি পান না। আগে যোগদানের পর ৯ মাসের ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ করানো হতো। এখন এক থেকে তিন মাসে নামিয়ে আনা হয়েছে। আবার এই প্রশিক্ষণে ৮০ শতাংশ নম্বর পেলে অতিরিক্ত একটা ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। সেটিও এখন বন্ধ। আর সরকারি চাকরি পঞ্চম গ্রেডে প্রতিমাসে ৪৫ হাজার টাকা কার মেইনটেন্যান্স ভাতা দেওয়া হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকে তা দেওয়া হয় না।


আরও খবর



আগামীকাল থেকে শুরু ডিপিএলের সুপার লিগ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

তীব্র গরমের কারণে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগের প্রতি রাউন্ডের পর দুদিনের বিরতি রেখেছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)।

সোমবার (২২ এপ্রিল) ডিপিএলের প্রথম পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ ছয় দলকে নিয়ে শুরু হবে সুপার লিগ।

প্রাথমিকভাবে প্রতি রাউন্ডের পর একদিন বিরতি দিয়ে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এবারের আসর শেষ করতে চেয়েছিলো সিসিডিএম। কিন্তু আবহাওয়া বিবেচনায় নিয়ে নিজেদের সিদ্বান্ত বদল করেছে সিসিডিএম। কারণ, প্রচন্ড গরমের কারণে খেলোয়াড়রা ক্র্যাম্পিং ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

এদিকে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের আগে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা চলতি ডিপিএলে অংশ নিচ্ছে। এজন্য যে কোনো সময় বড় ধরণের ইনজুরিতে পড়তে পারে তারা।

সুপার লিগের টিকিট পাওয়া ছয়টি দল হলো...

১। আবাহনী লিমিটেড

২। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব

৩। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব

৪। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব

৫। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব

৬। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সুপার লিগের প্রথম রাউন্ডে আবাহনীর মুখোমুখি হবে প্রাইম ব্যাংক এবং বিকেএসপিতে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে খেলবে শাইনপুকুর। দিনের অন্য ম্যাচে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শেখ জামালের প্রতিপক্ষ মোহামেডান।

এদিকে, ২৩ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া রেলিগেশন লিগে খেলবে গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমি, সিটি ক্লাব এবং রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। এই পর্বে দলগুলো একে অপরের বিপক্ষে একবার করে খেলবে। সব ম্যাচ শেষে টেবিলের তলানিতে থাকা দুই দল প্রিমিয়ার লিগ থেকে বাদ পড়ে যাবে। রেলিগেশন লিগেও প্রতি ম্যাচের পর দুদিন করে বিরতি রাখা হয়েছে।


আরও খবর



আলুর দাম বাড়ার কারণ জানা গেল

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের পর থেকে হিলি স্থলবন্দর এলাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে আলুর দাম। প্রতিকেজি আলুর দাম বেড়েছে ১০-১২ টাকা। চাহিদার তুলনায় দেশীয় আলুর সরবরাহ কম এবং ভারত অভ্যন্তরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে আলু ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে দেশটির অভ্যন্তরে দেখা দিয়েছে সংকট। দামও বেড়েছে। এতে কেজিতে ৬-৭ টাকা বেশি দামে আমদানি করতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) হিলি স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, ভারত থেকে আলু আমদানি পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদের আগে যে ভারতীয় আলু বন্দর অভ্যন্তরে পাইকাররা কেজিতে ২৮-৩০ টাকা কেজিতে কিনেছে। সেই আলুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা। আমদানিকৃত এসব আলুর মান অনেকটাই খারাপ।

কারণ হিসেবে আমদানিকারকরা জানান, ভারত অভ্যন্তরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে কিছুটা পচন ধরেছে। আলু আমদানিকারক মেসার্স সততা বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী সেলিম হোসেন বলেন, ঈদের আগে ভারতে আলুর দাম ছিল ২৮-২৯ টাকা। ভারতে কৃষকরা আলু কোল্ড স্টোরে সংরক্ষণ করার কারণে সেখানে আলুর সংকট। তাই পূর্বের তুলনায় কেজিতে ৭-৮ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে আলু আমদানি না হলে দেশে আলুর দাম ৭০/৮০ টাকা হবে।

হিলি স্থলবন্দরে আলু কিনতে আসা পাইকার আইয়ুব আলী জানান, ঈদের ছুটি শেষে সোমবার প্রথম আলু আমদানি হয়। ওই দিন ৩৬-৩৮ টাকা দরে আলু কিনে বিভিন্ন মোকামে পাঠানো হয়েছে। আজ আলুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৮-৩৯ টাকা। তাছাড়া আলুর মানও খারাপ।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, হিলি স্থলবন্দরে আলু আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। রমজানে আলু আমদানিতে খরচ পড়তো ২৮-২৯ টাকা। সম্প্রতি ভারত অভ্যন্তরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেখানে আলুর আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে দেশটির অভ্যন্তরে আলুর সংকট দেখা দিয়েছে। এতে পূর্বের তুলনায় অন্তত ৫-৭ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে।

এদিকে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় আমদানিকৃত আলু ৪২ টাকা। হল্যান্ড (দেশীয় হাইব্রিড) ৪৮ টাকা, এবং দেশীয় আলু ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের তথ্য মতে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৪ হাজার ৭১৭ মেট্রিকটন আলু আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে।

নিউজ ট্যাগ: আলু আগাম আলু

আরও খবর