আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

স্বপ্নের পদ্মা সেতু: লাভবান হবেন বাগেরহাটের খামারিরা

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দক্ষিণাঞ্চলের প্রান্তিক জেলা বাগেরহাটের মানুষের জীবিকার প্রধান মাধ্যম কৃষিকাজ। তবে কৃষিনির্ভর জীবিকার এ জেলায় আজীবনই উপেক্ষিত কৃষকরা। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য আর সিন্ডিকেটের প্রভাবে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন তারা। তাই রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে উৎপাদিত ফসল বিক্রির সময় হাসির বদলে মুখটা মলিন থাকে তাদের। অনেকটা লাভের গুড় পিঁপড়ায় খাওয়ার মতো অবস্থা। বাগেরহাটের হাজারো চাষি আর কৃষকের জীবনের নির্মম বাস্তবতা এটিই। কৃষক পর্যায় থেকে খুচরা বাজারে আসতে কৃষি পণ্য কয়েক হাত বদল হয়। এতে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যের দাম তিন-চার গুণ বেড়ে যায়। ফলে লাভের সব টাকা চলে যায় মধ্যস্বত্বভোগীদের হাতে।

তবে কৃষকদের সেই কষ্ট আর গুমরে ওঠা কান্নার বাস্তবতা অতীত হতে চলেছে। উদ্বোধন হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা স্বপ্নের পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু দিয়ে উৎপাদিত কৃষিপণ্য, সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ সহজেই ঢাকার বাজারে নিয়ে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন বাগেরহাটের কৃষক-চাষিরা। এতে একদিকে যেমন লাভবান হবেন তারা, অন্যদিকে পণ্য নষ্ট হওয়ার শঙ্কা কমে যাবে।

বাগেরহাট সদর উপজেলার সাদুল্লাহপুর গ্রামের চাষি শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনটি ঘেরে গত বছর লাউ, ঢেঁড়স, মিষ্টি কুমড়াসহ কয়েক প্রকার সবজির চাষ করি। উৎপাদনও ভালো হয়। কিন্তু দেড় লাখ টাকা খরচে লাভ হয়েছে মাত্র ৫০ হাজার টাকা। অথচ এই সবজি স্থানীয় ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি না করে যদি ঢাকায় পাঠাতে পারতাম, তাহলে লক্ষাধিক টাকা লাভ হতো। পদ্মা সেতু চালুর খবরে ইতোমধ্যে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি সরাসরি সবজি নেবেন বলে কথা দিয়েছেন। খানপুর এলাকার গাউস মল্লিক ১০ বিঘা জমিতে বর্ষাকালীন বিভিন্ন সবজি চাষ করছেন দুই দশক ধরে। তিনি বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে উৎপাদিত সবজি কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হই আমরা। এখন পদ্মা সেতুর ফলে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়ে যাবে। তবে সিন্ডিকেট ও ফড়িয়াদের দৌরাত্ম্য কমাতে প্রশাসনের সহযোগিতাও প্রয়োজন।

জেলার কচুয়া উপজেলার গজালিয়া এলাকার সবজি চাষি আব্দুল হাকিম শেখ বলেন, শীতকালীন সবজির জন্য এ অঞ্চল প্রসিদ্ধ। আগে নদীর পাড়ে দীর্ঘ সময় লাগার কারণে আমরা ঢাকার বাজারে সময়মতো কৃষিপণ্য পৌঁছাতে পারতাম না। পথেই অনেক পণ্য নষ্ট হয়ে যেত। তাই স্থানীয় বাজারে বা ফড়িয়াদের কাছে কম দামে বিক্রি করতে হতো। এখন সেতু দিয়ে সহজেই আমরা গাড়ি ভাড়া করে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় সবজি পাঠাতে পারব। এছাড়া ঢাকা থেকে ব্যবসায়ীরা বাগেরহাটে এসে সবজি কিনতে পারবেন।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাটে কৃষক পরিবার রয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৩২৮টি। চলতি অর্থবছরে জেলায় ধান উৎপাদন হয়েছে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৭২০ মেট্রিক টন। সবজি উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। বাগেরহাটের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, পদ্মা সেতুর ফলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন কৃষকরা। বাগেরহাট থেকে বছরে অন্তত ৭০ হাজার মেট্রিক টন সবজি ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় যায়। সেতুর ফলে কম খরচে, অল্প সময়ে এই কৃষিপণ্য পৌঁছে যাবে সর্বত্র। জেলার কৃষি বাণিজ্যিকীকরণে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হতে চলেছে।

সরেজমিনে বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া, ডেমা, কাশিমপুর এলাকার একাধিক মৎস্যচাষির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চিংড়ি ও কার্পু জাতীয় মাছসহ (রুই, কাতলা, মৃগেল, টেংরা, পারসে, বেলে, তেলাপিয়া, পাতাড়ি) উৎপাদিত মাছের বড় অংশের বাজার ঢাকা ও এর আশপাশের জেলা। দূরবর্তী জায়গা হওয়ায় প্রাথমিকভাবে স্থানীয় ফড়িয়া ও আড়তদারদের কাছে মাছ বিক্রি করে দিতে হয়। এতে খুব একটা লাভবান হতে পারেন না প্রান্তিক চাষিরা।

স্থানীয় চাষিরা সরাসরি ঢাকার বাজার ধরতে না পারার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন ফেরি পারাপারজনিত সংকটকে। সময় মতো ফেরি না পাওয়ায় পদ্মা নদীর পাড়েই তাদের কাটাতে হতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা। আবার চাইলেও প্রক্রিয়াজাত করে মাছ নিয়ে ঢাকায় যেতে পারেন না দরিদ্র চাষিরা। তবে পদ্মা সেতু দিয়ে বাগেরহাট থেকে ঢাকায় যেতে সময় লাগবে মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা। ফলে ঢাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চাষিরা সরাসরি ঘের থেকেই মাছ গাড়িতে করে ঢাকায় পাঠাতে পারবেন।

তিন যুগের বেশি সময় ধরে মিশ্র চিংড়ি (বাগদা, গলদা) ও সাদা মাছ চাষের সঙ্গে জড়িত কাড়াপাড়া এলাকার মানিক শিকদার। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে আমাদের অনেক লাভ হবে। আগে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার দিয়ে চিংড়ির রেনু পোনা এসে মাওয়া ফেরিঘাটে ১৫-২০ ঘণ্টা অপেক্ষা করত। ঘের পর্যন্ত পৌঁছাতে পৌঁছাতে অনেক পোনা মারাও যেত। তবে এখন আর আমাদের সেই সমস্যায় পড়তে হবে না।

মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৬৬ হাজার ৭১৩ হেক্টর জমিতে ৭৮ হাজার ৬৮৫টি বাগদা ও গলদা চিংড়ির ঘের রয়েছে। জেলায় চাষি রয়েছেন প্রায় ৫৬ হাজার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সাড়ে ৩৩ হাজার মেট্রিক টন চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে এই পরিমাণ ছিল ৩৬ হাজার মেট্রিক টন। ২০২১-২২ অর্থবছরে উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৪০ হাজার মেট্রিক টনে। টাকার অংকে বাজার মূল্য প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এই সময়ে সাদা মাছ উৎপাদন হয়েছে ৬০ হাজার মেট্রিক টন। টাকার অংকে মূল্য ১৪ হাজার কোটি টাকা।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, বাগেরহাটের স্থানীয় চাষিরা পুকুর-ঘের থেকে যে মাছ ফজরের সময় ধরবেন, সকাল ১০টার মধ্যে সেই মাছ পাওয়া যাবে ঢাকার বাজারে। এতে চাষি যেমন লাভবান হবেন, তেমনি রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ভোক্তারা টাটকা মাছ পাবেন। বাগেরহাটের মাছের বড় অংশের ক্রেতা রাজধানী শহরের মানুষ। এখন থেকে চাষিরা সহজেই মাছ ঢাকার বাজারে পাঠাতে পারবেন। এর মাধ্যমে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমে যাবে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, পদ্মা সেতুর ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মধ্যে বাগেরহাট সবচেয়ে বেশি উন্নত হবে। অর্থনৈতিকভাবে এ জেলায় এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হলো। কৃষকরা যেমন ন্যায্যমূল্য পাবেন, তেমনি তাজা ও টাটকা কৃষিপণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হবে দেশের অন্য জেলায়। পাশাপাশি পর্যটন ও বন্দরকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।


আরও খবর



জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আম্মান আটক

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় তাদের আটক করা হয়েছে। আটকের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

এর আগে অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় নিজের কোনো দায় নেই বলে দাবি করেছেন দ্বীন ইসলাম। নিজ এলাকার মানুষ হওয়ায় অবন্তিকা ও তার পরিবারকে যথেষ্ট সহায়তা করেছেন জানিয়ে দ্বীন ইসলাম বলেন, অফিশিয়ালি যে দায়িত্ব পেয়েছিলেন, সে অনুযায়ী তা পালন করেছেন তিনি।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অভিযুক্ত করে আত্মহত্যার ঘটনায় সঠিক তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত এবং মন্তব্য করার অনুরোধ করে বিবৃতিও দেন সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। ওই বিবৃতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের এই সহকারী অধ্যাপক বলেন, একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা এবং তাদের জন্য কাজ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। শুধুমাত্র স্ট্যাটাসের ওপর ভিক্তি করে কাউকে ভুল না ভাবার অনুরোধ রইল। আমাদের স্নেহের শিক্ষার্থী অবন্তিকা হয়তো দীর্ঘদিন যাবৎ কোনো মানসিক চাপে ছিল। সেটা হয়তো তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য আমি সবিনয়ে প্রস্তুত। সঠিক তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত এবং মন্তব্য করার অনুরোধ রইল।

এদিকে, অবন্তিকার মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিচারসহ ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি ঘোষণা করে। তারা বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি মানা না হলে, সোমবার (১৮ মার্চ) ভিসি কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ১০ টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা।


আরও খবর



গাজায় শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে, বিশ্বমানবতা কোথায় : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সবসময় নির্যাতিত মানুষের পাশে আছি। অনেকে শিশু অধিকার-মানবাধিকারের কথা বলে সোচ্চার থাকে, পাশাপাশি দেখি তাদের দ্বিমুখী আচরণ।

গাজায় যখন শিশু-নারীদের ওপর হামলা চালানো হয়, তখন মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোথায় থাকে? তাদের মানবতাবোধ কোথায় থাকে? গাজায় হামলার ঘটনায় জানি না বিশ্ববিবেক কেন নাড়া দেয় না! এটাই আমার প্রশ্ন।

রোববার (১৭ মার্চ) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে একই দিন ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছানোর পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির শিক্ষা শিশুকাল থেকে পাওয়ার ব্যবস্থা করছে সরকার। শিশুরা যাতে সুন্দর পরিবেশে মানুষ হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখছি। শিশুদের ঝরে পড়ার হার কমিয়ে এনেছি। আগামী দিনে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার মূল নেতৃত্ব দেবে আজকের শিশু-কিশোররা। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে আমরা শিশুদের গড়ে তুলছি। এ সময় জাতীয় দিবস সম্পর্কে শিশুদের যথাযথ শিক্ষা দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।


আরও খবর



ইসরায়েলি সাঁজোয়া যানে হামাসের হামলা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় ইসরায়েলি সাঁজোয়া যানে হামলা চালিয়েছে হামাস। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেড একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একাধিক যানে হামলার দৃশ্য দেখা গেছে।

এতে দেখা যায়, ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা মধ্য গাজার আল-জাহরা এলাকায় ট্যাংক ও সেনাবাহী রণতরীতে হামলা চালাচ্ছে।

ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। তবে পাঁচ মাস ধরে চলা যুদ্ধের পরও হামাসের যোদ্ধারা গাজা উপত্যকাজুড়ে ইহুদি সেনাদের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে ফাতাহর সামরিক শাখা আল-আকসা মার্টারস ব্রিগেড হামাদে ইসরায়েলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে একটি বিস্ফোরক ডিভাইসের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে পৃথক আরেক খবরে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে ক্রিটিক্যাল থ্রেটস প্রজেক্টের সর্বশেষ প্রতিবেদনে গাজা উপত্যকা জুড়ে স্থল লড়াই অব্যাহত থাকার তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে  বলা হয়, অবরুদ্ধ ছিটমহলের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নাহাল ব্রিগেড অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ইসরায়েলি বাহিনী গাজার মাঝখানে নির্মিত একটি করিডোর থেকে অভিযান শুরু করে যা উত্তরে চলাচলে সীমাবদ্ধ করে।


আরও খবর



মিয়ানমার সংঘাত: ফের বিস্ফোরণে কাঁপল টেকনাফ সীমান্ত

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

গত কয়েক দিন শান্ত থাকার পর মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলা সংঘাতের গোলাগুলি ও ভারী গোলাবর্ষণের শব্দে আবারও কেঁপে উঠল কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া এবং সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ সীমান্ত। রবিবার (১৭ মার্চ) রাত থেকে সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে গোলগুলির শব্দ শোনা যায়।

জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হ্নীলার চৌধুরী পাড়া ও সাবরাংয়ের শাহপরীরদ্বীপ সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে গোলাগুলির পাশাপাশি অন্তত ২০ থেকে ৩০টি মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের উত্তরে নাকপুরা এলাকা এবং পূর্বে ধনখালী, হাসুরাতা, নাইক্ষ্যংদিয়া, গর্জনদিয়া ও সংক্ষদাবিল এলাকায় সংঘাতের কারণে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে আজ সোমবার বেলা ১১টার পর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ কমে গেলেও ঘণ্টাখানেক পর পর গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, দেড় মাসের বেশি সময় ধরে মিয়ানমারের রাখাইনে সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) সংঘাত চলছে। উভয়পক্ষে গোলাগুলি, মর্টার শেল, গ্রেনেড বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। যে কারণে এর প্রভাব এসে পড়ছে এপারে।’

রবিবার (১৭ মার্চ) রাতে হঠাৎ একসঙ্গে প্রায় ২০টি মর্টার শেলের বিস্ফোরণে সীমান্তের লোকজন একটু আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বলে জানান এই জনপ্রতিনিধি।

টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, রাতে বিকট শব্দের মর্টার শেলের বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া, চৌধুরীপাড়া, কুলালপাড়া, ডেইলপাড়া, হাঙ্গারডেইলসহ অন্তত ১৩টি গ্রাম। এতে লোকজনের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ জেটিঘাটের ইজারাদারের টোল আদায়কারী মোহাম্মদ ছিদ্দিক জানান, সোমবার (১৮ মার্চ) ভোরে সেহেরির সময় নাফ নদের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তর থেকে বেশ কয়েকটি গোলাগুলি ও ভারী গোলাবর্ষণের শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন। সকাল থেকে ভারী মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। এ ছাড়া এখনও মাঝে মাঝে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এতে নাফ নদে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা আতঙ্কে রয়েছেন।

বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ওপারে সংঘাতের কারণে মাঝে মাঝে এপারে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে। তবে রাখাইনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছে বিজিবি। বিশেষ করে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদ ও সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে।’


আরও খবর



কখন পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে তা স্পষ্ট করল রাশিয়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সরকারি দপ্তর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, যখন তার দেশের অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়বে শুধুমাত্র তখনই রাশিয়া শত্রুর বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে। তিনি তার দেশের পরমাণু অস্ত্রকে শেষ বিদায়ের অস্ত্র’ বলে এ নিয়ে হুঁশিয়ারিও দেন।

দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রাশিয়ার যে সামরিক ডকট্রিন রয়েছে তাতে নির্দিষ্ট করে বলা রয়েছে যে, রাশিয়া অথবা তার মিত্ররা যদি আগে পরমাণু হামলার শিকার হয় অথবা দেশের অস্তিত্ব যদি একেবারেই হুমকির মুখে পড়ে তখন রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে।

বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। পেসকভ আরো বলেন, যদি কোনকিছু আমাদের দেশের অস্তিত্ব হুমকি মুখে ফেলে তবে তখনই শুধুমাত্র পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করা হবে; বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর, একে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই।

এর আগে, গত বছরের জুন মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, তার দেশের পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে না। তিনি তখন বলেছিলেন, পরমাণু অস্ত্র হচ্ছে দেশের সর্বশেষ সামরিক ব্যবস্থা।

এছাড়া, গত সপ্তাহে রাশিয়ার জাতীয় সংসদে দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছিলেন, আগ্রাসীদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, রাশিয়াকে পরাজিত করার সব রকমের চেষ্টা ব্যর্থ হবে এবং এর সম্ভাব্য পরিণতি কল্পনার চেয়েও ভয়াবহ হবে। সে সময় তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে, রাশিয়ার হাতে বিপুল পরিমাণ পরমাণু অস্ত্র মজুদ রয়েছে এবং সেগুলো মোতায়েন করার জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।

এদিকে, সুইডেনকে ন্যাটোর নতুন সদস্য করার একদিন আগে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে নতুন করে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোটে (ন্যাটো) যোগদানের প্রক্রিয়া শেষ করে সুইডেন।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর পরেই ন্যাটোতে যোগ দিতে আবেদন করে সুইডেন। প্রায় দুই বছর ধরে ব্যাপক আলাপ-আলোচনার পর, অবশেষে বৃহস্পতিবার সদস্যপদ পেল দেশটি। ধারণা করা হচ্ছে, এতে ভূ-রাজনীতিতে চাপে পড়লো রাশিয়া।


আরও খবর