শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মহামূল্যবান সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে স্বর্ণ। নেপথ্যে রয়েছে নানা কারণ। বিশেষ করে ধাতুটির দাম কখনও কমে না। অধিকন্তু অর্থনৈতিক অস্থিরতার সময় ব্যাপক আর্থিক নিরাপত্তা দেয় এটি। যুগ যুগ ধরে স্বর্ণের চাহিদা রয়েছে। কারণ, এটি সবসময় কেনা ও বেচা যায়। ফলে সময়ের পরিক্রমায় দামি সম্পদে পরিণত হয়েছে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটি।
তবে স্বর্ণ কেনা সবসময় লাভজনক নয়। নির্দিষ্ট কিছু সময়ে এটি কিনলে ব্যাপক মুনাফা করা যায়। অর্থাৎ মোটা অংকের লাভের মুখ দেখা যায়। প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাদ্যম সিবিএসের এক প্রতিবেদনের আলোকে তা আলোচনা করা হলো।
১. গত ডিসেম্বরের শেষদিকে ১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছিল স্বর্ণের দাম। সেই থেকে এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির দর কমেছে ৬০ ডলার ০৯ সেন্ট বা ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। বর্তমানে বুলিয়ন বাজার নিম্নমুখী রয়েছে। তবে অদূর ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে না। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। ফলে এখন কিনে রাখলে সামনে সেটি বিক্রি করে লাভবান হওয়া যাবে।
২. মূল্যস্ফীতি বাড়লে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পায়। বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস, আগামী দিনেও পণ্যদ্রব্যের দর ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। তাদের আভাস আমলে নিয়ে নিশ্চিত বলা যায়, সামনে স্বর্ণের মূল্যও বৃদ্ধি পাবে। তাই এখন কিনে রাখলে নিকটবর্তী সময়ে অধিক মুনাফা করা যাবে।
৩. বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসা করলে লোকসানের ঝুঁকি কম থাকে। যেমন-শেয়ারবাজারে যেকোনো মুহূর্তে ধস নামতে পারে। আবার অনেক সময় বন্ডে বিনিয়োগ করেও প্রত্যাশা অনুযায়ী মুনাফা পাওয়া যায় না। কিন্তু স্বর্ণ ব্যবসায় ক্ষতির সম্ভাবনা কম। ফলে বিনিয়োগেও বৈচিত্র্য আনতে হয়। এতে এক পণ্য মুখ থুবড়ে পড়লেও অন্য পণ্যে লাভ হয়। এক্ষেত্রে উত্তম মাধ্যম স্বর্ণ। তাতে কখনও লোকসান গুনতে হবে না।
৪. বিদায়ী ২০২৩ সালের শুরুতে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১৮৩৪ ডলার। গত বছরের শেষদিকে তা ছিল ২০১৯ ডলার। এ সময় মূল্যবান ধাতুটির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ১৮৪ ডলার বা ১০ শতাংশ। নেপথ্য কারণ বিশ্বজুড়ে ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক সংকট বিদ্যমান। শিগগিরই এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলে মনে হচ্ছে না। এর মানে অদূর ভবিষ্যতে স্বর্ণের দাম আরও বাড়বে। সবমিলিয়ে দুঃসময়ের বন্ধু ধাতুটি কেনার সেরা সময় এখনই।