আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

স্বরূপকাঠির ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের চেষ্টার অভিযোগ

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ মে ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির বলদিয়া ইউনিয়নে শীতের কম্বল (ত্রানের) আজও বিতরণ করা হয়নি। দুই বছর ধরে পরিষদের গোডাউনে পড়ে থাকা বিজিডি, ভিজিএফর চাল খাচ্ছে ইদুরে আর পোকায়। অকার্যকর ভাবে পড়ে রয়েছে জাইকা প্রকল্প থেকে দেয়া মিনি এ্যাম্বুলেন্স। ইউনিয়নের ৮ জন সদস্যের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে পরিষদের আদালত নামের কক্ষে ও গোডাউনে এমন দৃশ্য দেখা যায়। রমজানের ঈদের জন্য বরাদ্দ করা টাকা ঈদের পর বিতরণ করা হয়েছে। দায় এড়াতে এই গরমে কম্বল বিতরণের চেষ্টা করতেও দেখা যায়। তবে সাংবাদিকদের উপস্থিতির কারণে সেটা বন্ধ হয়ে যায়।

ওই ইউনিয়নের সদস্য আমিনুল ইসলাম, বাবুল মিয়া, আব্দুর রহিম, জাহারুল ইসলাম, শুকলাল ঢালী, ফারুখ হোসেন, মো. আলাউদ্দিন ও মো. সোহেল পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কাছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ১ নং বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহীন আহমেদ একজন সন্ত্রাসী, রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী লোক। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় পেট্রল বোমাসহ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। সেই ঘটনায় তাকে ১ নম্বর আসামী করে ২৬ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা রজু করা হয়। গত ১০/০২/২০২১ তারিখে ওই মামলায় ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠিত হয়েছে। চেয়ারম্যান শাহীন আহম্মেদ সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট করার লক্ষে কম্বল ও চাল বিতরণ না করে গোডাউনে ফেলে রেখেছেন। বিতরণ কাজে সদস্যদের দেয়া তালিকার কোন গুরুত্ব না দিয়ে নিজের ইচ্ছা মাফিক সকল প্রকার সরকারি সাহায্য তার নিজস্ব লোক দিয়ে বিতরণ করেন। আম্ফানের বন্যার সময়ের জি আর প্রকল্পের ৪০০ কেজি চাল গোডাউন থেকে তোলা হয়নি আজও। জেলেদের চাল আড়াই মাস পরে বন্টন করা হচ্ছে। ওই ইউপি সদস্যরা আরো অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান এলাকায়ই থাকেন না। তার অনুপস্থিতির কারণে এলাকার জনগনের ভোগান্তির অন্ত নেই। উপজেলা পরিষদের রেজুলেশন দেখলে দেখা যাবে তিনি কতটি সভায় উপস্থিত হয়েছেন। তিনি সদস্যদের সাথে আলোচনা না করেই সব সিদ্ধান্ত একাই নেন। তারা বলেন আমরা চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের বরাবরে দরখাস্ত দিয়েছি। এ খবর পেয়ে কোন প্রকার তালিকা ছাড়াই কম্বল বিতরণের জন্য সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এসময় চেয়ারম্যান উপস্থিত না থাকায় সদস্যদের উপস্থিতিতে ইউপি সচিব চাঁদ নারায়ন চক্রবর্তীর সাথে কথা বলে বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব যে ভাবে নির্দেশ করবেন সেভাবেই কাজ করতে হয়। তিনি বেশির ভাগ সময় এলাকায় থাকেন না। সদস্যদের সাথে সমন্বয়ের অভাব থাকায় কম্বল ও চাল বিতরণ করা হয়নি। তিনি জানান ৪ মাস পূর্বে উপজেলা পরিষদ থেকে ৮০ পিচ কম্বল দেওয়া হয়েছে। কিন্ত কম্বল বিতরণে চেয়ারম্যানের নির্দেশ না পাওয়ায় এতদিন বিতরণ করা হয়নি। এখন চেয়ারম্যান এলাকার জেলেদেও মধ্যে বিতরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

এসব বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহীন আহম্মেদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আমি কম্বলগুলে তালিকা করে বিতরণ করতে বলেছি। বিতরণ করার পর অনেকে চাল নিতে আসেনা সে চালগুলো রয়ে গেছে। চালগুলো ইদুর আর পোকার খাদ্যে পরিনত হয়েছে এমন প্রশ্নে উত্তর এড়িয়ে গিয়ে তিনি জানান জিআর প্রকল্পের চাল সমন্বয়হীনতার অভাবে উত্তোলন করা হয়নি গরীব মানুষকে বাদ দিয়ে গরীবদের মাঝে চাল বিতরণের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন বলদিয়ায় আমিসহ সকলেই গরিব।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মানস কুমার দাসের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ত্রানের মালামাল তৎক্ষনিক ভাবে বিতরণ করতে হবে। না করে থাকলে খোজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোশারেফ হোসেন বলেন, টাকা বিতরণের বিষয়েও ওই ইউনিয়নে কালক্ষেপন করে অনেক কাহিনী হয়েছে। শেষ পর্যন্ত কঠোর নির্দেশে বিতরণে বাধ্য হয়েছেন। অনিয়ম পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত জনপ্রিয় অভিনেত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভয়াবহ কঠিন পরিস্থিতির মুখে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী অরুন্ধতী নায়ার। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর গত কয়েকদিন ধরেই ভেন্টিলেশনে তিনি। চিকিৎসার খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে তার পরিবার। এ অবস্থায় সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে অর্থ সহযোতিা চাইলেন অভিনেত্রীর বোন আরতি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী আরতি বলেন, বোনের অবস্থা দিন দিন গুরুতর হচ্ছে। তাকে বাঁচাতে হলে অনেক অর্থের প্রয়োজন। আমাদের অ্যাকাউন্ট একদম শেষ। আপনাদের সহযোগিতা চাইছি। একইসঙ্গে সবাই প্রার্থনা করুন, যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে যায় বোন।

এছাড়া আরতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত ১৪ মার্চ ভয়ংকর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন অরুন্ধতী। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন অভিনেত্রী। শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হওয়ায় ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাকে।

অভিনেত্রী অরুন্ধতীর গত চারদিনে জ্ঞান ফেরেনি। আর তার চিকিৎসা খরচ সংগ্রহ করতে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিরও আরও অনেকে অর্থ সহায়তা চেয়েছেন।

জানা গেছে, একটি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়ে ফেরার পথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী অরুন্ধতী। সঙ্গে তার ভাইও ছিলেন। সেও গুরুতর আহত হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জনপ্রিয় তামিল সিনেমা পোঙ্গি এজহু মনোহরা-এ প্রথম দেখা যায় অরুন্ধতীকে। এরপর ২০১৮ সালে বিজয় অ্যান্টোনির শয়তান সিনেমায় দেখা যায় তাকে। এই সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে হইচই ফেলে দেন তিনি। আর সবশেষ গত বছর আইয়িরাম পোরকাসুখুল সিনেমায় দেখা গেছে তাকে।

নিউজ ট্যাগ: অরুন্ধতী নায়ার

আরও খবর



দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ: লাইভ দেখবেন যেভাবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

৫০ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ ঘটবে সোমবার (৮ এপ্রিল)। সংগত কারণেই জ্যোতির্বিদ থেকে শুরু করে সব মানুষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রবল আগ্রহ। বাস্তবে এই বিরল ঘটনা শুধু যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা থেকে দেখা যাবে। তবে প্রযুক্তির কল্যাণে বাংলাদেশের মানুষও এ ঘটনা লাইভে উপভোগ করতে পারবেন।

সূর্যগ্রহণের স্থায়িত্ব ও দৃশ্যমানতা নির্ভর করে পর্যবেক্ষকের ভৌগোলিক অবস্থানের ওপর। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস, ওকলাহোমা, আরকানসাস, মিসৌরি, ইলিনয়, কেনটাকি, ইন্ডিয়ানা, ওহাইও, পেনসিলভানিয়া, নিউইয়র্ক, ভার্মন্ট, নিউ হ্যাম্পশায়ার ও মেইন অঙ্গরাজ্য থেকে পূর্ণগ্রাস এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত সৈকত শহর মাজাটলানের কাছে দর্শক ভালোভাবে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ উপভোগ করতে পারবেন। যেসব জায়গায় সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে, সেখানে অন্যান্য দেশের উৎসাহী ব্যক্তিরাও জড়ো হচ্ছেন।

মার্কিন গণমাধ্যম বলছে, এসব অঞ্চলের বাইরের মানুষও লাইভ দেখতে পারবেন এ বিরল দৃশ্য। সূর্যগ্রহণের ঘটনাটি সরাসরি সম্প্রচার করবে নাসা। ইস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড টাইম অনুযায়ী সোমবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নাসা এ ঘটনা লাইভ সম্প্রচার করবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে ৮ এপ্রিল রাত ১১টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত দেখা যাবে এই দৃশ্য। এ ঘটনার লাইভ স্ট্রিম নাসার ইউটিউব চ্যানেলে ও নাসাপ্লাস ওয়েবসাইটে সম্প্রচার করবে।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে যেভাবে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে এমনটি আগামী দুই দশকে আর দেখা যাবে না। তবে আশঙ্কা রয়েছে বিরল এই সূর্যগ্রহণটি মেঘ ও বজ্রঝড়ে ঢাকা পড়তে পারে। এদিকে, প্রায় সাড়ে চার দশক পর প্রথমবারের মতো বিরল সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে কানাডাবাসী। পূর্ণাঙ্গ এই সূর্যগ্রহণ দেখতে দেশটির নায়াগ্রা জলপ্রপাতের কাজে জড়ো হতে পারেন অন্তত দশ লাখ দর্শনার্থী।

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ একই সরল রেখায় অবস্থান করে, চাঁদ সূর্যের আলোকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে দেয়। এ সময় কয়েক মিনিটের জন্য আকাশ এতটাই অন্ধকার হয়ে যায় যে, মনে হয় সেটা রাতের আকাশ। আর একেই বলা হয় পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।

নিউজ ট্যাগ: সূর্যগ্রহণ

আরও খবর
ফের ফেসবুকে বিভ্রাট

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




টিকটকার বিয়ে করে সর্বস্বান্ত জল্লাদ শাহজাহান

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কারাগার থেকে বের হওয়ার পর বার বার প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আলোচিত সেই জল্লাদ শাহজাহান। পাশাপাশি বিয়ে করে তিনি সর্বস্বান্ত হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন।

সোমবার (১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। স্ত্রী ও শাশুড়ির কাছে জল্লাদ শাহজাহানের প্রতারণার বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে টাইমস পিআর।

শাহজাহান ভূঁইয়া বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য উপাদান খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা- এগুলোর কোনোটাই আমি পাচ্ছি না। আমি আমার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। আমার মা-বাবা নেই, দায়িত্ব নেওয়ার মতো ভাই-বোন নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিত্তবানদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, আমাকে থাকার ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিন। আমি চরম অর্থনৈতিক সংকটে আছি। আমার কাজ করার মতো ক্ষমতা নেই, আয়-রোজগার নেই, অর্থের জোগান নেই, নিজের থাকার জায়গা নেই।

তিনি বলেন, ৪৪ বছর কারাভোগ শেষে এখন এসে আমি বাইরের মানুষদের বুঝতে পারছি না। যেখানে যাচ্ছি, প্রতারণার শিকার হচ্ছি। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর বিয়ে করে সেখানেও সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। বিয়ের কাবিন ৫ লাখ টাকা হলেও ১০ লাখ টাকা দেনমোহর লিখিত দিয়ে আমার স্ত্রী সাথী আক্তার ফাতেমা ৫৩ দিনের মাথা পালিয়ে যায়। পালিয়ে গিয়ে আমার নামে যৌতুকের মামলা দিল, আমি মামলা দিতে গেলে বউয়ের নামে মামলা হয় না কোনো। আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে।

শাহজাহান বলেন, পরে আইনজীবীর সহায়তায় গতকাল রবিবার আদালতে আমার স্ত্রী ও শাশুড়িসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এখানে যাদের আমি আসামি করেছি তারা এই কাবিনের স্বাক্ষী, তারা এই যৌতুকের টাকা নেওয়ার স্বাক্ষী, তারা এই ১০ লাখ টাকা নেওয়ার স্বাক্ষী, ওদের (স্ত্রীর) আত্মীয়রাই এখানে (আসামির তালিকায়)।

তিনি বলেন, ৪৪ বছর কারাভোগ শেষে বাইরে এসে প্রতারণার শিকার হচ্ছি। কারাগারে থাকতেই ভালো ছিলাম। কারাগারের বাইরের জীবন এত জটিল কেন? জীবন এত কঠিন হবে, জানলে কারাগারেই থেকে যেতাম। আমি কারাগার থেকে বের হলে আমার ভাগ্নে নজরুল অটোরিকশা কিনে দেবে বলে টাকা মেরে দেয়।

প্রতারণার শিকার হওয়ার আরেক উদাহরণ দিয়ে দেশের আলোচিত এ জল্লাদ বলেন, এরপর অনেক কষ্ট করে একটা চায়ের দোকান দেই, আমার সঙ্গে যে ছেলেটি ছিল দোকানে আমার সঙ্গে সময় দিত। সে চার মাস থাকার পরে দোকানে থাকা ৩০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়।

শাহজাহান বলেন, আমি এখন উভয়সংকটে জীবনযাপন করছি। একে তো আমার অচল অর্থনৈতিক অবস্থা, অন্যদিকে একজন নারী আমার জীবনের শেষ জমানো টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে এবং আমাকে যৌতুকের মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। অথচ আমার থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়েছে, যার প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালে ডাকাতি ও হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে যান শাহজাহান। ২০০১ সালের আগে ১৯৮৮ সাল থেকে সহকারী জল্লাদ হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। তখন তার বয়স ৩০ এর কিছু বেশি।

৪৪ বছর কারাভোগের পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান শাহজাহান ভূঁইয়া। বর্তমানে তার হার্টের সমস্যা, রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে।


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চায় ইউনেসকো কমিশন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ইউনেসকোর নাম ব্যবহার করে প্রতারণা ও মিথ্যাচার করায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ইউনূস সেন্টারের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার ব্যাখ্যা চাইবে বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশন।

বুধবার (২৭ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে কমিশনের পক্ষ থেকে তাদের এমন অবস্থানের কথা জানানো হয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ট্রি অব পিস প্রদান: বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশনের বক্তব্য’ শীর্ষক এ বিবৃতিতে সই করেছেন কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল জুবাইদা মান্নান।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ঢাকার কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় এবং ইউনূস সেন্টারের অফিসিয়াল ওয়েবপেজে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেসকো কর্তৃক ট্রি অব পিস’ পুরস্কার প্রদানের সংবাদটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশনের (বিএনসিইউ) দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

ইউনূস সেন্টার প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে পত্রিকায় যে সংবাদ ছাপা হয়েছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৬ মার্চ আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ১১তম গ্লোবাল বাকু ফোরোমে ড. ইউনূসকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। কিন্তু ইউনেসকো ঢাকা অফিস জানিয়েছে, প্যারিসস্থ ইউনেসকো সদরদপ্তর এ বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ১১তম বাকু ফোরাম যেখানে এ সম্মাননা দেওয়ার সংবাদ প্রচার হয়েছে, সেখানে ইউনেসকোর কোনো অফিসিয়াল প্রতিনিধিত্বই ছিল না। অধিকন্তু ইউনূস সেন্টারের দাবি করা সম্মাননা ইউনেসকোর কোনো পুরস্কার বা সম্মাননাও নয়। ড. ইউনূসকে ট্রি অব পিস’ নামক একটি ভাস্কর্য স্মারক/সম্মাননা প্রদান করেন ইসরায়েলি ভাস্কর্যশিল্পী মিস হেদভা সের। হেদভা নিজে নিশ্চিত করেছেন যে, ড. ইউনূসকে ট্রি অব পিস’ প্রদানে ইউনেসকোর কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।

নিজামি গজনবী ইন্টারন্যাশন্যাল সেন্টারের আমন্ত্রণে ইসরায়েলি ভাস্কর্যশিল্পী মিস হেদভা সের ড. ইউনুসকে এটি প্রদান করেন। মিস হেদভা সের ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক কূটনীতিবিষয়ক গুইউইল অ্যাম্বাসেডর। কিন্তু ইউনেসকোর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিনিধি নন এবং ইউনেসকোর কোনো পুরস্কার/সম্মাননা দেওয়ার এখতিয়ার রাখেন না। সুতরাং উল্লিখিত বাস্তবতার নিরিখে বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশন ড. ইউনূস পরিচালিত ইউনূস সেন্টারের পাঠানো এবং প্রচারিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং প্রতারণামূলক বলে মনে করে তার নিন্দা জানাচ্ছে।

বাংলাদেশ ইউনেসকোর অন্যতম সক্রিয় সদস্যরাষ্ট্র। ভবিষ্যতে ইউনেসকোর মতো জাতিসংঘের এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ এবং সুখ্যাতিপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নাম অপব্যবহারের বিষয়ে ড. ইউনূস এবং ইউনুস সেন্টারকে সতর্ক করা হলো। একই সঙ্গে বিষয়টি যেহেতু প্রতারণামূলক এবং পরিকল্পিত মিথ্যাচার, সেহেতু তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার ব্যাখা চাওয়া হবে।

বিবৃতিতে একেবারে নিচের অংশে বলা হয়েছে, গত ১ জানুয়ারি বাংলাদেশের আদালত ড. ইউনূস এবং গ্রামীণ টেলিকমের আরও তিনজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ছয়মাসের কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে। ড. ইউনুস এবং তার সহযোগীরা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন, যেটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। এছাড়া আয়কর আইন লঙ্ঘনের জন্য তার ব্যক্তিগত আয়কর দাবি আদালতে বিচারাধীন। সুতরাং তিনি যতদিন আদালত কর্তৃক নির্দোষ প্রমাণ না হন ততোদিন তাকে কোনো মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার বা সম্মাননা প্রদান সমীচীন নয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে ইউনেসকোর সঙ্গে কার্যক্রমের জন্য সরকারের ফোকাল পয়েন্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে, কেউ যেন ইউনেসকোর নামের অপব্যবহার বা অপপ্রয়োগ না করতে পারে—সেটি নিশ্চিত করা। সে হিসেবে ইউনেসকোর নাম অপব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশনের পক্ষ থেকে ইউনেসকো ঢাকা অফিস এবং ইউনেসকোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির সঙ্গে পরামর্শ করে ইউনেসকো সদরদপ্তরকে অবহিত করা হবে।


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




নতুন গাড়ি কিনে আলোচনায় নীতা আম্বানি

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নীতা মুকেশ আম্বানি একজন ভারতীয় ব্যবসায়ী ও জনহিতৈষী। তিনি রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন, ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারপার্সন ও প্রতিষ্ঠাতা এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের একজন পরিচালক। তিনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুকেশ আম্বানির স্ত্রী।

বিলাসবহুল জীবনযাত্রার জন্য সুপরিচিত নীতা আম্বানি। দামি শাড়ি, গয়না, জিনিসপত্র, বিমান, জুতা, ঘড়ি সব কিছুর প্রতি বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে নীতা আম্বানির। সম্প্রতি ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির বিবাহ অনুষ্ঠানের পর ফের আলোচনায় এলেন তিনি।

সম্প্রতি বিলাসবহুল রোজ কোয়ার্টজ শেডের Rolls Royce Phantom VIII EWB গাড়ি কিনেছেন নীতা আম্বানি। প্রায় ১২ কোটি টাকা দামের গাড়িটির ডিজাইনেও রয়েছে বিশেষত্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল চর্চা চলছে এই গাড়ি নিয়ে। গাড়িটি কাস্টোমাইজ করা, তাই আসলে কত দাম পড়েছে সেটা এই মুহূর্ত অনুমান করা যাচ্ছে না।

ভারতে এই বিলাসবহুল সেডানের গাড়ির দাম প্রায় ১২ কোটি টাকা (অন-রোড)। কাস্টমাইজেশন বিকল্পগুলির জন্য আলাদা মূল্য দিতে হবে। নীতা আম্বানি যে বিলাসবহুল সেডানটি কিনেছেন সেটিক সবচেয়ে বিশেষ জিনিস হল এর রং। এর লোয়ার বডি রোজ কোয়ার্টজ এবং আপার বডি ভেলভেট অর্কিড।


আরও খবর
মিঠুনকে বিশ্বাসঘাতক বললেন মমতা

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪