আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

স্বরূপকাঠিতে বজ্রপাতে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ০৭ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির পূর্ব গুয়ারেখা গ্রামে বজ্রপাতে আবুল কালাম (৫৫) ও জাহানারা বেগম (৫০) নামে এক দম্পত্তির মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার দুপুরে ছাগল রাখার ঘরে পলিথিন টানাতে গিয়ে ওই দম্পত্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃত ওই দম্পতি ৪ সন্তানের জনক-জননী।

গুয়ারেখা ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার ঠাকুর জানান, প্রচন্ড ঝড়ের মধ্যে বজ্রপাতে স্বামী ও স্ত্রী গুরুতর আহত হওয়ার পর প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে কলাখালী বাজারের পল্লী চিকিৎসক সজলের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় এলাকায় শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আবুল কালাম ওই গ্রামের মৃত আঃ কাদেরের পুত্র।


আরও খবর



জাতির জনকের সমাধিতে বিএসএমএমইউ’র নবনিযুক্ত ভিসির শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)র নবনিযুক্ত উপাচার্য প্রখ্যাত চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।

পরে জাতির পিতাসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানার দীর্ঘায়ু কামনা এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সের বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক। এরপর তিনি টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদি পৈতৃক বাড়ি ও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজরিত স্থান সমূহ পরিদর্শন করেন।

পরে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের শহীদ সকল সদস্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং উপাচার্য হিসেবে তাঁকে নিয়োগ দেয়ায় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম মেডিক্যাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে সমগ্র বিশ্বের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে ও দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সর্বশক্তি নিয়োগ কথা উল্লেখ করে চিকিৎসাসেবা, গবেষণা ও শিক্ষায় বিশ্বমান নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেন। এসময় তিনি সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে চিকিৎসাসেবায় স্টেট অব আর্ট খ্যাত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গরূপে দ্রুত চালুর ঘোষণা দেন।

এ সময় সম্মানিত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোঃ শওকত কবীর, লিভার রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, সাবেক রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, অধ্যাপক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, অধ্যাপক ডা. এইচএম জহিরুল হক সাচ্চু, অধ্যাপক ডা. একেএম সালেক, অধ্যাপক ডা. সুভাষ কান্তি দে, অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু, অধ্যাপক ডা. তোহিদ মো. সাইফুল হোসেন দিপু, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ রেজাউর রহমান, স্বাচিপ নেতা সহযোগী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো, সহযোগী অধ্যাপক ডা. কেএম তারিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজাউল আমিন, অতিরক্তি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন সিদ্দিক, সহকারী অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন সুমন, অতিরিক্ত পরিচালক ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ, ডা. আশরাফুজ্জামান সজীব, ডা. জাহান শামস নিটোল, ডা. সমরেশ চন্দ্র সাহা, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, টুঙ্গিপাড়া পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফোরকান বিশ্বাস, পুলিশ সুপার আলবেলী অফিফা, উপাচার্যের জ্যেষ্ঠ সন্তান আসিফ মোহাম্মদ নূর, কন্যা জারা দীন নূর,  একান্ত সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম পলাশ, জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মজুমদার, আইন কর্মকর্তা এ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার প্রমুখসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স, কর্মচারীবৃন্দ, স্বাচিপ এর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসকবৃন্দ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)র নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে পৌঁছানোর পর তাঁকে স্বাগত গোপালগঞ্জ জেলার স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ স্বাগত জানান।

উল্লেখ্য, বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক এর পিতা হলেন মরহুম মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এবং মাতা মরহুমা আফজালুন্নেছা। ব্যক্তি জীবনে তিনি ৫ সন্তানের পিতা। তাঁর সন্তানদের মধ্যে রয়েছেন-পুত্র দীন মোহাম্মদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ মোহাম্মদ নূর, ফার ইস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক রিসাত মোহাম্মদ নূর, মেডিকেল স্টুডেন্ট জাদিত মোহাম্মদ নূর, মেডিকেল স্টুডেন্ট তৌসিফ মোহাম্মদ নূর এবং একমাত্র কন্যা স্টুডেন্ট জারা দীন নূর। তাঁর সহধির্মিনী হলেন মিসেস রোজিনা হক। তাঁর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী মধ্যপাড়া ও মিরাপাড়া গ্রামে।

 তিনি ১৯৫৫ সালের ১লা সেপ্টেম্বরে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা জীবনে এমবিবিএস, এফসিপিএস (চক্ষু), রয়েল আলেকজান্দ্রা হাসপাতাল, পেইজলী, ইউকে থেকে চক্ষু বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানী, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিংগাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, নেপাল ইত্যাদি দেশে আন্তর্জাতিক সভা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। কর্মজীবনে তিনি ১৯৮১ সালে চকুরীতে যোগদান করেন। এ সময় তিনি অধ্যাপক (চক্ষু), স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা, অধ্যাপক (চক্ষু), ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, পরিচালক ও অধ্যাপক, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা, লাইন ডাইরেক্টর, ন্যাশনাল আই কেয়ার (জাতীয় অন্ধ নিবারণ কর্মসূচী), মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পদে সফলতার সাথে শিক্ষকতাসহ দায়িত্ব পালন করেছেন।


আরও খবর



ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস : শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কোর ট্রি অব পিস পুরস্কার পেয়েছেন বলে যে তথ্য প্রচারিত হয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ইসরায়েলি একজন ভাস্করের দেওয়া পুরস্কার ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতারণামূলকভাবে ইউনেস্কোর পুরস্কার বলে প্রচার চালিয়েছেন।

বুধবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

গত ২১ মার্চ ইউনূস সেন্টারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আজারবাইজানের বাকুতে ১৪-১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত একাদশ বিশ্ব বাকু ফোরামের শেষ দিনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দ্য ট্রি অব পিস পুরস্কারে ভূষিত করে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।

এদিকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।

রায়ে তাদের শ্রম আইনের ৩০৩ (ঙ) ধারায় সর্বোচ্চ ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে ৩০৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত।


আরও খবর



নড়াইলে ধান ক্ষেতে প্রশিক্ষণ বিমানের জরুরি অবতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এম সালাউদ্দিন, নড়াইল প্রতিনিধি

Image

নড়াইলে বিলের মধ্যে ধান ক্ষেতে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান জরুরি অবতরণ করেছে। বিমানে দুজন পাইলট চালক ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন সামান্য আহত হয়েছেন।

বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে জেলা সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের তারাশি মধ্যপাড়ায় বিলে বিমানটি অবতরণ করে।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চালক বিমানটি ধান ক্ষেতে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছে। বিমানটিতে দুজন চালক ছিলেন। এদের একজন সামান্য আহত হয়েছেন। যশোরের বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে তাদের যশোর নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


আরও খবর



দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

৪৫৫ রানের লিড নিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বোলাররা দ্বিতীয় ইনিংসে ১০২ রানে লঙ্কানদের ৬ উইকেট তুলে নিলেও লিড সাড়ে চারশ ছাড়িয়ে যাওয়ায় স্বস্তিতে নেই স্বাগতিকরা। বাংলাদেশকে দুইশর আগে অলআউট করে প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানের লিড নেয় সফরকারীরা।

বাংলাদেশকে ফলো-অন না করিয়ে চা-বিরতির পর দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রান করলেও লঙ্কানরা ধুঁকছে এবার। হাসান মাহমুদ চারটি ও খালেদ আহমেদ দুটি উইকেট তুলে নিয়ে ধস নামান। ৮৯ রানে ৯ উইকেট হারায় তারা। ৭ রানে জীবন পাওয়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ৩৯ রানে অপরাজিত আছেন। ৫০ বলের ইনিংসে ছিল তিনটি চারের মার।

হাসানের বলে শাহাদাত হোসেন দীপুর হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন ম্যাথুস। জীবন পেয়ে রয়েছেন ফিফটির পথে। সিলেট টেস্টের মতোই প্রথম ইনিংসই ম্যাচে গড়ে দিয়েছে ব্যবধান।

১৮০, ১৩৯, ১৮৮, ১৮২, ১৭৮ টেস্টে টানা পাঁচ ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের চিত্র। সবগুলোই ঘরের মাটিতে। শেষের তিনটি স্কোর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। লঙ্কানদের ৫৩১ রানের জবাবে চট্টগ্রাম টেস্টে স্বাগতিকরা গুটিয়ে গেছে ১৭৮ রানে। জাকির হাসান সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিলেটে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ ১৮৮ ও ১৮২ তে অলআউট হয়ে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

চট্টগ্রামের ব্যাটিং উইকেটেও ভাগ্য ফেরেনি বাংলাদেশের। থামতে হয় দুইশর আগে। তার আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে ১৮০ ও ১৩৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় উইকেটে প্রতিরোধ ভাঙার পর দ্রুত আরও দুই ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে আর বের হতে পারেনি। সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, শাহাদাত হোসেন দীপু দ্রুত ফিরলে অল্পতেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।

আসিথা ফার্নান্ডো নেন চারটি উইকেট। দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন লাহিরু কুমারা, প্রবথ জয়াসুরিয়া ও বিশ্ব ফার্নান্ডো।

চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের পড়ন্ত বিকেলে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নেমেছিলেন। তৃতীয় দিন প্রথম ঘণ্টায় নিজের উইকেট অক্ষত রাখেন টাইগার বাঁহাতি স্পিনার।

দলীয় ৯৬ রানে বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে আউট হন জাকির। ১ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর তাইজুলও আউট হন। ৯৬/১ থেকে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ১০৫/৪।

শ্রীলঙ্কাকে ৫৩১ রানে থামিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল বাংলাদেশের। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার খানিকটা সময় আগে ভুল করে বসেন মাহমুদুল হাসান জয়। লাহিরু কুমারার বলে লাইন মিস করে বোল্ড হন শেষবেলায়।

৪২ বলে তিন চারে ২১ রান করে সাজঘরে ফেরেন জয়। ওপেনিংয়ে জাকিরের সঙ্গে জমে যাওয়া জুটি ভাঙে ৪৭ রানে। ৮২ রানে শেষ ৯ উইকেট হারিয়ে ফলো-অনে পড়ে বাংলাদেশ।


আরও খবর



দুই দশক পর র‍্যাবের খাঁচায় কক্সবাজারের ‘আজরাইল’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

দীর্ঘ দুই দশক পলাতক থাকার পর কক্সবাজারের মহেশখালীর আলোচিত সিরিয়ার কিলার মো. লোকমান ওরফে আজরাইলকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। র‍্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া দ্বীপের একটি গোপন আস্তানা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

আজরাইল মহেশখালীর আলোচিত জিয়া বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড এবং নবনিয়োগ শাখার (রিক্রুটমেন্ট উইং) প্রধান হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ৪ হত্যা মামলা ও ৪ হত্যাচেষ্টাসহ কমপক্ষে ১০ মামলার রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের মহেশখালীতে খুন, ডাকাতি, অপহরণ, ঘের দখল-পালটা দখলের অন্ধকার জগতে লোকমান ওরফে আজরাইল এক সুপরিচিত নাম। সশস্ত্র সন্ত্রাসী তৎপরতা ও লক্ষ্যবস্তুর প্রতি নৃশংসতার ভয়াবহতায় ধীরে ধীরে মহেশখালীর মূর্তিমান আতঙ্কের নামান্তর হয়ে উঠলেও নানান কৌশলে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে। ২০০৬ সাল থেকে অপরাধ জগতে সদর্প পদচারণার পর অবশেষে গ্রেফতার হলেন লোকমান। তাকে মহেশখালী থানার দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহেশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে মর্মে র‍্যাব সূত্রে জানা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৮ ডিসেম্বর লোকমান ও তার বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে কক্সবাজার জেলার প্রথম শহিদ শরীফ চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে এবং কালামারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরত চেয়ারম্যান ও মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওসমান গনিকে কুপিয়ে ও গলায় গুলি চালিয়ে হত্যা করেন। এছাড়া ২০১১ সালের ২১ মে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জলদস্যু দমনে সহায়তা করার সন্দেহে কুরআনের হাফেজ আব্দুল গফুরকে কুপিয়ে হত্যা করার পর তার দ্বিখণ্ডিত মস্তক হতে হাত দিয়ে মগজ বের করে নেন তারা।

লোকমান ও তার সহযোগিদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই মেলেনি মহেশখালীর মাছ ব্যবসায়ী, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ওসমান গনিরও৷ নিজেদের আধিপত্য নিশ্চিত করতে ২০১২ সালের ২৯ মার্চ কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে। একই বছরের ১১ জুন কুপিয়ে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মৎস্যজীবী বেলাল হোসেনকে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, লোকমান উপজেলার সক্রিয় প্রধান ডাকাত গ্রুপ জিয়া বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। একজন ক্রমিক খুনি (সিরিয়াল কিলার) হিসেবে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বিদের দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ভাড়াটে খুনি হিসেবেও তিনি নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ঘের দখলকারী হিসেবে তার এবং তার দলের পরিচিতি স্থানীয়ভাবে সর্বজনবিদিত।

গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকা র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, দীর্ঘদিন নিবিড় অনুসরণের পর আমরা আসামি লোকমানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। কক্সবাজারে সক্রিয় বিভিন্ন নামে বাহিনীগুলোর সশস্ত্র ক্যাডারদের আইনের আওতায় আনতে র‍্যাবের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

নিউজ ট্যাগ: কক্সবাজার

আরও খবর