পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে
ব্যবসায়ী মো.আজমল হোসেন তালুকদারের (৫০) মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যা দাবি করে এ ঘটনার
প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন নিহতের পরিবার এবং এলাকাবাসী।
শুক্রবার বাদ
আসর মিয়ারহাট বন্দর সংলগ্ন সুটিয়াকাঠি ইউনিয়নের মাঝিবাড়ী এলাকায় ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
হয়। আধা কিলোমিটার দীর্ঘ ওই মাননবন্ধনে রাস্তার দুইপাশে নানা শ্রেনী পেশার প্রায় সহস্ত্রাধীক
মানুষ অংশ নেয়।
মানববন্ধনে আজমলের
মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ঘটনার সাথে জড়িত দোষীদের বিচার দাবি করে বক্তব্য রাখেন
উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক, জাতীয় পার্টির উপজেলা সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু,
নিহত আজমলের ছোট ভাই মো. আসলাম হোসেন,বড় ভগ্নিপতি মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. আতিকুল ইসলাম
লিটু প্রমুখ। সন্ধ্যার পূর্বে এক বিক্ষোভ মিছিল মিয়ারহাট বন্দরের প্রধান প্রধান সড়ক
প্রদক্ষিন করে।
এ ব্যাপারে নিহত
আজমলের স্ত্রী শান্তা ইসলাম ও ছোট বোন শায়লা রহমান জানান, আজমল কিছুদিন পূর্বে কারো
নাম উল্লেখ না করে তার জীবন নিয়ে হুমকির কথা তাদের জানিয়েছিলেন। আজমলের ছোট ভাই আজকার
জানান, গলায় যে মাফলার দিয়ে তার ভাই ঝুলন্ত ছিল সেটি তাদের পরিবারের কারও নয়, এছাড়া
তার ভাইয়ের শরীর বেয়ে রক্ত ফ্লোরে ঝরছিল এবং ঝুলন্তবস্থায় তার পা বিছানায় স্পর্ষ করা
ছিল।
প্রসংগত, গত মঙ্গলবার উপজেলার সুটিয়াকাঠি গ্রামে নিজ বাসার দোতলা থেকে ব্যবসায়ী আজমল হোসেনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ । ঘটনার রাতে আজমলের স্ত্রীও তার বাবার বাড়িতে ছিলেন। নিহত আজমলের ১২ বছরর একটি কন্যা ও ৯ বছরর একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। নেছারাবাদ থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্ত করা হয়েছে রিপোর্ট পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।