আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

স্বরূপকাঠিতে ধর্ষণের শিকার হয়ে প্রতিবন্ধী শিশু ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, গ্রেফতার-২

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ জুলাই ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে ৬ ব্যাক্তি কর্তৃক বিভিন্ন সময় ধর্ষণের শিকার হয়ে ১৫ বছর বয়সের এক প্রতিবন্ধী শিশু এখন ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। ধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো নান্দুহার গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে উজ্জল ও একই গ্রামের মৃত কামাল হোসেনের ছেলে মকবুল হোসেন। শনিবার রাতে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে নেছারাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেন। বাদীর অভিযোগে প্রকাশ তার বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ১৫ বছরের মেয়েকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবেশি আসামীরা বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে। বর্তমানে মেয়েটি ৫ মাসের অন্তঃসত্বা । তাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে ৬ জনের নাম প্রকাশ করে।

নেছারাবাদ থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। রাতেই অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। আসামীদের পিরোজপুর আদালতে পাঠানো এবং ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা করানোর জন্য সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



অগ্নিঝরা মার্চের প্রথম দিন আজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অগ্নিঝরা মার্চ, বাঙালির স্বপ্নসাধ যৌক্তিক পরিণতির মাস। বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম ঘটনা হচ্ছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এই ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক-রাজনৈতিক স্বপ্নসাধ পূরণ হয়।

১৯৭১ সালে এসে যে রাজনৈতিক সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করে, তার গোড়াপত্তন হয়েছিল বহু বছর আগে।  ৫২র ভাষা আন্দোলন, ৬২র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬র ছয় দফা আন্দোলনের পথ ধরে  ৬৯র গণ অভ্যুন্থানের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের মার্চে এসে বাঙালির সেই স্বপ্নসাধ যৌক্তিক পরিণতিকে স্পর্শ করে। প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ের গহীনে লালন করা তখনো অধরা স্বাধীনতার দুর্বার আকাঙ্খা যেন অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্রষ্ঠা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণে এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম স্বাধীনতার অমর কাব্যের এই পঙিটি বাঙালি জাতিকে ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তায় বলীয়ান করে তোলে।

এই মার্চেই বাঙালি পাকিস্তানকে বিদায় জানায়। পাকিস্তানি সৈন্যরা ২৫ মার্চ রাতে কামান, মর্টার, রাইফেল নিয়ে অতর্কিতে ঘুমন্ত নিরীহ বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু তখন গ্রেপ্তার হওয়ার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে তার সর্বশেষ বাণী বাংলার মানুষের কাছে পাঠান এই বলে, এই হয়ত তোমাদের জন্য আমার শেষ বাণী। আজকে থেকে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। যে যেখানেই থেকে থাক, যে অবস্থায়ই থাক, হাতে যার যা আছে তাই নিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে তোল। ততদিন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে, যতদিন পর্যন্ত না দখলদার পাকিস্তানিদের শেষ সৈনিকটি বাংলাদেশের মাটিতে থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছে এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুর এই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিল বাঙালি জাতি। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার প্রেক্ষাপট শুরু হয় মার্চের প্রথম দিন থেকে। এদিন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। দুপুর ১টা ৫ মিনিটে রেডিও পাকিস্তানের সকল কেন্দ্রে একযোগে প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণা প্রচার করা হয়। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী, ৩ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ঢাকায় হওয়ার কথা ছিল। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে যায়, দেশ আবার কঠোর সামরিক ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছে এবং সামরিক আইন কঠোর করে ভেতরে ভেতরে কোনো গভীর প্রস্তুতি চলছে। দুপুরে রেডিওতে যখন জাতীয় পরিষদ অধিবেশন স্থগিত করার সংবাদ প্রচারিত হচ্ছিল, তখন ঢাকা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানরত পাকিস্তান ও বিশ্ব একাদশের মধ্যে এক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ধারা বিবরণী চলছিল। তাই মাঠের ক্রিকেট দর্শকরাই রেডিওতে প্রথম ইয়াহিয়ার এই ঘোষণা শুনতে পান।

রেডিওতে খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা শহরে সর্বপ্রথম সংঘটিত প্রতিক্রিয়াটি ব্যক্ত করে স্টেডিয়ামের  হাজার হাজার ক্রিকেট দর্শক। তারা সমস্বরে চিৎকার করে উঠে জয় বাংলা বলে। ধাওয়া করে পশ্চিম পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের এবং শ্লোগানে উত্তাল হয়ে জঙ্গি মিছিল নিয়ে রাজপথে নেমে পড়ে। জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিতের খবর শুনে পিআইএর বাঙালি কর্মচারীরাও জনসাধারণের সঙ্গে রাস্তায় নেমে পড়েন। জগন্নাথ কলেজ ও পার্শ্ববর্তী কায়েদে আযম কলেজের ছাত্ররাও লাঠিসোটা হাতে রাস্তা প্রদক্ষিণ করতে থাকে। আদমজী মিলের শ্রমিকরা চাকা বন্ধ করে শোভাযাত্রা সহকারে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন।

মিছিলকারীরা এ সময় বঙ্গবন্ধুর পরবর্তী নির্দেশ জানার জন্য হোটেল পূর্বাণী অভিমুখে মিছিলের পর মিছিল নিয়ে এগিয়ে চলে। বঙ্গবন্ধু তখন হোটেল পূর্বাণীতে। সেখানে আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি পার্টির বৈঠক হওয়ার কথা। লাখ লাখ মানুষের শ্লোগান  আর মিছিলে হোটেল পূর্বাণীর চত্বর প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। সকলেই বঙ্গবন্ধুর পরবর্তী নির্দেশ শোনার জন্য উৎকণ্ঠার সঙ্গে অপেক্ষা করতে থাকে। বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের বলেন, তিনি এক্ষুণি চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন না। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য তিনি মওলানা ভাসানী, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ, আতাউর রহমান খানসহ অন্যান্য নেতার সঙ্গে আলোচনা করবেন। তবে বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত তেজোদৃপ্ত ভঙ্গিতে বলেন, অধিবেশন স্থগিত হওয়ার বিষয়টি তিনি বিনা চ্যালেঞ্জে যেতে দিতে পারেন না। তিনি বলেন, আগামী ৭ মার্চ তিনি রেসকোর্স ময়দানে বাংলার মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার অর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ বুধবার সারাদেশে হরতাল পালিত হবে। বঙ্গবন্ধু বললেন, আমি জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে এবং যে কোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে বলব। এরই মধ্যে শহরের বিভিন্ন অলিগলি পথ থেকে শত শত মিছিল পল্টন ময়দানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসে জমায়েত হয়। অল্প সময়ের মধ্যে এই জমায়েত জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত ছাত্রলীগের সমাবেশে বক্তৃতা করেন সাবেক ছাত্রনেতা ও নবনির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, আর ৬ দফা, ১১ দফা নয়, এবার বাংলার মানুষের ১ দফার সংগ্রাম শুরু করব। আর এই এক দফা হচ্ছে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব।

নিউজ ট্যাগ: অগ্নিঝরা মার্চ

আরও খবর
আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪




শিকলে বাঁধা যুবকের দুর্বিষহ জীবন, চিকিৎসা করবে কে?

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

জরাজীর্ণ ছোট একচালা ঘরের খুঁটির সঙ্গে বাঁধা যুবক। বিড়বিড় করে কি যেন একটা বলছে। এক সময়ের টগবগে যুবক এখন চার দেওয়ালে বন্দি। খুপড়ি ঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে তাঁর। একটি দু'টিন বছর নয় এভাবে ছয় বছর ধরে শিকল বন্দি। পায়ে সঙ্গে শিকল যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাড়িঁয়েছে তাঁর। লোহার শিকল পরা অবস্থায় দিনের শুরু হয় আর বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে। এর পর রাত। তবুও যেন শিকল থেকে মুক্তি মিলছে না তাঁর। এভাবেই হাসি-কান্নার মধ্য দিয়েই কাটছে তাঁর শিকলে বাঁধা জীবন।

আর আদুরের সন্তানের চিকিৎসায় সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন দরিদ্র পরিবার। বসতভিটা ছাড়া নিজের বলতে আর কিছুই নেই তাদের। গায়ের মহাজনের কাছে ধারকার্য করে চিকিৎসা করিয়েছেন। তবুও সুস্থ্য করা যায়নি পঁয়ত্রিশ বছর বয়সী মিলনকে।

মিলন হক ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কুজিশহর গ্রামের মফিজ উদ্দীন ও শাহেদা বেগম দম্পত্তির ছেলে।

প্রাথমিক পর্যন্ত লেখাপড়া করা মিলন আর পাঁচ শিশুর মতো ছিল হাসি-কান্না হইহুল্লোড়ে মাতিয়ে রাখত সবাইকে। মজার দুষ্টুমিতে মায়ের কাছে আসত হাজারো অভিযোগ। জন্মের ৯ বছর বয়সে গলায় টিউমার ধরা পড়ে মিলনের। চিকিৎসা নেওয়ার পরে কিছুদিন সুস্থ হলেও আবার শুরু হয় অসুস্থতা। পঁয়ত্রিশ বছর জীবনে পচিশ বছর অসুস্থ থাকলেও ছয় বছর চার দেওয়াল আর পায়ে শিকলই তার সঙ্গী। তবে বৃদ্ধা মা মারা গেলে কে দেখবে তাকে? এমন চিন্তায় প্রতিনিয়তই ডুকরে ডুকরে কাঁদছে মা শাহেদা বেগম।

স্বপ্ন ছিলো মিলন হক পড়াশোনা করে চাকরি করে সংসারের হাল ধরবেন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে প্রাথমিকেই থমকে গেছে তাঁর জীবন। অপরিচিতদের সঙ্গে স্বাভাবিক আচরণ করলেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ করেন। অনেক সময় নানা ভাবে বিড়ম্বনায় ফেলে স্থানীয়দের। পরিবারে উপার্জনক্ষম মানুষ না থাকায় হচ্ছে না উন্নত চিকিৎসা।

স্বামী ব্রেন স্টোক করে প্যারালাইস, ছেলে শেকলে বাধাঁ। স্বামী সন্তানের মুখের খাবার জোগার করবেন না চিকিৎসা করাবেন এই দোটানায় চলছে শাহেদা বেগম। মানুষের বাড়িতে কাজ করে দু-মুঠো ভাতের জোগাড় করেন তিনি। চিকিৎসা করার আর্থিকভাবে ক্ষমতা নেই। তবে সুচিকিৎসা পেলে ভালো হবে মিলন এমন স্বপ্ন দেখেন তার মা। কিন্তু তার এই স্বপ্নে বাদ সেধেছে টাকা। কারণ টাকা ছাড়া এখন কিছুই মেলে না। তাই ছেলে সুস্থ করতে বিত্তবানদের সাহায্য চান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, মিলনের পরিবার খুবই গরিব। চিকিৎসা দুরের কথা ঠিকমতো একবেলা খাবারে জোগানো দায়। তার বাবা ব্রেইন স্ট্রোক করে দীর্ঘ দিন ধরে শয্যাশায়ী। ছেলেও শিকলে বন্দি। মিলনের প্রয়োজন উন্নত চিকিৎসার। তা না হলে পরিবারটার জন্য সামনে আরো কঠিন হয়ে দাড়াবে।

শাহেদা বেগম বলেন, দিনে ও রাতে ছেলের পায়ে, কখনো হাতে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে ঘুমানোর ব্যবস্থা করি। এ দৃশ্য মা হয়ে সহ্য করতে পারছি না। গরীব মানুষ, ঠিকমতো সংসার চালানোই কঠিক হয়ে পড়েছে। ছেলের উন্নত চিকিৎসা করব কীভাবে?

তিনি আরো বলেন, ভিটেমাটি ছাড়া আর কিছু নেই তাদের। স্বামী বিছানায় পড়ে আছে। একদিন কাজে না গেলে মুখে খাবার উঠেনা। যা ছিল সব শেষ হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, বিষয়টি সত্যিই হৃদয়বিদারক। অতি দ্রুতই মিলন হকের খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: ঠাকুরগাঁও

আরও খবর



এস আলমের চিনিকলে উৎপাদন শুরু হচ্ছে আজ

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর আজ শনিবার উৎপাদন শুরু করছে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত চট্টগ্রামের এস আলম সুপার রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। একই সঙ্গে পুড়ে যাওয়া কারখানায় রাখা চিনির যে অংশটি আগুনে নষ্ট হয়েছে তাও অপসারণ করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এস আলম সুপার রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ হোসাইন।

তিনি বলেন, গতকাল থেকেই কারখানা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু হয়েছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া চিনি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আজ বিকেলে থেকে চিনি উৎপাদন শুরু হবে। এছাড়া আগের মজুতে থাকা চিনি সরবরাহ অব্যাহত আছে।

গত সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর এলাকায় এস আলম সুপার রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের গুদামে আগুন লাগে। দীর্ঘ ৬৪ ঘণ্টার চেষ্টায় বৃহস্পতিবার ভোরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস, সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর সদস্য ও কোস্টগার্ড।

সেদিন দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন জানান, এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলে অগ্নিকাণ্ডে মিলের গুদামে থাকা অপরিশোধিত চিনির সবটাই পুড়ে যায়নি। গুদামের ৮০ শতাংশ অপরিশোধিত চিনি রক্ষা করা গেছে।

সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, চিনির যে কাঁচামাল রক্ষা করা গেছে, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে তা ব্যবহার করা হবে।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




পুরুষদের টেস্টোস্টেরন হরমোন যেসব কারণে কমে যায়, চিকিৎসা কী?

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

প্রিয়জনকে নিয়ে অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর ইচ্ছে হলেও অনেকেরেই যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যেতে পারে। যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়া বা এ ধরনের কোনো কাজে উৎসাহ না পাওয়ার মতো উপসর্গ অনেকের মধ্যে থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর কারণ কী- তা অনেকেই জানেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের উপসর্গের পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে টেস্টোস্টেরন নামে এক ধরনের লিঙ্গ নির্ধারণী হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়া। একে টেস্টোস্টেরন ঘাটতি বলা হয়।

টেস্টোস্টেরন হচ্ছে এক ধরনের হরমোন যা পুরুষের মধ্যে পুরুষালি বৈশিষ্ট্যের বিকাশ ঘটায়। এ কারণে একে অ্যান্ড্রোজেন বা সেক্স হরমোন বা লিঙ্গ নির্ধারণী হরমোনও বলা হয়। এই হরমোন অণ্ডকোষে তৈরি হয়। তাই টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন ঠিক রাখতে অণ্ডকোষ সুস্থ রাখা জরুরি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন,বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত এই হরমোন খুব বেশি মাত্রায় না বাড়লেও ছেলেদের মধ্যে এটির মাত্রা বেশি থাকে। বয়ঃসন্ধিকালের পর এই হরমোনের মাত্রাটা হঠাৎ করে বেড়ে যায় এবং সে একজন পরিপূর্ণ পুরুষ হওয়ার জন্য তৈরি হয়। ওর দাঁড়ি-গোঁফ তৈরি হওয়া থেকে শুরু করে যৌনাঙ্গের পরিপক্বতা, জননাঙ্গের পরিপূর্ণ আকার, ঘাম, মানসিকভাবে পুরুষালি আচরণ- টোটালটাই এই হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তখন।

অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন আমরা সহজ করে বলে থাকি, একটা পুরুষ দাঁড়িয়ে থাকে টেস্টোস্টেরন লেভেলের উপরে। এই লেভেলে ঘাটতি হলে বা বেশি হলে সমস্যা হতে পারে। তবে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। কারো কারো স্বাভাবিক আছে, কারো কারো কম আছে, এই সম্ভাবনাই বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের টুইন্সবার্গ ফ্যামিলি হেলথ এন্ড সার্জারি সেন্টারের এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট কেভিন এম প্যান্টালোন বলেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার মধ্যেই টেস্টোস্টেরন হরমোন থাকে। তবে পুরুষের মধ্যে এই হরমোনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেশি থাকে। যার কারণে পুরুষের প্রজনন কার্যক্রম বিকাশ লাভ করে ও যৌনাঙ্গ গঠিত হয়।

হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অধীনে হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেস্টোস্টেরনের এর ফলে হাড় এবং মাংস পেশীর গঠন প্রভাবিত হয়। ছেলেদের হাড় ও মাংসপেশীর ঘনত্ব বাড়ে, রক্তে লোহিত কণিকার উৎপাদন বাড়ে, কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন হয়ে তা ভারী হয়, মুখে দাড়ি হয়, শরীরের অন্যান্য অংশ লোম বাড়ে, যৌনাঙ্গের বৃদ্ধি ঘটে। একই সাথে যৌন ক্রিয়া এবং প্রজনন সক্ষমতা জাগ্রত হয়।

টেস্টোস্টেরনের মাত্রা সর্বোচ্চ১৭ বছর বয়সে এবং পরবর্তী দুই বা তিন দশক এর মাত্রা বেশিই থাকে। গড়ে একজন স্বাস্থ্যবান পুরুষ দিনে ছয় মিলিগ্রামের মতো টেস্টোস্টেরন উৎপাদন করে।

হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাভাবিক পুরুষদের মধ্যে বিভিন্ন মাত্রায় টেস্টোস্টেরন থাকার কথা জানা যায়। প্রতি ডেসিলিটারে ২৭০ থেকে শুরু করে ১০৭০ ন্যানোগ্রাম পর্যন্ত টেস্টোস্টেরন থাকতে পারে। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় টেস্টোস্টেরেনের মাত্রা উঠানামা করে। সকাল আটটায় এই হরমোনের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি থাকে। আর সবচেয়ে কম থাকে রাত ৯টায়।

টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি পুরুষদের বিকৃত যৌন আচরণের অন্যতম কারণ। টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির কারণে পারফর্মেন্স খুব কমে গেছে, তখন সে পার্ভার্টেড কিছু অ্যাক্টিভিটির দিকে ধাবিত হয়। যাদের ক্ষেত্রে হরমোনের ঘাটতি খুব দ্রুত হয় তারা বুঝতে পেরে চিকিৎসা নিয়ে থাকে। কিন্তু যাদের মধ্যে ধীরে ধীরে হয়, সে এর সাথে খাপ-খাইয়ে নিতে নিতে বিকৃত যৌন আচরণের প্রতি আকৃষ্ট হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক অ্যাকাডেমিক মেডিকেল সেন্টার ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, কম টেস্টোস্টেরনের যেসব উপসর্গ থাকে তার মধ্যে রয়েছে: যৌন তাড়না কমে যাওয়া,যৌনাঙ্গ উত্থানে অক্ষমতা,যৌন মিলনে অক্ষমতা,অণ্ডকোষ সঙ্কুচিত হওয়া,শুক্রাণুর উৎপাদন কমে যাওয়া ও বন্ধ্যাত্ব। এছাড়াও ঘুমে সমস্যা, মনোযোগে সমস্যা, কাজে উৎসাহ না পাওয়া, মাংস পেশী ও শক্তি কমে যাওয়া, হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া, পুরুষদের স্তন গঠিত হওয়া, বিষণ্ণতা, ক্লান্তি ও অবসাদ।

এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, ৮৫-৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে অণ্ডকোষের কোন ধরনের ক্ষতি হলে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি দেখা দেয়।

বাংলাদেশে সবচেয়ে স্বাভাবিক কারণ হচ্ছে, বয়ঃসন্ধিকালে বা এর আশেপাশে সময়ে যদি কারো মামস হয়ে থাকে তাহলে তার মামস অরক্রাইটিস হয়। এটি গলার পাশাপাশি অণ্ডকোষকেও আক্রান্ত করে। এর ফলে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি তৈরি হওয়ার পথ তৈরি হয়। কারণ টেস্টোস্টেরন উৎপাদিত হয় এখান থেকেই। তবে বাংলাদেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীরা এটা খেয়াল করে না।

টেস্টোস্টেরন হরমোনের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে হলে দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় এক থেকে দেড় ডিগ্রি কম রাখতে হয়। কারণ অতিরিক্ত গরমে দীর্ঘক্ষণ থাকলেও টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমে যেতে পারে।

ফলে অতিরিক্ত গরম জায়গায় বাস করলে, কাজ করলে, বাসের ইঞ্জিনের উপর বসে থাকলে শারীরিক তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে যা এই হরমোনের ক্ষতি করে। পরিবেশে কিছু ক্ষতিকর উপাদানের কারণে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতিকে প্রশমিত করতে পারে। রক্তে শর্করার পরিমাণ যাদের বেশি বা যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।

আঘাতজনিত কারণ বা দুর্ঘটনার কারণে যদি কারো অণ্ডকোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, জীনগত সমস্যা থাকে, তাহলে এই হরমোনের ঘাটতি থাকতে পারে। কারো যদি জন্মগতভাবে অণ্ডকোষ না থাকে বা সেটি যদি পরিপূর্ণ গঠিত না থাকে, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থাকে, যৌন সংক্রমণজনিত রোগ থাকে, কোনো ভাইরাসের সংক্রমণ থাকে, বা টিউমার থাকে তাহলেও টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমে যেতে পারে।

এছাড়া মস্তিষ্কে আঘাত পেলে, লিভার সিরোসিস, কিডনির সংক্রমণ, অতিরিক্ত মদ্যপান, ঘুমে সমস্যা বা স্লিপ অ্যাপনিয়া এবং মানসিক রোগের চিকিৎসায় ওষুধ সেবন করলেও এই হরমোনের ঘাটতি তৈরি হতে পারে।

যেভাবে প্রতিরোধ সম্ভব: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, যদি জীনগত কারণে, অণ্ডকোষে ক্ষতির কারণে অথবা হাইপোথ্যালামাস বা পিটুইটারি গ্রন্থিতে আঘাতের কারণে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যায়, তাহলে তার কোনো চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। তবে কিছু জীবনযাত্রায় কিছু অভ্যাস পরিবর্তন বা সংযোজন করে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা যায়। এগুলো হলো-স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা,অতিরিক্ত পরিমাণ অ্যালকোহল পান ও মাদক থেকে দূরে থাকা।

এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি ঠেকাতে হলে দৈহিক ওজন অবশ্যই কমাতে হবে। দ্বিতীয়ত, অতিরিক্ত গরম ও রেডিয়েশন থেকে দূরে থাকতে হবে। রেডিয়েশনে কাজ করতে হলে সুরক্ষা পদক্ষেপগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে যাতে ঝুঁকি কমে যায়।

চিকিৎসা কী ? টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি কমানোর কোনো একক চিকিৎসা নেই। এই হরমোন ঘাটতির চিকিৎসা আসলে উপসর্গ ভিত্তিক। এর মাত্রা ভিত্তিক নয়। তবে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির মাধ্যমে কিছু উপসর্গ কমিয়ে আনা যায়। যেমন যৌন তাড়না, বিষণ্নতার সাধারণ উপসর্গ এবং কাজে উৎসাহে ঘাটতির মতো উপসর্গ কমে আসতে পারে।

তাই এ ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। কারণ হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি বিভিন্ন ধরনের হয় এবং এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




বিসিবিতে যুক্ত হচ্ছেন দুই নারী আম্পায়ার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে। গত দুই বছরে বেশ কিছু সাফল্য পেয়েছে তারা। সেই ধারায় দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দুই নারীকে আম্পায়ার হিসেবে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে বিসিবি।

সেই দুই আম্পায়ারের একজন সাথিরা জাকির জেসি অন্যজন মিশু চৌধুরী। বিসিবির চুক্তিতে এতদিন পুরুষ আম্পায়ার থাকলেও ছিল না কোনো নারী আম্পায়ার।

শনিবার বোর্ড সভায় দুই জন নারী আম্পায়ারকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু।

তিনি বলেন, 'গতকাল বোর্ড সভায় চূড়ান্ত হয়েছে দুই জনের নিয়োগের বিষয়। এক সপ্তাহের মধ্যেই তাদের নিয়োগের সবকিছু কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। তারা এখন ট্রেনি হিসেবেই চুক্তিতেই ঢুকবে। যে কারণে টাকার অঙ্কটা একটু কম থাকবে। আসন্ন ডিপিএল দিয়েই তারা আম্পায়ারিং করবে। একজন থার্ড আম্পায়ার বা একজন অনফিল্ড আম্পায়ার এভাবেই শুরু হবে ধীরে ধীরে। আমাদের সবমিলিয়ে ২৬ জন আম্পায়ার চুক্তিতে রয়েছেন।'

২০১১ সালে আম্পায়ারিং পরীক্ষায় পাস করেন মিশু, তখন তিনি মূলত ক্রিকেটার। পরের বছর স্কুল ক্রিকেট আম্পায়ারিংয়ে অভিষেক। বাংলাদেশে নারী আম্পায়ারদের খুব একটা কদর ছিল না। তাই এই ক্যারিয়ারে দীর্ঘ বিরতিতে যেতে হয় তাকে। যদিও বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে ঠিকই সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গেলেন তিনি।

অন্যদিকে ২০০৯ সালে আম্পায়ারিং কোর্স করেন জেসি। ২০২২ সালে এসে তিনি মাঠে নামেন আম্পায়ার হিসেবে। গতবছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ৫১ বছর পূর্তির দিনে সাবেক ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণে প্রদর্শনী ম্যাচে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন জেসি।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪