আজঃ মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

স্বরূপকাঠিতে করোনা মোকাবেলায় পুলিশের ব্যাপক প্রচারণা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মার্চ 20২১ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ মার্চ 20২১ | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

মাস্ক পড়ার অভ্যেস,কোভিড মুক্ত বাংলাদেশ এ শ্লোগান নিয়ে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে করোনার ঢেউ মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি মানাতে বিশেষ ব্যাপক কর্মসূচি নিয়ে আবারো মাঠে নেমেছে পুলিশ প্রশাসন।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (নেছারাবাদ-কাউখালী সার্কেল) মো. রিয়াজ হোসেনের নেতৃত্বে থানা চত্বর থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি জগৎপট্টি ও জগন্নাথকাঠি বন্দর সহ পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে শেষ হয়। এ সময় সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মাস্ক ছাড়া চলাফেরা না করতে মাইকিং করা ও লিফলেট বিতরণ করা হয় এবং মাস্ক না পরে ঘোরাফেরা করা পথচারীদের মাস্ক পরিয়ে দেয়া হয়।

নেছারাবাদ থানার অফিসার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, কোভিড ১৯ সংক্রমন প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করতে এ কার্যক্রম। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের এ কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিতব্য ঈদের ৫ জামাতের সময়-সূচি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাতটা থেকে পর্যায়ক্রমে জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রথম জামাত সকাল সাতটায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন কারি মো.ইসহাক।

দ্বিতীয় জামাত সকাল আটটায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আবদুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুরের জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।


আরও খবর



খালেদা জিয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে ফের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন তার পরিবার। একইসঙ্গে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সাজা স্থগিত করে স্থায়ী মুক্তির আবেদনও করা হয়েছে।

তবে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আর নির্বাহী আদেশে খালেদার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ আবার ৬ মাস বাড়ানো হতে পারে।  সোমবার সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, আবেদন হাতে পেলেও এখনো ভালোভাবে পড়ে দেখার সুযোগ তার হয়নি। ফাইল পড়ে দেখে মঙ্গলবার তিনি সিদ্ধান্ত জানাবেন। খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না। তাকে বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে চিকিৎসা করার অনুমতিও দিয়েছিলাম। ডাক্তার তাকে চিকিৎসাও করেছিলেন, ডাক্তার তাকে সুস্থও করেছেন। খালেদা জিয়ার এবারের মেয়াদ ছয় মাস হয়, নাকি আরও বেশি হয়, সেটা জানার জন্য আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

গত ৬ মার্চ পরিবারের পক্ষে খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার আবেদনের চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেন। রোববার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, আবেদনপত্রে ম্যাডামের স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। ম্যাডামের ছোটভাই (শামীম ইস্কাদার) অসুস্থ থাকায় আমি চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দিয়েছি। আবেদনপত্রে শামীম ইস্কাদার বলেন, বেগম জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষায় দরকার দেশের বাইরে চিকিৎসা।

আবেদন পত্রটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। সোমবার সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনমন্ত্রী বলেন, মেয়াদ বৃদ্ধি করার আইনি সুযোগ আছে, কিন্তু বিদেশে যাওয়ার অনুমতি বা অন্য কিছু করার আইনি সুযোগ নাই।

আনিসুল হক বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কিন্তু মুক্ত। তাকে দুটো শর্ত দেওয়া হয়েছে। একটা হচ্ছে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না, দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে তিনি ঢাকায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। তাকে কিন্তু চলাফেরা বা চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অনুমতি নিতে হয় না এবং তিনি অনুমতি নেনও না। সেই ক্ষেত্রে খালেদা জিয়াকে আবার মুক্তির কথা বলাটা একটু ইরিলেভেন্ট।

কেন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে না, সেই প্রশ্নে পুরোনো ব্যাখ্যা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, একটা জিনিস আমি বুঝতে পারছি না। বহুবার আমি আইনের ব্যাখ্যা দিয়েছি। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার বাইরে গিয়ে আমাদের কিছু করার নেই। তারপর প্রতিবারই তারা প্রথম যে চিঠি লিখেছিল সেই আকারেই আবেদন করছে।

সরকারপ্রধান চাইলে খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে কিনা জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, সরকারপ্রধান মানে হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তিনি যেহেতু এটা নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন, এখন এটা পরিবর্তন করার আইনি কোনো বিধান নেই। সরকার প্রধানকে আইনের ভেতরে থেকে মানবিক বিবেচনা করতে হবে। আইনের বাইরে গিয়ে তিনি মানবিক কারণ দেখাতে পারবেন না। প্রথম বার থেকেই মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে জামিন (নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি) দেওয়া হচ্ছে। এখন সেই মেয়াদ বারবার রিনিউ হচ্ছে, সেটা কিন্তু মানবিক কারণেই হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেন আদালত। সেই থেকে প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন তিনি। পরে মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে দুটি শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

প্রথমটি হলো, তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। দ্বিতীয় শর্তটি হলো, তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। তখন করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।

সর্বশেষ গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ মার্চ।


আরও খবর



মুম্বাই মাতালেন এড শিরান

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পপতারকা এড শিরান পাঁচ দিনের সফরে এসে মুম্বাই মাতিয়ে গেলেন। শনিবার (১৬ মার্চ) মুম্বাইয়ের কনসার্টে আগুন ঝরালেন এই গায়ক। গোটা ভারত থেকেই শিরান ভক্তরা এদিন হাজির হয়েছিলেন গায়কের পারফরম্যান্স দেখতে। কনসার্টের সেইসব ছবি ও ভিডিও এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল।

এড শিরান ভারতে পা রেখেছিলেন ১২ মার্চ। আর এই পাঁচ দিনের সফরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছিলেন এই পপতারকা। স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে গান গেয়ে, শাহরুখ খানের মান্নাতে গিয়ে আইকনিক পোজে ছবি তুলে আর শেষমেষ কনসার্টে নিজের কণ্ঠে দ্যুতি ছড়িয়ে ৫ দিনের সফর শেষে নিজ দেশের পথে পাড়ি জমিয়েছেন এড শিরান । ব্রিটিশ এই পপ গায়কের সফরে মুগ্ধ ভারত।

শনিবার (১৬ মার্চ) নৈশ কনসার্টে মঞ্চ মাতিয়েছেন এড শিরান। কনসার্টের সবচেয়ে বড় চমক ছিল দিলজিৎ দোসাঞ্ঝের সঙ্গে এড শিরানের পাঞ্জাবি গানের যুগলবন্দি। যা শুনে দর্শকদের দারুণ উল্লাস! প্রথমবার ব্রিটিশ গায়কের মুখে ভারতীয় ভাষায় গান! দর্শক-অনুরাগীদের উদ্দেশ্যেও কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে শোনা গেল এড শিরানকে।

ভারত সফরে এসে এড শিরান বললেন, আমি জানি ভারত খুব বড় একটা দেশ। তবে আজ এখানে উপস্থিত সবাই যে মুম্বাই থেকেই এসেছেন এমনটা নয়। অনেক দূর থেকেও অনেকে এসেছেন আমার কনসার্টে। কেউ বিমানে, কেউ ট্রেনে-বাসে আবার কেউ বা বাচ্চাদের নিয়ে এসেছেন। শনিবার রাতটা আমার সঙ্গে কাটানোর জন্য আপনারা অনেকটা সময় ব্যয় করেছেন আমি জানি। আপনারা এখানে আসার জন্য যে পরিশ্রমটা করেছেন, সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। শনিবার রাতের সময়টা আমাকে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনারা হয়তো অনেকভাবেই সময় কাটাতে পারতেন, কিন্তু সেটা না করে এখানে এলেন। ধন্যবাদ আপনাদের। আমি কথা দিচ্ছি, পরের বছর আবার আসব ভারতে।’

রবিবার (১৭ মার্চ) নিজ দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হন ব্রিটিশ পপ গায়ক। ফেরার পথে, মুম্বাই বিমানবন্দরে পাপারাৎজিদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে অভিবাদনও জানান। ভারতীয়দের আতিথেয়তায় যেমন মুগ্ধ শিরান, তেমনি শিরানের বিনম্রতায়ও মুগ্ধ ভারতের অনুরাগীরা। সামাজিক মাধ্যমেও চলছে শিরান বন্দনা। সবার একটাই বার্তা, আবার আসবেন এড শিরান।


আরও খবর



ট্রেনে ঈদযাত্রা : শুরুতেই বিলম্ব ধূমকেতু

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) থেকে বিশেষ ট্রেন যাত্রা শুরু হয়েছে। তবে ঢাকা থেকে ট্রেনের শিডিউল ধরে রাখার পথে রেলওয়ের শুরুতেই খানিক ধাক্কা খেয়েছে।

রাজধানী শহর ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে প্রথম ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস (৭৬৯) ঢাকা স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা সকাল ৬টায়। কক্সবাজারগামী দ্বিতীয় ট্রেন পর্যটক এক্সপ্রেস (৮১৬) ছেড়ে যাওয়ার কথা সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে। কিন্তু পর্যটক এক্সপ্রেস ৫ মিনিট বিলম্ব নিয়ে ৬ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ছেড়ে গেলেও সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ধূমকেতু এক্সপ্রেস ঢাকা ছাড়তে পারেনি। ট্রেনটি তখন পর্যন্ত ৪ নম্বর প্লাটফর্মে অবস্থান করছিল। তৃতীয় ট্রেন সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস (৭০৯) ৪ মিনিট বিলম্ব নিয়ে সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে ১ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ঢাকা ছেড়ে গেছে।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, প্ল্যাটফর্ম এলাকায় যেন কোনো টিকিটবিহীন ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যার ফলে ঢাকা স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম এলাকায় অবাঞ্ছিত কোনো মানুষ সহজে প্রবেশ করতে পারবে না। এত করে প্লাটফর্ম চত্বরের পরিবেশ ভালো থাকবে।

ট্রেন যাত্রায় যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে প্লাটফর্ম এলাকায় প্রবেশের মুখে ‍র‌্যাব, পুলিশ এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। প্লাটফর্মে প্রবেশের মুখে ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনারা (টিটিই) অবস্থান করছেন। তারা যাত্রীদের টিকিটের সঙ্গে এনআইডি মিলিয়ে দেখার কাজটি করছেন। যাদের টিকিট নেই, তারা কাউন্টারে গিয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিট সংগ্রহ করছেন। তারপর যাত্রীরা পরিচ্ছন্ন একটি পরিবেশের মধ্য দিয়ে প্ল্যাটফর্ম হয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যের ট্রেনে উঠছেন।

ঈদ উপলক্ষ্যে এবার ঢাকা থেকে বহির্গামী আসন সংখ্যা ৩৩ হাজার ৫০০টি। এসব আসন গত ২৪ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত শতভাগ অনলাইনে বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়া আজ থেকে ঈদ পরবর্তী ফিরতি যাত্রার আসন বিক্রি শুরু হবে। সকাল ৮টায় বিক্রি শুরু হবে পশ্চিমাঞ্চলের আসন এবং দুপুর ২টায় বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের আসন।

ঈদ উপলক্ষ্যে ট্রেন যাত্রা পরিদর্শন করতে দুপুর দেড়টায় ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের আসার কথা রয়েছে। তিনি স্টেশন চত্বর ঘুরে দেখবেন এবং যাত্রীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন।


আরও খবর



রমজানে ব্যবসায়ীদের সড়কে বসতে দেবে না পুলিশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে যানজট কমাতে রমজানজুড়ে কোনো ব্যবসায়ীকে সড়কে ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে পবিত্র রমজান মাসে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও নির্দেশনা’ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান।

তিনি বলেন, রমজান মাসে রাজধানীর যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে। ইফতারের তিন ঘণ্টা আগে অফিস ছুটি হলেও কমছে না যানজট। তাই যানজট নিরসনে এখন থেকে কোনো ব্যবসায়ী সড়কে যাতে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালিত করতে না পারেন, সে জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, রমজান মাস উপলক্ষে বিকেল সাড়ে ৩টায় অফিস ছুটি হলেও দেখা যায় বিকেল সাড়ে ৫টার আগ থেকে ইফতারের সময়ের আগ পর্যন্ত অধিকাংশ যানবাহন তড়িঘড়ি করে গন্তব্যস্থলে রওনা হয়। এতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইন্টার সেকশনে অযাচিত ট্রাফিক যানজট তৈরি হয়। মহানগরের বিদ্যমান বাস্তবতায় চার বা তিন রাস্তার ইন্টার সেকশনে যেকোনো এক লেনের যানবাহনের জন্য সিগন্যাল চালু করলে অন্য লেনগুলো সাময়িক বন্ধ রাখতে হয়। যেহেতু ইফতারের আগে সবারই ফিরতে হয় তাই লাইন ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি বিবেচনা করলে এটি চ্যালেঞ্জও বটে। তাই অফিস ছুটির সময় অর্থাৎ সাড়ে ৩টা থেকে বা এর কাছাকাছি সময় থেকে বাসার উদ্দেশ্যে ফেরার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই।’

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান বলেন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রুটের সড়কের পাশে গাড়ি পার্কিং করা হয়। যা সড়কের প্রশস্ততা কমিয়ে দেয় এবং যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত করে। রমজানের শুরু থেকেই ট্রাফিক বিভাগ পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সড়কের পাশে অযাচিত পার্কিং না করা থেকে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই।’

ভারী যানবাহনের জন্য ডিএমপি এলাকায় প্রবেশের নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে জানিয়ে ট্রাফিক বিভাগের প্রধান বলেন, অনেক সময় সেই সময়সীমা না মেনে তারা চলার চেষ্টা করে যা যানজটের সৃষ্টি করে। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই ভারী যানবাহন চলাচলের বিষয়টি মেনে চলতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় ঢাকা শহরের ছোট বড় সড়কে মেরামতের কাজ চলে। জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে রমজান মাসে এসব সড়ক চলাচল উপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে চিঠি চালাচালিও করা হয়েছে।


আরও খবর