আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

স্বরূপকাঠিতে মন্দিরের জমি দখল করে পাঁকা ভবন নির্মান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার ৫ নং জলাবাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব জলাবাড়ি সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের জমি দখল করে পাঁকা ভবন নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে একদল প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে ওই মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রিতিশ মন্ডল পিরোজপুর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সেখানে ১৪৪/১৪৫ ধারা মতে সেখানে সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। কিন্তু ওই প্রভাবশালীরা আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করেও তারা সেখানে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন প্রিতিশ মন্ডল।

 আদালতে ওই মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক প্রিতিশ মন্ডলের দায়ের করা অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ৪ জুন ওই এলাকার প্রভাবশালী রবিন হালদারের নেতৃত্বে সাগর বড়াল, রথীন হাওলাদার, নান্টু মন্ডল, জয়ন্ত মিস্ত্রী, প্রশান্ত মিস্ত্রী ও মিল্টন মজুমদার সহ আরও ১০/১১ জন ব্যাক্তি একটি দল ওই মন্দিরের পাশে খালি জমিতে পাঁকা ঘর নির্মান করতে যায়।

এসময় প্রিতিশ সহ মন্দির পরিচালনার সদস্য বিশ্বজিৎ মজুমদার, হরলাল মন্ডল, কৃষ্ণ কান্ত সমদ্দার, বাবুল সমদ্দার, আকাল সমদ্দর, প্রমথ রঞ্জন মিস্ত্রী গিয়ে তাদেরকে ভবন নির্মানে বাধা দেয়। এসময় দখলকারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদেরকে ভয় দেখিয়ে সেখানে ভবন নির্মানের কার্যক্রম চালিয়ে যায়। পরবর্তিতে তারা এ বিষয়ে আদালতের দারস্থ হলে আদালত গত ৬ জুন সেখানে ১৪৪/১৪৫ ধারা মতে নিশেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু ওই প্রভাবশালীরা আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে সেখানে ১৫ জুন বুধবার পূনরায় তাদের কার্যক্রম চালায় বলে অভিযোগ করেন প্রিতিশ মন্ডল।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রবিন হালদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি ওই জমি দূর্গা মন্দিরের স্বীকার করে তিনি বলেন মন্দিরের খালি জায়গায় আমরা একটি হরি মন্দির করতে চাচ্ছি। ১৪৪ ধারা অমান্য করার বিষয়ে তিনি জানান, আমরা সেখানে বুধবার কিছু পূজা অর্চনার কাজ করেছি মাত্র।

এ ব্যাপারে নেছারাবাদ থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন জানান, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী দুই পক্ষকেই ১৪৪ ধারার ব্যাপারে অবহিত করে তাদের সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: পিরোজপুর

আরও খবর



শিশুর সামনে যে কাজগুলো কখনোই করবেন না

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়ার আশায় আজকাল বাবামায়েরা শিশুদের নিয়ে মজার মজার ভিডিও তৈরি করেন। মজাচ্ছলে এমন ভিডিও বানালেও এগুলো দীর্ঘ মেয়াদে শিশুর ওপর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

যেমন, অনেকে শিশুকে বড়দের মতো আচরণ করতে শেখায়। বকাঝকা করা, রাগ দেখানো, কাউকে নিয়ে ঠাট্টাতামাশা করা ইত্যাদি নেতিবাচক আচরণ অনুকরণ করতে উৎসাহিত করেন। শিশুকে এভাবে বড়দের মতো আচরণ করতে দেখে দর্শকেরাও মজা পান।

মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, বাবামায়ের এমন আচরণ এখন ক্রমবর্ধমান উদ্বেগে পরিণত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কিছু কিছু জিনিস বাবামায়ের কখনই শিশুদের সামনে বলা বা করা উচিত নয়। বাবামা হওয়া নিঃসন্দেহে একটি অত্যন্ত দায়িত্বশীল কাজ। তাই শিশুর সুস্থ মানসিক বিকাশে বাবামাকে খুব সতর্ক হতে হবে। বাবামার জানা উচিত, কীভাবে শিশুরা তাঁদের গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে এবং পরবর্তীতে অনুকরণ করে। এভাবেই বিভিন্ন বিষয়ে তাদের প্রাথমিক শিক্ষা হয়।

শিশুদের সামনে কখনোই বলা বা করা উচিত নয় এমন কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো:

১. চেহারা নিয়ে মন্তব্য

শিশুদের কিন্তু আত্মসম্মান বোধ আছে। মুখের সামনে ওদের চেহারা নিয়ে নেতিবাচক কথা বলা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। অন্যদের সামনে সন্তানকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিব্রত করা সবচেয়ে উদ্ভট কাজ। আপনি যদি চান, আপনার সন্তানেরা স্মার্ট, স্বাস্থ্যবান হোক, নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুক, তাহলে তাকে পুষ্টিকর খাবার দিন, নিয়মিত শরীরচর্চা করান। কিন্তু নামডাক কামানোর ধান্দা করা মোটেও সঠিক কাজ নয়।

২. অন্যের সম্পর্কে খারাপ কথা বলা

বাবাময়েরা মাঝে মাঝে শিশুদের সামনে যেসব কথা বলেন বা গসিপ করেন সে সম্পর্কে সচেতন থাকেন না। আপনি যখন অন্যের সম্পর্কে খারাপ কথা বলেন বা তাদের সামনে অন্যদের নিয়ে নেতিবাচক গসিপ করেন, তখন শিশুর সামনে ভালো দৃষ্টান্ত তুলে ধরছেন না।

কখনো কি ভেবে দেখেছেন, আপনার শিশু এসব শোনা কথা প্রকাশ করে দিলে পরিস্থিতি কতটা খারাপ হতে পারে? অন্যের সামনে আপনার ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে?

৩. শিক্ষা সম্পর্কিত অর্জন নিয়ে নেতিবাচকভাবে সমালোচনা করা

স্কুলের পরীক্ষায় খারাপ করেছে বলে তাকে কখনোই তোমাকে নিয়ে আমি খুব হতাশ! এ ধরনের কথা বলবেন না। শিশুকে এমন কথা বলা খুবই বিপজ্জনক। কারণ এতে তার আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আপনার শিশুর পড়াশোনায় মাঝেমধ্যে গোলমাল হতেই পারে। এবার পরীক্ষায় হয়তো খারাপ করেছে। দেখবেন, হয়তো সে কিছু বিষয়ে ভালোও করেছে। চেষ্টার জন্য তার প্রশংসা করুন। সামনে আরও ভালো করার জন্য উৎসাহিত করুন।

৪. সব সময় ব্যঙ্গ করা

শিশুরা কটাক্ষ বোঝে না। কিন্তু আমরা যখন রাগে চিৎকার করি তখন তারা ঠিকই বুঝতে পারে না। শিশুরা মানুষের আচরণ বুঝতে পারে। কিন্তু আচরণের কোনো বিষয়ের ভুল অর্থ করলে সেটি তাদের বাড়তি মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে।

৫. শিশুর সামনে তর্ক বা ঝগড়া করা

দম্পতির মধ্যে নানা বিষয়ে মতানৈক্য হওয়াটাই স্বাভাবিক। এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের সামনে তর্ক করা মোটেই ইতিবাচক অভিভাবকত্বের একটি আদর্শ উদাহরণ নয়। মতবিরোধের সময় আক্রমণাত্মক আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন। শিশুদের কাছ থেকে আড়ালে গিয়ে দুজনে মিলে পারস্পরিক মতপার্থক্যগুলোর সমাধান করুন।

৬. গ্যাজেটে বেশি সময় ব্যয় করা

যদি বুঝতে পারেন যে সন্তান গ্যাজেটের (ট্যাবলেট/স্মার্টফোন/ল্যাপটপ) সঙ্গে বেশি সময় ব্যয় করছে, তাহলে খেয়াল করুন আপনিও গ্যাজেটের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন সেটি তারা খেয়াল করছে কি না। শিশু মনোবৈজ্ঞানিকেরা সব সময়, ফোন বা ট্যাবলেট একপাশে রেখে বই পড়ার, বাইরে খেলাধুলা করার এবং তাদের সঙ্গে মজার অভিজ্ঞতা উপভোগ ও শেয়ার করার পরামর্শ দেন।

৮. অন্যদের সামনে তাকে নিয়ে মজা করা এবং উত্ত্যক্ত করা

সন্তানকে অন্যের সামনে উত্ত্যক্ত করাটা অনেকের কাছে মজার বিষয় মনে হতে পারে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এতে সে মনে আঘাত পেতে পারে। এতে আপনার শিশু নেতিবাচক চিন্তাভাবনা নিয়ে বেড়ে উঠবে এবং জীবনের অনেক বাস্তবতা নিয়ে ভীতি বা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে। শিশুদের কখনো প্রকাশ্যে ঠাট্টা করবেন না বা শিশুদের লজ্জা দেবেন না। এটি তাদের আগামী জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

৯. মেজাজ হারানো

রাগ মানুষের স্বাভাবিক আবেগ। আর সন্তান লালনপালনের চাপ থেকে রাগবিরক্তি আসাটা স্বাভাবিক। কিন্তু বিশেষ করে আপনি যখন আপনার শিশুর সামনে রাগ প্রকাশ করেন, সেটি তার জন্য নেতিবাচক হতে পারে। প্রতিবার আপনি মেজাজ হারাবেন, আর তার মনে ভীতি তৈরি করবেন; তখন সে আপনার কাছে যেতে ভয় পাবে।

১০. সুবিধাবঞ্চিতদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা

বাবামা সন্তানদের রোল মডেল। আপনি কীভাবে আচরণ করেন, সেটি তারা খুব গভীরভাবে খেয়াল করে, এটি সরাসরি তাদের প্রভাবিত করে। কারও সম্পর্কে খারাপ কথা আপনার সন্তানের মনে খারাপ ছাপ ফেলে। আপনি অন্য লোকেদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করেন তারা একইভাবে আচরণ করতে শুরু করবে। এটি তাদের মনে গভীর ছাপ ফেলতে পারে। এর জন্য তারা উপহাসের শিকার হতে পারে। ইতিবাচক প্যারেন্টিং হলো সদয়, শান্ত এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে শিশুকে শিক্ষিত করে তোলা।

১১. সঙ্গীর নামে কুকথা বলা

শিশুদের সামনে সঙ্গীর নামে কুকথা বলা বা কটূক্তি করা কখনই ঠিক নয়। কারণ তারা এটি বুঝতে পারে না। তারা অজান্তেই আপনাকে অনুকরণ করতে শুরু করবে এবং এটি মজার ব্যাপার মনে করে একই আচরণ করতে শুরু করবে। একপর্যায়ে কটূক্তি করা তার অভ্যাসে পরিণত হবে।

১২. তুলনা

শিক্ষা, খেলাধুলা বা অন্যান্য পাঠ্যক্রম বহির্ভূত ক্রিয়াকলাপগুলোতে আমরা প্রায়ই শিশুদের অন্য শিশুর সঙ্গে তুলনা করি। বাবামায়েরা ভুলে যান যে, তাদের উচ্চ প্রত্যাশা সন্তানদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বাবামায়ের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হলে শিশুর জন্য সেটি হতাশার কারণ হতে পারে। প্রতিটি শিশু ভিন্ন এবং বিভিন্ন ক্ষমতার অধিকারী হয়। এমনকি তাদের ছোট অর্জনেও প্রশংসা করার চেষ্টা করুন।

১৩. ধূমপান বা মদ্যপান

শিশুদের সামনে ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ তারা অল্প বয়সে গোপনে এ ধরনের অভ্যাস পরীক্ষা করার চেষ্টা করবে। আপনি যখন ধূমপান করেন, এটি কেবল আপনার স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকর নয়, আপনার শিশুরা পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। এতে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, কানের সংক্রমণ ইত্যাদি স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে।

১৪. উৎকোচ দেওয়া

এই কাজ করলে তোমাকে এই উপহার দেব, পরীক্ষায় ভালো করলে তোমার ওই আশা পূরণ করবএমন কাজ অনেক বাবামায়েই করেন। এভাবে উৎকোচ দেওয়ার চর্চা শিশুকে সম্মানবোধ এবং দায়িত্ববোধ শেখাতে ব্যর্থ হয়। কার্যকর প্যারেন্টিং হলো, শিশুর দক্ষতা উন্নয়নে জোর দেওয়া এবং তার অর্জনের প্রশংসা করার পাশাপাশি পুরস্কৃত করা।

মনে রাখতে হবে, আপনার শিশুর মন অত্যন্ত কোমল এবং তারা নির্ভেজাল হৃদয়ের অধিকারী। অন্যায় এবং অধিকার সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই; তাদের সেই জ্ঞানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই আমাদের কাজ।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




মাহি কুফুরিতে আক্রান্ত: রাকিব সরকার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে নিয়ে এবার বিস্ফোরক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তার স্বামী রাকিব সরকার। ২৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি দাবি করেছেন, মাহি দীর্ঘদিন ধরে কুফুরি দ্বারা আক্রান্ত।

ওই স্ট্যাটাসে মাহির স্বামী লিখেছেন, মাহি দীর্ঘদিন ধরে কুফুরি দ্বারা আক্রান্ত। মাহিকে নিয়ে কেউ বাজে কথা বইলেন না, প্লীজ। আমি অনেক কষ্ট পাই। একসাথে না থাকলেও তাকে আমি ভালোবাসি। ফারিশের মা হিসেবে তার সম্মান অনেক উর্ধ্বে।

যদিও এই ফেসবুক পেজ থেকে বিগত কয়েকদিনে মাহিকে নিয়ে একাধিক স্ট্যাটাস দিয়েছেন রাকিব। সেসব নিয়ে কথা বলতেও দেখা গেছে মাহিকে। এক ভিডিওবার্তায় রাকিবের স্ট্যাটাসের জবাবে মাহি বলেছেন, রাকিব ফেসবুকে কী লিখল, আই ডোন্ট কেয়ার।

এসবের মাঝেই নতুন করে আরও এক স্ট্যাটাসে মাহিকে নিয়ে আলোচনার ঝড় তুললেন তার স্বামী রাকিব সরকার।


আরও খবর



দুর্নীতির দায়ে এক বছরের মাথায় ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ভো ভ্যান থুং পদত্যাগ করেছেন। দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে এক বছরের বেশি কিছু সময়ের মাথায় পদত্যাগ করলেন তিনি।

তার বিরুদ্ধে দলীয় নিয়ম ভঙ্গ এবং নেতিবাচকভাবে দলের সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত করার কথা জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাত্র এক বছর দায়িত্ব পালনের পর পদত্যাগ করেছেন ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ভো ভ্যান থুং। বুধবার দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির বৈঠকের পর সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, তিনি দলীয় নিয়ম ভঙ্গ করেছেন এবং দলের সুনামকে নেতিবাচকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।

বিবিসি বলছে, ভো ভ্যান থুং তার নিজ প্রদেশে দুর্নীতি কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত থাকার কারণে পদত্যাগ করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। দুর্নীতির কারণে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া অন্য একজন প্রেসিডেন্টের স্থলাভিষিক্ত হতে গত বছর তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

মূলত ভিয়েতনামের ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্ব দুর্নীতিকে একটি সমস্যা হিসেবে অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং সমাধান করা প্রয়োজন বলে তারা মনে করছে। ভিয়েতনামের নেতৃত্বের পরিবর্তন সাধারণত সাবধানে পরিকল্পিত এবং নিয়ন্ত্রিতভাবে করা হয়।

সুতরাং মাত্র এক বছরের মধ্যে দুজন প্রেসিডেন্টকে হারানো এবং উভয়ই দুর্নীতি কেলেঙ্কারির কারণে পদত্যাগ করার বিষয়টি এটিই দেখায় যে, দেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে দুর্নীতি মোকাবিলা করা কমিউনিস্ট পার্টির জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

বিবিসি বলছে, ভিয়েতনামের রাজনীতির শীর্ষে থাকা চারটি স্তম্ভের একজন প্রেসিডেন্ট। কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক চারটি পদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী, যদিও ক্ষমতা কাঠামোতে প্রেসিডেন্টেরও গুরুত্বপূর্ণ কর্তৃত্ব রয়েছে। বাকি দুজন হলেন- প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পরিষদের চেয়ারম্যান।

গত বছর যখন ভো ভ্যান থুংকে নির্বাচিত করা হয়েছিল তখন তাকে একজন দক্ষ ব্যক্তি এবং অপেক্ষাকৃত তরুণ প্রেসিডেন্ট হিসাবে দেখা হয়েছিল। মূলত দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রচারণার নেতৃত্বদানকারী শক্তিশালী পার্টি প্রধান নগুয়েন ফু ট্রংয়ের সমর্থন সেসময় পেয়েছিলেন তিনি। আর এখন পূর্বসূরি নগুয়েন জুয়ান ফুকের মতো ভো ভ্যান থুংকেও তার নিজ প্রদেশে অজ্ঞাত কেলেঙ্কারির সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। যদিও সরকার গোপনীয়ভাবে কেবলমাত্র সেই ত্রুটিগুলোর কথাই উল্লেখ করেছে যা পার্টির ভাবমূর্তিকে জনসাধারণের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

বিবিসি বলছে, থুংয়ের পদত্যাগের জন্য জাতীয় পরিষদের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন প্রয়োজন। আর এ জন্য জাতীয় পরিষদ বৃহস্পতিবারই বৈঠকে বসছে।

প্রসঙ্গত, মাত্র কয়েক দিন আগে পুলিশ মধ্য ভিয়েতনামের কোয়াং এনগাই প্রদেশের একজন সাবেক নেতাকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তারের কথা ঘোষণা করে। ভো ভ্যান থুং সেখানে দলীয় প্রধান থাকাকালীন ওই নেতা সেখানে দায়িত্বপালন করেছিলেন।


আরও খবর



ছাত্রকে গুলি করা সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে আরাফাত আমিন তমাল নামে তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফের বিরুদ্ধে।

সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন।

সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

সোমবার বিকেলে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করেন কলেজের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর সন্ধ্যায় তাকে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত ডা. রায়হান শরীফ কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক।

ওদিকে উক্ত ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



মানিকগঞ্জে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মানিকগঞ্জে কাঁচামাল ব্যবসায়ী মাজম আলী বেপারী হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মথুর নাথ সরকার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ চর মকিমপুর গ্রামের মো. সোহাগ, একই গ্রামের হাবিয়া বেগম, শাহিনুর ইসলাম ওরফে নেরন, নাধন ও মত্ত ঢাকুয়াপাড়া গ্রামের মো. আলমগীর। এদিকে মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন মো. খলিল, আলী আকবর ও টুটুল।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট রাত ১০টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামি সোহাগ কাঁচামাল ব্যবসায়ী মাজমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে অন্য আসামিদের সহযোগিতায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে ৪ আগস্ট সকাল ৬টার দিকে মাজমের লাশ সোহাগের চৌচালা টিনের ঘরের উত্তর-পশ্চিম পাশে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জেলেকা বেগম ৮ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৯ জুন মানিকগঞ্জ সদর থানার তৎকালীন ওসি মো. আমিনুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে আদালত ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া শেষে এই রায় দেন। হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ায় সন্তোষ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মথুর নাথ সরকার।

তবে রায়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বাদশা, খলিলুর রহমান খলিল ও মো. শাহজাহান। তারা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন।


আরও খবর