রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি
কটেজ ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় তিনবার নোটিশ দেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের
মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে বেইলি রোডের
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
মাইন উদ্দিন বলেন, ‘এই ভবনকে পূর্বে
নোটিশ দেয়া হয়েছিল। ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ভবনের মালিককে তিনবার নোটিশ পাঠানো হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ভবনে কোনো
ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না। এ কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।’
আগুন লাগার কারণ জানতে চাইলে মাইন উদ্দিন
বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে
ধারণা নিচতলার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত
৯টা ৫০ মিনিটে আগুনের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের ২ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত
১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে পুলিশ, আনসার, র্যাব
ও এনএসআই।
এদিকে আজ সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. সামন্ত
লাল সেন বলেছেন, রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬
জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দ্বগ্ধ চিকিৎসাধীন ব্যক্তিরাও শঙ্কামুক্ত নন।
এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয়
বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন
ভর্তি আছেন। তাদের প্রত্যেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা.
সামন্ত লাল সেন। আহতদের চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার সরকার বহন করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বেইলি রোডের আগুনে হতাহতের ঘটনায় শোক
জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।