৩৩ দিন বয়সের শিশুপুত্র সুবলকে ঘরে ঘুম পাড়িয়ে খালে পানি আনতে গিয়েছিলেন মা নমিতা দেবনাথ। ঘরে ফিরে সন্তানকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজির পর পানির ড্রামে মিলল শিশুটির লাশ।
ঘটনাটি ঘটেছে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের অশত্থকাঠি গ্রামে। পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পিরোজপুর মর্গে পাঠিয়েছে এবং শিশুটির মা নমিতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছে।
নিহত শিশু সুবলের মা ওই গ্রামের শ্রমজীবি সুকান্ত দেবনাথের স্ত্রী নমিতা দেবনাথ জানান, শনিবার সকাল আনুমান দশটার দিকে নিজের শিশু সন্তান সুবলকে ঘুম পাড়িয়ে ঘরে রেখে পাশের খালে পানি আনতে যায় সে। এসময় তার স্বামী সুকান্ত পানের বরজে কাজ করতে গিয়েছিল ঘরে সুকান্তের ছোট ভাই সুমন্তের স্ত্রী লিপিকা দেবনাথ তার সন্তান নিয়ে বসা ছিল। ঘরে ফিরে শিশু সুবলকে দেখতে না পেয়ে নমিতা সুকান্তকে খবর দেয়। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজির পরে পানির ড্রামের ঢাকনা তুলে সেখানে পানির মদ্যে সুবলকে দেখতে পায়। ইতোমধ্যে সে নিষ্প্রাণ হয়ে গেছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানান গেছে ওই ঘরে সুকান্ত ও তার ছোট ভাই সুমন্ত পরিবারসহ বসবাস করে। কেউ না কেউ শিশুটিকে হত্যার উদ্দেশ্যে অথবা হত্যা করে পানির মধ্যে ফেলেছে। তাছাড়া যতটুকু সময়ের কথা বলা হচ্ছে তাতেও সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে বলে তাদের অভিমত।
এ ব্যাপারে নেছারাবাদ থানার ওসি তদন্ত মো. সোলায়মান জানান, এ বিষয়ে অপমৃত্যু মামলা রজু করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পিতা সুকান্ত দেবনাথ লাশের সাথে পিরোজপুর গিয়েছেন। মা নমিতা দেবনাথকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত করছে। খুর শীঘ্রই তদন্তে সবকিছু বেরিয়ে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।