আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে মুরগির বাজারে

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রায় দুই মাস ধরে দেশের মুরগির বাজারে অস্থিরতার পর স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। প্রকারভেদে কেজিতে ৬০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা দরে।

গত চারদিন আগেও ২৭০ থেকে ২৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল এ পোল্ট্রি পণ্য। রোববার (২৬ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের হাঁস-মুরগির বাজারে গিয়ে নতুন মূল্যের এ তথ্য পাওয়া যায়।

জানা গেছে, গত চারদিন আগে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছিল ৩৯০ টাকা কেজি দরে। আজ সেটি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকায়। ৩৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সাদা কক মুরগি আজ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। পাকিস্তানি কক মুরগির দাম ৩৬০ টাকা; চার দিন আগের বিক্রি ৪২০ টাকায়। ৩৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া লেয়ার এখন বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়।

সম্প্রতি মুরগির বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলে নড়ে-চড়ে বসে তদারকি সংস্থাগুলো। মুরগির দাম নিয়ে বিরাজমান অস্থিরতা কমাতে দেশের বড় চার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে তলব করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে মুরগির অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধির বিষয়ে শুনানি শেষে ফার্ম থেকে সর্বোচ্চ ১৯৫ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেয় প্রতিষ্ঠান চারটি। এরপর থেকেই বাজারে কমতে থাকে ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগির দাম।

বাজারে স্বস্তি ফিরলেও পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেননি মুরগির ক্রেতারা। দাম কিছুটা কমেছে ঠিকই, কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য এটা যথেষ্ট নয়। ব্রয়লার মুরগির দাম ১৩০-১৪০ টাকা কেজি হলে সাধারণ মানুষের জন্য ঠিক হতো। কিন্তু মুরগিসহ সবকিছুর দাম বেশি।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




এক মাসে ১৫৯ কোটি টাকার চোরাচালান জব্দ করেছে বিজিবি

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১৫৯ কোটি ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের চোরাচালান সামগ্রী জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শুক্রবার (৮ মার্চ) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বিজিবির অভিযানে জব্দ করা চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৪ কেজি ৩৩৫ গ্রাম স্বর্ণ, ১০ কেজি রূপা, ২ লাখ ৬২ হাজার ৬৮১টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৪ হাজার ১৮৮টি ইমিটেশন গহনা, ২১ হাজার ৭টি শাড়ি, ১৯ হাজার ২২৬টি থ্রিপিস, ৬ হাজার ৫৩৪ ঘনফুট কাঠ, ২ হাজার ৬১২ কেজি চা পাতা, ৪০ হাজার ৬৩৫ কেজি কয়লা, ২টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৬টি ট্রাক, ২টি কাভার্ড ভ্যান, ১টি বাস, ৪টি পিকআপ, ৩৩টি সিএনজি-ইজিবাইক এবং ৯৪টি মোটরসাইকেল।

এ ছাড়া ৩টি পিস্তল, ১টি রাইফেল, ৫টি এসএমজি, ৪টি রিভলভার, ৯টি বিভিন্ন প্রকার গান, ১৯টি ম্যাগাজিন, ৪ কেজি গান পাউডার, ১৬টি হ্যান্ড গ্রেনেড এবং ১ হাজার ১১ রাউন্ড গুলি জব্দ করেছে বিজিবি। পাশাপাশি ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৩৪৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৫ কেজি ১০৩ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৪০ দশমিক ৭৫১ কেজি হেরোইন, ১৩ হাজার ৩৪৬ বোতল ফেনসিডিল, ১৭ হাজার ৩০১ বোতল বিদেশি মদসহ আরও বেশকিছু নেশা দ্রব্য জব্দ করেছে বিজিবি।

একইসঙ্গে ফেব্রুয়ারি মাসে সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ১২১ জন চোরাকারবারি এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৩২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক, ১০ জন ভারতীয় নাগরিক এবং ৪৩৫ জন মিয়ানমার নাগরিককে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।


আরও খবর



‘এম ভি আবদুল্লাহ’ উদ্ধার অভিযানে যেতে পারে ভারতের নৌবাহিনী: মার্কিন বিশ্লেষক

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

২৩ বাংলাদেশি নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। জাহাজটি গত রোববার মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিল। সোমবার জলদস্যুদের কবলে পড়ে এটি। পণ্যবাহী জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ।

মঙ্গলবার (মার্চ ১২) দুপুর ১টার দিকে জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর জানতে পারে বাংলাদেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠীটির কর্তৃপক্ষ। এসআর শিপিংয়ের সিইও মোহাম্মদ মেহেরুল করিম জানান, গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে জাহাজ থেকে তাদের বার্তা পাঠানো হয়। বার্তায় বলা হয়, জলদস্যুরা জাহাজ দখল করে নিয়েছে। আমাদের নাবিকেরা আটকা পড়েছেন।

এদিকে জাহাজে থাকা নাবিকদের পরিবার-পরিজন বেশ উদ্বেগ নিয়ে দিন কাটাচ্ছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশি এই কার্গো ক্যারিয়ারটি উদ্ধারে যেতে পারে ভারতীয় নৌবাহিনী। এমনটাই পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মার্টিন কেলি।

ভারতীয় মহাসাগরের যে অঞ্চলে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজটিকে জিম্মি করা হয়েছে সেখানকার আশপাশে ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তিশালী উপস্থিতি আছে। আর এ কারণে, দেশটির নৌবাহিনী এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইওএস রিস্ক গ্রুপের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক মার্টিন কেলি।

কেলি বলেছেন, তার জানা মতে, গত ৩ মার্চ সোমালিয়া উপকূল থেকে একটি জলদস্যু বিরোধী গোষ্ঠী গভীর সমুদ্রের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারত মহাসাগরের যে অঞ্চলে এই হামলা সংঘটিত হয়েছে সেই এলাকায় ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তিশালী উপস্থিতি আছে।

সূত্র: ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস


আরও খবর



দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় অদম্য নারী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নারী নির্যাতন, লিঙ্গ বৈষম্য, বাল্যবিবাহ ও স্বাস্থ্যসেবার সংকট এবং কর্মে প্রবেশ, নিরাপত্তা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মতো অধিকার প্রতিষ্ঠার অভাব থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে নারীর উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। এই অগ্রগতি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও প্রশংসিত হচ্ছে। গত দেড় দশকে বাংলাদেশের শ্রমশক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণের হার ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিগুণ। এটি দেশের অর্থনীতিতে বড় আশা দেখাচ্ছে। দেশের রাজনীতি, সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসন, শিক্ষা, খেলাধুলা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে সর্বক্ষেত্রে নারীরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করছে। দিন দিন তাদের সংখ্যা বাড়ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, নারীর উন্নয়নের পাশাপাশি বৈষম্য দুরীকরণে এখন নজর দেওয়ার সময় এসেছে।

বাংলাদেশে নারীর এই অগ্রগতির মধ্যেই শুক্রবার (০৮ মার্চ) পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারিভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য হলো নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ, এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ। আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নারী দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

বিশ্বব্যাংকের মতে, যেসব দেশে শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণের হার বেশি হয়, সেসব দেশের অর্থনীতির আরও শক্তিশালী হওয়ার প্রবণতায় থাকে। এর কারণ হলো যখন নারীদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করা হয়, তখন তারা অর্থনীতিতে অবদান সম্পূর্ণভাবে রাখতে পারেন। এর মধ্য দিয়ে অর্থনীতিতে উৎপাদনশীলতা, উদ্ভাবন ও প্রতিযোগিতাকে ত্বরান্বিত করে। ফলে শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি একটি দেশের জিডিপিতে উল্লেখযোগ্যভাবে ভূমিক রাখে।

বাংলাদেশের শ্রমশক্তি জরিপ ২০২২ বলছে, দেশের শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণের হার এখন ৪৩ শতাংশ। ২০০৬ সালের জরিপে এ হার ছিল ২৯ শতাংশ এবং ২০১৭ সালের জরিপে এ হার ছিল ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থাৎ গত ১৬ বছরে এ হার ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অথচ ভারতে এই হার মাত্র ২০ শতাংশ আর পাকিস্তানে ২২ শতাংশ।

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার অন্যতম উৎস তৈরি পোশাক খাতের যে চল্লিশ লাখের অধিক শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে, তার ৮০ শতাংশের বেশি নারী। ২০২২ সালে উচ্চশিক্ষায় (টারশিয়ারি) নারীদের ভর্তির হার ১৭ দশমিক ১৯ শতাংশ। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ছাত্রীদের ভাগ ৪৫ দশমিক শূন্য ৩ (২০২২) শতাংশ। এছাড়া প্রাথমিকে ছাত্রীসংখ্যা ১০৪-এর বিপরীতে ছাত্রসংখ্যা ১০০ এবং মাধ্যমিকে ১১৪ ছাত্রীসংখ্যার বিপরীতে ছাত্র ১০০। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারী শিক্ষকের অনুপাত সরকারি ক্ষেত্রে ৬৪ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে ৬৬ দশমিক ০৩ শতাংশ। মনে করা হয়, বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়নে নারী শিক্ষার প্রসার বড় ভূমিকা রেখেছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের পরিকল্পনা ও কর্মসূচির বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে সরকারের মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা কৌশলে নারী উন্নয়নের বিষয়কে মূল ধারায় নিয়ে আসা হয়েছে।

দেশে নারীর উন্নয়নে গত তিন দশকে সরকার বিশাল ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ক্ষমতায়ন বৃদ্ধিতে গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে। এর মধ্যে ৯০ দশকে শুরু হওয়া প্রাথমিকে উপবৃত্তি চালুর পর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মেয়েদের উপবৃত্তি চালু করা হয়। নারী শিক্ষকদের জন্য প্রণোদনা উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি। বর্তমান সরকার টানা কয়েক মেয়াদে নারীদের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য নারী-স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন, বিনামূল্যে মাতৃ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং গর্ভনিরোধক ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা বিতরণ বিস্তৃত করেছে। এ ছাড়া নারীদের কর্মসংস্থানের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে শুধু নারীদের জন্য শিল্পপার্ক স্থাপন এবং নারীদের জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান। জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন বাড়িয়ে রাজনৈতিক অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা হয়েছে। নারী উদ্যোক্তাদের উন্নীত করার জন্য তহবিল প্রতিষ্ঠা, তাদের জন্য ঋণ ও প্রশিক্ষণ প্রদান এবং নারী-নেতৃত্বাধীন ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোগের উন্নয়নসহ বেশ কিছু উদ্যোগ চালু করেছে। নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য বেশ কিছু আইনি সংস্কার করেছে, যার মধ্যে রয়েছে গার্হস্থ্য সহিংসতা, যৌন হয়রানি এবং অ্যাসিড হামলা প্রতিরোধে আইন প্রবর্তন। নারীর প্রতি সহিংসতা-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত বিচারের জন্য সরকার একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনালও গঠন করেছে।

এ বিষয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) সম্প্রতি সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে বলেন, বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ও উন্নয়ন অনেক এগিয়েছে। স্কুলে মেয়েদের ভর্তির হার বেড়েছে এবং ঝরে পড়ার হার কমেছে। উচ্চ শিক্ষায়ও মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, রাজনীতি ও প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং বেসরকারি চাকরি- সব ক্ষেত্রেই নারীরা এগিয়েছে।

নারীর উন্নয়ন বাংলাদেশের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম বলেন, আমরা সাধারণত নারীর উন্নয়ন ও বৈষম্যকে এক করে ফেলি। তবে মনে রাখতে হবে, নারীর উন্নয়ন হলেই সব ঠিক হয়ে গেল না। আমাদের খুঁজে বের করতে হবে নারীর বৈষম্য রয়েছে কোন কোন জায়গায়। এগুলো নিয়ে গবেষণা করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা দরকার।

প্রসঙ্গত, ১৯১৪ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে নারী দিবস পালন শুরু হয়। ১৯৭৫ সালে দিনটিকে নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ। নারী দিবস পালনের মূল লক্ষ্য হলো নারী ও পুরুষের সমঅধিকার আদায়। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অঞ্চলে নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, তাদের কাজের প্রশংসা এবং ভালোবাসা প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে মহিলাদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য অর্জনের উৎসব হিসেবেই পালন করা হয়।


আরও খবর



ঢাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে পুলিশের অভিযান, আটক ৩৫

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। যেসব রেস্টুরেন্টে পর্যাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা বা যথাযথ অনুমোদন নেই সেসব রেস্টুরেন্টের মালিক বা ম্যানেজারকে আটক করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে উত্তরা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ধানমন্ডি, খিলগাঁও, পুরান ঢাকায় এই অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। রবিবার (৩ মার্চ) রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আরও পড়ুন>> ৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এলো ফেব্রুয়া‌রি‌তে

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে একসঙ্গে ৪৬ জন মারা যাওয়ার পর পুলিশ সাঁড়াশি এই অভিযান শুরু করেছে। আগামী তিন দিন এই অভিযান চলবে।

পুলিশের উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, যেসব রেস্টুরেন্ট যথাযথ নিয়ম-কানুন না মেনে ও আইন ভঙ্গ করে পরিচালিত হচ্ছে সেসব রেস্টুরেন্টে অভিযান চালানো হচ্ছে। আইন অনুযায়ী এসব রেস্টুরেন্ট মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আরও পড়ুন>> মিলারের হবু বউয়ের জন্য যে উপহার দিল ফরচুন বরিশাল

পুলিশের নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার রেফাতুল ইসলাম জানান, ধানমন্ডির একাধিক রেস্টুরেন্টে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। অভিযান শেষ হলে বিষয়টি সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে।

পুলিশ সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে ৩০-৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত বেশিরভাগই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার। তাদের কাছে রেস্টুরেন্ট পরিচালনার বৈধ সব ডকুমেন্টস চাওয়া হয়েছে। এসব ডকুমেন্টস দেখে যাচাই-বাছাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



সিঙ্গাপুরের পথে ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বাস্থ্য পরীক্ষার নিমিত্তে সিঙ্গাপুরে গেলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রবিবার (০৩ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০৫৮৪ ফ্লাইট যোগে আজ সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ওবায়দুল কাদেরের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে শিগগিরই তিনি ঢাকায় ফিরবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর