আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

তাদের চরম মূল্য দিতে হবে : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর হামলা করার ধৃষ্টতা যারা দেখিয়েছেন, তাদের চরম মূল্য দিতে হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, উপযুক্ত প্রমাণ পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ধোলাইপাড়ে নির্মাণাধীন ভাস্কর্যের কাজ চলবে। ভাস্কর্য হবেই। 

 

সোমবার (৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটাবে তাদের তো অবশ্যই সংবিধান এবং রাষ্ট্রদোহের সামিল। কারণ বঙ্গবন্ধু তো আমাদের জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর হামলা। দেশে দেশে যেখানে সৌদি আরব, কাতার, মিশর, ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তানেও আছে। ভাস্কর্য মুসলামন দেশগুলোতেও আছে। তাদের চেয়েও কি আমরা বড় মুসলমান। তারা তো সেখানে ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলে না। আর মূর্তি হলো দেবতার পূজা একটা, আর এখানে ভাস্কর্য তো মানুষের ভাস্কর্য। দেবতাকে তো পূজা করা হয়, কিন্তু এখানে তো মানুষকে পূজা করা হচ্ছে না। কাজেই এটাকে তারা কেন এভাবে নিচ্ছে। কুষ্টিয়ায় তারা যেটি করেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও মধুদার ভাস্কর্যের ওপর হামলা চালিয়েছে। এটা যারাই করবে এবং যারা এর ধৃষ্টতা দেখাবে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে।

 

আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন থাকতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন মামলা করতে হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কে মামলা করলো সেটা বিষয় না। এটা নন পলিটিক্যালরা করাই ভালো, বঙ্গবন্ধু তো শুধু কোনো দলের না।

 

এখানে কাউকে হুকুমের আসামি করা হবে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপযুক্ত প্রমাণ না পেলে কাউকে ভিক্টিমাইজ করা উচিত না। কেউ হুকুম দিয়েছে এমন কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমরা সরকারে আছি, ক্ষমতায় আছি। আমাদের ঠান্ডা মাথায় এগুতে হবে। কথায় কথায় মাথাগরম করলে চলবে না। বুঝেশুনে আমাদের পরিস্থিতিটা ট্র্যাকল করতে হবে। কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে এখানে আবার আমাদের দেশে ধর্ম আবার গুরুত্বপূর্ণ ও সেনসেটিভ ইস্যু। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বিষয়গুলো দেখছেন ও সেভাবে ট্র্যাকল করছেন। অহেতুক দেশে অশান্তি-বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চাই না। আমরা যুক্তি দিয়ে বলতে চাই। প্রধানমন্ত্রী তাদের সাক্ষাৎ দেবেন কিনা সেটি আমি জানি না। আলোচনার সুযোগ আছে কিনা সেটাও প্রধানমন্ত্রী দেখছেন। সব বিষয়েই সরকার প্রধান যদি মনে করেন তাহলে হতে পারে। তিনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই।

 

হেফাজতের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের কওমি মাদরাসার ১৪ লাখ স্টুডেন্ট আছে। তারা মেইনস্ট্রিম থেকে দূরে আছে। তাদের আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার মেইনস্ট্রিমে আনার জন্য দাবিটাকে ন্যায়সম্মত মনে হয়েছে। সে জন্য তাদের দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। তার মানে এই নয় তাদের সাথে সমঝোতা করেছি। হেফাজত কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়, যে তাদের সাথে রাজনৈতিক সমঝোতা করব।


আরও খবর
বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি: রিজভী

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ঈদে ৯০ লাখ মানুষ সড়কপথে ঢাকা ছাড়বে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার প্রায় দেড় কোটি মানুষ স্বজনদের কাছে যাবে। এসব মানুষ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনসহ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বসবাস করে। এই বিপুলসংখ্যক ঈদযাত্রীর ৬০ শতাংশ যাবে সড়কপথে। এই হিসেবে সড়কপথের যাত্রীসংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ মানুষ নৌ ও রেলপথে ঢাকা ছাড়বে।

আজ সোমবার প্রকাশিত নাগরিক সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির ঈদপূর্ব পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো এবং সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে ঈদ যাতায়াতে জনদুর্ভোগ অনেক কমতে পারে বলে প্রতিবেদনে আশা প্রকাশ করা হয়।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে জানান, বিগত বছরগুলোর মতো এবারও সড়কপথে জনভোগান্তি ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তবে নির্বিঘ্ন ঈদ যাতায়াতের জন্য সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। আশা করছি এবারের ঈদ যাতায়াতে জনদুর্ভোগ অনেক কমতে পারে।

সর্বশেষ জনশুমারির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা বিভাগে ৪ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাস করে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার জনসংখ্যা যথাক্রমে ৫৯ লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৭ ও ৪২ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৫। দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ গার্মেন্টস শিল্প (পোশাক কারখানা) গাজীপুর অঞ্চলে হওয়ায় গাজীপুর মহানগরের জনসংখ্যা এখন প্রায় ৭০ লাখ। নারায়ণগঞ্জ মহানগরে বাস করে ২৫ লাখ মানুষ। তিন শহরের বাইরে এসব জেলায় আরো প্রায় ৫০ লাখ মানুষ বাস করে। এছাড়া নরসিংদী ও মানিকগঞ্জ জেলার জনসংখ্যা যথাক্রমে ২৬ ও ২০ লাখ।


আরও খবর



গুলির আওয়াজে কেঁপে উঠল কলকাতা বিমানবন্দর!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কর্তব্যরত অবস্থায় নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন কলকাতা বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক সিআইএসএফ জওয়ান। বৃহস্পতিবার ভোরে বিমানবন্দরের পাঁচ নম্বর গেটের কাছে ঘটনাটি ঘটে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই জওয়ানকে চিনার পার্ক এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস ও আনন্দবাজার পত্রিকার।

খবরে বলা হয়, ভোর ৫টা ১৫ নাগাদ বিমানবন্দরের পাঁচ নম্বর গেটের কাছে হঠাৎই গুলির শব্দ শোনা যায়। সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে যান স্থানীয়রা। বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিযুক্ত অন্য সিআইএসএফ জওয়ানরাও ঘটনাস্থলে যান। জানা গেছে, গুলি তার গলায় লেগেছে।

তারা গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই জওয়ান। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে অবশ্য চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে কেন ওই জওয়ান আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন, তা এখনো জানা যায়নি।

আত্মহত্যার কারণ জানতে ইতোমধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এবং সিআইএসএফ কর্মকর্তারা পৃথকভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আহত জওয়ানের বাড়ি তেলেঙ্গানায়। ইতোমধ্যে তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।

নিয়মানুযায়ী, কর্তব্যরত অবস্থায় সিআইএসএফ জওয়ানরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারেন না। তবে জওয়ানের মোবাইল ফোনটি পাওয়া গেলে অনেক রহস্যের জট খুলতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

কর্মক্ষেত্রে কিংবা ব্যক্তিগতজীবনে তিনি হতাশ ছিলেন কিনা, কিংবা অবসাদে ভুগছিলেন কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


আরও খবর



ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৩ কিলোমিটার যানজট

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ঈদে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের যানবাহনের চাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এবং কুমিল্লার দাউদকান্দি অংশেও যানজট রয়েছে বলে জানা গেছে।

সরেজমিন শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া পাখির মোড় এবং তেতৈতলা হাস পয়েন্ট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঢাকামুখী লেনে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও কুমিল্লামুখী লেনে যান চলাচল প্রায় বন্ধ। গজারিয়া অংশের ১৩ কিলোমিটার এলাকায় যানজট রয়েছে। এ ছাড়া কুমিল্লার দাউদকান্দি এবং নারায়ণগঞ্জের অংশেও যানজট রয়েছে।

ফেনীগামী প্রাইভেটকারচালক বলেন, কাঁচপুর থেকেই জ্যামে পড়ি আমরা। কাঁচপুর থেকে গজারিয়ার ভবেরচরে আসতে ২ ঘণ্টার বেশি সময় লেগে গেল। রাস্তায় কোথাও এক্সিডেন্ট হয়েছে বা গাড়ি নষ্ট হয়েছে এ রকম কিছু দেখলাম না, কিন্তু রাস্তায় প্রচুর যানবাহন।

গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির বলেন, যানজট নয়; তবে যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে। মহাসড়কে একটি গাড়ি বিকল হয়েছিল তা আমরা সরিয়ে দিয়েছি। মূলত ঈদযাত্রা শুরু হওয়ায় যানবাহনের অত্যাধিক চাপই ধীরগতির কারণ। পাশাপাশি কুমিল্লার দাউদকান্দির বলদাখাল এলাকায় মহাসড়কের এক পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে, সে জন্যও গাড়ি চলাচলের সময় লাগছে। হাইওয়ে পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


আরও খবর



পতাকার আদলে ধানক্ষেত, প্রশংসায় ভাসছেন স্কুলশিক্ষক

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকার আদলে ধান ক্ষেত সাজিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন মোঃ আবু জাফর (৩৫) নামের এক স্কুল শিক্ষক।

ওই স্কুল শিক্ষক উলিপুর পৌর এলাকার নাওডাঙা বাকরের হাট গ্রামের মোঃ আবু বক্করের ছেলে। তিনি উলিপুর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বলে জানা গেছে। স্বাধীনতার মাসে ধান ক্ষেতের মাঝে চারা গাছ দিয়ে ফুটে উঠা জাতীয় পতাকার প্রতিচ্ছবি দেখতে উৎসুক জনতা ভীড় করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, আবু জাফরের এক একর ৩০ শতক জমিতে ধান চাষ করেছেন। এর মধ্যে ক্ষেতের এক শতক জমি জুড়ে ফুটে উঠেছে সবুজ রঙের চারা দিয়ে জাতীয় পতাকার প্রতিচ্ছবি জমির আইলের পাশ দিয়ে বেগুনি ধান গাছের চারা রোপন করে ফুটিয়ে তুলেছেন পতাকার খুঁটি। বিরি-১০৪ জাতের ধানের সবুজ চারাকে পতাকার জমিন ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ বেগুনি ধানের চারাকে বৃত্ত ও পতাকার খুঁটি স্বরুপ সারিবদ্ধ ভাবে রোপন করেছেন তিনি। প্রথমের দিকে ধান গাছের পাতায় সমৃদ্ধ রঙ না আসায় স্পষ্ট চিত্র বুঝা না গেলেও বর্তমানে ধান গাছের পরিপক্বতার কারণে দৃশ্যমান হয়েছে ক্ষেতটি। এমন ব্যতিক্রমি পতাকার আদলে ধান ক্ষেত দেখতে প্রতিদিন লোকজন ছুটে আসছেন সেখানে।

আবু জাফর বলেন,আমি শিক্ষকতার পাশাপাশি কৃষি চাষাবাদ করে থাকি। দেশের প্রতি ভালোবাসা ও মমত্ব প্রকাশে মানুষজন বিভিন্নভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে চায়। তেমনি আমিও চেষ্টা করছিলাম মাত্র। স্বাধীনতার মাসে জাতীয় পতাকার আদলে করা ধানক্ষেতটি দৃশ্যমান হওয়ায় মানুষজনের দেখার আগ্রহ বেড়েছে।

ধান ক্ষেত দেখতে আসা লিটন মিয়া বলেন, মানুষজন দেশের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ থেকেই মুলত ব্যতিক্রমী কাজ করে থাকে। আবু জাফর ভাইয়ের জাতীয় পতাকার আদলে করা ধানক্ষেতটি সত্যি প্রশংসনীয়। এমন দৃশ্য দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। এটি দেখে অনেকের মাঝে দেশপ্রেম জাগ্রত হবে বলে জানান তিনি।

শিক্ষার্থী মোঃ রাজু মিয়া বলেন, আমি বিভিন্ন কারুকার্য যেমন বইয়ের পাতা ও কাপড়ের তৈরি, পাথরের তৈরি সাজানো পতাকা দেখেছি। তবে ধানের চারা লাগিয়ে যে জাতীয় পতাকার প্রতিচ্ছবি বানানো যায় তা প্রথম দেখলাম সত্যি ভালো লাগলো।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, একজন কৃষক দেশের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে জমিতে জাতীয় পতাকার আদলে যে শস্যচিত্র ফুটিয়ে তুলেছে সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতায়

কৃষি বিভাগ সব সময় পাশে থাকবে বলে তিনি জানান।


আরও খবর



রূপগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৮

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রূপগঞ্জ (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

রূপগঞ্জের কায়েতপাড়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রূপগঞ্জের কায়েতপাড়ার নাওড়া গ্রামের হাজীবাড়ির সামনে এ সংঘর্ষ হয়। রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) দীপক কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধরা হলেন-আকবর (২৪), তাজেল (৩৬), জয়নাল (৩৫), শামীম (২৫), মুক্তার হোসেন (৬০), নুর হোসেন (২৪), আরিফ (৯) ও রোমান (২০)।

জানা যায়, বিভিন্ন আবাসন কোম্পানির পক্ষে জমি বেচাকেনা ব্যবসা ও দখল নিয়ে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও তার ভাই নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমানের সমর্থকদের সঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা এই দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় সময়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এরই জেরে রবিবার রাতে রফিকুল ইসলামের এক অনুসারীকে মোশারফের অনুসারীরা পিটিয়ে আহত করেন। এ ঘটনার জেরে সোমবার সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষ দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। পরে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

চিকিৎসকের বরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর (ইনচার্জ) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ৮ জন এখানে ভর্তি আছে। আমরা আহতদের চিকিৎসা চলমান রেখেছি।

রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) দীপক কুমার সাহা বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


আরও খবর