আজঃ মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

টাইগারদের বিপক্ষে আফগানিস্তানের দল ঘোষণা

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে দল ঘোষণা করল আফগানিস্তান। রবিবার ১৯ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।

টেস্ট না খেললেও ওয়ানডেতে থাকছেন তারকা স্পিনার রশিদ খান। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সফরের দল থেকে বাদ পড়েছেন নুর আহমেদ ও ফরিদ আহমেদ মালিক। দলে জায়গা পেয়েছেন সাইদ আহমেদ শিরজাদ, সেলিম শাফি, জিয়া আকবর ও ইজারুল হক নাভিদ। আগামী ৫ থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে সিরিজ।

আরও পড়ুন<< গিনির জালে ব্রাজিলের গোল উৎসব

আফগান ওয়ানডে দল:

হাশমতউল্লাহ শহীদি (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রিয়াজ হাসান, রহমত শাহ, নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী, শহীদউল্লাহ কামাল, ইব্রাহিম আলখিল, রশিদ খান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মুজিব-উর-রহমান, ফজলহক ফারুকী, জিয়া আকবর, ইজারুল হক নাভিদ, আব্দুল রহমান, সেলিম শাফি, সাইদ আহমেদ শিরজাদ।


আরও খবর



আবারও বিএনপিকেই পালাতে হবে : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে আবারও পালাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার দরকার নেই। সরকারেরও দরকার নেই। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির নেতাকর্মীরা বক্তব্য দিয়েছে, আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। সেদিনও দেখলাম পল্টন ময়দান থেকে একে একে দৌড়াতে দৌড়াতে অলিগলি কোথায় দিয়ে যে পালিয়েছে, কেউ চিন্তাও করেনি।

সোমবার (১৩ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে। যদি তারা আবারও জ্বালাও-পোড়াও করে। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে আবারও পালাতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাসে পালিয়ে যাওয়ার কোনো রেকর্ড নেই। ২০০৭ সালে আর রাজনীতি করব না এই মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাদের মূল নেতা পালিয়ে আছে। ২৮ অক্টোবরও বক্তব্য দিয়েছিল আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। শেষ পর্যন্ত দেখলাম দৌড়াতে দৌড়াতে তারা পালিয়েছে।

তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) যদি রাজনৈতিকভাবে এগোতে চায় তাহলে আমরাও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। তারা যদি আবারও সন্ত্রাস করে তাহলে আমরাও সেভাবেই মোকাবিলা করব। আগে থেকে এ নিয়ে কিছু বলতে চাই না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে এসে কেউ আবারও বিএনপিকে মদত দেবে সে পরিস্থিতি এখন বিশ্বে নেই। যারা দাপট দেখাতো তাদের ক্ষমতা মধ্যপ্রাচ্যেই সংকুচিত হয়ে গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথাই ইসরায়েল শুনে না।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক গোলাপ, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


আরও খবর



সোনার দাম ভরিতে বাড়ল ৪৫০০ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রতি ভরি সোনার দাম সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে এক লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। যা আগামীকাল বুধবার থেকে কার্যকর হবে। 

মঙ্গলবার (৭ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৮ হাজার ৯০ টাকায় বিক্রি হবে।

সোনার দাম বাড়ানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

আজ (মঙ্গলবার) ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৫ হাজার ৮৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯০ হাজার ৭৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৫ হাজার ৪৮৯ টাকায় বিক্রি হয়।


আরও খবর



আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে টানা তীব্রতাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৮ শতাংশ।

গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ ডিগ্রি ৭ সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আজ চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী তিন দিন আরও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। ৪৩-৪৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে তাপমাত্রা। সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি।

তীব্র গরমে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। এ ছাড়া গরমে জেলা সদর হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া ও শিশু রোগীর সংখ্যা। ফলে ওয়ার্ডের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। বহির্বিভাগেও রয়েছে রোগীদের চাপ। প্রতিদিন গড়ে গরমজনিত কারণে ৭০০-৮০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহা. আতাউর রহমান।

এদিকে তীব্র গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা। দিনে বাসায় থাকা দায় হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাতে মশার যন্ত্রণা। গরমের সঙ্গে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় সারা রাত নির্ঘুম কাটাতে হচ্ছে।

মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চুয়াডাঙ্গা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আবু হাসান বলেন, জেলায় গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন এলাকায় প্রতিদিন প্রায় ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু সেখানে আমরা পাচ্ছি ৯০-৯২ মেগাওয়াট। তাই ঘাটতি পূরণ করতেই লোডশেডিং চলছে।

এদিকে তীব্র গরমে জেলাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে বৃষ্টি প্রার্থনা করলেও কৃষকরা এখনই বৃষ্টি চাচ্ছেন না। কয়েকজন কৃষক বলেন, তীব্র গরমে আমরাও অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। তবে এখন ধান কাটার মৌসুম চলছে। এ সময় বৃষ্টি হলে কৃষকরা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।


আরও খবর



গড়াই নদীতে গোসলে নেমে ভাই-বোনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ বাসিন্দাপাড়া জামে মসজিদের পাশে গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১২ টার দিকে মর্মান্তিক এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই ভাই-বোন হলো- মোছা. সেফা (১৭) ও শাহাজাদা (১২)। সেফা উপজেলার জয়নাবাদ এলাকার শামিম হোসেনের মেয়ে ও শাহাজাদা কুমারখালী থানার আলমগীর হোসেনের ছেলে। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই-বোন।

জানা গেছে, নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে যায়। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১২ টার দিকে দুজন গোসল করার জন্য নদীতে নামলে স্রোতের কারণে তারা নদীর তলে ডুবে গেলে পানি থেকে তুলে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গড়াই নদীতে পরিবারের লোকজনদের সাথে গোসল করতে নেমে পানির প্রবল স্রোতের কারণে তলিয়ে যায় দুজনা। অনেক সময় ধরে পানির মধ্যে খোঁজাখুঁজি করে তাদেরকে উদ্ধার করলেও আর বাঁচাতে পারেনি পরিবারের লোকজন। একসাথে একই পরিবারের দুজনার মৃত্যুর কারণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে জয়নাবাদ এলাকায়।

এ বিষয়ে চাঁপড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক মন্জু বলেন, নদীতে ডুবে দুজনের মৃত্যুর ঘটনা শুনেছি। ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেছি। মরদেহ দুটি এখন কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে আছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, নদীতে ডুবে দুজনার মৃত্যুর খবর শুনেছি। ঘটনা স্থানে কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ কাজ করছে।


আরও খবর



মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত হলে প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত হলে তার প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতা, বাজার ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্যতা এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সূত্রে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়ার শঙ্কা থাকে। এছাড়া, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে পণ্য সরবরাহের সাপ্লাই-চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে মূলত ইরান বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট পরিবহন খরচ বাড়তে পারে। এতে পণ্য তৈরি ও সরবরাহ ব্যয় বাড়ায় রপ্তানিকারকরা কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারেন।

মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়ে দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্দেশ দিয়েছি যাতে প্রত্যেকে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখে এবং এ বিষয়ে নিজ নিজ করণীয় নির্ধারণ করে। সংঘাত দীর্ঘ হলে কোন কোন সেক্টরে প্রভাব পড়তে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।

তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো সংঘাত বা সংঘাতের খবর জ্বালানি তেলের বাজারকে প্রভাবিত করে। এতে পণ্যের জাহাজ ভাড়া বাড়ে। যা আমদানি ব্যয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সার আমদানি ব্যয়ে প্রভাব পড়ে। এতে বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, মরক্কো, তিউনেশিয়া, কানাডা, রাশিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও ঘনীভূত ও দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে টিসিবির কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রশ্নে ড. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিসিবিতে যে লোকবল আছে সেটা দিয়ে আমরা মানুষের যে সেবা করে যাচ্ছি সেটাই যথেষ্ট। আর সাধারণ মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। হ্যাঁ, দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। যার প্রভাব আছে। বিশেষ করে যারা সীমিত আয়ের তাদের জন্য কষ্ট হচ্ছে। তবে গ্রামে যারা নিজেরা উৎপাদন করতে পারেন বা করছেন তাদের জন্য খুব একটা কষ্ট নেই। হাহাকারও নেই। তারপরও আমাদের সবসময় প্রচেষ্টা যে দ্রব্যমূল্য যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ কারণে যথাযথভাবে যে যে পণ্যের প্রয়োজন সেটা দেশে যেমন উৎপাদনের পদক্ষেপ নিয়েছি, পাশাপাশি আমদানিও করে যাচ্ছি। তাতে যত টাকাই লাগুক না কেন, আমরা কিন্তু খরচ করে যাচ্ছি। যার ফলে আমাদের রিজার্ভেও চাপ পড়ছে। মানুষের কল্যাণ আমাদের সব থেকে বড় কথা, সেদিকে লক্ষ্য রাখছি।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে এবং জনসাধারণ উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার সুফল ভোগ করতে পারছে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবুল কালামের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিকে অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, বিশ্ববাজারের কয়েকটি পণ্য যেমন জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেল, গম, সারসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, ভোগ্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামালের মূল্য বাড়ায় আমাদের দেশে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতির চাপ অনুভূত হচ্ছে। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতের ফলে সংকট ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে এ পরিস্থিতেও আমরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের ওপর এর প্রভাব প্রশমনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। টাকার বিনিময় হারের সাম্প্রতিক পতন অভ্যন্তরীণ মূল্যস্ফীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা আনতে শিগগির ক্রলিং পেগ ভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় নীতি গ্রহণ করা হবে। নির্ধারিত করিডোরভিত্তিক এ ব্যবস্থা বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের অস্বাভাবিক উত্থান-পতন রোধ করবে বলে আশা করা যায়। ফলে এটি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মূল্যস্ফীতির ওপর বাহ্যিক প্রভাব কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বিলাস দ্রব্য বা অপেক্ষাকৃত কম প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যে এলসি সহজ করা হয়েছে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুর রউফের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি পর্যালোচনাধীন।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পদক্ষেপের বিষয়ে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান বলেন, আমাদের ট্রাফিক পুলিশ দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে। তাদের ঈদ বা ঝড়-বৃষ্টি-রোদ বলে কিছু নেই। তারা তাদের কর্তব্য পালন করে যান। কিন্তু মানুষের সচেতনতা না এলে কী করবেন? হেলপার যদি গাড়ি চালায় বা যার লাইসেন্স নেই সে কখন যে কোন গাড়িতে বসে চালাতে শুরু করে এটা তো বোঝাও দুষ্কর। আর এভাবে গাড়ি চালাতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটে। এরা নিজেও মরে, যাত্রীদেরও মারে।

দেশে ব্যক্তিগত গাড়ি বৃদ্ধি পেয়েছে এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। আমরাও গাড়ি কেনার সুযোগ দিয়েছি মানুষকে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও সুযোগ দিয়েছি। এখন আমাদের গাড়ির সংখ্যা এত বেশি কিন্তু সেই তুলনায় ড্রাইভারের সংখ্যা খুব কম। আমরা চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও নিচ্ছি। এখন শুধু হাতে কলমেই ট্রেনিং নয়, একেবারে কম্পিউটারাইজড। এটা ডিজিটাল সিস্টেমে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যাতে লাইসেন্স দেওয়া হয় সেই পদক্ষেপ নিচ্ছি। এই প্রশিক্ষণটা নেওয়া.. আর যাদের ভারী গাড়ি চালানোর কোনো লাইসেন্স নেই তারা যেন সেটা চালাতে না যান। এটা করতে গেলে তা হবে আত্মঘাতী। এই আত্মঘাতী ব্যবস্থা থেকে মানুষকে বিরত রাখতে হবে। এ ব্যাপারে সবাই সচেতন ও স্বোচ্চার হলে এটা অনেকটা কমবে। তারপরও বলবো দুর্ঘটনা দুর্ঘটনাই। এটা আমাদের দেশ বলে নয়, সারা বিশ্বে অন্য দেশে যান কী পরিমাণ মানুষ দুর্ঘটনায় মারা যায়? এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা সুনির্দিষ্ট করে দুর্ঘটনামুক্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছি। যার জন্য অনেক এলাকায় দুর্ঘটনা হচ্ছে না। এই ড্রাইভারের ব্যাপারটা নিয়ে সমস্যা।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, চালকদের দীর্ঘ সময় যাতে একটানা গাড়ি চালাতে না হয়- এজন্য আমরা বিশ্রাম করার ব্যবস্থা নিচ্ছি। এজন্য অনেকগুলো বিশ্রামাগার তৈরি করা হচ্ছে। এটা হলে চালকরা কিছু স্বস্তি পাবেন। আর সবাইকে বলবো আপনারা চালকদের দিয়ে গাড়ি চালান। সে সময়মতো গেলো কি না, বিশ্রাম নিতে পারলো কি না? অনেকে সেটা করেন না। আপনারা গাড়ি চালাতে বলে দেন। গাড়ি চলতেই থাকে। আপনি পার্টি করে আসেন, দাওয়াত খেয়ে আসেন কিন্তু ড্রাইভার খেলো কি না সে খবরটা রাখেন না।

আরও খবর